প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:
প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালক ওমর ফারুক (৩৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস রোডে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।
আজ সকাল থেকে স্থানীয় টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে কমরেড মণি সিংহের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে আলোচনা সভা। সভায় টংক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভায় কমরেড মণি সিংহ মেলা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক দিবালোক সিংহ সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম। সভায় কমরেড মণি সিংহের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তাইয়েবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মেলা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন মুকুল, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, উদীচী দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি শামছুল আলম খান, কমরেড মণি সিংহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাকি খন্দকার, মেলা কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, কবি বিদ্যুৎ সরকারসহ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা।
আলোচনার শুরুতে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২৮ সালে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিনব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে কমরেড মণি সিংহ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে কারামুক্ত হয়ে সুসং-দুর্গাপুরে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষান সভার মহাসম্মেলনে কমরেড মণি সিংহ অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সারা জীবন তিনি মেহনতি মানুষের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
উল্লেখ্য, কমরেড মণি সিংহ ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।
আজ সকাল থেকে স্থানীয় টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে কমরেড মণি সিংহের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে আলোচনা সভা। সভায় টংক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভায় কমরেড মণি সিংহ মেলা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক দিবালোক সিংহ সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম। সভায় কমরেড মণি সিংহের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তাইয়েবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মেলা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন মুকুল, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, উদীচী দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি শামছুল আলম খান, কমরেড মণি সিংহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাকি খন্দকার, মেলা কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, কবি বিদ্যুৎ সরকারসহ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা।
আলোচনার শুরুতে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২৮ সালে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিনব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে কমরেড মণি সিংহ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে কারামুক্ত হয়ে সুসং-দুর্গাপুরে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষান সভার মহাসম্মেলনে কমরেড মণি সিংহ অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সারা জীবন তিনি মেহনতি মানুষের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
উল্লেখ্য, কমরেড মণি সিংহ ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালক ওমর ফারুক (৩৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস রোডে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খায়েরগাঁওয়ের মো. বাছিরের ছেলে মো. মাহমুদুল (২১), মো. ফসিউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সাকিবুল হাসান (১৯), দক্ষিণ রাজনগরের মো. শামসুল হকের ছেলে মো. লালন (২০), বাবুল নগরের হাফিজ আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), চিকাডহরের ইকরাম আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩৬), জালিয়ারপাড়ের আব্দুল খালিকের ছেলে মো. কামরুল (২৫), ধুপরীরপাড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৭), পাড়ুয়া মাঝপাড়ার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আবু বক্কর (২২), মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. শফিক মিয়া (৪২), মো. রুহুল আমিন (৩০), ধনাই মিয়ার ছেলে মো. আখতার মিয়া (২৮), মো. আবু বক্করের ছেলে মো. শরিফ উদ্দিন (১৯), মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন (২২), দক্ষিণ কালীবাড়ির ময়না মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৩০), চিকাডহর গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ লাল মিয়া (২৮) ও ভোলাগঞ্জের মৃত আব্দুল মুতালিবের ছেলে মো. আল আমীন হোসেন (৩২)।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার দায়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খায়েরগাঁওয়ের মো. বাছিরের ছেলে মো. মাহমুদুল (২১), মো. ফসিউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সাকিবুল হাসান (১৯), দক্ষিণ রাজনগরের মো. শামসুল হকের ছেলে মো. লালন (২০), বাবুল নগরের হাফিজ আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), চিকাডহরের ইকরাম আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩৬), জালিয়ারপাড়ের আব্দুল খালিকের ছেলে মো. কামরুল (২৫), ধুপরীরপাড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৭), পাড়ুয়া মাঝপাড়ার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আবু বক্কর (২২), মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. শফিক মিয়া (৪২), মো. রুহুল আমিন (৩০), ধনাই মিয়ার ছেলে মো. আখতার মিয়া (২৮), মো. আবু বক্করের ছেলে মো. শরিফ উদ্দিন (১৯), মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন (২২), দক্ষিণ কালীবাড়ির ময়না মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৩০), চিকাডহর গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ লাল মিয়া (২৮) ও ভোলাগঞ্জের মৃত আব্দুল মুতালিবের ছেলে মো. আল আমীন হোসেন (৩২)।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার দায়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালক ওমর ফারুক (৩৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস রোডে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালক ওমর ফারুক (৩৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস রোডে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালক ওমর ফারুক (৩৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস রোডে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা বাসে চড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন বাগমারার ভবানীগঞ্জ সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম (৪৭), সাধারণ সম্পাদক মাকিগ্রামের আব্দুল মতিন (৪০), সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক দরগামাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক (৪০), হেজাতিপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলাম (৩৬), দেউলিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (৫৫) ও আব্দুল হান্নান (৩৮)।
র্যাব-৫-এর সদর কোম্পানি ও নাটোরের সিপিসি-২-এর যৌথ দল চেকপোস্ট বসিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। আজ বুধবার সকালে র্যাব-৫-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিহত ভ্যানচালক ওমর ফারুকের বাড়ি চাঁনপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মোসলেম সরদার। ছেলে হত্যার ঘটনায় তিনিই মামলা করেছিলেন।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভবানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডে নিজের ব্যবহৃত ভ্যানগাড়ি রেখে প্রস্রাব করতে যান ওমর ফারুক। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে সেখানে উপস্থিত অন্য আসামিরা তাঁকে চোর সন্দেহে আটক করেন। এরপর ২০ থেকে ২৫ জন সংঘবদ্ধভাবে ওমর ফারুককে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্মমভাবে মারধর করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে তাঁকে উলঙ্গ করে দেয়ালের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে তাঁর দুই হাত ও দুই পায়ে প্রায় দুই ইঞ্চি লোহার পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মারধরের সময় ওমর ফারুক বারবার পানি চাইলে তাঁকে পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
অত্যাচারে ফারুকের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে আসামিরা ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁকে মিথ্যা মাদক সেবনকারী হিসেবে উপস্থাপন করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফারুককে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে উপস্থিত হন বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক পুরিয়া গাঁজা রাখার অভিযোগে ওমর ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।
পরে আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গুরুতর আহত অবস্থায়ই তাঁকে কারাগারে গ্রহণ করেন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ডিসেম্বর ফারুকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। এরপরই ফারুক হত্যার ঘটনায় মামলা নেয় বাগমারা থানা-পুলিশ।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালক ওমর ফারুক (৩৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস রোডে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা বাসে চড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন বাগমারার ভবানীগঞ্জ সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি উপজেলার দেউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম (৪৭), সাধারণ সম্পাদক মাকিগ্রামের আব্দুল মতিন (৪০), সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক দরগামাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক (৪০), হেজাতিপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলাম (৩৬), দেউলিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (৫৫) ও আব্দুল হান্নান (৩৮)।
র্যাব-৫-এর সদর কোম্পানি ও নাটোরের সিপিসি-২-এর যৌথ দল চেকপোস্ট বসিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। আজ বুধবার সকালে র্যাব-৫-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিহত ভ্যানচালক ওমর ফারুকের বাড়ি চাঁনপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মোসলেম সরদার। ছেলে হত্যার ঘটনায় তিনিই মামলা করেছিলেন।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভবানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডে নিজের ব্যবহৃত ভ্যানগাড়ি রেখে প্রস্রাব করতে যান ওমর ফারুক। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে সেখানে উপস্থিত অন্য আসামিরা তাঁকে চোর সন্দেহে আটক করেন। এরপর ২০ থেকে ২৫ জন সংঘবদ্ধভাবে ওমর ফারুককে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্মমভাবে মারধর করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে তাঁকে উলঙ্গ করে দেয়ালের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে তাঁর দুই হাত ও দুই পায়ে প্রায় দুই ইঞ্চি লোহার পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মারধরের সময় ওমর ফারুক বারবার পানি চাইলে তাঁকে পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
অত্যাচারে ফারুকের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে আসামিরা ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁকে মিথ্যা মাদক সেবনকারী হিসেবে উপস্থাপন করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফারুককে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে উপস্থিত হন বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক পুরিয়া গাঁজা রাখার অভিযোগে ওমর ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।
পরে আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গুরুতর আহত অবস্থায়ই তাঁকে কারাগারে গ্রহণ করেন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ডিসেম্বর ফারুকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। এরপরই ফারুক হত্যার ঘটনায় মামলা নেয় বাগমারা থানা-পুলিশ।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।
১০ মিনিট আগে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ মিনিট আগে