Ajker Patrika

মা-বাবাকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখার অভিযোগ, ছেলে আটক

ত্রিশাল প্রতিনিধিময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৪৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মা-বাবাকে হত্যার পর লাশ বসতঘরে পুঁতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলে রাজু মিয়ার (২৬) বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ রাজু মিয়াকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে তাঁকে আটক করে ত্রিশাল থানা-পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ত্রিশাল উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও রানুয়ারা বেগমকে হত্যা করে লাশ বসতঘরে পুঁতে রাখেন ছেলে রাজু মিয়া।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে রানুয়ারা বেগমকে গলা টিপে এবং ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে মোহাম্মদ আলীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে রাজু। পরে তাঁদের দুজনের লাশ বাসার ভেতরের একটি রুমে মাটি খুঁড়ে চাপা দেন।

রাজুর বোন জরিনা খাতুন বলেন, ‘গতকাল থেকেই মা-বাবাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আজ ঘরে এসে দেখি বিছানায় রক্তের দাগ। পরে ঘরের কোণে মাটি খুঁড়তেই লাশ দুটি পাই।’

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহাম্মদ বলেন, রানুয়ারা বেগমকে গলা টিপে হত্যার পর লাশ বসতঘরের একটি রুমে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে পাশের বাড়ি থেকে একটি কুড়াল এনে গভীর রাতে রাজু তাঁর বাবাকে হত্যা করেন। আজ সকালে তাঁদের দুজনের লাশ মাটিচাপা দেন রাজু।

ওসি আরও বলেন, বিয়ের পর রাজু বেকার হয়ে পড়েন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি চলছিল। রাজুর ১১ মাস বয়সী এক মেয়েসন্তান রয়েছে। প্রায় সময় টাকাপয়সা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হতো। স্থানীয়রা মা-বাবাকে হত্যার বিষয়টি থানায় জানালে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ রাজুকে আটক করে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রাজু তার বাবা-মাকে হত্যা করে শোয়ার ঘরে পুঁতে রাখে। বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ, শান্তি রক্ষা মিশনের এক-চতুর্থাংশ ছাঁটাই করছে জাতিসংঘ

১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টাইফয়েড টিকা, টাকা চাইলে ব্যবস্থা

গাজায় থেমে গেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী

৯ গোলের দুঃস্বপ্ন থেকে মশার যন্ত্রণা, বাংলাদেশ-হংকং লড়াইয়ে আরও যা ঘটেছে

সবচেয়ে প্রভাবশালী ৪ মিডিয়ার লাগাম এখন ৪ শীর্ষ ধনীর হাতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত