গল্পটা বিশেষ একধরনের স্ট্রবেরির। চমৎকর আকারের পাশাপাশি রং ও গন্ধে অনন্য হওয়ায় এর দাম চড়া। এতটাই চড়া যে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফলগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। এমন একেকটি স্ট্রবেরি কিনতে আপনাকে গুনতে হতে পারে ৩৫০ ডলার বা প্রায় ৩৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। জাপানের এই স্ট্রবেরির নাম ‘বিজেন-হাইম’ বা ‘বিউটিফুল প্রিন্সেস’।
মিকিও অকুদা নামের জাপানের এক কৃষক এই জাত উদ্ভাবন করেন। স্ট্রবেরি চাষে নিজের কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ১৫ বছর নানা ধরনের পরীক্ষা চালিয়ে এই স্ট্রবেরি উৎপাদনে সফল হন অকুদা। এখন বিজেন-হাইম স্ট্রবেরির বিভিন্ন জাতের মধ্যে আলাদা একটি জায়গা দখল করে আছে।
এই জাতের স্ট্রবেরি কিন্তু আকারে বেশ বড়, মোটামুটি একটি টেনিস বলের সমান। ওজনেও কম না, একেকটি ১০০ গ্রামের আশপাশে। তবে বড় আকার ‘বিউটিফুল প্রিন্স’কে অসাধারণ করেনি।
সাধারণত বড় স্ট্রবেরিগুলোর এত চমৎকার গন্ধ থাকে না, তেমনি মিষ্টিও হয় কম। কিন্তু বিজেন-হাইমের বেলায় এটা খাটে না। এটি খেতে বেশ মিষ্টি, তার চেয়ে বড় কথা, এর অনন্য গন্ধ গোলাপের কথা মনে করিয়ে দেবে আপনাকে।
বলা হয়, বিজিন-হাইম স্ট্রবেরির ভেতরটায় নরম এবং কঠিনের নিখুঁত এক ভারসাম্য আছে। এর চমৎকার লাল রং এবং চকচকে বাইরের আবরণ আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে এই জিনিসগুলো বজায় থাকে স্ট্রবেরির ভেতরেও। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো অম্লস্বাদও টের পাবেন না। যেটা সুপারমার্কেটে পাওয়া যাওয়া অনেক জাতের বেলায় দেখা যায়।
অকুদার স্ট্রবেরি খামারটি কোথায় সেটি নিশ্চয় আপনার জানতে ইচ্ছা করছে। আরও অনেক স্ট্রবেরিচাষির মতো মিকিও অকুদা তাঁর বিউটিফুল প্রিন্সেসের চাষ করেন শীতের মাসগুলোতে। গিফু অঞ্চলের হাশিমাতে অবস্থিত তাঁর অকুদা ফার্মের গ্রিনহাউসের ভেতরের বাতাস ও মাটির তাপমাত্রা সতর্কতার সঙ্গে তদারক করেন তিনি। ধীরে ধীরে পরিপক্ব হওয়া স্ট্রবেরিগুলোর মিষ্টতা আর সুগন্ধি হওয়ার একটি বড় কারণ।
জাপানের রাজধানী টোকিওর পশ্চিমে ১৭৫ মাইল দূরে মাউন্ট ওনটাকে আগ্নেয়গিরির কাছে খামারটির অবস্থান। তবে কি এই ফলের অসাধারণ গন্ধ-স্বাদে আগ্নেয় মাটির কোনো ভূমিকা আছে? সেই সম্ভাবনা অবশ্যই উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তবে অকুদা এ বিষয়ে বেশি কিছু খোলাসা করেননি। অবশ্য এর উপযুক্ত কারণও আছে। এমন অসাধারণ একটি স্ট্রবেরি উৎপাদনের কৌশল অন্যরা জেনে যাবেন তা কি হয়?
১৫ বছর বিভিন্ন জাতের স্ট্রেবেরি ক্রসব্রিড করে শেষ পর্যন্ত যেমন চেয়েছিলেন তেমন একটা কিছু উদ্ভাবন করেন অকুদা। বড় আকারের, সুন্দর গঠনের এমন একটি স্ট্রবেরি যেটার গন্ধ অতুলনীয়। অবশ্য এখনো পুরোপুরি মনের মতো করতে পেরেছেন জাতটিকে তা নয়। কারণ কোনো কোনো ফল অনেকটা গোলাকার আকার ধারণ করে। সেগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যাবহারের উপযোগী নয়।
আগেই বলেছি, এ ধরনের স্ট্রবেরির দাম অনেক চড়া। একটি নিলামে বেশ বড় একটি বিজেন-হাইম স্ট্রবেরি বিক্রি হয় ৫০ হাজার ইয়েন বা ৩৮ হাজার টাকায়। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, ৫০০ ডলার বা সাড়ে ৫৩ হাজার টাকায়ও বিকিয়েছে এমন স্ট্রবেরি। তবে সূত্র অসমর্থিত হওয়ায় আপাতত আমরা এর দাম ৩৮ হাজারেই থাকছি। দামে এটি চড়া হবে নাই বা কেন? প্রতিবছর অকুদা ফার্মে বাজারে বিক্রি করা যায় এমন মোটে শ পাঁচেক উৎকৃষ্ট জাতের স্ট্রবেরি উৎপাদন করা হয় বলে জানা গেছে।
কী, এ ধরনের একটা স্ট্রবেরি খেতে কিংবা নিজের হাতে পাড়তে চান? তাহলে আপনাকে যেতে হবে জাপানে। স্ট্রবেরির মৌসুমে, অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে মার্চে অকুদা ফার্ম থেকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পাড়তে পারবেন এই স্ট্রবেরি।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, স্ট্রবেরি প্ল্যান্টস ডট অরগ
গল্পটা বিশেষ একধরনের স্ট্রবেরির। চমৎকর আকারের পাশাপাশি রং ও গন্ধে অনন্য হওয়ায় এর দাম চড়া। এতটাই চড়া যে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফলগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। এমন একেকটি স্ট্রবেরি কিনতে আপনাকে গুনতে হতে পারে ৩৫০ ডলার বা প্রায় ৩৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। জাপানের এই স্ট্রবেরির নাম ‘বিজেন-হাইম’ বা ‘বিউটিফুল প্রিন্সেস’।
মিকিও অকুদা নামের জাপানের এক কৃষক এই জাত উদ্ভাবন করেন। স্ট্রবেরি চাষে নিজের কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ১৫ বছর নানা ধরনের পরীক্ষা চালিয়ে এই স্ট্রবেরি উৎপাদনে সফল হন অকুদা। এখন বিজেন-হাইম স্ট্রবেরির বিভিন্ন জাতের মধ্যে আলাদা একটি জায়গা দখল করে আছে।
এই জাতের স্ট্রবেরি কিন্তু আকারে বেশ বড়, মোটামুটি একটি টেনিস বলের সমান। ওজনেও কম না, একেকটি ১০০ গ্রামের আশপাশে। তবে বড় আকার ‘বিউটিফুল প্রিন্স’কে অসাধারণ করেনি।
সাধারণত বড় স্ট্রবেরিগুলোর এত চমৎকার গন্ধ থাকে না, তেমনি মিষ্টিও হয় কম। কিন্তু বিজেন-হাইমের বেলায় এটা খাটে না। এটি খেতে বেশ মিষ্টি, তার চেয়ে বড় কথা, এর অনন্য গন্ধ গোলাপের কথা মনে করিয়ে দেবে আপনাকে।
বলা হয়, বিজিন-হাইম স্ট্রবেরির ভেতরটায় নরম এবং কঠিনের নিখুঁত এক ভারসাম্য আছে। এর চমৎকার লাল রং এবং চকচকে বাইরের আবরণ আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে এই জিনিসগুলো বজায় থাকে স্ট্রবেরির ভেতরেও। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো অম্লস্বাদও টের পাবেন না। যেটা সুপারমার্কেটে পাওয়া যাওয়া অনেক জাতের বেলায় দেখা যায়।
অকুদার স্ট্রবেরি খামারটি কোথায় সেটি নিশ্চয় আপনার জানতে ইচ্ছা করছে। আরও অনেক স্ট্রবেরিচাষির মতো মিকিও অকুদা তাঁর বিউটিফুল প্রিন্সেসের চাষ করেন শীতের মাসগুলোতে। গিফু অঞ্চলের হাশিমাতে অবস্থিত তাঁর অকুদা ফার্মের গ্রিনহাউসের ভেতরের বাতাস ও মাটির তাপমাত্রা সতর্কতার সঙ্গে তদারক করেন তিনি। ধীরে ধীরে পরিপক্ব হওয়া স্ট্রবেরিগুলোর মিষ্টতা আর সুগন্ধি হওয়ার একটি বড় কারণ।
জাপানের রাজধানী টোকিওর পশ্চিমে ১৭৫ মাইল দূরে মাউন্ট ওনটাকে আগ্নেয়গিরির কাছে খামারটির অবস্থান। তবে কি এই ফলের অসাধারণ গন্ধ-স্বাদে আগ্নেয় মাটির কোনো ভূমিকা আছে? সেই সম্ভাবনা অবশ্যই উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তবে অকুদা এ বিষয়ে বেশি কিছু খোলাসা করেননি। অবশ্য এর উপযুক্ত কারণও আছে। এমন অসাধারণ একটি স্ট্রবেরি উৎপাদনের কৌশল অন্যরা জেনে যাবেন তা কি হয়?
১৫ বছর বিভিন্ন জাতের স্ট্রেবেরি ক্রসব্রিড করে শেষ পর্যন্ত যেমন চেয়েছিলেন তেমন একটা কিছু উদ্ভাবন করেন অকুদা। বড় আকারের, সুন্দর গঠনের এমন একটি স্ট্রবেরি যেটার গন্ধ অতুলনীয়। অবশ্য এখনো পুরোপুরি মনের মতো করতে পেরেছেন জাতটিকে তা নয়। কারণ কোনো কোনো ফল অনেকটা গোলাকার আকার ধারণ করে। সেগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যাবহারের উপযোগী নয়।
আগেই বলেছি, এ ধরনের স্ট্রবেরির দাম অনেক চড়া। একটি নিলামে বেশ বড় একটি বিজেন-হাইম স্ট্রবেরি বিক্রি হয় ৫০ হাজার ইয়েন বা ৩৮ হাজার টাকায়। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, ৫০০ ডলার বা সাড়ে ৫৩ হাজার টাকায়ও বিকিয়েছে এমন স্ট্রবেরি। তবে সূত্র অসমর্থিত হওয়ায় আপাতত আমরা এর দাম ৩৮ হাজারেই থাকছি। দামে এটি চড়া হবে নাই বা কেন? প্রতিবছর অকুদা ফার্মে বাজারে বিক্রি করা যায় এমন মোটে শ পাঁচেক উৎকৃষ্ট জাতের স্ট্রবেরি উৎপাদন করা হয় বলে জানা গেছে।
কী, এ ধরনের একটা স্ট্রবেরি খেতে কিংবা নিজের হাতে পাড়তে চান? তাহলে আপনাকে যেতে হবে জাপানে। স্ট্রবেরির মৌসুমে, অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে মার্চে অকুদা ফার্ম থেকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পাড়তে পারবেন এই স্ট্রবেরি।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, স্ট্রবেরি প্ল্যান্টস ডট অরগ
চীনের এক কিশোর ১৬ হাজার ৭০০ ইউয়ান (প্রায় ২ হাজার ৩৫০ ডলার) খরচ করে উচ্চতা বাড়ানোর চিকিৎসা নিলেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েছেন। ছয় মাসের চিকিৎসায় তাঁর উচ্চতা সামান্য বেড়েছিল। তবে চিকিৎসা বন্ধ করার দুই সপ্তাহের মধ্যে আবার আগের উচ্চতায় ফিরে যান তিনি।
২ দিন আগেচীনের এক নারী উদ্যোক্তা তাঁর অধীনস্থ এক বিবাহিত তরুণের প্রেমে পড়েন। প্রেম এতই গভীর হয় যে তিনি তাঁর অধীনস্থ সেই কর্মীকে ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার দেন, যেন তিনি তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন। চীনা মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ ইউয়ান।
৩ দিন আগেবিবাহ বিচ্ছেদের পর কন্যা সন্তানের কাস্টডি পান বাবা লি। গত সাত বছর ধরে তাঁকে বড় করেছেন। সম্প্রতি ক্যানসারের কারণে শারীরিক অবস্থার খুব বেশিই অবনতি হলে নিজের মৃত্যুর পর যেন সন্তান ভালো থাকে, তা নিশ্চিতে প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন লি। এক পর্যায়ে লি জানতে পারেন যে সন্তানের জন্য...
৮ দিন আগেলন্ডনের একটি আর্ট গ্যালারি থেকে মাত্র ৩৬ সেকেন্ডে চুরি হয়ে গেছে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) মূল্যের একটি ব্যাঙ্কসি আর্টের শিল্পকর্ম। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে লন্ডনের ফিটজরোভিয়াতে গ্রোভ গ্যালারির সামনের কাচের দরজা ভেঙে চোর ভেতরে প্রবেশ করে স্ট্রিট আর
৯ দিন আগে