Ajker Patrika

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ ৬ দাবি না মানা হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় তাঁরা এ কথা জানান।

ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. সামসুল আলম বলেন, আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য জাতীয় বাজেটে ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখায় সরকারকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সরকার জাতীয়করণের জন্য আশ্বাস দিলেও সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। না হলে, আমরা আবারও প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে বাধ্য হব।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়েছিলাম। পরে ২৬ জানুয়ারি শাহবাগে অবস্থান নিলে পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। ওই দিনই সরকার আমাদের দাবি মেনে নেন এবং মৌখিকভাবে ঘোষণা করেন। কিন্তু আমাদের জাতীয়করণ না করে আধা সরকারি করে বাজেট প্রদান করে। অনতিবিলম্বে জাতীয়করণ করে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে।’

বক্তারা বলেন, আমাদের মোট মাদ্রাসা রয়েছে ৮৯৫৬ টি। সব মাদ্রাসা জাতীয়করণ করতে হবে। সরকারের প্রক্রিয়াগত জটিলতা থাকলে প্রথমে জাতীয়করণ করে ধারাবাহিকভাবে বেতন দিক।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের মুখ্যপাত্র এস এম জয়নাল আবেদীন জিহাদী, শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. তাজুল ইসলাম ফরাজী, মো. আলাউদ্দিন খন্দকার, মাওলানা মো. জহুরুল আলম, সদস্যসচিব মাওলানা আল-আমিন, সদস্য মো. খোরশেদ আলম, মো. নুরুল আমীন, আব্দুর রহমান শাহজাহান, মো. আ. সাত্তার, মাওলানা মো. আব্দুল হান্নান প্রমুখ।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির দাবিগুলো হলো—

১। অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণ।

২। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার নীতিমালা-২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়ন।

৩। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোডবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো মাদ্রাসা বোর্ডের কোডের অন্তর্ভুক্ত করা।

৪। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার পাঠদানের অনুমতির স্থগিতাদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা।

৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি করা।

৬। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিদপ্তরের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গজারিয়ায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি, ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।

বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’

ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।  

ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহে ফসলের ক্ষতির শঙ্কা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি ‍উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।

অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় গরুচোর সন্দেহে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে স্থানীয়দের পিটুনিতে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দামগাছা বুড়িগঞ্জ এলাকার আলেব্বর আলীর ছেলে কাউসার (৫০), উত্তরপাড়া সিহালী গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে বুলবুল (৩৮) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহাপাড়া হেরুঞ্জ গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে শাহীনুর (৩১)।

গতকাল রোববার ভোররাতে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ (মাজার এলাকা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র গরু চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে ধাওয়া খেয়ে চক্রের অন্য সহযোগীরা পিকআপসহ পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালামের গোয়ালঘর থেকে সংঘবদ্ধ একটি চক্র তিনটি গরু চুরি করে পিকআপ ভ্যানে তুলতে গেলে বাড়ির লোকজন টের পান। এ সময় চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ধাওয়া দেন। পালানোর সময় চোর চক্রের তিন সদস্য একটি পুকুরে লাফিয়ে পড়েন।

পরে স্থানীয়রা তাঁদের ধরে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। অপরদিকে, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তফিজ উদ্দীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত