শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক ডজন মামলা।
বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের বাকি সদস্যরাও গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। তাঁদের কেউ ভারতে, কেউ মালয়েশিয়ায়, কেউ যুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১২ জন সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে সাবেক নারী এমপি ১২ জন। গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে সাতজন পরে জামিন পেয়েছেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক আসামি দেশত্যাগ করেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ২৮ মন্ত্রী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ১০, সাবেক উপমন্ত্রী ৩, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ৩, দ্বাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু (পাবনা-১) ও সরকারদলীয় সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ (পটুয়াখালী-২)।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১২ মে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক এমপি এম আব্দুল লতিফ। চট্টগ্রাম থেকে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৯ আগস্ট। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮-২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক গুম, খুন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এরপর ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা (ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি) সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি)। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং প্রভাবশালী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের সর্বশেষ গ্রেপ্তার এমপি হলেন আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা। কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এই এমপিকে ১৭ জুন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমকে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ জুন। টেকনোক্র্যাট কোটার সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে মোহাম্মদপুর থেকে আটকের পর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ঢাকার একটি আদালতে। ১৫ আগস্টের ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত ও কয়েক শ মানুষ আহত হন বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নির্দেশনার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর মামলা করা হয়। তিনি ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
কারাগারে যেসব সাবেক মন্ত্রী
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪), সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (রংপুর-৪), গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), নুরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), আব্দুল লতিফ বিশ্বাস (সিরাজগঞ্জ-৫), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হক ইনু, কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২) ও রমেশ চন্দ্র সেন।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন।
কারাগারে আটক যেসব সাবেক প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী
গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মাহবুব আলী, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), জাকির হোসেন (কুড়িগ্রাম-৪), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), শাহজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১), ডা. এনামুর রহমান ও দীপংকর তালুকদার।
কারাগারে থাকা সাবেক তিন উপমন্ত্রী হলেন আরিফ খান জয়, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪) ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১)।
কারাগারে থাকা অন্য সাবেক এমপিরা
মোহাম্মদ আলী, আয়েশা ফেরদৌস, আহমেদ হোসেন, আবদুর রহমান বদি, মো. সাদেক খান, আবদুস সোবহান মিয়া, হাজি মোহাম্মদ সেলিম, মাজহারুল ইসলাম, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, শাহে আলম, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, তানভীর ইমাম, সেলিম আলতাফ জর্জ, কাজী জাফরুল্লাহ, রাহেনুল হক রায়হান, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জান্নাত আরা হেনরী, মাহবুব আরা বেগম গিনি, আবদুর রউফ, ইকরামুল করিম চৌধুরী, আবদুস সালাম মূর্শেদী, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. দিদারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মহিবুর রহমান মানিক, মো. সোহরাব উদ্দিন, মো. রাশিদুজ্জামান, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আলী আজম, মোহাম্মদ সোলাইমান সেলিম, সাফিয়া খাতুন, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, রাগেবুল আহসান রিপু, কামরুল আশরাফ খান, নাসিমুল আলম চৌধুরী, সফিউল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আহমেদ নাজমিন সুলতানা, অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, চয়ন ইসলাম, আবদুল মজিদ খান, সানোয়ার হোসেন, এম এ মালেক, আফতাব উদ্দিন সরকার, মো. আফজাল হোসেন, মোরশেদ আলম, শাহ সারোয়ার কবির, কাজী মনিরুল ইসলাম, জাফর আলম, আমিরুল আলম মিলন, সেলিনা ইসলাম, শামীমা আখতার খানম, মমতাজ বেগম, কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বেগম জেবুন্নেসা ও লায়লা পারভীন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬-১০টি মামলা রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে অর্ধশতাধিক মামলা। গ্রেপ্তারের পর বেশির ভাগকেই দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তার অধিকাংশ আসামির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপিসহ ২০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, মামলার যেসব আসামি দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং যাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানকে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ব্যাংক থেকে ঋণ, শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে। আদালত তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের শেষ তিন মেয়াদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে এ পর্যন্ত হত্যা, হত্যাচেষ্টা, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতির অভিযোগে করা ৫৫টির বেশি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় তাঁর মোট ৫১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২১টি মামলায়। চাঁদপুর-৩ আসনের টানা চারবারের এই সাবেক এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ আগস্ট।
জামিন পেয়েছেন যে সাতজন
গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়েছেন সাতজন। তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, নায়েব আলী জোয়ারদার (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম সিদ্দিক (ঝিনাইদহ-২) এবং মেজর (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজী (ঝিনাইদহ-৩)।
গ্রেপ্তার এড়িয়ে বিদেশে
পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগ আমলের অন্তত ৬৩ জন মন্ত্রী-এমপির বিদেশে অবস্থানের তথ্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাহবুব উল আলম হানিফ ভারতে, সাবেক মৎস্যমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ যুক্তরাজ্যে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা পলাতক। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ২৪ জুনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক ডজন মামলা।
বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের বাকি সদস্যরাও গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। তাঁদের কেউ ভারতে, কেউ মালয়েশিয়ায়, কেউ যুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১২ জন সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে সাবেক নারী এমপি ১২ জন। গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে সাতজন পরে জামিন পেয়েছেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক আসামি দেশত্যাগ করেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ২৮ মন্ত্রী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ১০, সাবেক উপমন্ত্রী ৩, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ৩, দ্বাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু (পাবনা-১) ও সরকারদলীয় সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ (পটুয়াখালী-২)।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১২ মে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক এমপি এম আব্দুল লতিফ। চট্টগ্রাম থেকে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৯ আগস্ট। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮-২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক গুম, খুন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এরপর ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা (ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি) সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি)। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং প্রভাবশালী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের সর্বশেষ গ্রেপ্তার এমপি হলেন আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা। কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এই এমপিকে ১৭ জুন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমকে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ জুন। টেকনোক্র্যাট কোটার সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে মোহাম্মদপুর থেকে আটকের পর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ঢাকার একটি আদালতে। ১৫ আগস্টের ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত ও কয়েক শ মানুষ আহত হন বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নির্দেশনার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর মামলা করা হয়। তিনি ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
কারাগারে যেসব সাবেক মন্ত্রী
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ (সিলেট-৪), সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (রংপুর-৪), গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), নুরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), আব্দুল লতিফ বিশ্বাস (সিরাজগঞ্জ-৫), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হক ইনু, কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২) ও রমেশ চন্দ্র সেন।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন।
কারাগারে আটক যেসব সাবেক প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী
গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মাহবুব আলী, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), জাকির হোসেন (কুড়িগ্রাম-৪), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), শাহজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১), ডা. এনামুর রহমান ও দীপংকর তালুকদার।
কারাগারে থাকা সাবেক তিন উপমন্ত্রী হলেন আরিফ খান জয়, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪) ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১)।
কারাগারে থাকা অন্য সাবেক এমপিরা
মোহাম্মদ আলী, আয়েশা ফেরদৌস, আহমেদ হোসেন, আবদুর রহমান বদি, মো. সাদেক খান, আবদুস সোবহান মিয়া, হাজি মোহাম্মদ সেলিম, মাজহারুল ইসলাম, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, শাহে আলম, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, তানভীর ইমাম, সেলিম আলতাফ জর্জ, কাজী জাফরুল্লাহ, রাহেনুল হক রায়হান, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জান্নাত আরা হেনরী, মাহবুব আরা বেগম গিনি, আবদুর রউফ, ইকরামুল করিম চৌধুরী, আবদুস সালাম মূর্শেদী, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. দিদারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মহিবুর রহমান মানিক, মো. সোহরাব উদ্দিন, মো. রাশিদুজ্জামান, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আলী আজম, মোহাম্মদ সোলাইমান সেলিম, সাফিয়া খাতুন, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, রাগেবুল আহসান রিপু, কামরুল আশরাফ খান, নাসিমুল আলম চৌধুরী, সফিউল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আহমেদ নাজমিন সুলতানা, অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, চয়ন ইসলাম, আবদুল মজিদ খান, সানোয়ার হোসেন, এম এ মালেক, আফতাব উদ্দিন সরকার, মো. আফজাল হোসেন, মোরশেদ আলম, শাহ সারোয়ার কবির, কাজী মনিরুল ইসলাম, জাফর আলম, আমিরুল আলম মিলন, সেলিনা ইসলাম, শামীমা আখতার খানম, মমতাজ বেগম, কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বেগম জেবুন্নেসা ও লায়লা পারভীন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬-১০টি মামলা রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে অর্ধশতাধিক মামলা। গ্রেপ্তারের পর বেশির ভাগকেই দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তার অধিকাংশ আসামির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপিসহ ২০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, মামলার যেসব আসামি দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং যাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানকে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ব্যাংক থেকে ঋণ, শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে। আদালত তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের শেষ তিন মেয়াদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে এ পর্যন্ত হত্যা, হত্যাচেষ্টা, গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতির অভিযোগে করা ৫৫টির বেশি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় তাঁর মোট ৫১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২১টি মামলায়। চাঁদপুর-৩ আসনের টানা চারবারের এই সাবেক এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ আগস্ট।
জামিন পেয়েছেন যে সাতজন
গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়েছেন সাতজন। তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, নায়েব আলী জোয়ারদার (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম সিদ্দিক (ঝিনাইদহ-২) এবং মেজর (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজী (ঝিনাইদহ-৩)।
গ্রেপ্তার এড়িয়ে বিদেশে
পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগ আমলের অন্তত ৬৩ জন মন্ত্রী-এমপির বিদেশে অবস্থানের তথ্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাহবুব উল আলম হানিফ ভারতে, সাবেক মৎস্যমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ যুক্তরাজ্যে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা পলাতক। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ২৪ জুনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যারা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪,২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছেন নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যারা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪,২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছেন নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
২২ জুন ২০২৫
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
২২ জুন ২০২৫
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যারা নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে, তারা প্রার্থী যে দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেই রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক বরাদ্দ করবে।
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যারা নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে, তারা প্রার্থী যে দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেই রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক বরাদ্দ করবে।
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
২২ জুন ২০২৫
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগেএস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

বিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
২২ জুন ২০২৫
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে