নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা


সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার পর শেষবারের মতো তাঁকে গুলশানের বাসভবনে আনা হয়।
আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনে প্রবেশ করে।
এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মরদেহ বাসার ভেতরে নেওয়া হলে স্বজনদের মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, রেজা কিবরিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসার বাইরে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ভিড় করে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো একনজর দেখার চেষ্টা করেন অনেকে। পুরো ফিরোজা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুক্ষণ পর মরদেহ বাসা থেকে বের করে জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

গুলশান অ্যাভিনিউয়ে ১৯৬ নম্বর বাসায় নেওয়া হলে মা খালেদা জিয়ার কফিনের পাশে বসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ বুধবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমানের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে তাঁকে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ নিয়ে শেষ জানাজার উদ্দেশ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে রওয়ানা হয়েছে শোকাতুর এক দীর্ঘ মিছিল। আজ বুধবার বেলা ১১টা ০৪ মিনিটে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা (তারেক রহমানের বাসভবন) থেকে মরদেহবাহী গাড়িটি বের হয়।
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মরহুম নেত্রীর কফিনবাহী গাড়িটির সামনে ও পেছনে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ভিড় এবং কড়া নিরাপত্তা। এই শেষযাত্রায় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্য ও দলের শীর্ষ নেতারা।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী এই গাড়িবহরে রয়েছেন তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। এ ছাড়া মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানাজাস্থলে উপস্থিত থাকছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঘনিষ্ঠ স্বজনেরাও এই শোকাবহ যাত্রায় শামিল হয়েছেন। বহরের সঙ্গে থাকা লাল-সবুজ রঙের বাসটি শোকাতুর এক পরিবেশ তৈরি করেছে।
সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বেলা ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা ব্যানার ও কালো ব্যাজ ধারণ করে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় সংসদ ভবনের মাঠ থেকে শুরু করে খামারবাড়ি ও ফার্মগেট এলাকা পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে।
সকাল সোয়া ৯টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনে আনা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টা ০৪ মিনিটে মরদেহবাহী গাড়িবহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। বহরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্য ও দলের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের স্রোতে পুরো এলাকা এখন কানায় কানায় পূর্ণ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এসএসএফ, পিজিআর, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করেছে খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজায় অংশ নিতে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কফিনবাহী গাড়িটি সংসদ ভবন চত্বরে প্রবেশ করেছে। দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িতে করে খালেদা জিয়ার কফিন সংসদ ভবন চত্বরে প্রবেশ করে। বেলা ২টায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা নামাজে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদিত ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল।
আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা চলছে। দুপুর ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হয়েছে।
নামাজে জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত আছেন। খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছেন। কালো পোশাক ও ব্যাজ পরে, জানাজায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদন ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে রাখা হয় খালেদা জিয়ার কফিন।
বিকেল ৩টা ২ মিনিটে জানাজা নামাজ শুরু হয়। শেষ হয় ৩টা ৫ মিনিটে।
নামাজে জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছেন। কালো পোশাক ও ব্যাজ পরে, জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া ৩২টি দেশের রাষ্ট্রদূত জানাজায় অংশ নেন। খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালেই ঢাকা পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদন ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
জিয়া উদ্যানে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে রাখা হয় খালেদা জিয়ার কফিন।
বিকেল ৩টা ২ মিনিটে জানাজা নামাজ শুরু হয়। শেষ হয় ৩টা ৫ মিনিটে।
নামাজে জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছেন। কালো পোশাক ও ব্যাজ পরে, জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া ৩২টি দেশের রাষ্ট্রদূত জানাজায় অংশ নেন। খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালেই ঢাকা পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদন ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
জিয়া উদ্যানে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা চলছে। দুপুর ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হয়েছে।
নামাজে জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত আছেন। খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছেন। কালো পোশাক ও ব্যাজ পরে, জানাজায় অংশ নিচ্ছেন তাঁরা।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদন ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল।
আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদিত ছাড়া কাউকে সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কফিনবাহী গাড়িটি সংসদ ভবন চত্বরে প্রবেশ করেছে। দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িতে করে খালেদা জিয়ার কফিন সংসদ ভবন চত্বরে প্রবেশ করে। বেলা ২টায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা নামাজে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক।
সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করেছে খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজায় অংশ নিতে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে।
সকাল সোয়া ৯টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনে আনা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টা ০৪ মিনিটে মরদেহবাহী গাড়িবহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। বহরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্য ও দলের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের স্রোতে পুরো এলাকা এখন কানায় কানায় পূর্ণ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এসএসএফ, পিজিআর, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ নিয়ে শেষ জানাজার উদ্দেশ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে রওয়ানা হয়েছে শোকাতুর এক দীর্ঘ মিছিল। আজ বুধবার বেলা ১১টা ০৪ মিনিটে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা (তারেক রহমানের বাসভবন) থেকে মরদেহবাহী গাড়িটি বের হয়।
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মরহুম নেত্রীর কফিনবাহী গাড়িটির সামনে ও পেছনে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ভিড় এবং কড়া নিরাপত্তা। এই শেষযাত্রায় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্য ও দলের শীর্ষ নেতারা।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী এই গাড়িবহরে রয়েছেন তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। এ ছাড়া মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানাজাস্থলে উপস্থিত থাকছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঘনিষ্ঠ স্বজনেরাও এই শোকাবহ যাত্রায় শামিল হয়েছেন। বহরের সঙ্গে থাকা লাল-সবুজ রঙের বাসটি শোকাতুর এক পরিবেশ তৈরি করেছে।
সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বেলা ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা ব্যানার ও কালো ব্যাজ ধারণ করে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় সংসদ ভবনের মাঠ থেকে শুরু করে খামারবাড়ি ও ফার্মগেট এলাকা পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

গুলশান অ্যাভিনিউয়ে ১৯৬ নম্বর বাসায় নেওয়া হলে মা খালেদা জিয়ার কফিনের পাশে বসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ বুধবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমানের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে তাঁকে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখা গেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার পর শেষবারের মতো তাঁকে গুলশানের বাসভবনে আনা হয়।
আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনে প্রবেশ করে।
এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মরদেহ বাসার ভেতরে নেওয়া হলে স্বজনদের মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, রেজা কিবরিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসার বাইরে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ভিড় করে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো একনজর দেখার চেষ্টা করেন অনেকে। পুরো ফিরোজা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুক্ষণ পর মরদেহ বাসা থেকে বের করে জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।