নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সন্তানদের লেখাপড়া করাতে চান চা-শ্রমিকেরা। কিন্তু কোনো সরকারি স্কুলের ব্যবস্থা নেই। যে বেতন দেওয়া হয়, বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় জিনিসপত্র কেনা যেন সোনার হরিণ। এক দিনে ২৩ কেজি চা-পাতা তুললে ১৭৮ টাকা পাওয়া যায়। এর বেশি তুললে ৫ টাকা কেজি ধরে দেওয়া হয়। কিন্তু কম তুললে বেতন কমে যায়।
সিলেটের শাহি ঈদগাহে এলাকার দলদলি চা-বাগানের নারী চা-শ্রমিকেরা উঠান বৈঠকে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন। আজ বুধবার বেলা তিনটায় চা-বাগানের অভ্যন্তরে টিলার একটি বাসস্থানের উঠানে এ বৈঠকে চা-বাগানের পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে থাকা নারী সদস্য ও চা-শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
‘চা-বাগানের নারী শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে নেতৃত্ব বিকাশ’ শীর্ষক এ উঠান বৈঠকে নারী চা-শ্রমিকেরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রের নানা সমস্যা, সমাধান ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
উঠান বৈঠকে চা-বাগানের পঞ্চায়তের নারী সদস্য অনিতা দাশ বলেন, ‘আমরা এমন এক জায়গায় বাস করছি, যেখানে আমাদের অধিকারগুলো কী, সেসব জানি না। এই যে আমরা চা-পাতা তোলার কাজ করে ১৭৮ টাকা দৈনিক বেতন পাই, এটা দিয়ে তো সংসার চালানো যায় না। বাগানে টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির ব্যবস্থা অপ্রতুল। বহু কষ্ট করে চলাফেরা ও কাজ করতে হচ্ছে।’
চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার দিকটিও তুলে ধরেন এই নারী। তিনি বলেন, ‘এখানে সূর্য ক্লিনিক নামে একটি চিকিৎসালয় রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা খুবই বাজে অবস্থা। এতে কোনো টয়লেট, বসার ব্যবস্থা নেই। আমরা চাই এটার উন্নয়ন করা হোক।’
গীতামুন্ডা নামের একজন চা-শ্রমিক বলেন, ‘আমি চা-বাগানের সন্তান। আমার মা-বাপরা এখানে কাজ করেছে, আমরাও কাজ করব। এটা আমাদের কপাল। কিন্তু এখানের যে নিজস্ব আইন ও অধিকার আছে, তা থেকে আমরা বঞ্চিত। এখানে এ রকম উঠান বৈঠক কোনো সময় হয়নি। আমাদের এখানে বসা একটি ভাগ্যের ব্যাপার।’
পঞ্চায়েতের সদস্য ও চা-শ্রমিক সুমি নাইথ বলেন, ‘সংসার চালানোর জন্য ৮-৯ মাসের গর্ভবতী মায়েদের কাজ করতে হয়, তাঁদের অনেক সমস্যা হয়। এই ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনো কিছুই নেই। ছোট বাচ্চাদের রাখার মতো কোনো জায়গা নেই। নারী চা-শ্রমিকদের মাসিক চলাকালীন এক কাপড়েই থাকতে হয়। এতে ভয়াবহ রোগ হতে পারে। এখানে মারাও গেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির মধ্যেই কাজ করতে হয়। কোনো কিছু দেওয়া হয় না।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের প্রতিনিধিদলের আগমন উপলক্ষে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন’ এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো)। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত দূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার, পরামর্শক ইউরাটে স্মলস্কাইট মারভেলি, গভর্ন্যান্স ও মানবাধিকার শাখার প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক লায়লা জেসমিন বানু, জুঁই চাকমা, অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ ধামলী, অ্যাডভোকেসি ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোগ্রাম সমন্বয়ক শাহজাদী বেগম, তারেক আজিজ, প্রোগ্রাম বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার, যোগাযোগ কর্মকর্তা শামিউল ইসলাম, একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নারী চা-শ্রমিকদের সার্বিক জীবনব্যবস্থার কথা শুনেছেন।
প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করি। আমরা আপনাদের জীবনব্যবস্থার নানা দিক সম্পর্কে জানতে এসেছি। চা-শ্রমিকদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, নারী শ্রমিকেরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন। আপনাদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে। আমি আপনাদের বিষয়গুলো শুনেছি। আপনাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করব।’
উঠান বৈঠকের পরে বিকেল সোয়া চারটায় চা-বাগানে পথনাটক পরিদর্শন করেন চা-শ্রমিকেরা।
সন্তানদের লেখাপড়া করাতে চান চা-শ্রমিকেরা। কিন্তু কোনো সরকারি স্কুলের ব্যবস্থা নেই। যে বেতন দেওয়া হয়, বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় জিনিসপত্র কেনা যেন সোনার হরিণ। এক দিনে ২৩ কেজি চা-পাতা তুললে ১৭৮ টাকা পাওয়া যায়। এর বেশি তুললে ৫ টাকা কেজি ধরে দেওয়া হয়। কিন্তু কম তুললে বেতন কমে যায়।
সিলেটের শাহি ঈদগাহে এলাকার দলদলি চা-বাগানের নারী চা-শ্রমিকেরা উঠান বৈঠকে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন। আজ বুধবার বেলা তিনটায় চা-বাগানের অভ্যন্তরে টিলার একটি বাসস্থানের উঠানে এ বৈঠকে চা-বাগানের পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে থাকা নারী সদস্য ও চা-শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
‘চা-বাগানের নারী শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে নেতৃত্ব বিকাশ’ শীর্ষক এ উঠান বৈঠকে নারী চা-শ্রমিকেরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রের নানা সমস্যা, সমাধান ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
উঠান বৈঠকে চা-বাগানের পঞ্চায়তের নারী সদস্য অনিতা দাশ বলেন, ‘আমরা এমন এক জায়গায় বাস করছি, যেখানে আমাদের অধিকারগুলো কী, সেসব জানি না। এই যে আমরা চা-পাতা তোলার কাজ করে ১৭৮ টাকা দৈনিক বেতন পাই, এটা দিয়ে তো সংসার চালানো যায় না। বাগানে টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির ব্যবস্থা অপ্রতুল। বহু কষ্ট করে চলাফেরা ও কাজ করতে হচ্ছে।’
চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার দিকটিও তুলে ধরেন এই নারী। তিনি বলেন, ‘এখানে সূর্য ক্লিনিক নামে একটি চিকিৎসালয় রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা খুবই বাজে অবস্থা। এতে কোনো টয়লেট, বসার ব্যবস্থা নেই। আমরা চাই এটার উন্নয়ন করা হোক।’
গীতামুন্ডা নামের একজন চা-শ্রমিক বলেন, ‘আমি চা-বাগানের সন্তান। আমার মা-বাপরা এখানে কাজ করেছে, আমরাও কাজ করব। এটা আমাদের কপাল। কিন্তু এখানের যে নিজস্ব আইন ও অধিকার আছে, তা থেকে আমরা বঞ্চিত। এখানে এ রকম উঠান বৈঠক কোনো সময় হয়নি। আমাদের এখানে বসা একটি ভাগ্যের ব্যাপার।’
পঞ্চায়েতের সদস্য ও চা-শ্রমিক সুমি নাইথ বলেন, ‘সংসার চালানোর জন্য ৮-৯ মাসের গর্ভবতী মায়েদের কাজ করতে হয়, তাঁদের অনেক সমস্যা হয়। এই ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনো কিছুই নেই। ছোট বাচ্চাদের রাখার মতো কোনো জায়গা নেই। নারী চা-শ্রমিকদের মাসিক চলাকালীন এক কাপড়েই থাকতে হয়। এতে ভয়াবহ রোগ হতে পারে। এখানে মারাও গেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির মধ্যেই কাজ করতে হয়। কোনো কিছু দেওয়া হয় না।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের প্রতিনিধিদলের আগমন উপলক্ষে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন’ এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো)। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত দূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার, পরামর্শক ইউরাটে স্মলস্কাইট মারভেলি, গভর্ন্যান্স ও মানবাধিকার শাখার প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক লায়লা জেসমিন বানু, জুঁই চাকমা, অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ ধামলী, অ্যাডভোকেসি ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোগ্রাম সমন্বয়ক শাহজাদী বেগম, তারেক আজিজ, প্রোগ্রাম বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার, যোগাযোগ কর্মকর্তা শামিউল ইসলাম, একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নারী চা-শ্রমিকদের সার্বিক জীবনব্যবস্থার কথা শুনেছেন।
প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করি। আমরা আপনাদের জীবনব্যবস্থার নানা দিক সম্পর্কে জানতে এসেছি। চা-শ্রমিকদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, নারী শ্রমিকেরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন। আপনাদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে। আমি আপনাদের বিষয়গুলো শুনেছি। আপনাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করব।’
উঠান বৈঠকের পরে বিকেল সোয়া চারটায় চা-বাগানে পথনাটক পরিদর্শন করেন চা-শ্রমিকেরা।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে