অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে দক্ষ যুক্তরাজ্যের কর্মীরা গড়ে ১১ শতাংশ বেশি আয় করেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসির এক নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৫ গ্লোবাল এআই জবস ব্যারোমিটার শীর্ষক এই গবেষণায় বলা হয়, যেসব খাতে এআইয়ের মাধ্যমে কাজের একটি অংশ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাচ্ছে, সেখানেও এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীরা বেশি আয় করছেন।
প্রায় ১০০ কোটি চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে পিডব্লিউসি জানিয়েছে, যেসব খাতে এআই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেসব খাতে কর্মীদের আয় দ্বিগুণ গতিতে বাড়ছে। পাশাপাশি এসব খাতে কর্মীদের উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে।
পিডব্লিউসির যুক্তরাজ্য শাখার প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ফিলিপা ও’কনর বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি এখনো অনেক চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান এখন দক্ষতা ও সম্ভাবনা যাচাইয়ে ডিগ্রির বাইরেও নজর দিচ্ছে।’
এই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পেশায় এআইয়ের প্রভাব বেশি, সেসব পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা বদলাচ্ছে ৫৯ শতাংশ দ্রুত হারে।
ও’কনর বলেন, ‘এআই চাকরির বাজার পাল্টে দিচ্ছে—কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বাধা কমিয়ে দিচ্ছে, আবার কোথাও দক্ষতার মানদণ্ড আরও উঁচু করছে।’
পিডব্লিউসির মতে, এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীরা উচ্চ বেতনের সুযোগ পাচ্ছেন। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে এমন পেশার কর্মীরা গড়ে ১১ শতাংশ বেশি আয় করছেন। এমনকি যেসব কাজ আংশিকভাবে স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব, সেসব খাতেও এআই দক্ষতা থাকলে বেতন বেশি।
পিডব্লিউসির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব খাত এআইয়ের প্রভাবে রয়েছে, সেসব খাতে কর্মীপ্রতি রাজস্ব উৎপাদনের হার তিন গুণ বেশি হারে বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআইয়ের (জেনএআই) মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) যখন থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে, তখন থেকেই এসব খাতে কর্মীপ্রতি রাজস্ব বেড়েছে প্রায় চার গুণ।
উদাহরণস্বরূপ, সফটওয়্যার খাতে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই হার ছিল ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশে। অন্যদিকে, যেসব খাতে এআইয়ের প্রভাব তুলনামূলক কম, সেসব ক্ষেত্রে কর্মীপ্রতি রাজস্ব বৃদ্ধির হার সামান্য কমেছে। যেমন নিশিল্প ও আতিথেয়তা খাত। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে যেখানে এই হার ছিল ১০ শতাংশ, ২০২৪ সালের মধ্যে তা নেমে এসেছে ৯ শতাংশে।
তবে ২০১৮ সালের পর থেকে এআইভিত্তিক পেশার জন্য চাকরির বিজ্ঞাপনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে বেড়েছে এবং সময়ের সঙ্গে এই পার্থক্য আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
পিডব্লিউসির যুক্তরাজ্য শাখার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা উমাং পাও বলেন, ‘এআই নিয়ে এখনো অনেক অজানা বিষয় রয়েছে। এটি যাঁরা মানিয়ে নিতে পারবেন, তাঁদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলবে। তবে এটি অন্যদের পেছনে ফেলে দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যুগে বাস্তব সময়ের ডেটা বিশ্লেষণসহ অন্যান্য প্রযুক্তির সঙ্গে এআইয়ের সংযুক্তি নতুন খাত ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। তবে তার জন্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সহজলভ্যতা বাড়াতে হবে।’
তথ্যসূত্র: কম্পিউটার উইকলি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে দক্ষ যুক্তরাজ্যের কর্মীরা গড়ে ১১ শতাংশ বেশি আয় করেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসির এক নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৫ গ্লোবাল এআই জবস ব্যারোমিটার শীর্ষক এই গবেষণায় বলা হয়, যেসব খাতে এআইয়ের মাধ্যমে কাজের একটি অংশ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাচ্ছে, সেখানেও এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীরা বেশি আয় করছেন।
প্রায় ১০০ কোটি চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে পিডব্লিউসি জানিয়েছে, যেসব খাতে এআই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেসব খাতে কর্মীদের আয় দ্বিগুণ গতিতে বাড়ছে। পাশাপাশি এসব খাতে কর্মীদের উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে।
পিডব্লিউসির যুক্তরাজ্য শাখার প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ফিলিপা ও’কনর বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি এখনো অনেক চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান এখন দক্ষতা ও সম্ভাবনা যাচাইয়ে ডিগ্রির বাইরেও নজর দিচ্ছে।’
এই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পেশায় এআইয়ের প্রভাব বেশি, সেসব পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা বদলাচ্ছে ৫৯ শতাংশ দ্রুত হারে।
ও’কনর বলেন, ‘এআই চাকরির বাজার পাল্টে দিচ্ছে—কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বাধা কমিয়ে দিচ্ছে, আবার কোথাও দক্ষতার মানদণ্ড আরও উঁচু করছে।’
পিডব্লিউসির মতে, এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীরা উচ্চ বেতনের সুযোগ পাচ্ছেন। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে এমন পেশার কর্মীরা গড়ে ১১ শতাংশ বেশি আয় করছেন। এমনকি যেসব কাজ আংশিকভাবে স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব, সেসব খাতেও এআই দক্ষতা থাকলে বেতন বেশি।
পিডব্লিউসির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব খাত এআইয়ের প্রভাবে রয়েছে, সেসব খাতে কর্মীপ্রতি রাজস্ব উৎপাদনের হার তিন গুণ বেশি হারে বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআইয়ের (জেনএআই) মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) যখন থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে, তখন থেকেই এসব খাতে কর্মীপ্রতি রাজস্ব বেড়েছে প্রায় চার গুণ।
উদাহরণস্বরূপ, সফটওয়্যার খাতে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই হার ছিল ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশে। অন্যদিকে, যেসব খাতে এআইয়ের প্রভাব তুলনামূলক কম, সেসব ক্ষেত্রে কর্মীপ্রতি রাজস্ব বৃদ্ধির হার সামান্য কমেছে। যেমন নিশিল্প ও আতিথেয়তা খাত। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে যেখানে এই হার ছিল ১০ শতাংশ, ২০২৪ সালের মধ্যে তা নেমে এসেছে ৯ শতাংশে।
তবে ২০১৮ সালের পর থেকে এআইভিত্তিক পেশার জন্য চাকরির বিজ্ঞাপনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে বেড়েছে এবং সময়ের সঙ্গে এই পার্থক্য আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
পিডব্লিউসির যুক্তরাজ্য শাখার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা উমাং পাও বলেন, ‘এআই নিয়ে এখনো অনেক অজানা বিষয় রয়েছে। এটি যাঁরা মানিয়ে নিতে পারবেন, তাঁদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলবে। তবে এটি অন্যদের পেছনে ফেলে দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যুগে বাস্তব সময়ের ডেটা বিশ্লেষণসহ অন্যান্য প্রযুক্তির সঙ্গে এআইয়ের সংযুক্তি নতুন খাত ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। তবে তার জন্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সহজলভ্যতা বাড়াতে হবে।’
তথ্যসূত্র: কম্পিউটার উইকলি
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১৫ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১৮ ঘণ্টা আগে