লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ
ডেঙ্গুতে মৃত্যু থেমে নেই। ভাইরাসঘটিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব এখন দেশজুড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগী মামুলি জ্বর থেকে অল্পতেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে পাঁচ ভাগ রোগীর তৈরি হতে পারে জটিলতা।
জটিলতা কাদের বেশি
সাধারণত শিশু, বৃদ্ধ, স্থূলকায় ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের জটিলতা বেশি হতে পারে। যেসব নারীর মাসিকের সময় অধিক রক্তক্ষরণ ঘটে, যাঁরা স্টেরয়েড অথবা ব্যথাবেদনানাশক ওষুধ গ্রহণ করেন, তাঁরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, জন্মগত হৃদ্রোগ, কিডনি ফেইলিউর, লিভার সিরোসিস, পেপটিক আলসারের রোগীদের জটিলতা বেশি হতে পারে।
কেন জটিলতা হয়
ডেঙ্গু আক্রমণের একটা পর্যায়ে রক্তনালি থেকে রক্তরস বের হয়ে আসে। ফলে পেটে ও ফুসফুসে পানি জমতে শুরু করে। রক্তের পরিমাণ কমে যায় এবং ঘনত্ব বাড়তে থাকে। বেড়ে যায় হেমাটোক্রিট। রক্তের প্রোটিন কমে যাওয়ায় রক্তচাপ কমে যায়। যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে রোগী শকে চলে যায় এবং এ ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে।
প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা হ্রাস
ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণে রক্তের অণুচক্রিকা কমতে শুরু করে। এগুলো অনেক সময় খুব দ্রুত কমে যায়। অণুচক্রিকা হলো রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ কণিকা, যেগুলো রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বর কিংবা অন্য কোনো কারণে অণুচক্রিকা কমে গেলে রক্তক্ষরণের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। ফলে ঝুঁকি বাড়ে।
রক্তক্ষরণ
ভাইরাসের আক্রমণে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুরু হতে পারে রক্তক্ষরণ। এটি কখনো হতে পারে মৃদুমাত্রার, কখনো তীব্র। রক্তপাত হতে পারে বিভিন্ন পথে। দাঁতের গোড়া ও নাক থেকেও হতে পারে মৃদুমাত্রার রক্তক্ষরণ। বমি কিংবা পায়খানার সঙ্গে হতে পারে, প্রস্রাবের পথেও হতে পারে রক্তক্ষরণ। মস্তিষ্কেও রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়।
অন্যান্য অঙ্গ আক্রমণ
এ সময় লিভার আক্রান্ত হতে পারে। ফলে লিভার বড় হয়ে যায় এবং এনজাইম বেড়ে যায় বহুগুণ। পিত্তাশয় আক্রান্ত হয় প্রায়ই। ফলে প্রদাহ হয় অঙ্গটিতে। এই ভাইরাসে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়। ফলে রোগী অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। শুরু হতে পারে খিঁচুনি। হৃৎস্পন্দন হতে পারে এলোমেলো। হৃৎপিণ্ডের পেশি কোষ আক্রান্ত হয়ে হতে পারে কার্ডিওমায়োপ্যাথি। কিডনি, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়— সব অঙ্গ হতে পারে বিকল।
করণীয়
জ্বর হলে অবহেলা না করে প্রথমেই জানা দরকার ডেঙ্গু কি না। ডেঙ্গু হলে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে জটিলতা নির্ণয় এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিপৎচিহ্ন দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় দেরি করলে বিপদ হতে পারে।
লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ,মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা
ডেঙ্গুতে মৃত্যু থেমে নেই। ভাইরাসঘটিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব এখন দেশজুড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগী মামুলি জ্বর থেকে অল্পতেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে পাঁচ ভাগ রোগীর তৈরি হতে পারে জটিলতা।
জটিলতা কাদের বেশি
সাধারণত শিশু, বৃদ্ধ, স্থূলকায় ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের জটিলতা বেশি হতে পারে। যেসব নারীর মাসিকের সময় অধিক রক্তক্ষরণ ঘটে, যাঁরা স্টেরয়েড অথবা ব্যথাবেদনানাশক ওষুধ গ্রহণ করেন, তাঁরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, জন্মগত হৃদ্রোগ, কিডনি ফেইলিউর, লিভার সিরোসিস, পেপটিক আলসারের রোগীদের জটিলতা বেশি হতে পারে।
কেন জটিলতা হয়
ডেঙ্গু আক্রমণের একটা পর্যায়ে রক্তনালি থেকে রক্তরস বের হয়ে আসে। ফলে পেটে ও ফুসফুসে পানি জমতে শুরু করে। রক্তের পরিমাণ কমে যায় এবং ঘনত্ব বাড়তে থাকে। বেড়ে যায় হেমাটোক্রিট। রক্তের প্রোটিন কমে যাওয়ায় রক্তচাপ কমে যায়। যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে রোগী শকে চলে যায় এবং এ ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে।
প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা হ্রাস
ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণে রক্তের অণুচক্রিকা কমতে শুরু করে। এগুলো অনেক সময় খুব দ্রুত কমে যায়। অণুচক্রিকা হলো রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ কণিকা, যেগুলো রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বর কিংবা অন্য কোনো কারণে অণুচক্রিকা কমে গেলে রক্তক্ষরণের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। ফলে ঝুঁকি বাড়ে।
রক্তক্ষরণ
ভাইরাসের আক্রমণে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুরু হতে পারে রক্তক্ষরণ। এটি কখনো হতে পারে মৃদুমাত্রার, কখনো তীব্র। রক্তপাত হতে পারে বিভিন্ন পথে। দাঁতের গোড়া ও নাক থেকেও হতে পারে মৃদুমাত্রার রক্তক্ষরণ। বমি কিংবা পায়খানার সঙ্গে হতে পারে, প্রস্রাবের পথেও হতে পারে রক্তক্ষরণ। মস্তিষ্কেও রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়।
অন্যান্য অঙ্গ আক্রমণ
এ সময় লিভার আক্রান্ত হতে পারে। ফলে লিভার বড় হয়ে যায় এবং এনজাইম বেড়ে যায় বহুগুণ। পিত্তাশয় আক্রান্ত হয় প্রায়ই। ফলে প্রদাহ হয় অঙ্গটিতে। এই ভাইরাসে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়। ফলে রোগী অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। শুরু হতে পারে খিঁচুনি। হৃৎস্পন্দন হতে পারে এলোমেলো। হৃৎপিণ্ডের পেশি কোষ আক্রান্ত হয়ে হতে পারে কার্ডিওমায়োপ্যাথি। কিডনি, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়— সব অঙ্গ হতে পারে বিকল।
করণীয়
জ্বর হলে অবহেলা না করে প্রথমেই জানা দরকার ডেঙ্গু কি না। ডেঙ্গু হলে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে জটিলতা নির্ণয় এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিপৎচিহ্ন দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় দেরি করলে বিপদ হতে পারে।
লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ,মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুমোদিত করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১ দিন আগেঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
১ দিন আগে