Ajker Patrika

মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ চিকিৎসক

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ২০: ২৩
মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ চিকিৎসক

গত ৮ নভেম্বর ডিউটি শেষ করে স্ত্রী, সহকর্মীদের খুদে বার্তা দেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। এরপর পাঁচ দিন হয়ে গেল এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, ‘৮ নভেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন জাকির হোসেন। পরদিন ভোর সাড়ে ৫টার সময় জাকির আমার মোবাইলে একটি মেসেজ দেন, তার শাশুড়ি অসুস্থ। শাশুড়ির বাড়ি মানিকগঞ্জে যেতে হচ্ছে। মেসেজ দেখে মোবাইল করলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই ম্যাসেজ তিনি সহকর্মী মঈন উদ্দিন আহমেদকেও (সেতু) দিয়েছিলেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান, দুই দিন যাবৎ জাকিরকে মোবাইলে পাচ্ছেন না। জাকির তাঁর স্ত্রীকে মেসেজ দিয়েছিলেন তার মোবাইল বন্ধ থাকবে। মোবাইলে চার্জ হচ্ছে না।’

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে মোহসিন উদ্দিন ফকি বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জাকির হোসেনের স্ত্রী সখিনা আক্তার কলি বলেন, ‘৯ নভেম্বর রাতে তাঁর মেসেজ আসার পর থেকে কল দিয়ে বন্ধ পাই। আত্মীয়সহ কাছের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কেউ তাঁর সন্ধান দিতে পারেনি।’

সখিনা আরও বলেন, ‘আগে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি বাসভবনে থাকতাম। গত জুলাই মাস থেকে আমি সাভারে থাকি। ভাঙ্গার বাসায় আমার স্বামী একাই থাকতেন।’

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসক জাকির নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর সহকর্মী থানায় জিডি করেছেন। চিকিৎসকের ভাঙ্গায় সরকারি বাসভবনে তল্লাশি করেছি, তবে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত ব্যাগটিও বাসায় রয়েছে। সন্ধান পেতে পুলিশ কাজ করছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রো স্টেশনের নিচে ট্রাফিক পুলিশ চায় ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রো স্টেশনের নিচতলায় ট্রাফিক পুলিশ চেয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। স্টেশনের নিচতলায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) কাছে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি।

গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিটি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক) কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএমটিসিএল একটি ‘ক’ শ্রেণির কেপিআই তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১ জুলাই অনুষ্ঠিত সংস্থার মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর নিচতলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চিঠিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—স্টেশনের নিচতলায় যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু পার্কিং ব্যবস্থা বজায় রাখা। নিরাপত্তা মান বৃদ্ধি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা। যাত্রীদের নিরাপদে ওঠানামা ও জরুরি অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। অবৈধ দখল রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এমতাবস্থায় ডিএমটিসিএলের আওতাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬-এর ১৬টি স্টেশনের নিচে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারী রাজু গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
রাজু হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
রাজু হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী রাজু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নিজ বাড়ি হতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি মোটরসাইকেল, আইফোন, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আক্তার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার রাজু দীর্ঘদিন ধরে চুনকুটিয়া, খেজুরবাগ, ঝিলমিল আবাসন প্রকল্প, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও এর আশপাশের এলাকায় ছিনতাই করে আসছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগীদেরও শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন ঘটনায়ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ নভেম্বর ভোরে রাজু হাওলাদার তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া এলাকায় এক পথচারীকে লক্ষ্য করে রামদা দিয়ে আঘাত করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।

গ্রেপ্তার রাজু হাওলাদার (২৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেয়ারবাগ গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ এলাকায় বসবাস করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত
রাস উৎসবে সুন্দরবন থেকে আটক ৩২ জন কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত

রাস উৎসবে পুণ্যার্থী সেজে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের বাগেরহাট বন আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক বিলাশ মন্ডল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার দুপুর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

বন বিভাগ জানায়, রাস পূজা চলাকালে সুন্দরবনে হরিণ শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে ‍ওঠে। এ জন্য কয়েক বছর ধরে পুণ্যার্থী ছাড়া বাইরের লোক বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আর এবারই প্রথমবারের মতো কড়া নিরাপত্তাপ্রহরায় পুণ্যার্থীদের বনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও অনেকে পরিচয় গোপন করে পুণ্যার্থী সেজে বনে প্রবেশ করেছেন।

পূজার প্রথম দিন (সোমবার) দুপুরে হরিণ শিকারের চেষ্টার সময় এক যুবককে আটক করে বন বিভাগ। তখন ওই চক্রের অন্য সদস্যরা সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

পরে হরিণ শিকারের যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও ৩২ জনকে আটক করে বন বিভাগ। এ সময়ে ১২০০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ ও দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে রাস পূজা চলাকালে মোট ৩৫ হরিণশিকারিকে আটক করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ।

এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর-আলোরকোলের স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান বলেন, বন্য প্রাণী শিকার রোধে এবার তাঁরা খুবই তৎপর ছিলেন। তারপরও শিকারিরা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। বনরক্ষীরা তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এস এম মাহাবুব মোর্শেদ লালন বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সুন্দরবন রক্ষা ও হরিণ শিকার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন এই রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রীদের শরীরে আবারও হাত দেওয়ার অভিযোগ সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বদরগঞ্জে চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আবারও ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও শরীরে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিদ্যালয়টিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকেরা। বিকেলে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে গতকাল বুধবার রাতে দু-একজন অভিভাবককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক।

অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী বলে, ‘হেড স্যারের নজর ভালো নয়, সব সময়ে আমাদের বুকের দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং সুযোগ পেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। এত দিন লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। ভেবেছিলাম, হেড স্যার ভালো হবেন, কিন্তু আজও তাঁর চরিত্র ভালো হয়নি।’

অভিভাবক আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের চরিত্র ভালো নয়। বিদ্যালয়ে মেয়েরা নিরাপদ নয়। এবার তাঁকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। তিন দিন আগে দুই ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে আমাদের এক সহকারী শিক্ষক তা মোবাইলে ভিডিও আকারে ধারণ করেন। এ কারণে প্রধান শিক্ষকের ভাড়া করা কয়েকজন এসে সেই শিক্ষককে হুমকি দেন।’

ওই সহকারী শিক্ষক আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বারবার ছাত্রীদের সঙ্গে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর কারণে আমাদের ও স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা দরকার।’

আরও এক শিক্ষক বলেন, এর আগেও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও শরীরে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

এর আগে ২০২৩ সালের ১১ জুন নিজ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির সনাতন ধর্মের এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেন প্রধান শিক্ষক। ১৪ জুন কুপ্রস্তাব দেওয়া কলরেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পরদিন ১৫ জুন অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

পরে তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাশপিয়া তাসরিনের আশ্বাসে শান্ত হন অভিভাবকেরা। ওই দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বদরগঞ্জ থানায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে পুলিশ রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৬ জুন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করে।

এ নিয়ে আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার’ এবং ১৭ জুন ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় গ্রেপ্তার সেই প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বিদ্যালয়ের আরও এক সহকারী শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক দিন পর আদালত থেকে জামিনে বের হন। তিনি ওই সময়কার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমতাজ হোসেনের ভাগনি জামাই হওয়ার কারণে তাঁর বরখাস্ত আদেশ বেশি দিন থাকেনি। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে বলে ওই শিক্ষক জানান।

দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহফুজ বলেন, ‘আমি আজ গঙ্গাচড়া উপজেলায় অফিস করেছি। এ কারণে সেখানকার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, অভিভাবকেরা ওই বিদ্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত