আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাম্প্রদায়িক চেতনার ঊর্ধ্বে থেকে পুথি সংগ্রহ ও সংকলন করেছিলেন। তাঁর সংগৃহীত পুথির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আজ পর্যন্ত এত পুথি সংগ্রহ করতে সক্ষম হননি।
শৈশবে আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষা আয়ত্ত করেন। পটিয়ার ইংলিশ স্কুল থেকে ১৮৯৩ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এখানেই পড়াশোনার ইতি ঘটে। তিনি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম ইংরেজি শিক্ষিত ম্যাট্রিকুলেট ছিলেন।
জীবনের প্রয়োজনে তাঁকে বিচিত্র পেশায় নিয়োজিত থাকতে হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা থেকে শুরু করে আদালতে করণিক পদে চাকরি করেছেন। চট্টগ্রাম কমিশনারের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং পটিয়া আঞ্চলিক ঋণসালিসি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিজের সংগৃহীত পুথিগুলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে দান করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ১১টি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থ। ‘ইসলামাবাদ’ এবং ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি রচনা করেন ‘আরাকান রাজসভায় বাঙলা সাহিত্য’ গ্রন্থটি। এর বাইরে নানা বিষয়ে বহুসংখ্যক চিন্তা ও গবেষণামূলক মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে নদীয়া সাহিত্য সভা ‘সাহিত্য সাগর’ এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী ‘সাহিত্যবিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করে। আর গবেষণাকর্মে অবদান রাখায় ১৯৯৫ সালে সরকার তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।
আবদুল করিম বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি, কলকাতা মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি, চট্টগ্রাম সংস্কৃতি সম্মেলনের সভাপতি এবং কুমিল্লা সংস্কৃতি সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স ও বিএ পরীক্ষা এবং ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের পরীক্ষক ছিলেন তিনি। ছিলেন কোহিনুর, নবনুর, সওগাত ও সাধনা পত্রিকার অবৈতনিক সম্পাদকও।
১৮৭১ সালের ১১ অক্টোবর আবদুল করিম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাম্প্রদায়িক চেতনার ঊর্ধ্বে থেকে পুথি সংগ্রহ ও সংকলন করেছিলেন। তাঁর সংগৃহীত পুথির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আজ পর্যন্ত এত পুথি সংগ্রহ করতে সক্ষম হননি।
শৈশবে আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষা আয়ত্ত করেন। পটিয়ার ইংলিশ স্কুল থেকে ১৮৯৩ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এখানেই পড়াশোনার ইতি ঘটে। তিনি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম ইংরেজি শিক্ষিত ম্যাট্রিকুলেট ছিলেন।
জীবনের প্রয়োজনে তাঁকে বিচিত্র পেশায় নিয়োজিত থাকতে হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা থেকে শুরু করে আদালতে করণিক পদে চাকরি করেছেন। চট্টগ্রাম কমিশনারের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং পটিয়া আঞ্চলিক ঋণসালিসি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিজের সংগৃহীত পুথিগুলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে দান করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ১১টি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থ। ‘ইসলামাবাদ’ এবং ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি রচনা করেন ‘আরাকান রাজসভায় বাঙলা সাহিত্য’ গ্রন্থটি। এর বাইরে নানা বিষয়ে বহুসংখ্যক চিন্তা ও গবেষণামূলক মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে নদীয়া সাহিত্য সভা ‘সাহিত্য সাগর’ এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী ‘সাহিত্যবিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করে। আর গবেষণাকর্মে অবদান রাখায় ১৯৯৫ সালে সরকার তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।
আবদুল করিম বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি, কলকাতা মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি, চট্টগ্রাম সংস্কৃতি সম্মেলনের সভাপতি এবং কুমিল্লা সংস্কৃতি সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স ও বিএ পরীক্ষা এবং ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের পরীক্ষক ছিলেন তিনি। ছিলেন কোহিনুর, নবনুর, সওগাত ও সাধনা পত্রিকার অবৈতনিক সম্পাদকও।
১৮৭১ সালের ১১ অক্টোবর আবদুল করিম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কোকা-কোলার সঙ্গে ইসরায়েরের নানাভাবে সংযোগ থাকতে পারে। তবে এটি মূলত মার্কিন কোম্পানি, যার প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কোকা-কোলা এযাবৎ বহুবার বর্জনের মধ্য দিয়ে গেলেও এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সফট ড্রিংকস কোম্পানি।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
৩ দিন আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
৩ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
৪ দিন আগে