Ajker Patrika

ভোলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৫৪
ভোলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগারহাট এলাকায় একটি জানাজায় অংশ নিতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলামের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা ফের হামলা চালায়। এতে তিনি, তাঁর মেয়ে জান্নাত বেগম, ছেলে সুমনসহ আরও ১০ জন আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

হামলার ঘটনা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, তাঁর সমর্থকেরা সকাল থেকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ির সামনে প্রচারণা চালাতে গেলে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক আহত হন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। 

অন্যদিকে, রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী আনারস প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে আহত করেন। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটক করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।’ 

এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আমি ও ডিবির ওসিসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ বর্তমানে রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাছে বাঁধা স্যালাইন, শয্যা রিকশাভ্যানে: খোলা চত্বরেই চলছে শিশু রোগীর চিকিৎসা

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ওয়ার্ডে ঠাঁই না পেয়ে গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এক শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওয়ার্ডে ঠাঁই না পেয়ে গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এক শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ঠাঁই না পেয়ে গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এক শিশু। তার নানি লিপি বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ভেতরে এত দুর্গন্ধ যে নাক চেপেও থাকা যায় না। নাতি কান্না করায় ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি।’

সদর উপজেলার সুলতানা, বীরগঞ্জ উপজেলার জরিনা বেগমসহ অন্য রোগী ও স্বজনদের একই অভিযোগ—নোংরা পরিবেশ, শয্যার অভাব এবং হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় তাঁদের বাইরে ছুটতে হচ্ছে।

হাসপাতালের করিডর, বাথরুম, এমনকি ওয়ার্ডেও বিরাজ করছে চরম অপরিষ্কার পরিবেশ। শিশু ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রানী জানান, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে দুর্গন্ধে তাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে প্রায় ১৬০ জন শিশু, যাদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৬৭ শিশু, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।

হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণও দেখা যায়। রোগী ও স্বজনেরা অভিযোগ করছেন, নোংরা পরিবেশে সুস্থ হতে এসে উল্টো অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

গুরুতর অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র), ডায়ালাইসিস ইউনিট, পিসিআর ল্যাবের জন্য স্থান প্রস্তুত থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে সেগুলো তালাবদ্ধ। দুটি লিফটের মধ্যে একটি নষ্ট থাকায় গুরুতর রোগী ও বয়স্কদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ হাসপাতালটি শুধু ঠাকুরগাঁওয়ের নয়, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ ১২ উপজেলার মানুষের একমাত্র ভরসা। কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপ আর জনবল-সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মোট অনুমোদিত পদ ২২১টি, যার মধ্যে ৫৬টিই শূন্য। ৫৯ জন প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৪০ জন। ২৫০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর চাপ আমাদের সক্ষমতার অনেক বেশি। এক শিফটে ২০-২৫ জন নার্স দিয়ে ৬০০-৭০০ রোগীর সেবা দেওয়া অসম্ভব। তবু আমরা সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, দুই আসনে নতুন মুখ

শিমুল চৌধুরী, ভোলা
গোলাম নবী আলমগীর (ভোলা-১) ও নুরুল ইসলাম নয়ন (ভোলা-৪)। ছবি: সংগৃহীত
গোলাম নবী আলমগীর (ভোলা-১) ও নুরুল ইসলাম নয়ন (ভোলা-৪)। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোলার চারটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী ভোলা-১ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম নবী আলমগীর। ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. হাফিজ ইব্রাহীম। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই। বিগত ২০০১ সালের জোট সরকারের আগে তাঁকে দল থেকে প্রথম মনোনয়ন দেওয়া হয়। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি ভোলা-৩ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেজর হাফিজ বিএনপির একজন অভিজ্ঞ ও হেভিওয়েট নেতা। ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন।

দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাঁকে এবার প্রার্থী করেছে দলটি। এই আসনে গোলাম নবী আলমগীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এই প্রথম মনোনয়ন পান।

এর আগে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট থেকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান। তাঁকে এবার এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে নতুন মুখ হিসেবে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুল ইসলাম নয়ন। এই আসনে এর আগে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম। তিনি দলের একজন হেভিওয়েট নেতা। তিনি এবার দলের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর মঙ্গলবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বড় ভাই মোশারেফ হোসেন শাহজাহান এই আসনে এমপি ছিলেন। তিনি ভোলার জন্য অনেক কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আমিও দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ভোলার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। এটা আমার প্রত্যাশা।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে অসহযোগিতা, মারামারি-হানাহানি এবং বৈরী ভাব দেখা গেছে, সেটা কমিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা যায় কি না সেই চেষ্টা করব।’

ভোলা-৪ আসনে নাজিমউদ্দিন আলম বাদ পড়ার বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নাজিমউদ্দিন আলম তিনবারের এমপি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় কাজ করেছেন। কিন্তু নতুন নেতৃত্বকেও জায়গা করে দিতে হবে। হয়তো সে জন্যই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমনও হতে পারে তাঁকে অন্য জায়গায় স্থান করে দেবে।’

এ বিষয়ে মতামত জানতে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ও বিএনপি নেতা নাজিমউদ্দিন আলমকে মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে কল দিলেও তাঁরা ধরেননি।

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজেপি ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম রতন। তিনি মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।’

এদিকে ভোলার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় জেলার রাজনীতিতে নতুন গতি এনেছে বলে মনে করছেন দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি, গণসংযোগ ও প্রচারণায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাথরঘাটায় ব্যবসায়ীর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকা ছিনতাই, আহত ৩

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিরা পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিরা পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন পাথরঘাটা বাজারের চৌধুরী ফ্যাশন-১-এর স্বত্বাধিকারী শাহ আলম চৌধুরী (৫৫) এবং তাঁর দুই ছেলে চৌধুরী ফ্যাশন-২-এর স্বত্বাধিকারী রাজিব চৌধুরী (৩০) ও সজিব চৌধুরী (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

আহত রাজিব চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে আমার বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। আমড়াতলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন লোক এসে আমাদের পথরোধ করে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এ সময় আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। তখন আমাদের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে তা না দিলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাস্থলটি তুলনামূলকভাবে নির্জন হওয়ায় দুর্বৃত্তরা সহজে হামলার সুযোগ পেয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করি। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টেকনাফে অপহরণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও মানব পাচার: র‍্যাবের অভিযানে নারী উদ্ধার, আটক ৩

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
আটক করা তিন আসামি। ছবি: সংগৃহীত
আটক করা তিন আসামি। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণ ও মানব পাচারের শিকার এক নারীকে কক্সবাজার শহর থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৫। এই ঘটনায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে টেকনাফ থেকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন রেজাউল করিম (২৮), এবাদুল হক (২৯) ও আব্দুল গফুর (৩৬)।

র‍্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ ম ফারুক মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারী তাঁর প্রেমিক ইয়াছিন আরাফাতের বিয়ের প্রলোভনে পড়ে গত ২৯ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে বের হন। পথে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের শিলবুনিয়া পাড়া জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে একদল অপহরণকারী টমটম থামিয়ে চালক ও যাত্রীকে মারধর করে এবং নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণের পর তাঁকে প্রথমে টেকনাফ পৌরসভার কুলাল পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে ৩০ অক্টোবর রাতে সেখানে তাঁকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী নারীকে টমটমচালক আব্দুল গফুরের কাছে বিক্রি করে দেয়। গফুর ওই নারীকে সাবরাং আদর্শ গ্রামে নিজের বাড়িতে আটকে রাখে এবং ১ নভেম্বর রাতে হ্নীলা জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬-এর ব্লক ডি/১-এর রোহিঙ্গা শবে কদরের কাছে পুনরায় বিক্রি করে দেয়।

এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার ৩০ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং র‍্যাবের সহায়তা চায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাতে র‍্যাব-১৫-এর একটি দল কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে। তবে রোহিঙ্গা শবে কদর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও ভুক্তভোগী নারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব ৩ নভেম্বর রাতে টেকনাফ পৌরসভার ঈদগাও মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন রেজাউল করিম, এবাদুল হক ও আব্দুল গফুর।

র‍্যাব জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত