Ajker Patrika

ধর্ষণ মামলার আসামি এএসপি, তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নারীর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৫
এএসপি নাজমুস সাকিব। ছবি: সংগৃহীত
এএসপি নাজমুস সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের (ভৈরব সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার না করায় ও তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না হওয়ার প্রতিবাদে আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জে গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় একটি অনলাইন নিউজপোর্টাল অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করেন, ‘ভৈরব সার্কেলে কর্মরত পুলিশের এএসপি আসামি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে আমি তিনটা মামলা করি। আসামি নাজমুস সাকিব আমার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে নাটক করেন। বিয়ের স্বীকৃতির দাবি করতে গেলে নাজমুস সাকিবের নির্দেশে তাঁর পরিবার আমাকে হত্যাচেষ্টা করে। পরে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করি। সর্বশেষ গত ২০ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের মামলা করি। ট্রাইব্যুনাল শাহবাগ থানা-পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।’

ওই নারী আরও বলেন, বর্তমানে মামলাটি শাহবাগ থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকারী অফিসার আসামি তাঁর ঊর্ধ্বতন অফিসার হওয়ায় মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দিতে তৎপর রয়েছেন। মামলাটির এফআইআর থাকলেও তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। তিনি খুবই ক্ষমতাধর অফিসার। একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কৌশলে ঘুষ চাইছেন ও নাজেহাল করছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী।

ওই ভুক্তভোগী নারী জানান, নাজমুসের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীও নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা করেছিলেন। কয়েক মাস জেলও খেটেছেন নাজমুস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাজমুসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলে বঞ্চিতের শিকার দাবি করে আবার চাকরিতে যোগ দেন।

এএসপি নাজমুসের বিরুদ্ধে ওই নারী বলেন, ‘আমার সঙ্গে তিনি অন্যায় ও অবিচার করে বিয়ে নামের নাটক করেছেন। আমি বিচার চাচ্ছি।’

অভিযুক্ত ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, ‘এ বিষয় আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তদন্ত চলছে। তদন্তে যা হবে, তা-ই।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘এটা তদন্তাধীন বিষয়। এটা আমরা ক্লোজলি মনিটরিং করছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।’ তদন্তকারী কর্মকর্তার ঘুষ দাবির প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর এসব আছে নাকি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে বিএনপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য

হাজি সেলিমের আজিমপুরের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার

গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, আমরা এখন নিজে খেলব: প্রধান উপদেষ্টা

ভারত-পাকিস্তান ‘হাইভোল্টেজ’ ফাইনাল নিয়ে সুপার কম্পিউটার কী বলে

ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনার সুযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত