Ajker Patrika

খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ২৬
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে দুর্ভোগে খুমেক হাসপাতালের রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে দুর্ভোগে খুমেক হাসপাতালের রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা হঠাৎ কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর চার দফা দাবি জানিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, আনসার সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি, আনসারদের মোবাইল টিম গঠন এবং সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি শেখ আলামিন জানান, আজ ভোর পৌনে ৫টার দিকে সার্জারি ওয়ার্ডের ইউনিট-১-এ এক পুরুষ রোগী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর পরপরই রোগীর স্বজনেরা কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দায়ী করে হামলা চালান। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবিতে তাঁরা চার দফা দাবি পেশ করে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন।

শেখ আলামিন বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

অন্যদিকে কোনো পূর্বঘোষণা বা আলটিমেটাম ছাড়াই হঠাৎ কর্মবিরতিতে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সপ্তাহের শেষ দিনে ধর্মঘটের কারণে ভর্তি রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। দুপুরের পর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অনুপস্থিত থাকায় হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। অনেক মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় জটিলতা দেখা যায় এবং নার্সদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।

হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, আজ পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৪৩ জন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেকর্ডে দেখা যায়, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ওই রোগীকে সার্জারি ইউনিট-১-এ ‘অজ্ঞাতনামা’ হিসেবে ভর্তি করা হয়। রনি নামের একজন ভ্যানচালক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে আহত ব্যক্তির মোবাইল থেকে তাঁর ছেলেকে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়।

আজ বিকেলে রনি বলেন, ‘নগরীর সোনাডাঙ্গা আলির ক্লাব মোড়ে দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পাই। পরে হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। তাঁর মোবাইল থেকে ছেলেকে খবর দিয়ে চলে আসি।’

নিহত ব্যক্তির বাড়ি যশোরের অভয়নগর এলাকায় বলে জানা গেছে। তবে রাতে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনার পর কীভাবে মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক আইনুল ইসলাম বলেন, কর্মবিরতিতে যাওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন না করতে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু এখনই সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। এত বড় হাসপাতালের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য দরকার ৬০-৭০ জন। কিন্তু আছে মাত্র ২৩ জন। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আরও সিসি ক্যামেরা বসানোসহ নিরাপত্তার জন্য নানা ধরনের শর্ত দিয়েছেন। সেগুলো সময়সাপেক্ষে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ, শান্তি রক্ষা মিশনের এক-চতুর্থাংশ ছাঁটাই করছে জাতিসংঘ

১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টাইফয়েড টিকা, টাকা চাইলে ব্যবস্থা

গাজায় থেমে গেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী

৯ গোলের দুঃস্বপ্ন থেকে মশার যন্ত্রণা, বাংলাদেশ-হংকং লড়াইয়ে আরও যা ঘটেছে

সবচেয়ে প্রভাবশালী ৪ মিডিয়ার লাগাম এখন ৪ শীর্ষ ধনীর হাতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত