Ajker Patrika

দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে বিএনপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ২৬
বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দুর্গাপূজায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে জামায়াতে ইসলামী (জামায়াত), এনসিপি ও আওয়ামী লীগের এজেন্টরা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন। তিনি বলেন, পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠে উপজেলা বিএনপির জরুরি সভায় এ মন্তব্য করেন জিয়া উদ্দিন। এ সময় সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুর রউফ স্বাধীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান তালুকদার কেষ্টুসহ দলের অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জিয়া উদ্দিনের বক্তব্যের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এনসিপি নেতারা।

ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক প্রীতম সোহাগ ফেসবুকে জিয়া উদ্দিনের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে দীর্ঘ এক পোস্টে লেখেন, খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা জিয়া উদ্দীন ধনু নদে লেপসিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া জলযান থেকে চাঁদাবাজি চক্রের প্রধান। তিনি লুৎফুজ জামান বাবর সাহেবের চাচাতো ভাই পরিচয়ে চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য তৈরি করে রেখেছেন। খালিয়াজুড়িতে চাঁদাবাজ চক্রের এই গডফাদার হঠকারী বক্তব্য দিয়েছে যে, এনসিপি নাকি হিন্দু ভাই-বোনদের পূজামণ্ডপে হামলা করবে। অথচ জেলাজুড়ে হিন্দু ভাইদের নামে গণহারে মিথ্যা মামলা এবং তাঁদের দোকানপাটে লুটপাট ও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে হিন্দু-মুসলিম তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত দল এনসিপির নেতারাই ৫ আগস্টের পর সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের মন্দির পাহারা দিয়েছিলেন।

প্রীতম সোহাগ আরও লেখেন, বিগত ১৩-১৪ মাসে নেত্রকোনায় এনসিপির কোনো নেতা-কর্মী কোনো উপজেলা বা ইউনিয়নে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কোনো মন্দিরে হামলা বা আক্রমণের কোনো নজির যদি দেখাতে না পারেন, তাহলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মির্জা উদ্দিনকে ক্ষমা চেয়ে এনসিপিকে জড়িয়ে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। জেলা বিএনপিকে এই সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় ধরা হবে এটি নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দলীয় বক্তব্য। তখন জেলা এনসিপিও বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান এই ‘সাংঘর্ষিক বক্তব্যের’ তীব্র নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপিকে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম।’

এদিকে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসমাইল হোসেনও এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতেও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব। বিএনপি নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা সাংঘর্ষিক। তাঁরা এমন ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাতে পারেন বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’

বক্তব্যের পর থেকে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘ওইদিন বক্তৃতায় মূলত বলতে চেয়েছিলাম- পূজায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই এই বিষয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ বিএনপি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একপর্যায়ে ভুলে মুখ ফসকে এমনটা বলে ফেলেছি। এটা স্লিপ অব টাঙ্ক, ইচ্ছাকৃত কোন কথা নয়। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কেষ্টু বলেন, ‘ওই দিন আমি সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলাম। জিয়া উদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা বুঝেশুনেই দিয়েছেন। ওই দিন প্রচণ্ড গরম ছিল। গরমে দীর্ঘ সময় সভায় থাকার কারণে হয়তো এমনটা বলে ফেলেছে।’

জিয়া উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেশবপুরে অস্ত্র-মাদকসহ স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের চার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ভোগতী ও আলতাপোল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে পৌরসভার ভোগতী এলাকার আলমগীর হোসেনের (৪০) কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ভোগতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৩৫) ও মূলগ্রামের রাসেলের (২৩) কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও একটি চাপাতি এবং আলতাপোল এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাঁসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং আলমগীর হোসেন ও উজ্জ্বল বিশ্বাস পৌর যুবদল থেকে বহিষ্কৃত।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ কোন্দল: যুবদল নেতাকে অপর যুবদল নেতার ছুরিকাঘাত

বগুড়া প্রতিনিধি
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম হাট এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, জিয়াউর রহমান বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত যুবদল নেতা সজীব সাবগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাবগ্রাম হাট এলাকায় কথা-কাটাকাটির জেরে সজীব আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।’

স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে সাবগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার জেরে সজীবের সঙ্গে জিয়াউরের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল রাতে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জিয়াউরকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাহত করেছে বলে শুনেছি।’ ঘটনার পর থেকে যুবদল নেতা সজীব মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের জের ধরে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমানের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীতে সুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
আজ দুপু‌রে খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপু‌রে খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বিসিক শিল্পনগরীর খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপু‌রে আকস্মিকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়লে কারখানায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে এতে কারখানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; যদিও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটির অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র অচল থাকায় আগুন নেভাতে প্রথম দিকে বেগ পেতে হয় বলে জানা গে‌ছে।

কারখানার শ্রমিকেরা জানান, সুতার কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থায় ঘাটতি থাকায় শুরুতে শ্রমিকেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

কারখানার সিনিয়র ফিটার মো. নাদিম বলেন, হঠাৎ করে আগুন লাগায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই দেড় শতাধিক শ্রমিককে দ্রুত বাইরে বের করে আনা হয়। ফলে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

আরও এক সিনিয়র ফিটার রুবেল হোসেন বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুনে সুতার রিলসহ কারখানার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুড়ে গেছে। অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডারগুলোর বেশির ভাগেই গ্যাস না থাকায় আমরা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হই।’

খান সন্স গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। শ্রমিকদের কোনো ক্ষতি না হলেও কারখানার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে নির্ধারণ করা যাবে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থায় কিছু ঘাটতি থাকতে পারে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। আমাদের দুটি ইউনিট দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল সিংহী, আর চিড়িয়াখানা থেকে দর্শনার্থীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ‘ডেইজি’ নামের একটি সিংহী। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়ে আসে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টার পর চেতনানাশক প্রয়োগ করে তাকে পুনরায় খাঁচায় ফিরিয়ে আনা হয়।

চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হলেও চিড়িয়াখানার ৬ ফুট উঁচু নিরাপত্তা নেটের ভেতরেই ছিল। দর্শনার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে চেতনানাশক প্রয়োগের পর তাকে খাঁচায় ফেরানো হয়েছে।’

রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, ডেইজিকে অচেতন হতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগে। অচেতন হওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।

চিড়িয়াখানার পরিচালক আরও বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু ছিল না। পুরো ঘটনাটি নিরাপত্তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’

সিংহীটি খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, ‘আমরা মনে করছি, খাঁচার দরজায় তালা না লাগানোর কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে। তা ছাড়া খাঁচার কোথাও ভাঙা পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আতিকুর রহমান জানান, বেরিয়ে যাওয়ার পর সিংহীটিকে শান্ত রাখতে তাকে গরুর মাংস দেওয়া হয়। এরপর বন্দুকের মাধ্যমে চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। সম্পূর্ণ অচেতন হওয়ার পর তাকে খাঁচায় আনা হয়।

কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ঘটনার পর বিকেলেই চিড়িয়াখানায় থাকা সব দর্শনার্থীকে নিরাপদে বের করে দেওয়া হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় মোট ৫টি সিংহ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত