আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
সরকারি খাদ্যগুদামে চাল-গম রাখা কিংবা তোলার জন্য (হ্যান্ডলিং) মজুরির বেশি অর্থ ‘বকশিশ’ দিতে হয় শ্রমিকদের। নইলে কোনো ট্রাকের চাল কিংবা গম গুদামে ঢুকবে না কিংবা বেরও হবে না। সম্প্রতি নগরের হালিশহর ও দেওয়ানহাটের সরকারি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
চাল-গমের হ্যান্ডলিং কাজের জন্য সরকারই শ্রমিক মজুরি পরিশোধ করে। সেই মজুরির বাইরে শ্রমিকেরা জোর করেই এই বকশিশ আদায় করছেন বলে পরিবহন ঠিকাদারেরা গত ২১ আগস্ট খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন। প্রতিটি খাদ্য চালানে সিএসডি ও স্থানীয় খাদ্যগুদামে (এলএসডিতে) ৯০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত শ্রমিককে বকশিশ দিতে হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা চাল-গমের বেশির ভাগই বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন স্থানের এলএসডিতে পাঠানো হয়। তবে আপৎকালের জন্য কিছু অংশ জমা রাখা হয় সিএসডিতে। আবার সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প কিংবা কর্মসূচির চাল ও গম সিএসডি ও এলএসডি থেকেই নেওয়া হয়। এভাবে সারা দেশের ৬৩২টি এলএসডি এবং ১১টি সিএসডিতে খাদ্য আনা-নেওয়া (হ্যান্ডলিং) চলে প্রায় সারা বছরই। তালিকাভুক্ত হ্যান্ডলিং লেবার ঠিকাদার প্রতিদিনের সরকারের নির্ধারিত শ্রমিক মজুরি নিজ তহবিল থেকে শ্রমিকদের পরিশোধ করেন। মাস শেষে জেলা বা বিভাগের খাদ্যনিয়ন্ত্রক ওই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করেন। এ খাতে সরকারের খরচ বছরে ৭০-৭৫ কোটি টাকা। এটি নিশ্চিত করেছেন খাদ্য বিভাগের হিসাব ও অর্থ বিভাগের উপপরিচালক সহিদুর রহমান।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, হ্যান্ডলিং ঠিকাদারকে সরকার মাসে মাসে এই বিল দেয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, দেওয়ানহাট সিএসডিতে একটি ট্রাক ঢোকার পর তিন জায়গায় বকশিশ দিতে হয়। প্রথমে গেটের নিরাপত্তাকর্মীকে ৫০ টাকা, ওজন স্কেলকর্মীকে ১০০ টাকা এবং হ্যান্ডলিং শ্রমিককে ১০০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামের লেবার সর্দার মুসলিম মিয়া বকশিশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, একটি খাদ্য চালানে আমরা ৫২০ টাকা বকশিশ নিই, যার ২০ টাকা ঝাড়ুদারের, ৫০০ টাকা লেবারের।
দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামের হ্যান্ডলিং লেবার ঠিকাদার মাহমুদুল হক বলেন, ট্রাকে ওজনের বেশি মাল থাকে বলেই লেবারদের বকশিশ দিতে হয়।
একই কথা হালিশহর সিএসডি গুদামের হ্যান্ডলিং ঠিকাদার মো. আব্দুর রাজ্জাকের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, পরিবহন ঠিকাদারেরা অতিরিক্ত লোভের আশায় লেবারদের দিয়ে নিয়মের বেশি খাদ্যশস্য ওঠা-নামা করান, এ জন্য বকশিশ দেন।
হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের মাধ্যমে চাল-গম ওঠানো-নামানোর জন্য একজন শ্রমিক প্রতি টনে মজুরি পান দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামে ৯৫ টাকা ও হালিশহর সিএসডি গুদামে ৯৭ টাকা। সে হিসাবে ১৫ টন খাদ্যশস্য খালাস কিংবা তোলায় মজুরি ১৪২৫-১৪৫৫ টাকা। আবার প্রতি ট্রাক (১৫ টন পরিমাণ) চাল-গম হ্যান্ডলিংয়ে বকশিশও দিতে হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। এটাই শ্রমিক বকশিশের নির্ধারিত দর বলে জানান একাধিক পরিবহন ঠিকাদার।
চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিন শ্রমিক বকশিশের নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দেশের সব গুদামে এটা নেয়, এটা অন্যায় কিছু নয়।
সরকারি খাদ্যগুদামে চাল-গম রাখা কিংবা তোলার জন্য (হ্যান্ডলিং) মজুরির বেশি অর্থ ‘বকশিশ’ দিতে হয় শ্রমিকদের। নইলে কোনো ট্রাকের চাল কিংবা গম গুদামে ঢুকবে না কিংবা বেরও হবে না। সম্প্রতি নগরের হালিশহর ও দেওয়ানহাটের সরকারি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
চাল-গমের হ্যান্ডলিং কাজের জন্য সরকারই শ্রমিক মজুরি পরিশোধ করে। সেই মজুরির বাইরে শ্রমিকেরা জোর করেই এই বকশিশ আদায় করছেন বলে পরিবহন ঠিকাদারেরা গত ২১ আগস্ট খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন। প্রতিটি খাদ্য চালানে সিএসডি ও স্থানীয় খাদ্যগুদামে (এলএসডিতে) ৯০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত শ্রমিককে বকশিশ দিতে হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা চাল-গমের বেশির ভাগই বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন স্থানের এলএসডিতে পাঠানো হয়। তবে আপৎকালের জন্য কিছু অংশ জমা রাখা হয় সিএসডিতে। আবার সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প কিংবা কর্মসূচির চাল ও গম সিএসডি ও এলএসডি থেকেই নেওয়া হয়। এভাবে সারা দেশের ৬৩২টি এলএসডি এবং ১১টি সিএসডিতে খাদ্য আনা-নেওয়া (হ্যান্ডলিং) চলে প্রায় সারা বছরই। তালিকাভুক্ত হ্যান্ডলিং লেবার ঠিকাদার প্রতিদিনের সরকারের নির্ধারিত শ্রমিক মজুরি নিজ তহবিল থেকে শ্রমিকদের পরিশোধ করেন। মাস শেষে জেলা বা বিভাগের খাদ্যনিয়ন্ত্রক ওই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করেন। এ খাতে সরকারের খরচ বছরে ৭০-৭৫ কোটি টাকা। এটি নিশ্চিত করেছেন খাদ্য বিভাগের হিসাব ও অর্থ বিভাগের উপপরিচালক সহিদুর রহমান।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, হ্যান্ডলিং ঠিকাদারকে সরকার মাসে মাসে এই বিল দেয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, দেওয়ানহাট সিএসডিতে একটি ট্রাক ঢোকার পর তিন জায়গায় বকশিশ দিতে হয়। প্রথমে গেটের নিরাপত্তাকর্মীকে ৫০ টাকা, ওজন স্কেলকর্মীকে ১০০ টাকা এবং হ্যান্ডলিং শ্রমিককে ১০০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামের লেবার সর্দার মুসলিম মিয়া বকশিশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, একটি খাদ্য চালানে আমরা ৫২০ টাকা বকশিশ নিই, যার ২০ টাকা ঝাড়ুদারের, ৫০০ টাকা লেবারের।
দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামের হ্যান্ডলিং লেবার ঠিকাদার মাহমুদুল হক বলেন, ট্রাকে ওজনের বেশি মাল থাকে বলেই লেবারদের বকশিশ দিতে হয়।
একই কথা হালিশহর সিএসডি গুদামের হ্যান্ডলিং ঠিকাদার মো. আব্দুর রাজ্জাকের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, পরিবহন ঠিকাদারেরা অতিরিক্ত লোভের আশায় লেবারদের দিয়ে নিয়মের বেশি খাদ্যশস্য ওঠা-নামা করান, এ জন্য বকশিশ দেন।
হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের মাধ্যমে চাল-গম ওঠানো-নামানোর জন্য একজন শ্রমিক প্রতি টনে মজুরি পান দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামে ৯৫ টাকা ও হালিশহর সিএসডি গুদামে ৯৭ টাকা। সে হিসাবে ১৫ টন খাদ্যশস্য খালাস কিংবা তোলায় মজুরি ১৪২৫-১৪৫৫ টাকা। আবার প্রতি ট্রাক (১৫ টন পরিমাণ) চাল-গম হ্যান্ডলিংয়ে বকশিশও দিতে হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। এটাই শ্রমিক বকশিশের নির্ধারিত দর বলে জানান একাধিক পরিবহন ঠিকাদার।
চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট সিএসডি গুদামের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিন শ্রমিক বকশিশের নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দেশের সব গুদামে এটা নেয়, এটা অন্যায় কিছু নয়।
‘গ্রামের ছেলে হিসেবে এতোদিন ভালোই ছিলাম। কিন্তু তোদের মধ্যে কিছু কিছু লোক আমাকে ভালো হতে দিচ্ছে না। [শেখ হাসিনা] পালায় গিয়েছে তো কি হয়েছে। তবে মাথায় রাখিস, আমরা জায়গার মাল, জায়গাতেই বোসে আছি। ২০১৮ সালে তো হালকা হয়েছে। [ভবিষ্যতে ক্ষমতা পেলে ফিলিস্তিনের মতো হবে]।’
৬ মিনিট আগেআহতরা হলেন—বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি বেতাগা গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে মামুন (৩২) এবং যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে মাসুদ (৪৫)। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
৪২ মিনিট আগেগুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম সাদ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ২৪৭ নম্বর কক্ষে থাকেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বিদেশে ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চারজন ভুক্তভোগী তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে