মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়। এমআরসহ আরও কয়েক ধরনের টিকার ঘাটতির কারণে সেদিন শিশুসন্তানদের টিকা দেওয়া ছাড়াই ফিরতে বাধ্য হন অনেক অভিভাবক।
শুধু ঢাকার রমনার কেন্দ্রটি নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুদের নিয়মিত টিকাগুলোর ক্ষেত্রে একই সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় দেওয়া এসব টিকার সংকট চলছে কয়েক মাস ধরে। কোথাও সংকট তীব্র, কোথাওবা তুলনামূলক কম। সংশ্লিষ্টদের মতে, টিকা কেনা এবং তারপর সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হবে না। তথ্য অনুযায়ী দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য কিছু রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ইপিআই কর্মসূচিতে বর্তমানে ১১টি রোগ প্রতিরোধে ৮টি টিকা দেওয়া হয়। নবজাতক থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু, ২৩ মাস বয়সী শিশু, ১৫ বছরের কম বয়সী কিশোরী এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারণক্ষম নারীদের এসব টিকা দেওয়া হয়। যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, হাম ও রুবেলা, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এসব রোগের টিকাদান সারা বছর চলে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে পিসিভি (নিউমোনিয়া) ও পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি ও হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি) টিকার সংকট রয়েছে। তবে তিন মাস আগের তুলনায় অভাব কিছুটা কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সংকট পিসিভি টিকার। এ ঘাটতি সাত মাস ধরে চলছে। মাসখানেক আগে পৌঁছানো সর্বশেষ চালানটি সাত দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশজুড়ে সব জায়গাতেই দু-তিন ধরনের টিকার অভাব রয়েছে।১৯৭৯ সালে দেশের শহরগুলোতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) চালু হয়। ১৯৮৫ সালে তা সারা দেশে বিস্তৃত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, এ কর্মসূচি চালুর আগে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে মৃত্যুহার ছিল ১৫১ জন।
২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। বাংলাদেশের ইপিআই কর্মসূচি জনস্বাস্থ্যে বড় সাফল্য হিসেবে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। এর মাধ্যমে মা ও শিশুস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ টিকা কর্মসূচি পোলিও এবং মাতৃ ও নবজাতক ধনুষ্টঙ্কার (এমএনটি) নির্মূল করা এবং হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ৯৩ শতাংশকে এইচপিভি টিকা দেওয়া যাচ্ছে, যা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন গত আগস্টের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, সেপ্টেম্বরে টিকা কেনায় দেরি হলে অক্টোবরের মধ্যেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি ইপিআই কর্মসূচির জন্য টিকা কেনায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ইউনিসেফের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘গ্যাভি’ থেকে টিকা সংগ্রহ করা হবে। প্রসঙ্গত, ‘গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’ হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য সুলভে টিকা সহজলভ্য করতে গঠিত এক বৈশ্বিক উদ্যোগ।
যেসব জেলায় টিকার সংকট বেশি রয়েছে, কুমিল্লা তার অন্যতম। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকার সংকট গত অর্থবছরে বেশি ছিল, তবে সংকট কমেছে। আমরা নিয়মিত টিকা পাচ্ছি এবং শেষ হওয়ার আগেই আবার চাহিদা পাঠিয়েছি। সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, কোন টিকার সংকট আছে। কারণ, একেক সময় একেক ধরনের টিকার অভাব হয়। ফলে কোনো একটির সংকটই স্থায়ী নয়। বর্তমানে পেন্টাভ্যালেন্ট ও পিসিভির সংকট রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে রুটিন ইপিআইয়ের টিকার সংকট রয়েছে। আগে স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে টিকা কেনা হতো, যা সহজ ছিল। নতুন ওপি না হওয়ায় বর্তমানে রাজস্ব খাত থেকে কেনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। সচিব ও মন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক পর্যন্ত অর্থের ক্রয়াদেশ দিতে পারেন। এর বেশি হলে তা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হয়।’
দুজন সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। তাতে টিকার সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকার টিকা কেনার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে আট শ কোটি টাকা দিয়ে ইপিআইয়ের নিয়মিত টিকা এবং বাকি অর্থ দিয়ে হাজিদের টিকা, জলাতঙ্কের টিকা ইত্যাদি কেনা হবে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কোল্ডস্টোরেজ থেকে টিকা জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং সেখানে সংরক্ষণ করে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার থেকে জেলা চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০টির বেশি জেলায় টিকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর আলম দীন জানিয়েছেন, জেলায় শিশুদের টিকার চলমান সংকট তিন দিন আগে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও সংকট ছিল। তবে তিন-চার দিন আগে চাহিদা অনুযায়ী সব টিকা সরবরাহ পেয়েছি। যে টিকা এসেছে, তাতে দেড় মাস নির্বিঘ্নে চলবে।’
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বিভাগের চার জেলায় মজুত টিকায় আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, নিয়মিত অপারেশনাল প্ল্যান থেকে কার্যক্রম রাজস্ব খাতে চলে আসার কারণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলো স্থায়ী নয়। দেশের কোথাও কোথাও টিকার সংকট রয়েছে। কিন্তু এ সংকট সাধারণ কার্যক্রমে খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেনি। কোনো এলাকায় সংকট দেখামাত্রই সেখানে টিকা পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানও স্বাস্থ্য কার্যক্রম ওপি থেকে রাজস্ব খাতে আনার কারণে সাময়িক সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিগগির এর সমাধান হবে। বিশেষ সহকারী জানান, গত অর্থবছরে টিকার জন্য সাড়ে চার শ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি অর্থবছরে তা ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। টিকা কেনার জন্য অর্থের অনুমোদন হয়েছে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা হাতে আসবে।
ডা. মো. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘টিকা এখন হাতে নেই, এমনটি নয়। কিছু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ১০-১২টি উপজেলায় এবং ৪টি জেলায় সাময়িক ঘাটতি হয়েছে, যা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। আমাদের হাতে থাকা মজুত দিয়ে কার্যক্রম চলছে।’

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়। এমআরসহ আরও কয়েক ধরনের টিকার ঘাটতির কারণে সেদিন শিশুসন্তানদের টিকা দেওয়া ছাড়াই ফিরতে বাধ্য হন অনেক অভিভাবক।
শুধু ঢাকার রমনার কেন্দ্রটি নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুদের নিয়মিত টিকাগুলোর ক্ষেত্রে একই সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় দেওয়া এসব টিকার সংকট চলছে কয়েক মাস ধরে। কোথাও সংকট তীব্র, কোথাওবা তুলনামূলক কম। সংশ্লিষ্টদের মতে, টিকা কেনা এবং তারপর সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হবে না। তথ্য অনুযায়ী দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য কিছু রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ইপিআই কর্মসূচিতে বর্তমানে ১১টি রোগ প্রতিরোধে ৮টি টিকা দেওয়া হয়। নবজাতক থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু, ২৩ মাস বয়সী শিশু, ১৫ বছরের কম বয়সী কিশোরী এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারণক্ষম নারীদের এসব টিকা দেওয়া হয়। যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, হাম ও রুবেলা, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এসব রোগের টিকাদান সারা বছর চলে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে পিসিভি (নিউমোনিয়া) ও পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি ও হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি) টিকার সংকট রয়েছে। তবে তিন মাস আগের তুলনায় অভাব কিছুটা কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সংকট পিসিভি টিকার। এ ঘাটতি সাত মাস ধরে চলছে। মাসখানেক আগে পৌঁছানো সর্বশেষ চালানটি সাত দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশজুড়ে সব জায়গাতেই দু-তিন ধরনের টিকার অভাব রয়েছে।১৯৭৯ সালে দেশের শহরগুলোতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) চালু হয়। ১৯৮৫ সালে তা সারা দেশে বিস্তৃত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, এ কর্মসূচি চালুর আগে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে মৃত্যুহার ছিল ১৫১ জন।
২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। বাংলাদেশের ইপিআই কর্মসূচি জনস্বাস্থ্যে বড় সাফল্য হিসেবে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। এর মাধ্যমে মা ও শিশুস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ টিকা কর্মসূচি পোলিও এবং মাতৃ ও নবজাতক ধনুষ্টঙ্কার (এমএনটি) নির্মূল করা এবং হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ৯৩ শতাংশকে এইচপিভি টিকা দেওয়া যাচ্ছে, যা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন গত আগস্টের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, সেপ্টেম্বরে টিকা কেনায় দেরি হলে অক্টোবরের মধ্যেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি ইপিআই কর্মসূচির জন্য টিকা কেনায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ইউনিসেফের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘গ্যাভি’ থেকে টিকা সংগ্রহ করা হবে। প্রসঙ্গত, ‘গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’ হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য সুলভে টিকা সহজলভ্য করতে গঠিত এক বৈশ্বিক উদ্যোগ।
যেসব জেলায় টিকার সংকট বেশি রয়েছে, কুমিল্লা তার অন্যতম। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকার সংকট গত অর্থবছরে বেশি ছিল, তবে সংকট কমেছে। আমরা নিয়মিত টিকা পাচ্ছি এবং শেষ হওয়ার আগেই আবার চাহিদা পাঠিয়েছি। সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, কোন টিকার সংকট আছে। কারণ, একেক সময় একেক ধরনের টিকার অভাব হয়। ফলে কোনো একটির সংকটই স্থায়ী নয়। বর্তমানে পেন্টাভ্যালেন্ট ও পিসিভির সংকট রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে রুটিন ইপিআইয়ের টিকার সংকট রয়েছে। আগে স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে টিকা কেনা হতো, যা সহজ ছিল। নতুন ওপি না হওয়ায় বর্তমানে রাজস্ব খাত থেকে কেনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। সচিব ও মন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক পর্যন্ত অর্থের ক্রয়াদেশ দিতে পারেন। এর বেশি হলে তা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হয়।’
দুজন সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। তাতে টিকার সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকার টিকা কেনার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে আট শ কোটি টাকা দিয়ে ইপিআইয়ের নিয়মিত টিকা এবং বাকি অর্থ দিয়ে হাজিদের টিকা, জলাতঙ্কের টিকা ইত্যাদি কেনা হবে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কোল্ডস্টোরেজ থেকে টিকা জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং সেখানে সংরক্ষণ করে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার থেকে জেলা চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০টির বেশি জেলায় টিকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর আলম দীন জানিয়েছেন, জেলায় শিশুদের টিকার চলমান সংকট তিন দিন আগে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও সংকট ছিল। তবে তিন-চার দিন আগে চাহিদা অনুযায়ী সব টিকা সরবরাহ পেয়েছি। যে টিকা এসেছে, তাতে দেড় মাস নির্বিঘ্নে চলবে।’
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বিভাগের চার জেলায় মজুত টিকায় আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, নিয়মিত অপারেশনাল প্ল্যান থেকে কার্যক্রম রাজস্ব খাতে চলে আসার কারণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলো স্থায়ী নয়। দেশের কোথাও কোথাও টিকার সংকট রয়েছে। কিন্তু এ সংকট সাধারণ কার্যক্রমে খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেনি। কোনো এলাকায় সংকট দেখামাত্রই সেখানে টিকা পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানও স্বাস্থ্য কার্যক্রম ওপি থেকে রাজস্ব খাতে আনার কারণে সাময়িক সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিগগির এর সমাধান হবে। বিশেষ সহকারী জানান, গত অর্থবছরে টিকার জন্য সাড়ে চার শ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি অর্থবছরে তা ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। টিকা কেনার জন্য অর্থের অনুমোদন হয়েছে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা হাতে আসবে।
ডা. মো. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘টিকা এখন হাতে নেই, এমনটি নয়। কিছু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ১০-১২টি উপজেলায় এবং ৪টি জেলায় সাময়িক ঘাটতি হয়েছে, যা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। আমাদের হাতে থাকা মজুত দিয়ে কার্যক্রম চলছে।’
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়। এমআরসহ আরও কয়েক ধরনের টিকার ঘাটতির কারণে সেদিন শিশুসন্তানদের টিকা দেওয়া ছাড়াই ফিরতে বাধ্য হন অনেক অভিভাবক।
শুধু ঢাকার রমনার কেন্দ্রটি নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুদের নিয়মিত টিকাগুলোর ক্ষেত্রে একই সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় দেওয়া এসব টিকার সংকট চলছে কয়েক মাস ধরে। কোথাও সংকট তীব্র, কোথাওবা তুলনামূলক কম। সংশ্লিষ্টদের মতে, টিকা কেনা এবং তারপর সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হবে না। তথ্য অনুযায়ী দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য কিছু রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ইপিআই কর্মসূচিতে বর্তমানে ১১টি রোগ প্রতিরোধে ৮টি টিকা দেওয়া হয়। নবজাতক থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু, ২৩ মাস বয়সী শিশু, ১৫ বছরের কম বয়সী কিশোরী এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারণক্ষম নারীদের এসব টিকা দেওয়া হয়। যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, হাম ও রুবেলা, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এসব রোগের টিকাদান সারা বছর চলে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে পিসিভি (নিউমোনিয়া) ও পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি ও হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি) টিকার সংকট রয়েছে। তবে তিন মাস আগের তুলনায় অভাব কিছুটা কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সংকট পিসিভি টিকার। এ ঘাটতি সাত মাস ধরে চলছে। মাসখানেক আগে পৌঁছানো সর্বশেষ চালানটি সাত দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশজুড়ে সব জায়গাতেই দু-তিন ধরনের টিকার অভাব রয়েছে।১৯৭৯ সালে দেশের শহরগুলোতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) চালু হয়। ১৯৮৫ সালে তা সারা দেশে বিস্তৃত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, এ কর্মসূচি চালুর আগে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে মৃত্যুহার ছিল ১৫১ জন।
২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। বাংলাদেশের ইপিআই কর্মসূচি জনস্বাস্থ্যে বড় সাফল্য হিসেবে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। এর মাধ্যমে মা ও শিশুস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ টিকা কর্মসূচি পোলিও এবং মাতৃ ও নবজাতক ধনুষ্টঙ্কার (এমএনটি) নির্মূল করা এবং হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ৯৩ শতাংশকে এইচপিভি টিকা দেওয়া যাচ্ছে, যা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন গত আগস্টের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, সেপ্টেম্বরে টিকা কেনায় দেরি হলে অক্টোবরের মধ্যেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি ইপিআই কর্মসূচির জন্য টিকা কেনায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ইউনিসেফের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘গ্যাভি’ থেকে টিকা সংগ্রহ করা হবে। প্রসঙ্গত, ‘গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’ হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য সুলভে টিকা সহজলভ্য করতে গঠিত এক বৈশ্বিক উদ্যোগ।
যেসব জেলায় টিকার সংকট বেশি রয়েছে, কুমিল্লা তার অন্যতম। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকার সংকট গত অর্থবছরে বেশি ছিল, তবে সংকট কমেছে। আমরা নিয়মিত টিকা পাচ্ছি এবং শেষ হওয়ার আগেই আবার চাহিদা পাঠিয়েছি। সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, কোন টিকার সংকট আছে। কারণ, একেক সময় একেক ধরনের টিকার অভাব হয়। ফলে কোনো একটির সংকটই স্থায়ী নয়। বর্তমানে পেন্টাভ্যালেন্ট ও পিসিভির সংকট রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে রুটিন ইপিআইয়ের টিকার সংকট রয়েছে। আগে স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে টিকা কেনা হতো, যা সহজ ছিল। নতুন ওপি না হওয়ায় বর্তমানে রাজস্ব খাত থেকে কেনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। সচিব ও মন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক পর্যন্ত অর্থের ক্রয়াদেশ দিতে পারেন। এর বেশি হলে তা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হয়।’
দুজন সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। তাতে টিকার সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকার টিকা কেনার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে আট শ কোটি টাকা দিয়ে ইপিআইয়ের নিয়মিত টিকা এবং বাকি অর্থ দিয়ে হাজিদের টিকা, জলাতঙ্কের টিকা ইত্যাদি কেনা হবে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কোল্ডস্টোরেজ থেকে টিকা জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং সেখানে সংরক্ষণ করে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার থেকে জেলা চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০টির বেশি জেলায় টিকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর আলম দীন জানিয়েছেন, জেলায় শিশুদের টিকার চলমান সংকট তিন দিন আগে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও সংকট ছিল। তবে তিন-চার দিন আগে চাহিদা অনুযায়ী সব টিকা সরবরাহ পেয়েছি। যে টিকা এসেছে, তাতে দেড় মাস নির্বিঘ্নে চলবে।’
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বিভাগের চার জেলায় মজুত টিকায় আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, নিয়মিত অপারেশনাল প্ল্যান থেকে কার্যক্রম রাজস্ব খাতে চলে আসার কারণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলো স্থায়ী নয়। দেশের কোথাও কোথাও টিকার সংকট রয়েছে। কিন্তু এ সংকট সাধারণ কার্যক্রমে খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেনি। কোনো এলাকায় সংকট দেখামাত্রই সেখানে টিকা পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানও স্বাস্থ্য কার্যক্রম ওপি থেকে রাজস্ব খাতে আনার কারণে সাময়িক সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিগগির এর সমাধান হবে। বিশেষ সহকারী জানান, গত অর্থবছরে টিকার জন্য সাড়ে চার শ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি অর্থবছরে তা ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। টিকা কেনার জন্য অর্থের অনুমোদন হয়েছে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা হাতে আসবে।
ডা. মো. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘টিকা এখন হাতে নেই, এমনটি নয়। কিছু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ১০-১২টি উপজেলায় এবং ৪টি জেলায় সাময়িক ঘাটতি হয়েছে, যা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। আমাদের হাতে থাকা মজুত দিয়ে কার্যক্রম চলছে।’

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়। এমআরসহ আরও কয়েক ধরনের টিকার ঘাটতির কারণে সেদিন শিশুসন্তানদের টিকা দেওয়া ছাড়াই ফিরতে বাধ্য হন অনেক অভিভাবক।
শুধু ঢাকার রমনার কেন্দ্রটি নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুদের নিয়মিত টিকাগুলোর ক্ষেত্রে একই সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় দেওয়া এসব টিকার সংকট চলছে কয়েক মাস ধরে। কোথাও সংকট তীব্র, কোথাওবা তুলনামূলক কম। সংশ্লিষ্টদের মতে, টিকা কেনা এবং তারপর সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হবে না। তথ্য অনুযায়ী দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য কিছু রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ইপিআই কর্মসূচিতে বর্তমানে ১১টি রোগ প্রতিরোধে ৮টি টিকা দেওয়া হয়। নবজাতক থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু, ২৩ মাস বয়সী শিশু, ১৫ বছরের কম বয়সী কিশোরী এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারণক্ষম নারীদের এসব টিকা দেওয়া হয়। যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, হাম ও রুবেলা, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এসব রোগের টিকাদান সারা বছর চলে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে পিসিভি (নিউমোনিয়া) ও পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি ও হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি) টিকার সংকট রয়েছে। তবে তিন মাস আগের তুলনায় অভাব কিছুটা কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সংকট পিসিভি টিকার। এ ঘাটতি সাত মাস ধরে চলছে। মাসখানেক আগে পৌঁছানো সর্বশেষ চালানটি সাত দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশজুড়ে সব জায়গাতেই দু-তিন ধরনের টিকার অভাব রয়েছে।১৯৭৯ সালে দেশের শহরগুলোতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) চালু হয়। ১৯৮৫ সালে তা সারা দেশে বিস্তৃত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, এ কর্মসূচি চালুর আগে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে মৃত্যুহার ছিল ১৫১ জন।
২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। বাংলাদেশের ইপিআই কর্মসূচি জনস্বাস্থ্যে বড় সাফল্য হিসেবে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। এর মাধ্যমে মা ও শিশুস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ টিকা কর্মসূচি পোলিও এবং মাতৃ ও নবজাতক ধনুষ্টঙ্কার (এমএনটি) নির্মূল করা এবং হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ৯৩ শতাংশকে এইচপিভি টিকা দেওয়া যাচ্ছে, যা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন গত আগস্টের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, সেপ্টেম্বরে টিকা কেনায় দেরি হলে অক্টোবরের মধ্যেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি ইপিআই কর্মসূচির জন্য টিকা কেনায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ইউনিসেফের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘গ্যাভি’ থেকে টিকা সংগ্রহ করা হবে। প্রসঙ্গত, ‘গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’ হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য সুলভে টিকা সহজলভ্য করতে গঠিত এক বৈশ্বিক উদ্যোগ।
যেসব জেলায় টিকার সংকট বেশি রয়েছে, কুমিল্লা তার অন্যতম। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকার সংকট গত অর্থবছরে বেশি ছিল, তবে সংকট কমেছে। আমরা নিয়মিত টিকা পাচ্ছি এবং শেষ হওয়ার আগেই আবার চাহিদা পাঠিয়েছি। সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, কোন টিকার সংকট আছে। কারণ, একেক সময় একেক ধরনের টিকার অভাব হয়। ফলে কোনো একটির সংকটই স্থায়ী নয়। বর্তমানে পেন্টাভ্যালেন্ট ও পিসিভির সংকট রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে রুটিন ইপিআইয়ের টিকার সংকট রয়েছে। আগে স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে টিকা কেনা হতো, যা সহজ ছিল। নতুন ওপি না হওয়ায় বর্তমানে রাজস্ব খাত থেকে কেনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। সচিব ও মন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক পর্যন্ত অর্থের ক্রয়াদেশ দিতে পারেন। এর বেশি হলে তা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হয়।’
দুজন সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। তাতে টিকার সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকার টিকা কেনার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে আট শ কোটি টাকা দিয়ে ইপিআইয়ের নিয়মিত টিকা এবং বাকি অর্থ দিয়ে হাজিদের টিকা, জলাতঙ্কের টিকা ইত্যাদি কেনা হবে।
ইপিআইয়ের কেন্দ্রীয় কোল্ডস্টোরেজ থেকে টিকা জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং সেখানে সংরক্ষণ করে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার থেকে জেলা চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০টির বেশি জেলায় টিকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর আলম দীন জানিয়েছেন, জেলায় শিশুদের টিকার চলমান সংকট তিন দিন আগে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদেরও সংকট ছিল। তবে তিন-চার দিন আগে চাহিদা অনুযায়ী সব টিকা সরবরাহ পেয়েছি। যে টিকা এসেছে, তাতে দেড় মাস নির্বিঘ্নে চলবে।’
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বিভাগের চার জেলায় মজুত টিকায় আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ইপিআই) মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, নিয়মিত অপারেশনাল প্ল্যান থেকে কার্যক্রম রাজস্ব খাতে চলে আসার কারণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলো স্থায়ী নয়। দেশের কোথাও কোথাও টিকার সংকট রয়েছে। কিন্তু এ সংকট সাধারণ কার্যক্রমে খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেনি। কোনো এলাকায় সংকট দেখামাত্রই সেখানে টিকা পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানও স্বাস্থ্য কার্যক্রম ওপি থেকে রাজস্ব খাতে আনার কারণে সাময়িক সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিগগির এর সমাধান হবে। বিশেষ সহকারী জানান, গত অর্থবছরে টিকার জন্য সাড়ে চার শ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি অর্থবছরে তা ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। টিকা কেনার জন্য অর্থের অনুমোদন হয়েছে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা হাতে আসবে।
ডা. মো. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘টিকা এখন হাতে নেই, এমনটি নয়। কিছু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ১০-১২টি উপজেলায় এবং ৪টি জেলায় সাময়িক ঘাটতি হয়েছে, যা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। আমাদের হাতে থাকা মজুত দিয়ে কার্যক্রম চলছে।’

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

গত সপ্তাহের শুরুতে ৯ মাস বয়সী মেয়েশিশুকে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইপিআইয়ের এক স্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যান বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা। উদ্দেশ্য, হাম-রুবেলার (এমআর) প্রথম ডোজ দেওয়া। তবে সেদিন কেন্দ্রটিতে টিকা না থাকায় তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে