মৌলভীবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং কমলগঞ্জের ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সুনছড়া চা-বাগান। এর একটি টিলার ওপর টিনের জীর্ণ ঘর। বাইরে হেলে পড়া বাঁশে ঝুলে আছে জাতীয় পতাকা। ছোট্ট কক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে দুটি কক্ষ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। জীর্ণ ঘরের মত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় চা-শ্রমিক পরিবারের সন্তান গোপাল সাঁওতাল। বয়স মাত্র সাড় তিন বছর। জন্ম থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। এই বয়সে অন্য স্বাভাবিক শিশুরা যেখানে ছোট্ট পায়ে ঘরময় হেঁটে বেড়ায়, সেখানে ঘরের ভেতর মাটির গর্তের মধ্যে বুক পর্যন্ত ঢুকিয়ে রাখা হয় তাকে। ক্ষুধার সময় কান্নাকাটি করলে সেখানেই
জেসমিন আক্তার। বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। স্বামীর হাত ধরে চা-গাছের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জেসমিন। এরপর কুমিল্লা থেকে স্বামী আবদুল বারেকের সঙ্গে চলে আসেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। কাজ নেন নেপচুন চা-বাগানে। সেখানে সংসার শুরুর পরপরই স্বামীর সঙ্গে লেগে পড়েন চা-বাগানের কাজে...
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চা-বাগান ঘুরে দেখার জন্য এত দিন কোনো ফি নেওয়া হতো না। তবে এবার পর্যটকদের চা-বাগানে প্রবেশের জন্য গুনতে হবে ২০ টাকা। যা চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে খরচ করা হবে।