মেট্রোরেলের টিকিট
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
ডিটিসিএর উদ্যোগ
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, কিউআর কোডভিত্তিক একক যাত্রার টিকিটিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করেছে ডিটিসিএ। ডিএমটিসিএলের কাছে এটার পরীক্ষামূলক সংস্করণ দেখানো (ডেমো) হয়েছে। মেট্রোরেল কোম্পানিকে ব্যবস্থাটি চালুর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে ডিটিসিএ। কিন্তু ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু না করে ডিএমটিসিএল বিকল্পের দিকে ঝুঁকেছে। তারা একক যাত্রার টিকিটের জন্য গত ২৮ মে ইউনিভার্সাল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামের ব্যবস্থা চালু করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
কোডভিত্তিক টিকিট কেনার দুই পদ্ধতি
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেট্রোর কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট একটি আধুনিক ডিজিটাল টিকেটিং ব্যবস্থা, যা যাত্রীরা মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। কিউআর কোড টিকিট দুইভাবে কেনা যেতে পারে। অ্যাপ দিয়ে এবং পয়েন্ট অব সেল (POS) বা পজ মেশিন দিয়ে। যাত্রীরা বিশেষ অফিশিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গন্তব্য ও সময় নির্বাচন করে অনলাইনে টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন। অর্থ পরিশোধের পর যাত্রীর মোবাইলে একটি কিউআর কোড আসবে। স্টেশনে ঢোকার সময় মোবাইলে আসা কিউআর কোডটি বাস ভ্যালিডেটর স্ক্যানারের সামনে ধরতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান হলেই গেট খুলে যাবে এবং যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর পজ মেশিন দিয়ে কিউআর কোড টিকিট কাটার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মেট্রো স্টেশনে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা স্টেশনে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে গন্তব্য জানালে অপারেটর পজ মেশিনে তথ্য দিয়ে কিউআর কোডওয়ালা কাগজের টিকিট তৈরি করে দেবেন। এ ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দিয়ে টিকিটের দাম দেওয়া যাবে।
ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দ্রুত প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ থেকে যাত্রীরা চাইলে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।
চালু না করায় ডিএমটিসিএলের যুক্তি
ডিটিসিএর প্রস্তাবিত টিকেটিং সিস্টেমকে মেট্রোর উপযোগী মনে করছে না ডিএমটিসিএল। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলেন, ডিটিসিএ যা করেছে, তা মূলত বাসের জন্য কার্যকর। সুপারশপে ব্যবহৃত পজ মেশিনের মতো এই প্রযুক্তি মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত গেট সিস্টেমে কার্যকর হবে না।
মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি গেটে নতুন যন্ত্র বসাতে হবে, যা পুরো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এতে বাড়তি লোকবল ও খরচের বিষয় জড়িত। তা ছাড়া এতে স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় যাত্রীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিএমটিসিএল বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিফায়েড টিকেটিং সিস্টেম) নামে একটি ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে কিউআর কোড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। একটি নির্ধারিত ঠিকাদার প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি অর্থে ডিটিসিএ যখন একটি কার্যকর কিউআর কোড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে, তখন তা ব্যবহার না করে নতুন আরেকটি ব্যবস্থা চালু করাটা জনগণের সম্পদ ও সময়ের অপচয়। একই শহরে ভিন্ন ভিন্ন টিকেটিং সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হবে এবং একীভূত পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যও ব্যাহত হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই কেন কিউআর কোড টিকিটের ব্যবস্থা রাখেনি? আমাদের কোনো কিছুরই সঠিক পরিকল্পনা নেই, যখন যেটা মনে হয় সেটা করা হয়।’
সংকট কেটেছে স্থায়ী টিকিটের
এদিকে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ র্যাপিড পাসের (স্থায়ী টিকিট) সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে সরাসরি র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। আগের চেয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।
র্যাপিড পাসের দায়িত্বে থাকা ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে তাঁরা আড়াই লাখ পাস হাতে পেয়েছেন। আরও আড়াই লাখ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
ডিটিসিএর উদ্যোগ
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, কিউআর কোডভিত্তিক একক যাত্রার টিকিটিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করেছে ডিটিসিএ। ডিএমটিসিএলের কাছে এটার পরীক্ষামূলক সংস্করণ দেখানো (ডেমো) হয়েছে। মেট্রোরেল কোম্পানিকে ব্যবস্থাটি চালুর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছে ডিটিসিএ। কিন্তু ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু না করে ডিএমটিসিএল বিকল্পের দিকে ঝুঁকেছে। তারা একক যাত্রার টিকিটের জন্য গত ২৮ মে ইউনিভার্সাল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামের ব্যবস্থা চালু করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
কোডভিত্তিক টিকিট কেনার দুই পদ্ধতি
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেট্রোর কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট একটি আধুনিক ডিজিটাল টিকেটিং ব্যবস্থা, যা যাত্রীরা মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। কিউআর কোড টিকিট দুইভাবে কেনা যেতে পারে। অ্যাপ দিয়ে এবং পয়েন্ট অব সেল (POS) বা পজ মেশিন দিয়ে। যাত্রীরা বিশেষ অফিশিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গন্তব্য ও সময় নির্বাচন করে অনলাইনে টাকা দিয়ে টিকিট কিনবেন। অর্থ পরিশোধের পর যাত্রীর মোবাইলে একটি কিউআর কোড আসবে। স্টেশনে ঢোকার সময় মোবাইলে আসা কিউআর কোডটি বাস ভ্যালিডেটর স্ক্যানারের সামনে ধরতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান হলেই গেট খুলে যাবে এবং যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর পজ মেশিন দিয়ে কিউআর কোড টিকিট কাটার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মেট্রো স্টেশনে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা স্টেশনে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে স্টেশনে আসতে হবে। স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে গন্তব্য জানালে অপারেটর পজ মেশিনে তথ্য দিয়ে কিউআর কোডওয়ালা কাগজের টিকিট তৈরি করে দেবেন। এ ব্যবস্থায় নগদ অর্থ দিয়ে টিকিটের দাম দেওয়া যাবে।
ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালু হলে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দ্রুত প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ থেকে যাত্রীরা চাইলে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।
চালু না করায় ডিএমটিসিএলের যুক্তি
ডিটিসিএর প্রস্তাবিত টিকেটিং সিস্টেমকে মেট্রোর উপযোগী মনে করছে না ডিএমটিসিএল। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলেন, ডিটিসিএ যা করেছে, তা মূলত বাসের জন্য কার্যকর। সুপারশপে ব্যবহৃত পজ মেশিনের মতো এই প্রযুক্তি মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত গেট সিস্টেমে কার্যকর হবে না।
মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ডিটিসিএর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি গেটে নতুন যন্ত্র বসাতে হবে, যা পুরো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এতে বাড়তি লোকবল ও খরচের বিষয় জড়িত। তা ছাড়া এতে স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় যাত্রীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারবে।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিএমটিসিএল বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিফায়েড টিকেটিং সিস্টেম) নামে একটি ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এতে কিউআর কোড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। একটি নির্ধারিত ঠিকাদার প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে।
বিশেষজ্ঞ যা বললেন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি অর্থে ডিটিসিএ যখন একটি কার্যকর কিউআর কোড টিকেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে, তখন তা ব্যবহার না করে নতুন আরেকটি ব্যবস্থা চালু করাটা জনগণের সম্পদ ও সময়ের অপচয়। একই শহরে ভিন্ন ভিন্ন টিকেটিং সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হবে এবং একীভূত পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্যও ব্যাহত হবে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ শুরুতেই কেন কিউআর কোড টিকিটের ব্যবস্থা রাখেনি? আমাদের কোনো কিছুরই সঠিক পরিকল্পনা নেই, যখন যেটা মনে হয় সেটা করা হয়।’
সংকট কেটেছে স্থায়ী টিকিটের
এদিকে ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ র্যাপিড পাসের (স্থায়ী টিকিট) সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে সরাসরি র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে এই কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। আগের চেয়ে র্যাপিড পাস বিক্রি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।
র্যাপিড পাসের দায়িত্বে থাকা ডিটিসিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে তাঁরা আড়াই লাখ পাস হাতে পেয়েছেন। আরও আড়াই লাখ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।
৫ মিনিট আগে
সকালে জেলা শহর, খেতখামার ও নদীর ধারে কুয়াশা এত ঘন ছিল যে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বের বেশি কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাদর, জ্যাকেট বা উলের শাল জড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কোনো প্রমাণও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থাপন করতে পারেননি।’
৩৭ মিনিট আগে
কেন্দ্রটির যত্নদানকারী কণিকা তাঁতী বলেন, ‘আমার এখানে ২৫ জন শিশু আছে। ২৫ জনের মধ্যে সবাই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। কেউ অসুস্থ থাকলে অনুপস্থিত থাকতে পারে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় মায়েরা বাচ্চাদের এখানে রেখে যান। আপন ভুবন, স্বপ্নের ভুবন, গল্পের ভুবন, রঙিন ভুবন ও বাহিরের ভুবন—এই পাঁচ নামে আমরা শিশুদের গান...
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মুসলিম মিয়া পাইকারি সবজি কেনার জন্য ইউসুফের অটোরিকশা নিয়ে সরাইল বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা নাসিরনগরগামী একটি মাছবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম বলেন, এই ঘটনায় ট্রাক জব্দসহ ঘাতক চালককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মুসলিম মিয়া পাইকারি সবজি কেনার জন্য ইউসুফের অটোরিকশা নিয়ে সরাইল বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা নাসিরনগরগামী একটি মাছবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম বলেন, এই ঘটনায় ট্রাক জব্দসহ ঘাতক চালককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
সকালে জেলা শহর, খেতখামার ও নদীর ধারে কুয়াশা এত ঘন ছিল যে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বের বেশি কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাদর, জ্যাকেট বা উলের শাল জড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কোনো প্রমাণও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থাপন করতে পারেননি।’
৩৭ মিনিট আগে
কেন্দ্রটির যত্নদানকারী কণিকা তাঁতী বলেন, ‘আমার এখানে ২৫ জন শিশু আছে। ২৫ জনের মধ্যে সবাই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। কেউ অসুস্থ থাকলে অনুপস্থিত থাকতে পারে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় মায়েরা বাচ্চাদের এখানে রেখে যান। আপন ভুবন, স্বপ্নের ভুবন, গল্পের ভুবন, রঙিন ভুবন ও বাহিরের ভুবন—এই পাঁচ নামে আমরা শিশুদের গান...
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল হাওয়া, আর ভোর থেকে চারদিক ঢেকে আছে ঘন কুয়াশার চাদরে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কপথে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে অত্যন্ত ধীরে চলতে হচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মন্থরতা এনেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ৬টা ও ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, যার কারণে ঠান্ডা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

সকালে জেলা শহর, খেতখামার ও নদীর ধারে কুয়াশা এত ঘন ছিল যে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বের বেশি কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বাজারে মানুষের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাদর, জ্যাকেট বা উলের শাল জড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
এমন পরিবেশে পঞ্চগড়ে পর্যটকদের আগমন বাড়তে শুরু করেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা এই জেলায় আসছেন।
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক ইমরান বলেন, ‘পঞ্চগড়ে ঢোকার পর থেকেই কুয়াশা আর ঠান্ডা লাগছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছি, আর এই তীব্র শীত তো আমাদের জন্য বোনাস।’
রংপুর থেকে আসা শিমু আক্তার বলেন, ‘শুনেছিলাম এখানকার শীতের অনুভূতি আলাদা। এসে দেখলাম সত্যিই তাই।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস নামতে শুরু করায় তাপমাত্রা কমছে। সকাল ৬টা ও ৯টার তাপমাত্রা একই রয়েছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল হাওয়া, আর ভোর থেকে চারদিক ঢেকে আছে ঘন কুয়াশার চাদরে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কপথে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে অত্যন্ত ধীরে চলতে হচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মন্থরতা এনেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ৬টা ও ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, যার কারণে ঠান্ডা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

সকালে জেলা শহর, খেতখামার ও নদীর ধারে কুয়াশা এত ঘন ছিল যে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বের বেশি কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বাজারে মানুষের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাদর, জ্যাকেট বা উলের শাল জড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
এমন পরিবেশে পঞ্চগড়ে পর্যটকদের আগমন বাড়তে শুরু করেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা এই জেলায় আসছেন।
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক ইমরান বলেন, ‘পঞ্চগড়ে ঢোকার পর থেকেই কুয়াশা আর ঠান্ডা লাগছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছি, আর এই তীব্র শীত তো আমাদের জন্য বোনাস।’
রংপুর থেকে আসা শিমু আক্তার বলেন, ‘শুনেছিলাম এখানকার শীতের অনুভূতি আলাদা। এসে দেখলাম সত্যিই তাই।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস নামতে শুরু করায় তাপমাত্রা কমছে। সকাল ৬টা ও ৯টার তাপমাত্রা একই রয়েছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।
৫ মিনিট আগে
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কোনো প্রমাণও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থাপন করতে পারেননি।’
৩৭ মিনিট আগে
কেন্দ্রটির যত্নদানকারী কণিকা তাঁতী বলেন, ‘আমার এখানে ২৫ জন শিশু আছে। ২৫ জনের মধ্যে সবাই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। কেউ অসুস্থ থাকলে অনুপস্থিত থাকতে পারে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় মায়েরা বাচ্চাদের এখানে রেখে যান। আপন ভুবন, স্বপ্নের ভুবন, গল্পের ভুবন, রঙিন ভুবন ও বাহিরের ভুবন—এই পাঁচ নামে আমরা শিশুদের গান...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নকাজের কার্যাদেশ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কালিয়াকৈর পৌরসভা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তৎকালীন মেয়র মজিবুর রহমান এই কাজগুলো দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় দুদকের কর্মকর্তারা পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এবং পরে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান।
কালিয়াকৈর পৌরসভা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের এপ্রিলে আইইউজিপি প্রকল্পের চতুর্থ প্যাকেজের অধীনে ১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে দুটি রাস্তা নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই কাজের মধ্যে ছিল কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক, আনসার একাডেমির অভ্যন্তরীণ রাস্তা, আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের বিপরীত পাশের রাস্তা ও ড্রেন, পাশা গেটের রাস্তা, এপেক্স ওয়েভিং রাস্তা, কোহিনূর স মিলের রাস্তা এবং টান কালিয়াকৈর লালটেকির এলাকার ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ।
দরপত্র আহ্বান ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই না করেই ব্রাউন ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি না পেয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদার সম্প্রতি দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কোনো প্রমাণও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থাপন করতে পারেননি।’
এনামুল হক জানান, পৌর কর্মকর্তাদের দুই দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রকল্পে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমাদের টিম অভিযান চালায়। আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের বিষয়ে দুদকের একটি টিম পৌরসভার কয়েকটি প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে এক ঠিকাদারের অভিযোগ তদন্ত করেছে। আমরা তাদের চাহিদামতো প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছি।’
জানা গেছে, মজিবুর রহমান কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আওয়ামী লীগের তিন আমলে পৌর মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলে যেখানে বিএনপি নেতারা জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিলেন, সে সময় মজিবুর ছিলেন রাজার হালতে। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ছিল তাঁর দহরম-মহরম সম্পর্ক। স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাঁকে মোজাম্মেল হকের ‘পুত্র’ বলে ডাকেন। মোজাম্মেল হকের ছায়ায় কালিয়াকৈরের সবই ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। টেন্ডার-বাণিজ্য, ঝুট-বাণিজ্য, ভুয়া প্রকল্পের নামে সরকারি অর্থ লোপাট, জনবল নিয়োগে অনিয়ম, বনের জমি জবরদখল করে শিল্পকারখানায় বিক্রি করে দুই হাতে কামিয়েছেন টাকা। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। কালিয়াকৈরে গড়েছেন আটটি বহুতল ভবন ও আলিশান বাড়ি। এ ছাড়া রাজধানী ও বিদেশেও রয়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ি। চতুর মজিবুর বেশির ভাগ সম্পদ করেছেন স্ত্রী আজমেরি বেগম, নিকটাত্মীয় ও অনুসারীদের নামে।
সূত্র জানায়, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি স্ত্রী-সন্তান ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমানকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরে সবকিছু চাপা পড়ে যায়।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নকাজের কার্যাদেশ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কালিয়াকৈর পৌরসভা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তৎকালীন মেয়র মজিবুর রহমান এই কাজগুলো দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় দুদকের কর্মকর্তারা পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এবং পরে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান।
কালিয়াকৈর পৌরসভা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের এপ্রিলে আইইউজিপি প্রকল্পের চতুর্থ প্যাকেজের অধীনে ১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে দুটি রাস্তা নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই কাজের মধ্যে ছিল কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক, আনসার একাডেমির অভ্যন্তরীণ রাস্তা, আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের বিপরীত পাশের রাস্তা ও ড্রেন, পাশা গেটের রাস্তা, এপেক্স ওয়েভিং রাস্তা, কোহিনূর স মিলের রাস্তা এবং টান কালিয়াকৈর লালটেকির এলাকার ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ।
দরপত্র আহ্বান ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই না করেই ব্রাউন ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি না পেয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদার সম্প্রতি দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কোনো প্রমাণও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থাপন করতে পারেননি।’
এনামুল হক জানান, পৌর কর্মকর্তাদের দুই দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রকল্পে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমাদের টিম অভিযান চালায়। আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের বিষয়ে দুদকের একটি টিম পৌরসভার কয়েকটি প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে এক ঠিকাদারের অভিযোগ তদন্ত করেছে। আমরা তাদের চাহিদামতো প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছি।’
জানা গেছে, মজিবুর রহমান কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আওয়ামী লীগের তিন আমলে পৌর মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলে যেখানে বিএনপি নেতারা জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিলেন, সে সময় মজিবুর ছিলেন রাজার হালতে। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ছিল তাঁর দহরম-মহরম সম্পর্ক। স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাঁকে মোজাম্মেল হকের ‘পুত্র’ বলে ডাকেন। মোজাম্মেল হকের ছায়ায় কালিয়াকৈরের সবই ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। টেন্ডার-বাণিজ্য, ঝুট-বাণিজ্য, ভুয়া প্রকল্পের নামে সরকারি অর্থ লোপাট, জনবল নিয়োগে অনিয়ম, বনের জমি জবরদখল করে শিল্পকারখানায় বিক্রি করে দুই হাতে কামিয়েছেন টাকা। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। কালিয়াকৈরে গড়েছেন আটটি বহুতল ভবন ও আলিশান বাড়ি। এ ছাড়া রাজধানী ও বিদেশেও রয়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ি। চতুর মজিবুর বেশির ভাগ সম্পদ করেছেন স্ত্রী আজমেরি বেগম, নিকটাত্মীয় ও অনুসারীদের নামে।
সূত্র জানায়, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি স্ত্রী-সন্তান ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমানকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরে সবকিছু চাপা পড়ে যায়।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।
৫ মিনিট আগে
সকালে জেলা শহর, খেতখামার ও নদীর ধারে কুয়াশা এত ঘন ছিল যে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বের বেশি কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাদর, জ্যাকেট বা উলের শাল জড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
কেন্দ্রটির যত্নদানকারী কণিকা তাঁতী বলেন, ‘আমার এখানে ২৫ জন শিশু আছে। ২৫ জনের মধ্যে সবাই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। কেউ অসুস্থ থাকলে অনুপস্থিত থাকতে পারে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় মায়েরা বাচ্চাদের এখানে রেখে যান। আপন ভুবন, স্বপ্নের ভুবন, গল্পের ভুবন, রঙিন ভুবন ও বাহিরের ভুবন—এই পাঁচ নামে আমরা শিশুদের গান...
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

সকাল থেকে দুপুর—দিনের এই কর্মব্যস্ত সময়ে শিশুদের দেখভাল ও সুরক্ষা নিয়ে সব মা-বাবাকে চিন্তায় থাকতে হয়। তখন নারী-পুরুষ সবাই পেশাগত ও গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন, তখন ঘরের শিশুটি খেলতে খেলতে সবার অগোচরে একসময় ডোবানালায় পড়ে যায়। হবিগঞ্জ জেলায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনাগুলোর কারণ অধিকাংশ এমনই। তবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্নকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্প’-এর কারণে হবিগঞ্জের প্রান্তিক এলাকার গল্প এখন ভিন্ন। এই প্রকল্পের শিশু যত্নকেন্দ্রগুলো গ্রামীণ নারীদের কর্মব্যস্ত জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক এলাকায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘নতুন প্রজন্ম উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে শিশু যত্নকেন্দ্র ও জীবন রক্ষাকারী সাঁতার প্রশিক্ষণ।

জানা যায়, হবিগঞ্জের বাহুবল, মাধবপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় এই প্রকল্পের অধীনে ৫০০ যত্নকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ১ থেকে ৫ বছর বয়সী সাড়ে ১২ হাজার শিশুকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে প্রারম্ভিক শিক্ষা। একই সঙ্গে ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী ২৪ হাজার ৯৫০ শিশুকে শেখানো হয়েছে সাঁতার।

শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইসিবিসি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। এর উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (আরএনএলআই)। আর কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে সিনারগোস বাংলাদেশ, সিআইপিআরবি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক আইইডি।
জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর চা-বাগানে যত্নকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকালে চা-বাগানের কর্মজীবী মায়েরা তাঁদের ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে যত্নকেন্দ্রে দিয়ে যান। আবার বেলা ২টায় এসে শিশুদের কেন্দ্র থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়ের মধ্যে একজন যত্নদানকারী থাকেন। যাঁকে কেয়ারগিভার নামে অভিহিত করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সহকারী কেয়ারগিভারও থাকেন। এই দুজনের মাধ্যমে যত্নকেন্দ্রে শিশুরা শারীরিক, সামাজিক, আবেগিক, ভাষাগত ও জ্ঞানবুদ্ধি বিকাশের শিক্ষা পায়। এতে কর্মব্যস্ত দিনে ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে শিশুরা থাকছে সুরক্ষিত আর মা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারছেন।
রশিদপুর চা-বাগানের নারী চা-শ্রমিক সন্ধ্যা বাউরি বলেন, ‘আমি কাজে যাই। আর বাচ্চাটা দুইটা পর্যন্ত ক্লাস করে। আমাদের বাচ্চাকাচ্চা ভালো থাকে বলে আমরা শিশুকেন্দ্রে দিয়ে যাই। আমি কাজ শেষ করে এসে আমার ময়নাটাকে নিয়ে যাই।’
আরেক চা-শ্রমিক অঞ্জলী ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের একটা শিশুকেন্দ্র আছে, সেখানে আমরা বাচ্চা রেখে যাই। অনেক নিরাপদ থাকে সেখানে। আর আমরা নিরাপদভাবে কাজকর্ম করে আসতে পারি। আমরা চাই, এভাবে যেন কেন্দ্রটি ভালোভাবে চলে।’
কেন্দ্রটির যত্নদানকারী কণিকা তাঁতী বলেন, ‘আমার এখানে ২৫ জন শিশু আছে। ২৫ জনের মধ্যে সবাই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। কেউ অসুস্থ থাকলে অনুপস্থিত থাকতে পারে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় মায়েরা বাচ্চাদের এখানে রেখে যান। আপন ভুবন, স্বপ্নের ভুবন, গল্পের ভুবন, রঙিন ভুবন ও বাহিরের ভুবন—এই পাঁচ নামে আমরা শিশুদের গান, কবিতা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া, খেলাধুলা ও খেলনা তৈরি করা শিখিয়ে থাকি। যে কারণে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ করছে।’
হবিগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘নতুন প্রজন্ম উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের’ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। যত্নকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুরা ক্লাসের অন্যদের চেয়ে ভালো করছে। তারা সৃজনশীল চর্চায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে রবিউল ইসলাম জানান, আইসিবিসি প্রকল্পে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিভাবক সভা হয়। যার মাধ্যমে অভিভাবকদের মধ্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জন্মনিবন্ধন-বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেসব এলাকায় এই প্রকল্প চলছে, সেখানে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুও কমতে শুরু করেছে।
হবিগঞ্জ জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা দিল আফরোজ কাঞ্চি বলেন, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আইসিবিসি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অন্যান্য এলাকার চেয়ে এই তিন উপজেলায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে গেছে। শিশুদের আহত হওয়ার সংখ্যাও কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে মায়েরা আমাদের শিশুকেন্দ্রে বাচ্চাদের রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে। বিভিন্ন সময়ে যে শিশুদের রোগ হয়, সে সম্পর্কে আমরা অভিভাবকদের অবহিত করি। এ ছাড়াও জন্মনিবন্ধন, টিকা দেওয়ার যে সুবিধা, তা জানতে পেরে অভিভাবকেরা সচেতন হচ্ছেন।’

সকাল থেকে দুপুর—দিনের এই কর্মব্যস্ত সময়ে শিশুদের দেখভাল ও সুরক্ষা নিয়ে সব মা-বাবাকে চিন্তায় থাকতে হয়। তখন নারী-পুরুষ সবাই পেশাগত ও গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন, তখন ঘরের শিশুটি খেলতে খেলতে সবার অগোচরে একসময় ডোবানালায় পড়ে যায়। হবিগঞ্জ জেলায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনাগুলোর কারণ অধিকাংশ এমনই। তবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্নকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্প’-এর কারণে হবিগঞ্জের প্রান্তিক এলাকার গল্প এখন ভিন্ন। এই প্রকল্পের শিশু যত্নকেন্দ্রগুলো গ্রামীণ নারীদের কর্মব্যস্ত জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক এলাকায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘নতুন প্রজন্ম উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে শিশু যত্নকেন্দ্র ও জীবন রক্ষাকারী সাঁতার প্রশিক্ষণ।

জানা যায়, হবিগঞ্জের বাহুবল, মাধবপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় এই প্রকল্পের অধীনে ৫০০ যত্নকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ১ থেকে ৫ বছর বয়সী সাড়ে ১২ হাজার শিশুকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে প্রারম্ভিক শিক্ষা। একই সঙ্গে ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী ২৪ হাজার ৯৫০ শিশুকে শেখানো হয়েছে সাঁতার।

শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইসিবিসি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। এর উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (আরএনএলআই)। আর কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে সিনারগোস বাংলাদেশ, সিআইপিআরবি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক আইইডি।
জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর চা-বাগানে যত্নকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকালে চা-বাগানের কর্মজীবী মায়েরা তাঁদের ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে যত্নকেন্দ্রে দিয়ে যান। আবার বেলা ২টায় এসে শিশুদের কেন্দ্র থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়ের মধ্যে একজন যত্নদানকারী থাকেন। যাঁকে কেয়ারগিভার নামে অভিহিত করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সহকারী কেয়ারগিভারও থাকেন। এই দুজনের মাধ্যমে যত্নকেন্দ্রে শিশুরা শারীরিক, সামাজিক, আবেগিক, ভাষাগত ও জ্ঞানবুদ্ধি বিকাশের শিক্ষা পায়। এতে কর্মব্যস্ত দিনে ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে শিশুরা থাকছে সুরক্ষিত আর মা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারছেন।
রশিদপুর চা-বাগানের নারী চা-শ্রমিক সন্ধ্যা বাউরি বলেন, ‘আমি কাজে যাই। আর বাচ্চাটা দুইটা পর্যন্ত ক্লাস করে। আমাদের বাচ্চাকাচ্চা ভালো থাকে বলে আমরা শিশুকেন্দ্রে দিয়ে যাই। আমি কাজ শেষ করে এসে আমার ময়নাটাকে নিয়ে যাই।’
আরেক চা-শ্রমিক অঞ্জলী ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের একটা শিশুকেন্দ্র আছে, সেখানে আমরা বাচ্চা রেখে যাই। অনেক নিরাপদ থাকে সেখানে। আর আমরা নিরাপদভাবে কাজকর্ম করে আসতে পারি। আমরা চাই, এভাবে যেন কেন্দ্রটি ভালোভাবে চলে।’
কেন্দ্রটির যত্নদানকারী কণিকা তাঁতী বলেন, ‘আমার এখানে ২৫ জন শিশু আছে। ২৫ জনের মধ্যে সবাই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। কেউ অসুস্থ থাকলে অনুপস্থিত থাকতে পারে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় মায়েরা বাচ্চাদের এখানে রেখে যান। আপন ভুবন, স্বপ্নের ভুবন, গল্পের ভুবন, রঙিন ভুবন ও বাহিরের ভুবন—এই পাঁচ নামে আমরা শিশুদের গান, কবিতা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া, খেলাধুলা ও খেলনা তৈরি করা শিখিয়ে থাকি। যে কারণে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ করছে।’
হবিগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘নতুন প্রজন্ম উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের’ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। যত্নকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুরা ক্লাসের অন্যদের চেয়ে ভালো করছে। তারা সৃজনশীল চর্চায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে রবিউল ইসলাম জানান, আইসিবিসি প্রকল্পে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিভাবক সভা হয়। যার মাধ্যমে অভিভাবকদের মধ্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জন্মনিবন্ধন-বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেসব এলাকায় এই প্রকল্প চলছে, সেখানে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুও কমতে শুরু করেছে।
হবিগঞ্জ জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা দিল আফরোজ কাঞ্চি বলেন, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আইসিবিসি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অন্যান্য এলাকার চেয়ে এই তিন উপজেলায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে গেছে। শিশুদের আহত হওয়ার সংখ্যাও কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে মায়েরা আমাদের শিশুকেন্দ্রে বাচ্চাদের রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে। বিভিন্ন সময়ে যে শিশুদের রোগ হয়, সে সম্পর্কে আমরা অভিভাবকদের অবহিত করি। এ ছাড়াও জন্মনিবন্ধন, টিকা দেওয়ার যে সুবিধা, তা জানতে পেরে অভিভাবকেরা সচেতন হচ্ছেন।’

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল...
১২ জুন ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।
৫ মিনিট আগে
সকালে জেলা শহর, খেতখামার ও নদীর ধারে কুয়াশা এত ঘন ছিল যে ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বের বেশি কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে চাদর, জ্যাকেট বা উলের শাল জড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কোনো প্রমাণও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থাপন করতে পারেননি।’
৩৭ মিনিট আগে