Ajker Patrika

কোভিড ও নির্বাচন-সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছড়িয়ে নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলো ইউটিউবে ফিরছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২০ সালের পর ইউটিউবের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ছবি: ইউটিউব
২০২০ সালের পর ইউটিউবের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ছবি: ইউটিউব

করোনা মহামারি নিয়ে এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২০ সালে নিষিদ্ধ করা চ্যানেলগুলো ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। গুগল ঘোষণা দিয়েছে, পূর্বের এক কনটেন্ট মডারেশন সিদ্ধান্ত বাতিল করতে যাচ্ছে তারা। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইউটিউব তার ‘স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতি অঙ্গীকার’ পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানানো হয়।

মার্কিন কংগ্রেসের হাউস জুডিশিয়ারি কমিটিতে পাঠানো এক চিঠিতে অ্যালফাবেট (গুগলের মূল কোম্পানি) জানায়, বাইডেন প্রশাসন কোম্পানিকে এমন কিছু কনটেন্ট মুছে ফেলার জন্য চাপ দিয়েছিল, যা তাদের নিজস্ব নীতিমালার লঙ্ঘন ছিল না। অ্যালফাবেটের আইনজীবীরা লিখেছেন, ‘যখন কোনো সরকার, এমনকি বাইডেন প্রশাসনও কোম্পানির কনটেন্ট মডারেশন পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, তা অগ্রহণযোগ্য এবং ভুল।’

২০২০ সালে কোভিড মহামারির চূড়ান্ত সময় এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদের শেষ দিকে ইউটিউব একটি ‘মেডিকেল মিসইনফরমেশন পলিসি’ চালু করেছিল। এই নীতি অনুযায়ী, যেসব ভিডিওতে কোভিড-১৯ সম্পর্কে ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব প্রচার করা হয়, সেগুলো সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়। একইভাবে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর ইউটিউব সাময়িকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব চ্যানেলসহ কিছু চ্যানেল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এসব চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে দাবি করা হয়, ‘নির্বাচন চুরি হয়েছে’।

এরপর ট্রাম্পের মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) আন্দোলনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক স্টিভেন ক্রাউডারের মতো একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির ভিডিও ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি তাদের চ্যানেলের মনিটাইজেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এখন অ্যালফাবেট বলছে, ২০২০ সালের পর ইউটিউবের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন তাদের লক্ষ্য ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করা। যেসব নীতিমালা ভাঙার কারণে এসব চ্যানেল নিষিদ্ধ হয়েছিল, সেগুলো আর নেই। তাই তাদের ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে।

এ ছাড়া গুগল জানিয়েছে, ইউটিউব এখন আর তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্টচেকার ব্যবহার করবে না। রিপাবলিকান পার্টি ও মাগা ঘরানার ইনফ্লুয়েন্সাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন, ফ্যাক্টচেকাররা রক্ষণশীল কনটেন্টকে অবমূল্যায়ন করে।

এক্সে একটি আলাদা বিবৃতিতে ইউটিউব জানিয়েছে, এটি একটি ‘সীমিত পাইলট প্রকল্প’। এই প্রকল্পে কেবল কিছু নির্বাচিত নির্মাতা ও পূর্বে নিষিদ্ধ হওয়া কিছু চ্যানেলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসব চ্যানেল ‘ডিপ্রিকেটেড’ নীতিমালার আওতায় ছিল।

এদিকে ইউটিউবের এই সিদ্ধান্তকে ‘সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে আরেকটি জয়’ বলে অভিহিত করেছেন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান প্রতিনিধি জিম জর্ডান। তিনি বলেন, ইউটিউব আমেরিকান জনগণের কাছে ‘ক্ষমা চাইছে’ এবং দান বংগিনোর মতো বিতর্কিত ইনফ্লুয়েন্সারদের (যিনি বর্তমানে এফবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর) ফেরার পথ করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউটিউব এখন ইউরোপীয় কনটেন্ট মডারেশন আইনগুলোর বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। এসব আইন যুক্তরাষ্ট্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে।

এদিকে অ্যালফাবেট এখনো একাধিক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার সম্মুখীন। এখনো ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনেও গুগলের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিওজে) এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। সম্প্রতি এক বিচারক রায় দেন, সার্চ ইঞ্জিনে অবৈধ একচেটিয়া আধিপত্য রাখলেও গুগলকে তার ক্রোম ব্রাউজার বিক্রি করতে হবে না। অবশ্য আরেক মামলায় গুগলকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্পিকারের বাসভবনই হবে প্রধানমন্ত্রীর অস্থায়ী আবাস

ঘরে সদ্য বিবাহিত বিক্রয় প্রতিনিধির লাশ, চিরকুটে লেখা ‘জীবন খুবই কঠিন’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আলোচনায় আসনের ভাগ

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করেও মুখে দুর্গন্ধের কারণ, পরিত্রাণের উপায়

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর হাইস্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নয়: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত