কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের তালুকদারপাড়ার দরিদ্র কৃষক অনিল তালুকদার। অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানো তাঁর জন্য কষ্টকর। তবে অদম্য মনোবল থাকলে দারিদ্র্য জয় করা সম্ভব, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন অনিল তালুকদারের মেয়ে রেশমী তালুকদার। গত সোমবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
অনিল তালুকদারের সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। কৃষিকাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। অভার তাঁর পরিবারের নিত্যসঙ্গী।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রেশমী তালুকদারের। সে বলে, ‘ঘরে সব সময় অভাব-অনটন লেগে থাকত। তবু বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া করিয়েছেন। মা-বাবা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকেরা আমার পাশে ছিলেন। টাকার অভাবে টিউশনি পড়তে না পারলেও সাফছড়ি এলাকার অনার্স পড়ুয়া বড় ভাই সুজন তঞ্চঙ্গ্যা ও সুদেব তঞ্চঙ্গ্যা আমাকে পড়াশোনার ব্যাপারে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
সে আরও বলে, ‘আমার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। অনেক সময় গাড়িভাড়া না থাকলে হেঁটেই স্কুলে যেতাম। ঝড়, বৃষ্টি, তুফানেও স্কুলে অনুপস্থিত থাকিনি। ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষদের সেবা করতে চাই।’
তার বাবা অনিল তালুকদার এবং মা শিলপতি তালুকদার জানান, তাঁদের মেয়ে লেখাপড়ার বাইরে অন্য কোনো আবদার করেনি। অভাবের সংসারে তার অনেক শখ পূরণ করতে পারেননি। মেয়ের এই ফলাফলে তাঁরা খুশি।
ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। সে স্কুলে সব সময় প্রথম হতো এবং একজন মনোযোগী ছাত্রী হিসেবে সবার প্রিয় ছিল। পিছিয়ে পড়া একটা এলাকা থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করা মোটেই সহজ নয়। আমরা শিক্ষকেরা সব সময় তার পাশে ছিলাম। তার ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতা কামনা করছি।’
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের তালুকদারপাড়ার দরিদ্র কৃষক অনিল তালুকদার। অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালানো তাঁর জন্য কষ্টকর। তবে অদম্য মনোবল থাকলে দারিদ্র্য জয় করা সম্ভব, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন অনিল তালুকদারের মেয়ে রেশমী তালুকদার। গত সোমবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
অনিল তালুকদারের সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। কৃষিকাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। অভার তাঁর পরিবারের নিত্যসঙ্গী।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রেশমী তালুকদারের। সে বলে, ‘ঘরে সব সময় অভাব-অনটন লেগে থাকত। তবু বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া করিয়েছেন। মা-বাবা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকেরা আমার পাশে ছিলেন। টাকার অভাবে টিউশনি পড়তে না পারলেও সাফছড়ি এলাকার অনার্স পড়ুয়া বড় ভাই সুজন তঞ্চঙ্গ্যা ও সুদেব তঞ্চঙ্গ্যা আমাকে পড়াশোনার ব্যাপারে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
সে আরও বলে, ‘আমার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। অনেক সময় গাড়িভাড়া না থাকলে হেঁটেই স্কুলে যেতাম। ঝড়, বৃষ্টি, তুফানেও স্কুলে অনুপস্থিত থাকিনি। ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষদের সেবা করতে চাই।’
তার বাবা অনিল তালুকদার এবং মা শিলপতি তালুকদার জানান, তাঁদের মেয়ে লেখাপড়ার বাইরে অন্য কোনো আবদার করেনি। অভাবের সংসারে তার অনেক শখ পূরণ করতে পারেননি। মেয়ের এই ফলাফলে তাঁরা খুশি।
ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। সে স্কুলে সব সময় প্রথম হতো এবং একজন মনোযোগী ছাত্রী হিসেবে সবার প্রিয় ছিল। পিছিয়ে পড়া একটা এলাকা থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করা মোটেই সহজ নয়। আমরা শিক্ষকেরা সব সময় তার পাশে ছিলাম। তার ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতা কামনা করছি।’
পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানো ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৫ বছর আগে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ইউনিট-২ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি দফায় দফায় সংশোধন করা হয়। এতে ব্যয় ১৩ হাজার কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার কোটি টাকায়।
৩১ মিনিট আগেনজরদারির অভাবে সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে বনদস্যুদের তৎপরতা। বনের ২০টি পয়েন্টে বেপরোয়া ১০টি বাহিনী। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে এই বাহিনীর সদস্যরা লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। মুক্তিপণ ছাড়া মিলছে না কারও মুক্তি। চলে নির্যাতনও। আতঙ্কিত বনজীবীদের অনেকেই ভয়ে পেশা বদলাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জনবল ও অস্ত্র সংকটের
৩৬ মিনিট আগেচলতি বছরের ১১ আগস্ট। যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় লিমন শেখ (২৫) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৪৮টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের ঢাকায় প্রেষণে থাকা এবং দুই মেডিকেল কর্মকর্তার দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি।
২ ঘণ্টা আগে