Ajker Patrika

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা মেজর হাফিজের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪, ১৬: ০৮
নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা মেজর হাফিজের জামিন

গুলশান থানায় নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেন তাঁকে জামিন দেন। 

মেজর হাফিজের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেজর হাফিজের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। 

গুলশান থানার ওই নাশকতার মামলায় মেজর হাফিজকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সাজা পাওয়া ওই মামলায় আজ আপিল দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আপিল গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ৫ মার্চ হুইল চেয়ারে করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হন হাফিজ। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

তবে মেজর হাফিজ অসুস্থ হওয়ায় কারা বিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন—সাবেক বিএনপি নেতা ও বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ। এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এত দিন আদালতে উপস্থিত হননি। সম্প্রতি দেশে ফিরেই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। 

এ মামলার অন্য আসামি এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজুকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। 

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত