ডাক্তারের পরামর্শ

জন্মের পরপরই নবজাতককে বুকের দুধ পান করাতে শুরু করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব, এমনকি গর্ভফুল প্রসব হওয়ার আগেই বাচ্চাকে মায়ের বুকে দিতে হবে। শিশুর জন্মের পর এক থেকে দুই দিন বুকের দুধ ভালোভাবে আসে না।

কিডনি রোগ হলো নীরব ঘাতক। জীবনের গুণগত মানের ওপর এর অনেক প্রভাব। তবে কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে আছে উপায়। কিডনি ওয়াশিং মেশিনের মতো শরীরের সব জঞ্জাল রক্তে ফিল্টার করে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। প্রতিদিন এটি ১৮০ লিটার রক্ত ফিল্টার করে। রক্ত প্রতিদিন পরিশোধিত হয় ৫০ বার।

নাকের প্রধান কাজ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। হঠাৎ নাক থেকে রক্ত পড়তে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ভয় পায় মানুষ। নাক দিয়ে রক্ত পড়াকে বলা হয় এপিসট্যাক্সিস। এটি নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণমাত্র। যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষ এ সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি নাকের এক পাশ অথবা উভয় পাশ দিয়ে হতে পারে।

ডেঙ্গুতে মৃত্যু থেমে নেই। ভাইরাসঘটিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব এখন দেশজুড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগী মামুলি জ্বর থেকে অল্পতেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে পাঁচ ভাগ রোগীর তৈরি হতে পারে জটিলতা।

আমার মেনোপজ হয়েছে তিন মাস আগে। তবে সম্প্রতি আমি লক্ষ করছি, আমার তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, যা মেনোপজের আগে হতো। এটা হওয়া স্বাভাবিক কি না, তা জানতে চাইছি। আর ব্যথার কারণে কয়েকবার আমি নাপাও খেয়েছি। তবে তা খুব বেশি উপকার করে না। 

শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন খাওয়া উচিত। ফল ও সবজি থেকে ভিটামিন পেয়ে থাকি। আমাদের মাঝে তাই একধরনের মানসিকতা আছে যে ভিটামিন খেতে হবে। কিন্তু সেটা অবশ্যই পরিমাণমতো। ভিটামিন বেশি খেলেই যে উপকার পাওয়া যায় বিষয়টি এমন নয়। শরীরের চাহিদার চেয়ে বেশি ভিটামিন খেলে উপকারের চেয়ে অপকার হওয়ার আশঙ্

দ্রুত ওজন কমাতে মসলা খাচ্ছেন? সেটা করার আগে জেনে নিন, মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ায়, সেটি ঠিক। কিছু মসলা খেয়ে ওজন কমানো যায় বলে মানুষ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সেগুলো খেয়ে থাকে। কিন্তু এটা জানেন কি, এসব মসলা দ্রুত ওজন কমালেও বিপাকক্রিয়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করে। এর জন্য ভবিষ্যতে স্বাস্থ

আমার ছেলের বয়স ১৯ বছর। আমরা বাবা-মা লম্বা হলেও ছেলে সেই তুলনায় লম্বা হয়নি। এ জন্য ওকে অনেক বুলির মুখোমুখি হতে হয় সব জায়গাতেই। ও মানসিকভাবে অনেক বেশি বিপর্যস্ত। আমরা অনেকভাবেই চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওর উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কেউ কেউ বলছে, এটা হরমোনের কারণে হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর মাসটি ব্যথা-বেদনা সচেতনতার মাস। প্রতিবছর কোটি কোটি মানুষের কত কত দিন বেদনার নীল যন্ত্রণায় কেটে যায়—কী দুর্ভোগ, কী কষ্ট! যাদের হয় তারা ছাড়া অন্য কেউ বোঝে না। গুরুতর ব্যথা যাদের, তাদের জন্য ব্যবহার করা হয় মরফিন—সেটা অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শে। জীবনের মান সমুন্নত রাখার জন্য এ ব্যবস্থা নিরাপদ।

সিঙ্গেল প্যারেন্টের বড় সমস্যা হলো, একা হাতে সব সামলে মানসিকভাবে শক্ত থাকা। আমি ১০ বছর ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছি এর সঙ্গে। মাঝে মাঝে ক্লান্তি লাগে। অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান আমাকে ভুল বোঝে। বুঝতে পারি, বাইরের মানুষের প্রভাবে সে এমন করে। অনেক সময় তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলি। আমি তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি

শিশুকে আগামীর কান্ডারি হতে হলে অবশ্যই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে হবে। সে জন্য চাই রুটিনমাফিক সুষম খাবার। পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে শিশুর প্রায় ৭৫ শতাংশ মানসিক বিকাশ ঘটে। এর গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করে সুষম খাবার। এটি শিশুর গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধিতে দারুণভাবে সহায়ক।

মেছতা বা মেলাসমা নারীদের বেশি হয়। এর ফলে মুখে কালো দাগ দেখা দেয়। মুখে এসব নিয়ে বাইরে চলাফেরায় বিব্রত হতে হয়। পরিমাণে কম হলেও পুরুষদের মেছতা হয়। পুরুষদের মেছতার সঙ্গে সূর্যের আলোর সম্পর্ক রয়েছে।

সোহানা কিছুদিন ধরেই কোমরব্যথায় ভুগছেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন ব্যাংকার। পুরো সময় তাঁকে বসে কাজ করতে হয়। একদিন একটা কাজে বন্ধু সজীব তাঁর কাছে এসেছেন। তিনি পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। তাঁকে কোমরব্যথার কথা জানাতেই তিনি বললেন এক বিস্ময়কর কথা। সোহানার কোমরব্যথার জন্য

ব্যথা কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। আমরা যখন শরীরের কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হই বা রোগাক্রান্ত হই, তখন ব্যথা অনুভব  করি। এই সব ব্যথার আবার বিভিন্ন রকমফের হতে পারে।

আমার সন্তানের বয়স ছয় বছর। ইদানীং খেয়াল করছি, সে বাথরুমে কম যাচ্ছে। প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে না। পানি খেতে বললে খেতে চায় না। তরল কিছু খেতে দিলে খাচ্ছে না। এটা কি কোনো ধরনের অসুখের লক্ষণ?

মানবদেহের ওজন বহন করা যে কটি জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি আছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটু। দেশে প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই হাঁটুর ব্যথার সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রসব-পরবর্তী সময়ে কোনো কারণ ছাড়া জ্বর এলে ডেঙ্গু ধরে নিতে হবে। এ সময় রোগীর ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কম বা বেশি–দুটোই ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়। আর যদি ডেঙ্গু হেমোরেজিক হয়, সে ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর