Ajker Patrika

নিজের ৯৫ শতাংশ সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিজের শর্তে সম্পদ বিতরণ করতে পছন্দ করেন ল্যারি এলিসন। ছবি: অ্যাসোটিয়েটেড প্রেস
নিজের শর্তে সম্পদ বিতরণ করতে পছন্দ করেন ল্যারি এলিসন। ছবি: অ্যাসোটিয়েটেড প্রেস

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের পরে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হলেন ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী, বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭৩ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক মাসে ওরাকলের শেয়ারের দাম ব্যাপক বাড়ার কারণে এলিসনের সম্পদ দ্রুত বেড়েছে। এই বৃদ্ধির পেছনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা একটি প্রধান কারণ।

তবে খুব কম মানুষই জানেন, এলিসন ২০১০ সালেই ‘দ্য গিভিং প্লেজ’-এ অংশ নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজের ৯৫ শতাংশ সম্পদ দান করবেন। তবে, তিনি প্রচলিত দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে নয়, নিজের শর্তে সম্পদ বিতরণ করতে পছন্দ করেন।

ফরচুন ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এলিসন কীভাবে নিজের বিপুল সম্পদ দান করার পরিকল্পনা করছেন। তাঁর মোট সম্পদের বড় অংশই ওরাকলের ৪১ শতাংশ মালিকানা এবং টেসলার শেয়ার থেকে এসেছে।

তাঁর প্রধান দান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে এলিসন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ইআইটি) মাধ্যমে। এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর মূল ক্যাম্পাস স্থাপন করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও এআই গবেষণার মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে।

২০২৭ সালের মধ্যে অক্সফোর্ডে প্রায় ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে ইআইটির একটি নতুন ও আধুনিক ক্যাম্পাস উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এর আগেও এলিসন কিছু উল্লেখযোগ্য সম্পদ দান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ মিলিয়ন ডলার দান করে তিনি একটি ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ ছাড়া বার্ধক্য ও রোগ প্রতিরোধবিষয়ক গবেষণার জন্য এলিসন মেডিকেল ফাউন্ডেশনে প্রায় ১০০ কোটি ডলার দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়।

অন্য অনেক ধনী দাতার তুলনায় এলিসনের দানের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ কম হলেও গিভিং প্লেজ এবং এলিসন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে তাঁর দানের আর্থিক পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এলিসন বলেছেন, নিজের জীবনের প্রায় সব সম্পদই তিনি ধাপে ধাপে সমাজকল্যাণে ব্যয় করবেন। তা হবে তাঁর নিজের নিয়ন্ত্রণে ও নিজের সময়সূচি অনুযায়ী।

তবে ইআইটি-কে ঘিরে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নিয়ে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালে এলিসন বিজ্ঞানী জন বেলকে গবেষণা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে আগস্ট মাসে তিনি ঘোষণা দেন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট সান্তা ওনো বেলের সঙ্গে ‘সহযোগিতা’ করবেন। এই ঘোষণার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই জন বেল পদত্যাগ করেন এবং একে ‘অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প’ বলে মন্তব্য করেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত