Ajker Patrika

ওয়াইফাই রাউটার দিয়েই কারও ওপর নজর রাখা সম্ভব: গবেষণা 

ওয়াইফাই রাউটার দিয়েই কারও ওপর নজর রাখা সম্ভব: গবেষণা 

দুটি সাধারণ ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করেই কারও ওপর নজর রাখার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ওয়াইফাই সিগন্যাল ব্যবহার করে দেয়ালের ওপারের কোনো মানুষের ত্রিমাত্রিক ছবি ও দেহভঙ্গি তৈরি করার এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। কীভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করে তা নতুন এক গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন গবেষকেরা। 

গবেষকেরা ডেন্সপোজ নামের একটি ডিপ নিউরাল নেটওয়ার্ক সিস্টেম ব্যবহার করে ওয়াইফাই সংকেত থেকে ইউভি (আলট্রা ভায়োলেট) স্থানাঙ্ক তৈরি করেছেন। একটি ত্রিমাত্রিক মডেল থেকে যেভাবে কম্পিউটারে দ্বিমাত্রিক ছবির ম্যাপিং করা হয় এটিও তেমন।

ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন, ফেসবুক এআই এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা এই ডেন্সপোজ প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। 

ডেন্সপোজ প্রযুক্তির বিষয়ে সর্বপ্রথম কানাডা–যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ভাইস প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভাইস বলে, প্রযুক্তিটি দামি আরজিবি ক্যামেরা, এলআইডিএআর (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) ও র‍্যাডারের সহায়তা ছাড়াই সাধারণ ও সস্তা ওয়াইফাই অ্যানটেনাকে ওয়ানডি বা একমাত্রিক সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুর আকার–আকৃতি ও দেহভঙ্গির ম্যাপিং করা যায়।

এ ছাড়া ঘরের মধ্যে কোনো বস্তুকে সঠিকভাবে শনাক্ত করাসহ এই প্রযুক্তি কোনো কক্ষের মধ্যে মানুষ রয়েছে কি না তা চিহ্নিত করতে পারে এবং সেই সঙ্গে বস্তুর বা মানুষের দেহভঙ্গিও শনাক্ত করতে পারে। 

এ প্রযুক্তির আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি অত্যন্ত কম আলোতেও বস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম। যেখানে দামি ক্যামেরাতেও এমন পরিবেশে ছবি তোলা সম্ভব হয় না।

সাধারণ দুটি ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করেই দেয়ালের ওপারে মানুষ দেখার প্রযুক্তিগবেষক জিয়াকি গেং, ডং হুয়াং এবং ফার্নান্দো দে লা টরে তাঁদের গবেষণাপত্রে ব্যাখ্যা করে বলেন, আমাদের মডেল ওয়াইফাই সংকেতকে একমাত্র ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করে একাধিক বস্তুর জটিল অঙ্গভঙ্গির ধারণাচিত্র তৈরি করা যায়। এই প্রযুক্তি কম খরচে, বড় পরিসরে ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করতে পারে এবং মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও রক্ষা করে। 

গবেষকেরা বলেন, ওয়াইফাই সিগন্যালের মাধ্যমে এই শনাক্তকরণ প্রযুক্তি হোম হেলথ কেয়ারে (গৃহ স্বাস্থ্য সেবা) ব্যবহার করা যাবে, যেখানে রোগী সার্বক্ষণিক ক্যামেরা বা ট্র্যাকিং ডিভাইসের পর্যবেক্ষণে থাকতে আপত্তি করেন।

কম আলো বা দেয়ালের মতো কোনো বাধা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। সেই সঙ্গে এই প্রযুক্তি স্থাপন করতে খরচও অনেক কম হয়। এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছিল দুটি টিপি লিংক ওয়াইফাই রাউটার, যেগুলোর প্রতিটির দাম মাত্র ৩০ ডলার। অপরদিকে প্রচলিত এলআইডিআরের দাম ৭০০ ডলার। 

গবেষকেরা আরও বলেছেন, মানুষের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য আরজিবি মডেলের পরিবর্তে ওয়াইফাই সংকেত বিকল্প হিসেবে সর্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যাবে। অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ওয়াইফাইভিত্তিক সমাধানে আলো ও কঠিন বাধার মতো বিষয়গুলোর সামান্য প্রভাবই থাকে। এ ছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা করে ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো যৌক্তিক মূল্যে কেনা যায়। উন্নয়নশীল বেশির ভাগ দেশের বাড়িতে ওয়াইফাই রাউটার রয়েছে এবং এই প্রযুক্তি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা প্রবীণদের ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৫ সালে প্রযুক্তিতে এগিয়ে ৫ দেশ

পল্লব শাহরিয়ার
২০২৫ সালে প্রযুক্তিতে এগিয়ে ৫ দেশ

প্রযুক্তির জগতে ব্যাপক পরিবর্তনশীল একটি বছরের শেষ প্রান্তে আমরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, ডিপটেক এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ আজ বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন, বিনিয়োগ আর দূরদর্শিতার দৌড়ে প্রযুক্তি খাতে কয়েকটি দেশ রয়েছে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের এই বছরের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। দেখে নিন, সেই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে উদ্ভাবনের শীর্ষে।

invation-[Converted]-01

সুইজারল্যান্ড: উদ্ভাবনের রাজধানী

গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২৫-এ সুইজারল্যান্ড টানা ১৫তম বছরের মতো বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গবেষণা, প্রযুক্তি ও অর্থনীতির ভারসাম্যে গড়া দেশটি এখন ডিপটেক, রোবোটিকস, বায়োটেক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইটিএইচ জুরিখ ও ইপিএফের মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও স্টার্টআপ ইন্ডাস্ট্রিতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। ২০১৯-২৫ সালের মধ্যে দেশটির মোট ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রায় ৬০ শতাংশ গেছে ডিপটেক সেক্টরে। এ বছর মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছিল, সুইজারল্যান্ডে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড অবকাঠামো উন্নয়নে। একই বছরে দেশটি ইউরোপের প্রথম অনুমোদিত ব্লক চেইনভিত্তিক ট্রেডিং সিস্টেম চালু করেছে, যা ডিজিটাল ফাইন্যান্স খাতের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। সুইজারল্যান্ডের শক্তি হলো এর উদ্ভাবনের সংস্কৃতি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প ও সরকার একই সঙ্গে কাজ করে। উন্নত অবকাঠামো, গবেষণানির্ভর অর্থনীতি এবং উচ্চ দক্ষ মানবসম্পদ দেশটির উদ্ভাবনকে টেকসই করেছে।

tecnolgo-02

সুইডেন: ইউরোপের প্রযুক্তি শক্তি

২০২৫ সালে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দৌড়ে ইউরোপের শীর্ষে উঠে এসেছে সুইডেন। গবেষণা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল অবকাঠামোর শক্ত ভিত্তি দেশটিকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সুইডেনের বড় শক্তি হলো এর সমন্বিত প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম। দেশটিতে বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করছে নতুন উদ্ভাবন তৈরিতে।

চলতি বছর কানাডার বিনিয়োগ সংস্থা ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ঘোষণা দিয়েছে, তারা সুইডেনে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে একটি বিশাল এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে। এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হলে দেশটি ইউরোপের বড় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামো কেন্দ্রগুলোর একটিতে দাঁড়াবে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতেও দেশটির অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। কার্বন-নিউট্রাল ইন্ডাস্ট্রি, বৈদ্যুতিক যান ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে সুইডেন বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সরকারি নীতি, স্বচ্ছ অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং উদ্ভাবনে উদার সহায়তা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে দেশটিতে।

ai

যুক্তরাষ্ট্র: এআই ও কোয়ান্টাম যুগের পথিকৃৎ

এ বছর প্রযুক্তি জগতে আরও প্রভাব বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং—দেশটি নেতৃত্ব দিচ্ছে সব ক্ষেত্রে। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও বিনিয়োগ ও গবেষণার দিক থেকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি বাজার। ওপেনএআই, গুগল ডিপমাইন্ড, অ্যাপল ও মেটার মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো এআই এবং জেনারেটিভ মডেল উন্নয়নে নতুন ধাপ অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে, টেক্সাস

ও অ্যারিজোনায় টিএসএমসি ও ইনটেল তাদের সেমিকন্ডাক্টর কারখানা সম্প্রসারণে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে, যা বৈশ্বিক চিপ সংকট মোকাবিলায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। মহাকাশ প্রযুক্তিতে স্পেসএক্স, ব্লু অরিজিন ও নাসা একসঙ্গে কাজ করছে তাদের মিশন বাস্তবায়নে, যার লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে আবারও মানুষকে চাঁদে পাঠানো। তবে সমালোচকেরা বলছেন, প্রযুক্তি বিকাশের পাশাপাশি নৈতিকতা, ডেটা সুরক্ষা এবং শ্রমবাজারে অটোমেশনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও মনোযোগী হতে হবে। সব মিলিয়ে, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে, প্রযুক্তি শুধু শক্তির প্রতীক নয়; বরং জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতি এবং মানব অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি।

Robitics

দক্ষিণ কোরিয়া: রোবোটিকসের ভবিষ্যৎ

এ বছরে দক্ষিণ কোরিয়া আবারও প্রমাণ করেছে, প্রযুক্তিতে তারাও নেতৃত্ব দিতে পারে। দেশটি এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিকস ও স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতিগুলোর একটি। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২৫-এ দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। এটি তাদের গবেষণা ও প্রযুক্তি বিনিয়োগের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতিফলন।

চলতি বছর দেশটির সরকার ঘোষণা করেছে ‘ডিজিটাল কোরিয়া ২০৩০’ কর্মসূচি। এর লক্ষ্য এআই, ৬জি যোগাযোগব্যবস্থা ও স্মার্ট সিটির উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস একাই ৪৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে পরবর্তী প্রজন্মের চিপ কারখানা নির্মাণে। এ ছাড়া এসকে হাইনিক্স ২০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে মেমোরি টেকনোলজির উন্নয়নে।

এসব বিনিয়োগ দেশটিকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রধান অবস্থানে রাখবে। রোবোটিকস ও এআইচালিত উৎপাদনেও দক্ষিণ কোরিয়া দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পক্ষেত্রে ১০ হাজার শ্রমিকের বিপরীতে রোবটের সংখ্যা এখন ১ হাজার ছাড়িয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি দেশটি শিক্ষা ও গবেষণায় ডিজিটাল দক্ষতা বাড়াতে ‘এআই ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ চালু করেছে, যার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ দক্ষ প্রযুক্তি পেশাজীবী গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

gren tech-01

সিঙ্গাপুর: স্মার্ট সিটি ও গ্রিন টেক মডেল

সিঙ্গাপুর আবারও প্রমাণ করেছে, ছোট ভূখণ্ড মানেই সম্ভাবনা কম নয়। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও নীতি—সমন্বয়ের অসাধারণ মডেল গড়ে দেশটি এখন এশিয়ার অন্যতম ডিজিটাল সুপারপাওয়ার। তালিকায় সিঙ্গাপুর এশিয়ার

মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে সপ্তম স্থানে। দেশটির প্রধান শক্তি হলো, সরকারি নেতৃত্বে পরিচালিত ‘স্মার্ট ন্যাশন ২০৩০’ কর্মসূচি, যার অধীনে এ বছর চালু হয়েছে ‘ন্যাশনাল এআই স্ট্র্যাটেজি ২.০’। এর লক্ষ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডেটা গভর্ন্যান্সে বৈশ্বিক মান নির্ধারণ।

দেশটির সরকার ইতিমধ্যে ৫ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে এআই গবেষণা, স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ও ফিনটেক স্টার্টআপে বিনিয়োগে। সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তি সাফল্যের আরেক স্তম্ভ হলো তার উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো। দেশটি এ বছর বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ ৫-জি সক্ষম নগররাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি, টেক জায়ান্ট গুগল ও আমাজন এখানে নতুন ক্লাউড রিজিয়ন স্থাপন করেছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশেষ জোর দিচ্ছে। ‘গ্রিন ডেটা সেন্টার রোডম্যাপ’ পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা শক্তি এবং দক্ষ ডেটা সেন্টার উন্নয়নে বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিচ্ছে।

এ ছাড়া গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের তালিকায় থাকা প্রথম দশটি দেশের অন্য পাঁচটি দেশ হলো যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও চীন। তালিকায় ভারতের অবস্থান ৩৮তম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সাংবাদিকতার জন্য হুমকি

শাহারিয়া নয়ন
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ১৭
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সাংবাদিকতার জন্য হুমকি

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এই প্রযুক্তি সাংবাদিকতার জন্য শুধু সুযোগ নয়, নতুন ধরনের হুমকিও সৃষ্টি করেছে।

বিশ্বের বড় সংবাদমাধ্যমগুলো ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের অটোমেটেড ইনসাইট, রয়টার্সের রয়টার্স নিউজ ট্রেসার, ফোর্বসের বার্টি এবং ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি সাংবাদিকদের বিপুল তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করছে। এই প্রযুক্তি পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ; যেমন খেলাধুলা, ব্যবসা বা দৈনন্দিন সংবাদ তৈরি করার সময় কমিয়ে দিচ্ছে এবং তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে দ্রুত করছে। বিশ্বের স্বনামধন্য মিডিয়া হাউসগুলো; যেমন ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদ প্রক্রিয়ায় এআই ব্যবহার করছে।

এআই নিউজরুমে শুধু সংবাদ তৈরি করতে নয়, পাঠকের শ্রেণি অনুযায়ী পছন্দসই কনটেন্ট, ট্রান্সক্রাইবিং, ছবি, ভিডিও ও অডিও কনটেন্ট তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে। একাধিক তথ্য মিশ্রণ করে প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদকাঠামো অনুসারে সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করা এবং দর্শকদের রুচি অনুযায়ী উপস্থাপন করা সহজ হয়েছে এই প্রযুক্তির কল্যাণে। এআইচালিত অ্যালগরিদম পাঠকের আগ্রহ ও পছন্দ অনুসরণ করে সংবাদ পৌঁছে দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, ‘দ্য টাইমস’-এর জেমস প্রোগ্রাম পাঠকের অভ্যাস অনুযায়ী নোটিফিকেশন পাঠায়। এতে পছন্দের সংবাদে পাঠকের সংযোগ বাড়ছে এবং মিডিয়া হাউসগুলোকে আরও প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট সরবরাহের সুযোগ দিচ্ছে।

এআইচালিত স্বয়ংক্রিয় ফ্যাক্ট চেকিং টুলও সংবাদমাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ভেরিফাই, রয়টার্সের রয়টার্স ফ্যাক্ট চেক, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর হিলিওগ্রাফ, ‘টাইমস অব লন্ডন’-এর ফ্যাক্টমেটা, ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর ফ্যাক্টচেকিং টুলগুলো ভুয়া সংবাদ প্রতিহত করতে অনেক বেশি সক্ষম এখন।

বর্তমানে বাংলাদেশেও স্বনামধন্য গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি অসংখ্য অনলাইন মিডিয়া ও অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের এই ভিড়ে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা চলছে—কে কত দ্রুত সংবাদ পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। দ্রুত সংবাদ পরিবেশনের এই দৌড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।

এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ছোট ছোট তথ্য একত্র করে মুহূর্তের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবাদ তৈরি করা সম্ভব। এতে শুধু আকর্ষণীয় শিরোনামই থাকে না, সংবাদের মূল কাঠামোও মানদণ্ড মেনে উপস্থাপিত হয়।

তবে এআই সাংবাদিকতার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, অনেক সংবাদকর্মীর চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ‘মিডিয়া মেটামরফোসিস: এআই অ্যান্ড বাংলাদেশি নিউজরুমস ২০২৪’ শিরোনামের এক জরিপে দেখা গেছে, সাংবাদিকদের মধ্যে চাকরি হারানোর উদ্বেগও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা প্রেসঅ্যাটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, ২ শতাংশ সাংবাদিক ইতিমধ্যে এআই ব্যবহারের কারণে চাকরি হারিয়েছেন। প্রায় ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ সাংবাদিক আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে এআই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক হারে চাকরিচ্যুতি ঘটাতে পারে।

দ্বিতীয়ত, সঠিক নির্দেশনা দিলে এআই সঠিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদ তৈরি করতে পারে। কিন্তু ভুল নির্দেশনা দিলে সংবাদে ভুল বা পক্ষপাতমূলক তথ্য স্থান পেতে পারে। এ ছাড়া বড় বা পূর্ণাঙ্গ লেখা সংক্ষেপিত করলে তথ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা সংবাদের কাঠামোকে প্রভাবিত করে। এআই শিরোনাম পরিমার্জন করতে পারলেও নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে শিরোনাম সাজাতে সক্ষম নয়।

মানুষের অনুসন্ধানী মনোভাব ও সংবেদনশীলতাকে এআই পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে অ্যাকটিভেট রাইটস ইনফরমেশন, রাইটস অ্যান্ড টেকনোলজির রিসার্চ লিড মিনহাজ আমান বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে সেটা সম্ভব নয়। তবে একেবারেই পারবে না, এটাও এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’

‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণ, ডিজিটাল বিভাগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ করার মাধ্যমে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো ডিজিটাল পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিউজরুমে এআই প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। সংবাদ সোর্সিং, সংবাদ লেখা, উপস্থাপনা, বণ্টন, বিজ্ঞাপনসহ নানা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তর দৃশ্যমান।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সাংবাদিকতার সহায়ক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হলে নিউজরুম আরও গতিশীল, তথ্যভিত্তিক এবং আধুনিক হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন সুস্পষ্ট নৈতিক মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষাক্রমে এআই ও ডিজিটাল লিটারেসি অন্তর্ভুক্তকরণ এবং তথ্য যাচাই-বাছাই, ফ্যাক্টচেকিং ও সাইবার সিকিউরিটির দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতার জন্য একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে চ্যালেঞ্জ। এটি মানব সাংবাদিকদের কাজকে প্রতিস্থাপন না করে; বরং সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা গেলে সংবাদ জগৎ আরও সমৃদ্ধ ও আধুনিক হবে।

সূত্র: প্রেসঅ্যাট, এমআরডিআই, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ভার্জ, এপি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিপফেক যাচাইয়ের উপায়

টি এইচ মাহির 
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৩
ডিপফেক যাচাইয়ের উপায়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।

উৎস পরীক্ষা করা

সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হলে আগের এর উৎস যাচাই করুন। যে অ্যাকাউন্ট বা আইডি থেকে পোস্টটি এসেছে, তা যাচাই করুন। আইডি দেখে বোঝা যায়, সেটি আসল কি না।

মুখের দিকে তাকানো

ডিপফেক ছবি বা ভিডিও যাচাই করতে ভিডিও কিংবা ছবির মুখের দিকে তাকান। ভিডিও থামিয়ে চোখ কিংবা মুখের প্রান্ত এবং চুলের রেখা দেখুন। ডিপফেকে মানব চরিত্রগুলোর অস্বাভাবিকভাবে চোখের পলক ফেলা, মুখের অদ্ভুত রূপরেখা বা চুল থাকতে পারে। ছবিতে হাত ও পায়ের আঙুল, চোখ, দাঁত ও কান পরীক্ষা করুন। এসব জায়গায় অসামঞ্জস্য চোখে পড়বে।

আলো, ছায়া খেয়াল করা

সন্দেহজনক ভিডিও বা ছবির আলো, ছায়া ও প্রতিফলন খেয়াল করুন। পরিবেশের সঙ্গে বস্তু বা ব্যক্তির ওপর আলোর প্রভাব অস্বাভাবিক লাগছে কি না যাচাই করুন। এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ও ছবিতে আলোর প্রতিফলন অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হয়।

কণ্ঠস্বর শোনা

ডিপফেক অডিও বা ভিডিওর কণ্ঠস্বর মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এআই জেনারেটেড অডিওগুলোতে অধিকাংশ সময় অস্বাভাবিক বিরতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সিনথেটিক সুর থাকে। তাতে কণ্ঠস্বর রোবটিক মনে হয়। আবার ভয়েস ক্লোনিং যাচাই করতে ভিডিওর ব্যক্তির অন্যান্য কণ্ঠস্বরের সঙ্গে যাচাই করুন।

ভিডিওর ফ্রেম যাচাই

ভিডিও থামিয়ে বারবার ফ্রেমগুলো যাচাই করে নিতে হবে। যেমন আগের ফ্রেমের সঙ্গে ভিডির পরের ফ্রেমের বস্তু কিংবা ব্যক্তির আকৃতি বা মুখ পরিবর্তন হচ্ছে কি না, দেখুন। মুখের চারপাশে ছোট ছোট ঝাপসা দাগ, খাঁজকাটা প্রান্ত, ফ্রেম পরিবর্তনের সময় নড়াচড়া ইত্যাদি যাচাই করুন।

মেটাডেটা মূল্যায়ন করা

মেটাডেটা হলো কোনো ছবি, ভিডিও বা ফাইলের লুকোনো তথ্য। এর মাধ্যমে ফাইলটি কীভাবে তৈরি হয়েছে, কখন, কারা, কীভাবে সেটি তৈরি করেছে, তা জানা যায়। ছবির মেটাডেটায় ছবি তোলার তারিখ, লোকেশন, ক্যামেরা মডেল, ক্যামেরা সেটিং ইত্যাদি তথ্য থাকে। ভিডিও ক্ষেত্রেও অনেকটা একই। এসব তথ্য জানা যাবে ফাইল সেভ করার পর ফাইলের ইনফো অপশন থেকে।

স্ক্যান করা

সন্দেহজনক ছবি চোখে পড়লে সেটির স্ক্রিনশট নিন বা ডাউনলোড করুন। তারপর সেটি গুগল বা অন্যান্য মাধ্যমে দিয়ে আসল ছবির খোঁজ করুন। এতে আসল ছবি পাওয়া যাবে।

টুল ব্যবহার

ছবি, ভিডিওর জন্য ফোটোফরেনসিক, ডিপওয়্যার এআই, মিডিয়াইনফো ইত্যাদি ওয়েবসাইট ও টুলের মাধ্যমে ডিপফেক যাচাই করা যায় অনলাইনে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থীদের জন্য এআইভিত্তিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা

ফিচার ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের জন্য এআইভিত্তিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা

গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সারা দেশের তরুণ মেধাবীদের এমন প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।

এই প্রতিযোগিতায় ‘ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর’ প্রকল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটার মেলন। টিম ওপিয়ন তাদের ‘এআই ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’ প্রকল্পের জন্য হয়েছে প্রথম রানারআপ। টিম সিন্যাপজ তাদের ‘এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি অ্যাবলড লার্নারস’ প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের ‘দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই’ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা যখন এআইনির্ভর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কারের পাশাপাশি গ্রামীণফোনের শীর্ষ প্রতিভা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোতে দ্রুত অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত