Ajker Patrika

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ: আহত দুই ভাই মারা গেছেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন মিলন আলী (৬০) ও আলম আলী (৫৫)। মিলন ও আলম সম্পর্কে আপন দুই ভাই। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান।

নিহত মিলন ও আলম নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মারকইল সাহাপুকুর গ্রামের নওশেদ আলীর ছেলে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুস সালাম তুহিনের সমর্থক ছিলেন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দুজনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হলে বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে পাঠায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নাচোল উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্থানীয় স্তরে আধিপত্য বিস্তার ও সমর্থক জমায়েতকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে রহস্যজনক আগুন: একজন নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আজ ভোরে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভী পাড়ায় একটি ছয়তলা ভবনের ফ্ল্যাটে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ‘দেওয়ান প্লাজা’ নামের ওই ভবনের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে এই অগ্নিকাণ্ডে শাহ ফরহাদ উদ্দিন আহমদ (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ফরহাদ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার আজমপুর হলেও তিনি পরিবার নিয়ে শহরের ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাস বলেন, ভোর ৪টা ১২ মিনিটে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফ্ল্যাটের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষটি থেকে শাহ ফরহাদ উদ্দিন আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিউটন দাস জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ ফরহাদ উদ্দিন আহমদ অগ্নিকাণ্ডের সময় কক্ষের ভেতরে ছিলেন। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপদে বের হতে পেরেছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, আগুন লাগার খবর বিলম্বে দেওয়া হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের বরাত দিয়ে উপসহকারী পরিচালক বলেন, ফরহাদ উদ্দিনের পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ কারণে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মগড়া নদীতে গোসল করতে নেমে কৃষক নিখোঁজ, ডুবুরি দলের তল্লাশি চলছে

আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে তল্লাশি চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে তল্লাশি চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সোনাজুর গ্রামে মগড়া নদীতে গোসল করতে নেমে আব্দুল হক (৫৫) নামের এক কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ আব্দুল হক ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হক প্রতিদিনের মতো সকালে নদীতে গোসল করতে নামেন। দীর্ঘ সময় পরও তিনি ফিরে না আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খবর পেয়ে নেত্রকোনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এইচএসসিতে যশোর বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

­যশোর প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে যশোর বোর্ডে এ বছর গড় পাসের হার ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৯৯৫ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে। এ ছাড়া শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। আজ সকালে বোর্ডের সভাকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম।

বোর্ড কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে কিছু ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খাতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। যে কারণে পাসের হার কমেছে।’

যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে পাস করেছেন ৫৬ হাজার ৫০৯ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছেন ১৫ হাজার ৯৩১ পরীক্ষার্থী।

মানবিক বিভাগ থেকে ৩৪ হাজার ৩ জন ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৬ হাজার ৬৭৫ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছেলে ১ হাজার ৭৭২ ও মেয়ে ১ হাজার ৬০৯, মানবিক বিভাগে ছেলে ৫৪৪ জন ও মেয়ে ১ হাজার ৬৩৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে ছেলে ১৬৪ ও মেয়ে ২৭১ জন পাস করেন।

গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৭৪৯ জন। এ ছাড়া শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যা ২০টি।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের কিছু ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খাতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেড়িয়ে এসেছি। যে কারণে পাসের হার কমেছে।’ তিনি আরও বলেন, শূন্য পাসের কলেজের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম বলেন, ‘এ বছরের ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট নই। তবে শিক্ষার মানোন্নয়নে চেষ্টা করেছি। মেধাবীদের বের করে আনতে এই প্রচেষ্টা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হামলার ৭ বছর পর সেই দানারহাটে মির্জা ফখরুল, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বরণ করার জন্য নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত। ছবি: আজকের পত্রিকা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বরণ করার জন্য নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত। ছবি: আজকের পত্রিকা

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছিল, দীর্ঘ সাত বছর পর তিনি আজ সেই ঠাকুরগাঁও সদরের বেগুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। দীর্ঘ বিরতির পর দলের মহাসচিবের আগমনে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।

২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগে যাওয়ার পথে দানারহাট এলাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় বহরের সাতটি গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তৎকালীন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছিল। ঘটনার পর নির্বাচনী কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শহরে ফিরে যান মহাসচিব। এরপর তিনি আর এই এলাকায় আসেননি।

বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম আবুল কাশেম আজাদ হামলার ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তৎকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সেদিন এই হামলা চালায়। এতে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হন। ওই দিন মহাসচিব স্যার আর কোনো নির্বাচনী কর্মসূচি না দিয়ে শহরে চলে যান। এরপর আর এই এলাকায় আসেননি। দীর্ঘ সাত বছর পর এই প্রথম তিনি একই মাঠে বক্তব্য দেন। সেদিন অত্যন্ত হতাশ হয়েছিলাম, কিন্তু আজ তাঁর আগমনের খবরে আমরা দারুণভাবে উজ্জীবিত।’

এদিকে মহাসচিবকে স্বাগত জানাতে দানারহাট এলাকায় সাজ সাজ রব। পুরোনো স্মৃতি ভুলে নতুন উদ্দীপনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া গাড়িবহরে থাকা ও হামলায় আহত হওয়া স্থানীয় এক কর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘সেদিন হামলাকারীরা আমার গাড়িতেও ভাঙচুর করেছিল। মহাসচিব স্যারকে রক্ষা করতে গিয়ে আমরা কয়েকজন আহত হই। সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলিনি। কিন্তু স্যার আবার আসছেন, আমাদের মাঝে দাঁড়াচ্ছেন—এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমরা মনে করি, তিনি আবার এসে আমাদের পুরোনো ক্ষতকে সাহস দিয়ে মুছে দেবেন।’

আরেক স্থানীয় সমর্থক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বছর আগের ঘটনায় আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, এই এলাকায় হয়তো আর কোনো দিন রাজনীতি করা যাবে না। কিন্তু আজ মহাসচিব স্যার আবার আসছেন, এতে প্রমাণ হয়, আমরা এখনো মাঠে আছি। আমরা তাঁর জন্য অপেক্ষায় আছি, তাঁর বক্তব্য শুনতে মুখিয়ে আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত