তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশের নির্মাণকাজ চলতি বছরে শেষ হচ্ছে না। ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে জটিলতাই এর কারণ। ফলে বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ।
বর্তমানে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে। কাজ চলছে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই অংশের কাজ শেষে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশের কাজ হচ্ছে দুটি প্যাকেজে। একটি সিভিল ওয়ার্ক বা অবকাঠামো নির্মাণকাজ, অন্যটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল বা অপারেশনসংশ্লিষ্ট সংকেত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল কাজ।
জানতে চাইলে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘এ বছর কাজ শেষ হওয়ার সুযোগ নেই। বেশ কিছু জটিলতা ছিল। এই অংশে ইউটিলিটি রিলোকেশন করতেই এক বছর চলে গেছে। এ ছাড়া ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের জন্য ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি এখনো হয়নি। ফলে কাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে। আমরা ধারণা করছি, কাজ শেষ করতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। সে অনুযায়ী মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি।’
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মতিঝিল থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার কাজ পুরোদমে চলছে। পিলার উঠে গেছে। তবে ভায়াডাক্ট বসানো এখনো শুরু হয়নি। কমলাপুর মেট্রোস্টেশনের নির্মাণকাজ অনেক এগিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারির অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৭টি পাইলের মধ্যে সব পাইল, ৬১টি পাইলক্যাপের মধ্যে ৫৯টি, ৩৯টি পিয়ারের মধ্যে ৩৭টি এবং ৩০টি স্টেশন কলামের মধ্যে সব স্টেশন কলাম নির্মাণ শেষ হয়েছে। ২৭টি স্প্যানের মধ্যে পাঁচটি উত্তোলন শেষ হয়েছে। স্টেশনের ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের কনকোর্স ছাদের মধ্যে ১৮০ মিটার এবং ১৮০ মিটার ট্র্যাক স্ল্যাবের মধ্যে ৪৫ মিটার ট্র্যাক স্ল্যাব ঢালাই শেষ হয়েছে। ৮২৪টি প্রিকাস্ট প্যারাপেট ওয়ালের মধ্যে ৭৩৯টি তৈরি হয়েছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। কমলাপুর যুক্ত হওয়ায় দৈর্ঘ্য বেড়ে হয়েছে ২১ কিলোমিটারের কিছু বেশি। কমলাপুরসহ স্টেশন হবে ১৭টি। এসব বাড়তি কাজ বাস্তবায়নসহ নানা খাতের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। কমলাপুর যুক্ত করায় বেড়ে যাওয়া ব্যয়ের মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৮ হাজার ৪০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং জাইকার ঋণ থেকে ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় এ ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ দিকে কমলাপুর অংশের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, লিফট, এসকালেটর, ট্রেনের দরজার সঙ্গে মিলিয়ে দরজা খোলার গেট, মনিটর, সিসি ক্যামেরা, সিগন্যাল টেলিকমিউনিকেশনসহ টেকনিক্যাল কাজের ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাইকার সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, তাদের ঠিকাদার দিয়েই এ কাজ করাতে হবে। কিন্তু ঠিকাদার এ কাজের জন্য যে দর প্রস্তাব দিয়েছেন তা ডিএমটিসিএলের প্রাক্কলিত দরের প্রায় দ্বিগুণ। সে ক্ষেত্রে সরকার এত টাকা দিয়ে কাজ করবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করা এবং মেয়াদ বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে প্রকল্পের যে সুফল পাওয়ার কথা ছিল, তা মানুষ পাবে না। এতে করে প্রকল্পের উপযোগিতা কমে যাবে।
মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর চালু হয়। ইতিমধ্যে মেট্রোরেল দিয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষাধিক যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশের নির্মাণকাজ চলতি বছরে শেষ হচ্ছে না। ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে জটিলতাই এর কারণ। ফলে বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ।
বর্তমানে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে। কাজ চলছে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই অংশের কাজ শেষে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশের কাজ হচ্ছে দুটি প্যাকেজে। একটি সিভিল ওয়ার্ক বা অবকাঠামো নির্মাণকাজ, অন্যটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল বা অপারেশনসংশ্লিষ্ট সংকেত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল কাজ।
জানতে চাইলে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৬) প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘এ বছর কাজ শেষ হওয়ার সুযোগ নেই। বেশ কিছু জটিলতা ছিল। এই অংশে ইউটিলিটি রিলোকেশন করতেই এক বছর চলে গেছে। এ ছাড়া ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের জন্য ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি এখনো হয়নি। ফলে কাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে। আমরা ধারণা করছি, কাজ শেষ করতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। সে অনুযায়ী মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি।’
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মতিঝিল থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার কাজ পুরোদমে চলছে। পিলার উঠে গেছে। তবে ভায়াডাক্ট বসানো এখনো শুরু হয়নি। কমলাপুর মেট্রোস্টেশনের নির্মাণকাজ অনেক এগিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারির অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৭টি পাইলের মধ্যে সব পাইল, ৬১টি পাইলক্যাপের মধ্যে ৫৯টি, ৩৯টি পিয়ারের মধ্যে ৩৭টি এবং ৩০টি স্টেশন কলামের মধ্যে সব স্টেশন কলাম নির্মাণ শেষ হয়েছে। ২৭টি স্প্যানের মধ্যে পাঁচটি উত্তোলন শেষ হয়েছে। স্টেশনের ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের কনকোর্স ছাদের মধ্যে ১৮০ মিটার এবং ১৮০ মিটার ট্র্যাক স্ল্যাবের মধ্যে ৪৫ মিটার ট্র্যাক স্ল্যাব ঢালাই শেষ হয়েছে। ৮২৪টি প্রিকাস্ট প্যারাপেট ওয়ালের মধ্যে ৭৩৯টি তৈরি হয়েছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। কমলাপুর যুক্ত হওয়ায় দৈর্ঘ্য বেড়ে হয়েছে ২১ কিলোমিটারের কিছু বেশি। কমলাপুরসহ স্টেশন হবে ১৭টি। এসব বাড়তি কাজ বাস্তবায়নসহ নানা খাতের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। কমলাপুর যুক্ত করায় বেড়ে যাওয়া ব্যয়ের মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৮ হাজার ৪০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং জাইকার ঋণ থেকে ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় এ ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ দিকে কমলাপুর অংশের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, লিফট, এসকালেটর, ট্রেনের দরজার সঙ্গে মিলিয়ে দরজা খোলার গেট, মনিটর, সিসি ক্যামেরা, সিগন্যাল টেলিকমিউনিকেশনসহ টেকনিক্যাল কাজের ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাইকার সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, তাদের ঠিকাদার দিয়েই এ কাজ করাতে হবে। কিন্তু ঠিকাদার এ কাজের জন্য যে দর প্রস্তাব দিয়েছেন তা ডিএমটিসিএলের প্রাক্কলিত দরের প্রায় দ্বিগুণ। সে ক্ষেত্রে সরকার এত টাকা দিয়ে কাজ করবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করা এবং মেয়াদ বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে প্রকল্পের যে সুফল পাওয়ার কথা ছিল, তা মানুষ পাবে না। এতে করে প্রকল্পের উপযোগিতা কমে যাবে।
মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর চালু হয়। ইতিমধ্যে মেট্রোরেল দিয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষাধিক যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৩ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে