Ajker Patrika

অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ নিয়ে আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে: সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে শুক্রবার বিকেলে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস এ মন্তব্য করেন।

সারজিস বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর করার যে অনুষ্ঠান, সেখানে প্রধান অতিথিদের কাতারে বা সামনের সারিতে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেল, সেটি রাজনৈতিক দলের চুক্তির মতো মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সেখানে যোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের জন্য কোনো মর্যাদার আসন রাখা হয়নি।’

সারজিস আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কিন্তু তারা যেভাবে লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে, এগুলো আসলে খুবই অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এর জবাব কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকার দেবে। এর দায় কীভাবে তারা নেবে। এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকে নেওয়া উচিত।’

উপদেষ্টাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘অনেকে তার জায়গা থেকে যতটুকু পসিবল কাজ করার চেষ্টা করছেন। অনেকে হয়তো নতুন ওয়ার্ক করার চেষ্টা করছেন। সার্বিকভাবে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল, ততটুকু হচ্ছে না! হচ্ছে না বলেই তো আজকে জুলাই সনদে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করতে যায়নি। সবার ইচ্ছা ছিল বলেই তো ঐকমত্য কমিশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন তারা মিটিং করেছে।’

সারজিস অভিযোগ করেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ নিয়ে আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একদম স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছি। আমরা অনেক ছাড় দিয়ে এসেছি ৫ আগস্টের পর থেকে। ঘোষণাপত্র ছাড় দিয়েছি। কিন্তু দেখেন, ঘোষণাপত্র কী? নামকাওয়াস্তে একটা রিটেন পেপার হয়ে বসে আছে। কোনো কার্যকারিতা দেখছি না আমাদের জায়গা থেকে।’

তিনি বলেন, ‘এ রকম সনদের ক্ষেত্রে যদি হয়, তাহলে কিছুদিন পরে দেখা যাবে, অভ্যুত্থানটাই নাই। আবার কিছুদিন পর দেখা যাবে, এই অভ্যুত্থানের যারা যোদ্ধা ছিল, রাজপথে নেমেছিল, তাদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দায় অভিযুক্ত করে একেকজনকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্নভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে, এ জন্য আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মা-বাবাকে খুন করে জেলে রাজু, অনিশ্চিত স্ত্রী ও ৯ মাসের শিশুকন্যার ভবিষ্যৎ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে মা-বাবা হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজুর স্ত্রী ও ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার চার দিন আগে স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন রাজু। পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল, বিশেষ করে টাকার হিসাব-নিকাশ নিয়ে। গত কয়েক বছরে রাজু তাঁর বাবার কাছ থেকে ১০-১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। সম্প্রতি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি ঋণ শোধ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনার অজুহাতে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা এতে রাজি হননি।

এই বিরোধ থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজু। কয়েক দিন আগে নিজের মা-বাবাকে হত্যা করে লাশ শোবার ঘরে পুঁতে রাখেন তিনি।

রাজু গ্রেপ্তারের পর শোকাহত পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামের মানুষ এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি, যেখানে রাজুর স্ত্রী ও শিশুকন্যার জীবনের দিশা এখন অজানা। সামাজিক লজ্জা, অর্থনৈতিক সংকট ও মানসিক আঘাতে দিশেহারা তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘শিশুটির তো কোনো দোষ নেই, কিন্তু এমন ঘটনার পর তার ভবিষ্যৎ কে গড়বে? রাজু শুধু নিজের বাবা-মাকেই হত্যা করেনি, এক অর্থে স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যৎকেও ধ্বংস করেছে।’

রাজুর এক আত্মীয় বলেন, ‘আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, কীভাবে এমন জঘন্য কাজ করল রাজু। ওর মেয়েটা এত ছোট, মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, কিন্তু ভবিষ্যতে ওর ঠিকানা কী হবে, এই ভাবনাই কুরে খাচ্ছে সবাইকে।’

প্রতিবেশী আরেকজন বলেন, ‘রাজু সমাজে খারাপ ছিল না। কিন্তু মা-বাবার সঙ্গে তার আচরণটা সব সময় খারাপ ছিল। টাকার প্রতি লোভ বেড়ে গিয়েছিল ভয়ানকভাবে। বছর তিনেক আগে প্রেম করে বিয়ে করে, তবে মেয়ের পরিবার সেটা পুরোপুরি মেনে নেয়নি। এখন রাজুর মা-বাবা মারা গেছেন, সে জেলে আর তিন বোনই শ্বশুরবাড়িতে—একেবারে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পরিবারটি।’

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ জানান, রাজুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতোই আগামী নির্বাচনে জামায়াতের ভোট বিপ্লব হবে: রফিকুল ইসলাম খান

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াত আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সভার আয়োজন করা হয়।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই; তবে তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী ও অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, জেলা সেক্রেটারি সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, শুরা সদস্য আব্দুল খালেক এবং উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা হাসানুল বান্না উজ্জ্বল প্রমুখ।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান তাঁর বক্তব্যে পিআর পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের দাবি। কালো টাকা, সন্ত্রাস, ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্রতিরোধে এবং সবার ভোটের মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।’

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে আমরা রাজা হব না, আমরা দেশের নাগরিকদের সেবক হয়ে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলব। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে পারলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে, তখন আর এ দেশের মানুষকে বিশ্বের কোথাও গিয়ে ভিক্ষা করতে হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ আসন: দ্বন্দ্বে দুর্বল বিএনপি, সক্রিয় জামায়াত

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ৫৬
(ওপরে বাঁ থেকে) হারুনুর রশীদ, শাহজাহান মিঞা, নুরুল ইসলাম বুলবুল (নিচে বাঁ থেকে) আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও  শাহীন শওকত।
(ওপরে বাঁ থেকে) হারুনুর রশীদ, শাহজাহান মিঞা, নুরুল ইসলাম বুলবুল (নিচে বাঁ থেকে) আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও শাহীন শওকত।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল। বিপরীতে জামায়াত একক প্রার্থী ঘোষণা করায় দলের নেতা-কর্মীরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় মাঠে রয়েছেন।

জেলার তিনটি আসনেই বিএনপির বিভক্তি এবং জামায়াতের সুশৃঙ্খল সংগঠনকাঠামোর কারণে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এর মধ্যে সীমান্তঘেঁষা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দৌড়ে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী বেলাল-ই-বাকী ইদ্রিসী। জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন রাজশাহী মহানগরীর আমির ও দুবারের উপজেলা চেয়ারম্যান কেরামত আলী। এ ছাড়া মাঠে না থাকলেও দলীয় প্রার্থী ঘোষণায় আছেন ইসলামী আন্দোলনের জেলা সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম। আর জাকের পার্টির দলীয় প্রার্থী রাজশাহী বিভাগের জাকের পার্টির ছাত্রফ্রন্টের মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম।

নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন। এখানে বিএনপির প্রার্থী হতে চাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি ও গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম সেন্টুসহ কয়েকজন। এ আসনে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও বিভক্তি স্পষ্ট। জামায়াতের একক প্রার্থী মিজানুর রহমান নিয়মিত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের দলীয় প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল। আর জাকের পার্টির প্রার্থী জেলার সাধারণ সম্পাদক মানিক বিশ্বাস।

তিনটি আসনের মধ্যে প্রার্থীদের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর)। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চারবারের এমপি হারুনুর রশীদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে চায়নিজ রফিক এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। অন্যদিকে জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের আমির ও সাবেক শিবির নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে তৎপর। এই আসনের চর এলাকায় বিএনপির দাপট আগে থেকে থাকায় এসব এলাকার ভোটব্যাংকে প্রার্থীরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের জেলার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলাম আর জাকের পার্টির প্রার্থী জেলার সভাপতি বাবলু হোসেনকেও মাঠে দেখা যাচ্ছে। এ আসনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সনাতনী এবং আওয়ামী লীগের কিছু ভোট ধানের শীষ এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের যে প্রার্থী টানতে পারবেন, সেই প্রার্থী জয়ের মালা গলায় পরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকতে হবে। এবং নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ আচরণ থাকতে হবে। সেই নিশ্চয়তা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের অবাধ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে পারলেই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করতেই পারি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে সেটা দেশের জন্য ভালো হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষা কার্যক্রম: চার ইস্যুতে অস্থির শিক্ষাঙ্গন

  • বাড়িভাড়াসহ তিন দাবিতে আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা
  • ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে জটিলতা বাড়ছে
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা অনশন কর্মসূচি দিয়ে স্থগিত করেছেন
  • বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষা ক্যাডারে
রাহুল শর্মা, ঢাকা 
শহীদ মিনারের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহীদ মিনারের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষাক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, গত বছরের জুলাই-আগস্টে হওয়া আন্দোলনের অভিঘাত থেকে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি শিক্ষা কার্যক্রম।

সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যেকোনো দাবি পূরণে সরকার আন্তরিক। এসব বিষয়ে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি আদায়ে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে তাঁদের ডাকা ‘অব্যাহত কর্মবিরতির’ কর্মসূচিও চলছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে শ্রেণি কার্যক্রম।

এ ছাড়া আজ শনিবার সকালে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছেন।

বর্তমানে দেশে ২৬ হাজার ১০৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের (সি আর আবরার) সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষকনেতাদের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষকেরা রাজি হলে ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকনেতারা।

সাত কলেজ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করা নিয়ে জটিলতা দিন দিন বাড়ছে। উচ্চমাধ্যমিক স্তর না থাকার শঙ্কা এবং প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করা হলে ঢাকা কলেজের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা সাবেক শিক্ষার্থীদের।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদ্যমান খসড়া অনুযায়ী প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে ঐতিহ্য হারাবে সাত কলেজ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় হলে কলেজের তুলনায় আসনসংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে, যা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পথ সংকুচিত করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা এখন মোটাদাগে দুই ভাগে বিভক্ত। ১৩ অক্টোবর শিক্ষা ভবন এলাকায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন। আরেক অংশ দাবি করছে, পদযাত্রার নামে ‘মব’ সৃষ্টি করে সরকারি সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক স্তর রাখার দাবিতে ১২ অক্টোবর সায়েন্স ল্যাব মোড় দখল করে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা।

একই সঙ্গে প্রস্তাবিত কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছেন সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকেরা। তাঁরা কলেজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কলেজের নামে অক্ষুণ্ন রাখা, কলেজগুলোর কার্যক্রম, পাঠদান ও অবকাঠামোর গুরুত্ব বিবেচনায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পৃথক স্থানে করাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন।

সাত কলেজের সংকট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে কিছুটা ভুল-বোঝাবুঝি ও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে, যেটা মোটেই কল্যাণকর নয়।’

ঢাকার সরকারি সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এই কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

শিক্ষা ক্যাডারে ক্ষোভ

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর বিভাজনের উদ্যোগ, সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ, দীর্ঘদিন পদোন্নতি আটকে থাকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, মাউশি বিভাজন হলে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের সুযোগ সীমিত হবে। আর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করা হলে ঢাকায় তাঁদের পদায়নের সুযোগ কমবে এবং বিপুলসংখ্যক পদ বিলুপ্ত হবে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদোন্নতি আটকে থাকা এবং তৃতীয় গ্রেড না পাওয়ার কারণেও হতাশ তাঁরা।

১২ অক্টোবর মাউশি ভেঙে দুটি অধিদপ্তর করার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর একটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথক অর্গানোগ্রাম, কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কর্মকর্তার সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দুটি ক্যাডারের একটি হলো শিক্ষা। এই ক্যাডারে মোট ১৯ হাজার ৮৬৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। তাঁদের অধিকাংশ সরকারি কলেজের শিক্ষক। কিছু সদস্য মাউশিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।

জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গতকাল বলেন, অংশীজনদের মতামত নিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান না হলে তা টেকসই হবে না। এতে সামগ্রিকভাবে দেশের শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আশ্বাসে স্থগিত প্রাথমিকের আন্দোলন

সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি চান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা।

দাবি আদায়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আশ্বাসে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষকনেতারা সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ ঘোষণা দেন।

তবে আশ্বাস বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হলে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান। গতকাল তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাবে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ কারণে আমরণ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমাদের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হলে আবারও নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত