Ajker Patrika

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পাঁচ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

খুবি প্রতিনিধি
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরাও।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হল, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হল, খান জাহান আলী হল, হাদী চত্বর ও প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চাঁদা তোলে পল্টনে, টাকা যায় লন্ডনে’, ‘টনের চালে কাউয়া, তারেক জিয়া ....’, ‘সন্ত্রাসীরা উল্লাস করে, ইন্টেরিম কী করে?’ , ‘তারেক জিয়ার সৈনিক, চাঁদা তোলে দৈনিক’ ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগান দেন। তারা বলেন, একের পর এক খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:

১. সোহাগ হত্যার ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

২. অভিযুক্ত মহিন ও রবিনসহ সব খুনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৩. চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার করে অপরাধীদের রক্ষার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

৫. ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আজকের এই দিন দেখার জন্য কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম? এখন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ড চলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে আমরা মর্মাহত। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ৩ নম্বর গেটে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। ১১ জুলাই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত