Ajker Patrika

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ১৩
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: গণঅধিকার পরিষদ

বিরোধী মতামতের তোয়াক্কা না করে বিগত দুটি নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্ত করতে সরকারি দল তাদের পছন্দমতো নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চায়। এ জন্যই নির্বাচন কমিশন আইন পাস করা হয়েছে বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদ। এ ছাড়া দলটি মনে করে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আজ শনিবার পল্টনের প্রিতম জামান টাওয়ারে নির্বাচন কমিশন আইন ও সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজনে এসব মন্তব্য করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সরকারের সময়কালে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বিগত দুটি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছে। এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঐকমত্য ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তাতে জনমতের চাওয়া প্রতিফলিত হবে না। বরং বিগত বিতর্কিত দুটি কমিশনের মতোই হবে।

নুর আরও বলেন, নতুন আইনটিতে সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতামতের সুযোগ না রেখে শুধু সরকারি দলের এবং তাদের নিয়োগকৃত কতিপয় ব্যক্তির মতামতের বিধান রাখা হয়েছে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না, যা নির্বাচনী সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এ ধরনের গণবিরোধী আইনকে গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত মনে করে গণঅধিকার পরিষদ।

এ ছাড়া ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অনস্বীকার্য বলেও মনে করে দলটি। 

দেশের চলমান রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সংকট নিরসনে গণঅধিকার পরিষদ রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ ও সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য শেষ করেন নুরুল হক নূর। 

সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশ বিপদের মুখে। আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে, সে ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকুন। এখন শুধু সরকার বিপদে নয়, দেশও বিপদে পড়ছে। এই বিপদ থেকে উত্তরণের জন্য তাদের সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এটা একটা জাতীয় সমস্যা, শুধু আওয়ামী লীগের সমস্যা নয়। আওয়ামী লীগের শাসনের অবসান ঘটবে, এটাও তারা ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝেছে। এবং সরকারের জন্যই এত দিন যারা কাজ করেছে, মানুষকে গুম-খুন করেছে, তারা এখন দুশ্চিন্তায় আছে।

শুধু নিজেরা ডুববে না, দেশকে ডুবিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষকে বুঝতে দিতে চায় না নিজের দোষে তারা কত বড় বিপদে পড়েছে, কত বড় দুশ্চিন্তায় আছে। দেশকে বিপদে ফেলে দিয়েছে, আমাদের সামরিক বাহিনীকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে বিপদে ফেলেছে এবং আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এটাও তারা এখন বুঝতে পারছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আবেদন, শুনানি রোববার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত