Ajker Patrika

এনভিডিয়া ও মার্কিন সরকারের পর অ্যাপলের বিনিয়োগ চায় ইন্টেল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এনভিডিয়া ও মার্কিন সরকারের পর অ্যাপলের বিনিয়োগ চায় ইন্টেল

প্রযুক্তি খাতে আলোচিত ও ধুঁকতে থাকা চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল নতুন করে বিনিয়োগ পাওয়ার আশায় অ্যাপলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানায়, অ্যাপলের সঙ্গে ইন্টেল শুধু বিনিয়োগ নয়, আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দিকেও নজর দিচ্ছে। তবে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ খবরে গতকাল বুধবার (স্থানীয় সময়) নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ইন্টেলের শেয়ারের দাম ৬ শতাংশ বেড়ে যায়।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপল থেকে সম্ভাব্য বিনিয়োগ পেলে এটি ইন্টেলের জন্য একটি বড় আস্থার প্রতীক হবে। কারণ ২০২০ সালের আগে অ্যাপল দীর্ঘদিন ধরে ইন্টেলের চিপ ব্যবহার করত। পরে তারা নিজেদের ডিজাইন করা চিপ ব্যবহার করে। এসব চিপ তৈরি করে থাকে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাইওয়ানের টিএসএমসি।

সম্প্রতি ইন্টেল প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বা ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করে ৪ শতাংশ মালিকানা অর্জন করেছে আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট এনভিডিয়া। এনভিডিয়া ও ইন্টেল যৌথভাবে পিসি ও ডেটা সেন্টারের চিপ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও এনভিডিয়ার চিপ ইন্টেলর কারখানায় তৈরি হবে না। এই অংশ তাদের চুক্তির বাইরে রয়েছে।

এর আগে এক ব্যতিক্রমী চুক্তিতে ইন্টেলের ১০ শতাংশ মালিকানা গ্রহণ করেছে মার্কিন সরকার। প্রতিষ্ঠানটি দেশেই কারখানা নির্মাণ ও সম্প্রসারণের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার পায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগেই এই চুক্তি সম্ভব হয়।

গত মাসেই ইন্টেল আরও ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে জাপানের সফটব্যাংক গ্রুপের কাছ থেকে।

ইন্টেলের বর্তমান প্রধান নির্বাহী লিপ-বু টান বেশ কিছু অংশীদার জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। এনভিডিয়া ও সফটব্যাংকের পর এবার অ্যাপলের দিকেও হাত বাড়িয়েছে ইন্টেল। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চিপ উৎপাদনে এনভিডিয়া ও এএমডির চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে। তাই শীর্ষস্থান ফিরে পেতে নতুন বিনিয়োগ ও উৎপাদন অংশীদারিত্বে গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের ভূরাজনৈতিক হুমকির কারণে অ্যাপল তাদের চিপ সরবরাহব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে চায়। বর্তমানে অ্যাপলের নিজস্ব চিপ তৈরি হয় প্রধানত তাইওয়ানে অবস্থিত টিএসএমসির কারখানায়। ইন্টেলের সঙ্গে নতুন অংশীদারিত্ব অ্যাপলের জন্য এই সমস্যা সমাধানের একটি উপায় হতে পারে।

এ ছাড়া, অধিকাংশ উৎপাদন এখনো আন্তর্জাতিক হলেও অ্যাপল আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইন্টেলের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি থেকে বাদ

বঙ্গবন্ধু জেন–জিদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, হাসিনা সবচেয়ে অজনপ্রিয়: জরিপ

রুমে এসো, বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যাব—ছাত্রীদের বলতেন স্বামী চৈতন্যানন্দ

লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!

৮৬% শেয়ারই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত