Ajker Patrika

জাতিসংঘে বিশাল বহর নিয়ে গিয়ে পতিত সরকারের চর্চা করল অন্তর্বর্তী সরকার: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৫১
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শতাধিক প্রতিনিধিসহ অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগের কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিব্রতকর চর্চা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে সংস্থাটি বলেছে, জনগণের করের টাকায় বিদেশ সফরে এত বড় প্রতিনিধিদল পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে জাতিসংঘ অধিবেশনে বিশাল প্রতিনিধিদল পাঠানো ‘স্বাভাবিকতায়’ পরিণত হয়েছিল। কখনো কখনো এই সংখ্যা দুই শতাধিক পর্যন্ত পৌঁছেছিল। অথচ ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের চর্চা বন্ধ হবে—এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সরকার একই পথ অনুসরণ করেছে।

নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক এমদ আরিফুল ইসলাম। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক এমদ আরিফুল ইসলাম। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার অহেতুক বিদেশ সফর রোধে একটি পরিপত্র জারি করেছিল। কিন্তু শতাধিক প্রতিনিধি নিয়ে নিউইয়র্ক যাওয়া সেই অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে সরকার নিজেই নিজের প্রতি আস্থাহীনতার বার্তা দিয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলো বহুমাত্রিক কূটনৈতিক ভূমিকা বজায় রাখতে তুলনামূলক বড় দল পাঠায়। তবু শতাধিক প্রতিনিধি পাঠানো বিরল ঘটনা। আর নাইজেরিয়ার মতো কিছু সুশাসন-বর্জিত দেশের প্রতিনিধিদল বড় হওয়ার পেছনে ‘ভ্রমণবিলাস’ ছাড়া আর কোনো যুক্তি মেলে না।

গত বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধির সংখ্যার কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার ৫৭ জনের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল। এতে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল যে এবার সংখ্যা আরও কমবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা।

ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

টিআইবির প্রশ্ন, প্রতিনিধিদের দায়িত্ব কী, কারা কোন আলোচনায় অংশ নেবেন, জাতীয় স্বার্থে তাঁদের ভূমিকা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কি দলটি গঠিত হয়েছে? নাকি জনগণের করের টাকায় শুধু বিদেশ ভ্রমণই লক্ষ্য?

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারের জন্য এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টান্ত ‘বিব্রতকর ও হতাশাজনক’ বলেও মন্তব্য করেছে টিআইবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের হাতে ইসরায়েলের ‘কয়েক লাখ পৃষ্ঠার’ গোপন নথি, পারমাণবিক স্থাপনার ছবি প্রকাশ

আ.লীগের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত

ভারত–চীন সীমান্তের শীতল লাদাখ জেন–জি আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ কেন

ভারতের কাছে হারের পর বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন রুবেল

চীনা নেতৃত্বাধীন বৃহত্তম বাণিজ্য জোট আরসিইপিতে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত