কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করছে। এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে মিথ্যে কথা বলে অন্য লোকের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পিটিয়েছে। আমি এখন বাড়ি ছাড়া। আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা নেই।’
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই সৎ মায়ের নির্যাতনে পরিবার ও ঘর হারানোর অভিযোগের গল্প বলছিল সালমান। পুরো নাম সালমান ইবনে মোজাম্মেল (১৭)। সে গাজীপুর কালীগঞ্জে পৌরসভার বাঙ্গাল হাওলা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন আঞ্জুর (৬৫) ছেলে।
সালমান নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার হওয়ার। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন পড়াশোনা। সৎ মায়ের শত নির্যাতনের পরেও গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য ফসকে গেছে জিপিএ-৫। এ নিয়ে আক্ষেপের যেন শেষ নেই মোজাম্মেলের।
সালমান জানায়, তার মা সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি প্রবাসে মারা গেলে তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। এরপর সালমান এবং তার বোন প্রায় আট বছর তার চাচার কাছে বড় হতে থাকেন। এর আগে তাদের বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। সেই ঘরে এক ছেলে রয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে সালমানের একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যায় সে। পরে তার বাবা একই পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে মর্জিনা নামে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিপত্তি বাঁধে কিছুদিন পর। সালমান পড়ার টেবিলে বসলে তার সামনে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। ফলে বিঘ্ন ঘটত পড়ালেখায়। কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ তোলেন সৎ মা। এ নিয়ে তাকে পৃথক করে দেওয়া হয়। নিজের বাবার পাকা ঘর থাকলেও তাকে থাকতে দেওয়া হয় ভাঙা এক ঘরে। কেড়ে নেওয়া হয় বাবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার। রান্না করে খেতে হয় সালমানকে। যে জন্য প্রায়ই খেতে হতো তার বন্ধু সায়েম শেখের বাড়িতে। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলেজ হোস্টেলে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে সালমান বাড়িতে আসলে তার সৎ মা তাকে তার নানির বাড়ি (সৎ মায়ের বাপের বাড়ি) মিথ্যে বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন এক রুমে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটায় এবং মেরে ফেলার জন্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। ওই সময় তার বাবা ও এক চাচাকে জানানো হয় সালমান রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে গেলে বুঝতে পারেন তারা সালমান কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে সালমানকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী এ খবর জানতে পারলে তারা সবাই আঞ্জুর বাড়িতে যান। তারা তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঘর আটকে বসে থাকেন। পরে ওই সৎ মা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সালমানের চাচা মো. বাকী বিল্লাহ (৬০) বলেন, ‘সালমানের মা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমার ভাই তাদের আমার হেফাজতে রেখে যান। আমি তাদের আমার নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করার চেষ্টা করেছি। প্রায় আট বছর আমার সঙ্গেই ছিল। তারপর আমার ভাই যখন এই মহিলাকে বিয়ে করে আনল আমি তাদের কাছে তাদের সন্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রায় প্রায়ই ছেলেটিকে মিথ্যে অজুহাতে মারধর করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা উত্তর দেয় তাদের সন্তানকে তারা শাসন করছে এখানে যেন আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাক না গলাই। এরপর থেকে আমি আর কিছু বলিনি। ঘটনা গতকাল জেনেছি। এখন তারা স্বামী স্ত্রী কেউ বাড়িতে নেই। শুনেছি সালমানের ব্যাপারে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’
একই গ্রামের আশরাফী মিনহাজ (৩৪) বলেন, ‘ওই নারী খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায়ই সালমানের গায়ে হাত তুলত। খাবার দিয়েও কষ্ট দিত তাকে। দিনদিন তার এই অত্যাচারের মাত্রা যেন বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রমাণ করে সে যে কোনো সময় সালমানকে মেরেও ফেলতে পারে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।’
মো. ফয়সাল হোসেন সুমন (৩৪) জানান, তারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আঞ্জুর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ঘরে কপাট লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় গেলে ওসি তাদের কথাকে গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ করেন।
সালমানের সহপাঠী মো. সায়েম শেখ (১৭) জানায়, সালমানের সঙ্গে তার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। প্রায়ই সালমান মন খারাপ করে থাকত। জানতে চাইলে জানাতো সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা। তার পুরো শরীর মারের দাগে ভর্তি। এ অবস্থায় তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে নানান রকম কৌশল অবলম্বন করছে। এবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে মিথ্যে কথা বলে অন্য লোকের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পিটিয়েছে। আমি এখন বাড়ি ছাড়া। আমার নিজের থাকার কোনো জায়গা নেই।’
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই সৎ মায়ের নির্যাতনে পরিবার ও ঘর হারানোর অভিযোগের গল্প বলছিল সালমান। পুরো নাম সালমান ইবনে মোজাম্মেল (১৭)। সে গাজীপুর কালীগঞ্জে পৌরসভার বাঙ্গাল হাওলা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন আঞ্জুর (৬৫) ছেলে।
সালমান নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার হওয়ার। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন পড়াশোনা। সৎ মায়ের শত নির্যাতনের পরেও গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য ফসকে গেছে জিপিএ-৫। এ নিয়ে আক্ষেপের যেন শেষ নেই মোজাম্মেলের।
সালমান জানায়, তার মা সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি প্রবাসে মারা গেলে তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। এরপর সালমান এবং তার বোন প্রায় আট বছর তার চাচার কাছে বড় হতে থাকেন। এর আগে তাদের বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। সেই ঘরে এক ছেলে রয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে সালমানের একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যায় সে। পরে তার বাবা একই পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামে মর্জিনা নামে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিপত্তি বাঁধে কিছুদিন পর। সালমান পড়ার টেবিলে বসলে তার সামনে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। ফলে বিঘ্ন ঘটত পড়ালেখায়। কিছুদিন পরে তার বিরুদ্ধে ডিম চুরির অভিযোগ তোলেন সৎ মা। এ নিয়ে তাকে পৃথক করে দেওয়া হয়। নিজের বাবার পাকা ঘর থাকলেও তাকে থাকতে দেওয়া হয় ভাঙা এক ঘরে। কেড়ে নেওয়া হয় বাবার সঙ্গে কথা বলার অধিকার। রান্না করে খেতে হয় সালমানকে। যে জন্য প্রায়ই খেতে হতো তার বন্ধু সায়েম শেখের বাড়িতে। এরপর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলেজ হোস্টেলে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে সালমান বাড়িতে আসলে তার সৎ মা তাকে তার নানির বাড়ি (সৎ মায়ের বাপের বাড়ি) মিথ্যে বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন এক রুমে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটায় এবং মেরে ফেলার জন্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। ওই সময় তার বাবা ও এক চাচাকে জানানো হয় সালমান রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে গেলে বুঝতে পারেন তারা সালমান কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে সালমানকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী এ খবর জানতে পারলে তারা সবাই আঞ্জুর বাড়িতে যান। তারা তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঘর আটকে বসে থাকেন। পরে ওই সৎ মা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সালমানের চাচা মো. বাকী বিল্লাহ (৬০) বলেন, ‘সালমানের মা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমার ভাই তাদের আমার হেফাজতে রেখে যান। আমি তাদের আমার নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করার চেষ্টা করেছি। প্রায় আট বছর আমার সঙ্গেই ছিল। তারপর আমার ভাই যখন এই মহিলাকে বিয়ে করে আনল আমি তাদের কাছে তাদের সন্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রায় প্রায়ই ছেলেটিকে মিথ্যে অজুহাতে মারধর করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে তারা উত্তর দেয় তাদের সন্তানকে তারা শাসন করছে এখানে যেন আমি বা আমার পরিবারের কেউ নাক না গলাই। এরপর থেকে আমি আর কিছু বলিনি। ঘটনা গতকাল জেনেছি। এখন তারা স্বামী স্ত্রী কেউ বাড়িতে নেই। শুনেছি সালমানের ব্যাপারে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’
একই গ্রামের আশরাফী মিনহাজ (৩৪) বলেন, ‘ওই নারী খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সে প্রায়ই সালমানের গায়ে হাত তুলত। খাবার দিয়েও কষ্ট দিত তাকে। দিনদিন তার এই অত্যাচারের মাত্রা যেন বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রমাণ করে সে যে কোনো সময় সালমানকে মেরেও ফেলতে পারে। তার জীবনের আশঙ্কা রয়েছে।’
মো. ফয়সাল হোসেন সুমন (৩৪) জানান, তারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মিলে আঞ্জুর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ঘরে কপাট লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে এ ব্যাপারে থানায় গেলে ওসি তাদের কথাকে গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ করেন।
সালমানের সহপাঠী মো. সায়েম শেখ (১৭) জানায়, সালমানের সঙ্গে তার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। প্রায়ই সালমান মন খারাপ করে থাকত। জানতে চাইলে জানাতো সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা। তার পুরো শরীর মারের দাগে ভর্তি। এ অবস্থায় তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
‘আমার একটা হাত নাই, এটা কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাত। আর সেই হাতটাই ওরা বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলেছে। আমার কাছে কি এত টাকা আছে যে আবার নতুন হাত বানাব? এটা কি রাষ্ট্রের কাজ?’
১৭ মিনিট আগেঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ওত পেতে ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের একটি দল এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত একটি হোন্ডা গাড়ি, ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তা
৪০ মিনিট আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থেকে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ প্লাজার পাশে হাতিরঝিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আমার একটা হাত নাই, এটা কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাত। আর সেই হাতটাই ওরা বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলেছে। আমার কাছে কি এত টাকা আছে যে আবার নতুন হাত বানাব? এটা কি রাষ্ট্রের কাজ?’
রাগ, বেদনা আর হতাশামিশ্রিত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আতিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন।
আতিকুলসহ কয়েক শ ব্যক্তি ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে আগের রাত থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান নিচ্ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, ‘জুলাই আহত বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নেন তাঁরা। দাবি না মানলে এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। পরে সকালে প্রাচীর টপকে তাঁরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন।
পুলিশ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করলেও কেউ স্থান ছাড়েননি। পরে পুলিশ জোর করে তাঁদের সরিয়ে দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুপুরে দক্ষিণ প্লাজা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সড়কে আগুন জ্বালানো, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড—পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। দুই ঘণ্টা পর বৃষ্টি নামলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এ সংঘর্ষে পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা আহত হন। তাঁদেরই একজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এক হাত হারানো আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আতিকুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে, হাড় ভাঙে নাই, তবে নইড়া গেছে। বিশ্রাম নিতে হবে।’ আতিকুল অভিযোগ করেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু আগে চড়াও হয়েছে পুলিশ। এপিবিএনের সদস্যরা বাড়ি মেরে আমার হাতটাই ভেঙে ফেলেছে।’
‘আমার একটা হাত নাই, এটা কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাত। আর সেই হাতটাই ওরা বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলেছে। আমার কাছে কি এত টাকা আছে যে আবার নতুন হাত বানাব? এটা কি রাষ্ট্রের কাজ?’
রাগ, বেদনা আর হতাশামিশ্রিত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আতিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন।
আতিকুলসহ কয়েক শ ব্যক্তি ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে আগের রাত থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান নিচ্ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, ‘জুলাই আহত বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নেন তাঁরা। দাবি না মানলে এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। পরে সকালে প্রাচীর টপকে তাঁরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন।
পুলিশ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করলেও কেউ স্থান ছাড়েননি। পরে পুলিশ জোর করে তাঁদের সরিয়ে দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুপুরে দক্ষিণ প্লাজা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সড়কে আগুন জ্বালানো, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড—পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। দুই ঘণ্টা পর বৃষ্টি নামলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এ সংঘর্ষে পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা আহত হন। তাঁদেরই একজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এক হাত হারানো আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আতিকুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে, হাড় ভাঙে নাই, তবে নইড়া গেছে। বিশ্রাম নিতে হবে।’ আতিকুল অভিযোগ করেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু আগে চড়াও হয়েছে পুলিশ। এপিবিএনের সদস্যরা বাড়ি মেরে আমার হাতটাই ভেঙে ফেলেছে।’
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ওত পেতে ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের একটি দল এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত একটি হোন্ডা গাড়ি, ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তা
৪০ মিনিট আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থেকে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ প্লাজার পাশে হাতিরঝিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ওত পেতে ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের একটি দল এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত একটি হোন্ডা গাড়ি, ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযানটি পরিচালনা করেছেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক উর্মি দে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ঢাকায় আনা হচ্ছিল। চুনকুটিয়ায় চালান পৌঁছালে অভিযান চালিয়ে পার্সেলসহ ইয়াবা গ্রহণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ডুমুরিয়ার হোসেন আলী (৪১) ও ঢাকার সবুজবাগের শামীম আহমেদ (৩৪)।
উর্মি দে বলেন, পাচারকারীরা ইয়াবা পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু ডিএনসির নিরবচ্ছিন্ন নজরদারিতে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই অভিযান স্থানীয় মাদক চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে বড় ধাক্কা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ডিএনসির এই কর্মকর্তা জানান, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। মাদক নির্মূলে তাঁরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানান উর্মি দে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ওত পেতে ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের একটি দল এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত একটি হোন্ডা গাড়ি, ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযানটি পরিচালনা করেছেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক উর্মি দে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ঢাকায় আনা হচ্ছিল। চুনকুটিয়ায় চালান পৌঁছালে অভিযান চালিয়ে পার্সেলসহ ইয়াবা গ্রহণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ডুমুরিয়ার হোসেন আলী (৪১) ও ঢাকার সবুজবাগের শামীম আহমেদ (৩৪)।
উর্মি দে বলেন, পাচারকারীরা ইয়াবা পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু ডিএনসির নিরবচ্ছিন্ন নজরদারিতে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই অভিযান স্থানীয় মাদক চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে বড় ধাক্কা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ডিএনসির এই কর্মকর্তা জানান, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। মাদক নির্মূলে তাঁরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানান উর্মি দে।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২‘আমার একটা হাত নাই, এটা কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাত। আর সেই হাতটাই ওরা বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলেছে। আমার কাছে কি এত টাকা আছে যে আবার নতুন হাত বানাব? এটা কি রাষ্ট্রের কাজ?’
১৭ মিনিট আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থেকে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ প্লাজার পাশে হাতিরঝিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ প্লাজার পাশে হাতিরঝিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম এ জে এম লুতফে রব্বানী। তিনি ধানমন্ডি পশ্চিমের ১২৭, গ্রিন রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং বর্তমানে গুলশান-১-এর ১৩৬ নম্বর রোডের ১১/বি নম্বর বাসায় বসবাস করছিলেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যাতে লেখা ছিল, ‘আমি অসুস্থ, সবাই আমাকে মাফ করে দিয়ো।’ নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তিনি পারকিনসন ও ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছিলেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে গুলশান থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির সন্ধানে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।
এসআই ফারুক আরও জানান, এ জে এম লুতফে রব্বানী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাস করা একজন প্রকৌশলী ছিলেন এবং বর্তমানে অবসরজীবন যাপন করছিলেন। তিনি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে গুলশান-১ নম্বর এলাকায় থাকতেন। ১৫ অক্টোবর রাতে একটি চিরকুট লিখে বাসা থেকে বের হন। পরিবারের পক্ষ থেকে ১৬ অক্টোবর গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ প্লাজার পাশে হাতিরঝিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম এ জে এম লুতফে রব্বানী। তিনি ধানমন্ডি পশ্চিমের ১২৭, গ্রিন রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং বর্তমানে গুলশান-১-এর ১৩৬ নম্বর রোডের ১১/বি নম্বর বাসায় বসবাস করছিলেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যাতে লেখা ছিল, ‘আমি অসুস্থ, সবাই আমাকে মাফ করে দিয়ো।’ নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তিনি পারকিনসন ও ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছিলেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে গুলশান থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির সন্ধানে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।
এসআই ফারুক আরও জানান, এ জে এম লুতফে রব্বানী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাস করা একজন প্রকৌশলী ছিলেন এবং বর্তমানে অবসরজীবন যাপন করছিলেন। তিনি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে গুলশান-১ নম্বর এলাকায় থাকতেন। ১৫ অক্টোবর রাতে একটি চিরকুট লিখে বাসা থেকে বের হন। পরিবারের পক্ষ থেকে ১৬ অক্টোবর গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২‘আমার একটা হাত নাই, এটা কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাত। আর সেই হাতটাই ওরা বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলেছে। আমার কাছে কি এত টাকা আছে যে আবার নতুন হাত বানাব? এটা কি রাষ্ট্রের কাজ?’
১৭ মিনিট আগেঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ওত পেতে ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের একটি দল এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত একটি হোন্ডা গাড়ি, ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তা
৪০ মিনিট আগেজুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি
জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে শুক্রবার বিকেলে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস এ মন্তব্য করেন।
সারজিস বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর করার যে অনুষ্ঠান, সেখানে প্রধান অতিথিদের কাতারে বা সামনের সারিতে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেল, সেটি রাজনৈতিক দলের চুক্তির মতো মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সেখানে যোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের জন্য কোনো মর্যাদার আসন রাখা হয়নি।’
সারজিস আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কিন্তু তারা যেভাবে লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে, এগুলো আসলে খুবই অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এর জবাব কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকার দেবে। এর দায় কীভাবে তারা নেবে। এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকে নেওয়া উচিত।’
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘অনেকে তার জায়গা থেকে যতটুকু পসিবল কাজ করার চেষ্টা করছেন। অনেকে হয়তো নতুন ওয়ার্ক করার চেষ্টা করছেন। সার্বিকভাবে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল, ততটুকু হচ্ছে না! হচ্ছে না বলেই তো আজকে জুলাই সনদে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করতে যায়নি। সবার ইচ্ছা ছিল বলেই তো ঐকমত্য কমিশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন তারা মিটিং করেছে।’
সারজিস অভিযোগ করেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ নিয়ে আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একদম স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছি। আমরা অনেক ছাড় দিয়ে এসেছি ৫ আগস্টের পর থেকে। ঘোষণাপত্র ছাড় দিয়েছি। কিন্তু দেখেন, ঘোষণাপত্র কী? নামকাওয়াস্তে একটা রিটেন পেপার হয়ে বসে আছে। কোনো কার্যকারিতা দেখছি না আমাদের জায়গা থেকে।’
তিনি বলেন, ‘এ রকম সনদের ক্ষেত্রে যদি হয়, তাহলে কিছুদিন পরে দেখা যাবে, অভ্যুত্থানটাই নাই। আবার কিছুদিন পর দেখা যাবে, এই অভ্যুত্থানের যারা যোদ্ধা ছিল, রাজপথে নেমেছিল, তাদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দায় অভিযুক্ত করে একেকজনকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্নভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে, এ জন্য আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করিনি।’
জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে শুক্রবার বিকেলে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস এ মন্তব্য করেন।
সারজিস বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর করার যে অনুষ্ঠান, সেখানে প্রধান অতিথিদের কাতারে বা সামনের সারিতে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেল, সেটি রাজনৈতিক দলের চুক্তির মতো মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সেখানে যোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের জন্য কোনো মর্যাদার আসন রাখা হয়নি।’
সারজিস আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কিন্তু তারা যেভাবে লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে, এগুলো আসলে খুবই অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এর জবাব কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকার দেবে। এর দায় কীভাবে তারা নেবে। এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকে নেওয়া উচিত।’
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘অনেকে তার জায়গা থেকে যতটুকু পসিবল কাজ করার চেষ্টা করছেন। অনেকে হয়তো নতুন ওয়ার্ক করার চেষ্টা করছেন। সার্বিকভাবে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল, ততটুকু হচ্ছে না! হচ্ছে না বলেই তো আজকে জুলাই সনদে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করতে যায়নি। সবার ইচ্ছা ছিল বলেই তো ঐকমত্য কমিশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন তারা মিটিং করেছে।’
সারজিস অভিযোগ করেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ নিয়ে আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একদম স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছি। আমরা অনেক ছাড় দিয়ে এসেছি ৫ আগস্টের পর থেকে। ঘোষণাপত্র ছাড় দিয়েছি। কিন্তু দেখেন, ঘোষণাপত্র কী? নামকাওয়াস্তে একটা রিটেন পেপার হয়ে বসে আছে। কোনো কার্যকারিতা দেখছি না আমাদের জায়গা থেকে।’
তিনি বলেন, ‘এ রকম সনদের ক্ষেত্রে যদি হয়, তাহলে কিছুদিন পরে দেখা যাবে, অভ্যুত্থানটাই নাই। আবার কিছুদিন পর দেখা যাবে, এই অভ্যুত্থানের যারা যোদ্ধা ছিল, রাজপথে নেমেছিল, তাদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দায় অভিযুক্ত করে একেকজনকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্নভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে, এ জন্য আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করিনি।’
‘আমি আশঙ্কা করছি আমার সৎ মা আর তার বাড়ির লোকজন মিলে আমাকে মেরেই ফেলবে। মিথ্যে অভিযোগে বহুবার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সবার কাছে আমাকে খারাপ দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা ছিল বহু আগে থেকেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ করতে
০৭ মে ২০২২‘আমার একটা হাত নাই, এটা কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) হাত। আর সেই হাতটাই ওরা বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলেছে। আমার কাছে কি এত টাকা আছে যে আবার নতুন হাত বানাব? এটা কি রাষ্ট্রের কাজ?’
১৭ মিনিট আগেঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে ওত পেতে ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের একটি দল এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত একটি হোন্ডা গাড়ি, ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তা
৪০ মিনিট আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থেকে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ প্লাজার পাশে হাতিরঝিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে