আল জাজিরা

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে। এমনটাই উঠে এসেছে সাবেক আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে।
সাবেক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শক ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) ফেলো রবার্ট কেলি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেন, বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানলে ঘটতে পারে ‘ফুকুশিমা-ধরনের’ একটি দুর্ঘটনা।
তাঁর ভাষায়, ‘যদি বুশেহরে বোমা ফেলা হয় কিংবা কুলিং সিস্টেম ব্যাহত হয়, তবে রিঅ্যাক্টরটি গলে পড়তে পারে, এবং তা থেকে অল্প পরিমাণে হলেও তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল জাপানের ফুকুশিমায়।’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, ফুকুশিমায় কেউ মারা যায়নি এবং তেজস্ক্রিয়তা খুব দূর পর্যন্ত ছড়ায়ওনি। ‘বুশেহর একটি জনবহুল শহর, শুধু একটি স্থাপনা নয়। কেউ যদি শহরটিতে হামলা চালায়, সেটাও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে,’ বলেন কেলি।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বুশেহরের পারমাণবিক কেন্দ্রটি রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত। কেলি মনে করেন, এখানে হামলা হলে মস্কো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
সিমুলেশনে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র
আল জাজিরার গবেষণা শাখা AJLabs ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক Nonproliferation Policy Education Center (NPEC) যৌথভাবে ২০২০ সালের পরিবেশগত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সিমুলেশন চালায়। এতে দেখা গেছে, বুশেহরে যদি Spent Fuel Pond (SFP)–এ আগুন লাগে কিংবা রিঅ্যাক্টর কোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কী উঠে এসেছে সিমুলেশনে?
শুধু একটি রিঅ্যাক্টরে আঘাত এলেও, বাধ্যতামূলকভাবে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হতে পারে।
১টি SFP–তে আগুন লাগলে, ৩৪ লাখ মানুষকে সরাতে হতে পারে।
২টি SFP ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এই সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৬৭ লাখে।
সিমুলেশনে আশপাশের দেশ ইরান, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুর্কমেনিস্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুঝতে সুবিধা হয় এমনভাবে সিমুলেশনটি চারটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে। এতে রঙিনভাবে দেখানো হয়েছে কোন কোন এলাকায় চিরতরে বসবাস নিষিদ্ধ হতে পারে এবং কোথায় স্বেচ্ছামূলক সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রঙে চিহ্নিত এলাকাগুলোয় বহু দশক ধরে মানুষ বাস করতে পারবে না। বহু এলাকা কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। অর্থনীতি, কৃষি, পানীয় জল, জনস্বাস্থ্য—সবখানেই পড়বে ব্যাপক প্রভাব।
কেন এত ভয়াবহ?
Spent Fuel Pool (SFP)–এ থাকে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। এগুলো প্রচণ্ড তেজস্ক্রিয় এবং অত্যন্ত গরম। এগুলো শীতল পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। যদি সেগুলোতে আগুন ধরে বা পানি শুকিয়ে যায়, তখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ঘটে বিস্ফোরণ। তাতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে।
এ ঘটনা অতীতে চেরনোবিল ও ফুকুশিমায় ঘটেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বুশেহরে তা হলে আকারে আরও বড় বিপর্যয় হতে পারে, কারণ এটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং উপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে।
ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিপজ্জনক
বুশেহর রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত। ফলে, সেখানে হামলা হলে তা শুধু ইরান নয়, রাশিয়ারও সরাসরি অংশগ্রহণকে স্পর্শ করতে পারে। এতে আঞ্চলিক যুদ্ধ একধাপ বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষক রবার্ট কেলির সতর্কতা এবং আল জাজিরার সিমুলেশন একই বার্তা দেয়—বুশেহরে একটি হামলা শুধু একটি স্থাপনাকে ধ্বংস করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলের জনজীবন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে দীর্ঘমেয়াদে পঙ্গু করে দিতে পারে।
এই কেন্দ্রকে ঘিরে এখনো কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এমন বাস্তবতায়, কেবল সামরিক নয়, মানবিক ও পরিবেশগত বিবেচনাতেও এই ঝুঁকির গভীরতা অনুধাবন করা জরুরি।

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে। এমনটাই উঠে এসেছে সাবেক আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে।
সাবেক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শক ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) ফেলো রবার্ট কেলি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেন, বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানলে ঘটতে পারে ‘ফুকুশিমা-ধরনের’ একটি দুর্ঘটনা।
তাঁর ভাষায়, ‘যদি বুশেহরে বোমা ফেলা হয় কিংবা কুলিং সিস্টেম ব্যাহত হয়, তবে রিঅ্যাক্টরটি গলে পড়তে পারে, এবং তা থেকে অল্প পরিমাণে হলেও তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল জাপানের ফুকুশিমায়।’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, ফুকুশিমায় কেউ মারা যায়নি এবং তেজস্ক্রিয়তা খুব দূর পর্যন্ত ছড়ায়ওনি। ‘বুশেহর একটি জনবহুল শহর, শুধু একটি স্থাপনা নয়। কেউ যদি শহরটিতে হামলা চালায়, সেটাও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে,’ বলেন কেলি।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বুশেহরের পারমাণবিক কেন্দ্রটি রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত। কেলি মনে করেন, এখানে হামলা হলে মস্কো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
সিমুলেশনে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র
আল জাজিরার গবেষণা শাখা AJLabs ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক Nonproliferation Policy Education Center (NPEC) যৌথভাবে ২০২০ সালের পরিবেশগত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সিমুলেশন চালায়। এতে দেখা গেছে, বুশেহরে যদি Spent Fuel Pond (SFP)–এ আগুন লাগে কিংবা রিঅ্যাক্টর কোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কী উঠে এসেছে সিমুলেশনে?
শুধু একটি রিঅ্যাক্টরে আঘাত এলেও, বাধ্যতামূলকভাবে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হতে পারে।
১টি SFP–তে আগুন লাগলে, ৩৪ লাখ মানুষকে সরাতে হতে পারে।
২টি SFP ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এই সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৬৭ লাখে।
সিমুলেশনে আশপাশের দেশ ইরান, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুর্কমেনিস্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুঝতে সুবিধা হয় এমনভাবে সিমুলেশনটি চারটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে। এতে রঙিনভাবে দেখানো হয়েছে কোন কোন এলাকায় চিরতরে বসবাস নিষিদ্ধ হতে পারে এবং কোথায় স্বেচ্ছামূলক সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রঙে চিহ্নিত এলাকাগুলোয় বহু দশক ধরে মানুষ বাস করতে পারবে না। বহু এলাকা কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। অর্থনীতি, কৃষি, পানীয় জল, জনস্বাস্থ্য—সবখানেই পড়বে ব্যাপক প্রভাব।
কেন এত ভয়াবহ?
Spent Fuel Pool (SFP)–এ থাকে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। এগুলো প্রচণ্ড তেজস্ক্রিয় এবং অত্যন্ত গরম। এগুলো শীতল পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। যদি সেগুলোতে আগুন ধরে বা পানি শুকিয়ে যায়, তখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ঘটে বিস্ফোরণ। তাতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে।
এ ঘটনা অতীতে চেরনোবিল ও ফুকুশিমায় ঘটেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বুশেহরে তা হলে আকারে আরও বড় বিপর্যয় হতে পারে, কারণ এটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং উপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে।
ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিপজ্জনক
বুশেহর রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত। ফলে, সেখানে হামলা হলে তা শুধু ইরান নয়, রাশিয়ারও সরাসরি অংশগ্রহণকে স্পর্শ করতে পারে। এতে আঞ্চলিক যুদ্ধ একধাপ বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষক রবার্ট কেলির সতর্কতা এবং আল জাজিরার সিমুলেশন একই বার্তা দেয়—বুশেহরে একটি হামলা শুধু একটি স্থাপনাকে ধ্বংস করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলের জনজীবন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে দীর্ঘমেয়াদে পঙ্গু করে দিতে পারে।
এই কেন্দ্রকে ঘিরে এখনো কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এমন বাস্তবতায়, কেবল সামরিক নয়, মানবিক ও পরিবেশগত বিবেচনাতেও এই ঝুঁকির গভীরতা অনুধাবন করা জরুরি।
আল জাজিরা

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে। এমনটাই উঠে এসেছে সাবেক আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে।
সাবেক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শক ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) ফেলো রবার্ট কেলি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেন, বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানলে ঘটতে পারে ‘ফুকুশিমা-ধরনের’ একটি দুর্ঘটনা।
তাঁর ভাষায়, ‘যদি বুশেহরে বোমা ফেলা হয় কিংবা কুলিং সিস্টেম ব্যাহত হয়, তবে রিঅ্যাক্টরটি গলে পড়তে পারে, এবং তা থেকে অল্প পরিমাণে হলেও তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল জাপানের ফুকুশিমায়।’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, ফুকুশিমায় কেউ মারা যায়নি এবং তেজস্ক্রিয়তা খুব দূর পর্যন্ত ছড়ায়ওনি। ‘বুশেহর একটি জনবহুল শহর, শুধু একটি স্থাপনা নয়। কেউ যদি শহরটিতে হামলা চালায়, সেটাও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে,’ বলেন কেলি।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বুশেহরের পারমাণবিক কেন্দ্রটি রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত। কেলি মনে করেন, এখানে হামলা হলে মস্কো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
সিমুলেশনে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র
আল জাজিরার গবেষণা শাখা AJLabs ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক Nonproliferation Policy Education Center (NPEC) যৌথভাবে ২০২০ সালের পরিবেশগত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সিমুলেশন চালায়। এতে দেখা গেছে, বুশেহরে যদি Spent Fuel Pond (SFP)–এ আগুন লাগে কিংবা রিঅ্যাক্টর কোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কী উঠে এসেছে সিমুলেশনে?
শুধু একটি রিঅ্যাক্টরে আঘাত এলেও, বাধ্যতামূলকভাবে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হতে পারে।
১টি SFP–তে আগুন লাগলে, ৩৪ লাখ মানুষকে সরাতে হতে পারে।
২টি SFP ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এই সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৬৭ লাখে।
সিমুলেশনে আশপাশের দেশ ইরান, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুর্কমেনিস্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুঝতে সুবিধা হয় এমনভাবে সিমুলেশনটি চারটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে। এতে রঙিনভাবে দেখানো হয়েছে কোন কোন এলাকায় চিরতরে বসবাস নিষিদ্ধ হতে পারে এবং কোথায় স্বেচ্ছামূলক সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রঙে চিহ্নিত এলাকাগুলোয় বহু দশক ধরে মানুষ বাস করতে পারবে না। বহু এলাকা কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। অর্থনীতি, কৃষি, পানীয় জল, জনস্বাস্থ্য—সবখানেই পড়বে ব্যাপক প্রভাব।
কেন এত ভয়াবহ?
Spent Fuel Pool (SFP)–এ থাকে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। এগুলো প্রচণ্ড তেজস্ক্রিয় এবং অত্যন্ত গরম। এগুলো শীতল পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। যদি সেগুলোতে আগুন ধরে বা পানি শুকিয়ে যায়, তখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ঘটে বিস্ফোরণ। তাতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে।
এ ঘটনা অতীতে চেরনোবিল ও ফুকুশিমায় ঘটেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বুশেহরে তা হলে আকারে আরও বড় বিপর্যয় হতে পারে, কারণ এটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং উপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে।
ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিপজ্জনক
বুশেহর রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত। ফলে, সেখানে হামলা হলে তা শুধু ইরান নয়, রাশিয়ারও সরাসরি অংশগ্রহণকে স্পর্শ করতে পারে। এতে আঞ্চলিক যুদ্ধ একধাপ বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষক রবার্ট কেলির সতর্কতা এবং আল জাজিরার সিমুলেশন একই বার্তা দেয়—বুশেহরে একটি হামলা শুধু একটি স্থাপনাকে ধ্বংস করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলের জনজীবন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে দীর্ঘমেয়াদে পঙ্গু করে দিতে পারে।
এই কেন্দ্রকে ঘিরে এখনো কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এমন বাস্তবতায়, কেবল সামরিক নয়, মানবিক ও পরিবেশগত বিবেচনাতেও এই ঝুঁকির গভীরতা অনুধাবন করা জরুরি।

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে। এমনটাই উঠে এসেছে সাবেক আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শক এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে।
সাবেক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শক ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) ফেলো রবার্ট কেলি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেন, বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানলে ঘটতে পারে ‘ফুকুশিমা-ধরনের’ একটি দুর্ঘটনা।
তাঁর ভাষায়, ‘যদি বুশেহরে বোমা ফেলা হয় কিংবা কুলিং সিস্টেম ব্যাহত হয়, তবে রিঅ্যাক্টরটি গলে পড়তে পারে, এবং তা থেকে অল্প পরিমাণে হলেও তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল জাপানের ফুকুশিমায়।’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, ফুকুশিমায় কেউ মারা যায়নি এবং তেজস্ক্রিয়তা খুব দূর পর্যন্ত ছড়ায়ওনি। ‘বুশেহর একটি জনবহুল শহর, শুধু একটি স্থাপনা নয়। কেউ যদি শহরটিতে হামলা চালায়, সেটাও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে,’ বলেন কেলি।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বুশেহরের পারমাণবিক কেন্দ্রটি রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত। কেলি মনে করেন, এখানে হামলা হলে মস্কো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
সিমুলেশনে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র
আল জাজিরার গবেষণা শাখা AJLabs ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক Nonproliferation Policy Education Center (NPEC) যৌথভাবে ২০২০ সালের পরিবেশগত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সিমুলেশন চালায়। এতে দেখা গেছে, বুশেহরে যদি Spent Fuel Pond (SFP)–এ আগুন লাগে কিংবা রিঅ্যাক্টর কোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কী উঠে এসেছে সিমুলেশনে?
শুধু একটি রিঅ্যাক্টরে আঘাত এলেও, বাধ্যতামূলকভাবে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হতে পারে।
১টি SFP–তে আগুন লাগলে, ৩৪ লাখ মানুষকে সরাতে হতে পারে।
২টি SFP ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এই সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৬৭ লাখে।
সিমুলেশনে আশপাশের দেশ ইরান, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুর্কমেনিস্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুঝতে সুবিধা হয় এমনভাবে সিমুলেশনটি চারটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে। এতে রঙিনভাবে দেখানো হয়েছে কোন কোন এলাকায় চিরতরে বসবাস নিষিদ্ধ হতে পারে এবং কোথায় স্বেচ্ছামূলক সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রঙে চিহ্নিত এলাকাগুলোয় বহু দশক ধরে মানুষ বাস করতে পারবে না। বহু এলাকা কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। অর্থনীতি, কৃষি, পানীয় জল, জনস্বাস্থ্য—সবখানেই পড়বে ব্যাপক প্রভাব।
কেন এত ভয়াবহ?
Spent Fuel Pool (SFP)–এ থাকে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। এগুলো প্রচণ্ড তেজস্ক্রিয় এবং অত্যন্ত গরম। এগুলো শীতল পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। যদি সেগুলোতে আগুন ধরে বা পানি শুকিয়ে যায়, তখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ঘটে বিস্ফোরণ। তাতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে।
এ ঘটনা অতীতে চেরনোবিল ও ফুকুশিমায় ঘটেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বুশেহরে তা হলে আকারে আরও বড় বিপর্যয় হতে পারে, কারণ এটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং উপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে।
ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিপজ্জনক
বুশেহর রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত। ফলে, সেখানে হামলা হলে তা শুধু ইরান নয়, রাশিয়ারও সরাসরি অংশগ্রহণকে স্পর্শ করতে পারে। এতে আঞ্চলিক যুদ্ধ একধাপ বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষক রবার্ট কেলির সতর্কতা এবং আল জাজিরার সিমুলেশন একই বার্তা দেয়—বুশেহরে একটি হামলা শুধু একটি স্থাপনাকে ধ্বংস করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলের জনজীবন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে দীর্ঘমেয়াদে পঙ্গু করে দিতে পারে।
এই কেন্দ্রকে ঘিরে এখনো কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এমন বাস্তবতায়, কেবল সামরিক নয়, মানবিক ও পরিবেশগত বিবেচনাতেও এই ঝুঁকির গভীরতা অনুধাবন করা জরুরি।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
২১ জুন ২০২৫
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
২১ জুন ২০২৫
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কোনো সমাধান ছাড়াই তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তালেবান দাবি করে, সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, দুই দিনের আলোচনা সৎ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। তালেবান আশা করেছিল, ইসলামাবাদ ‘একটি মৌলিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ পেশ করবে।
কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনায় পাকিস্তান তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার দায় সম্পূর্ণভাবে আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে অথচ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কিংবা নিজেদের দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে, ফলে আলোচনার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি এবং সেটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের বিবৃতির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুক্রবার ইসলামাবাদও স্বীকার করে, যে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইসলামাবাদ ‘আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।’
পাকিস্তানের অভিযোগ, কাবুল সরকার ২০২১ সালের দোহা শান্তি চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবানের (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি) মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালায়। তবে তালেবান পাকিস্তানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো দেশকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে দেব না, তেমনি অন্য কোনো দেশকেও আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
জবিউল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমাদের বন্ধু ও ভাই, কিন্তু ‘যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আফগান সীমান্ত এলাকায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তালেবানের হামলায় তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কোনো সমাধান ছাড়াই তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তালেবান দাবি করে, সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, দুই দিনের আলোচনা সৎ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। তালেবান আশা করেছিল, ইসলামাবাদ ‘একটি মৌলিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ পেশ করবে।
কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনায় পাকিস্তান তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার দায় সম্পূর্ণভাবে আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে অথচ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কিংবা নিজেদের দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে, ফলে আলোচনার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি এবং সেটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের বিবৃতির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুক্রবার ইসলামাবাদও স্বীকার করে, যে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইসলামাবাদ ‘আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।’
পাকিস্তানের অভিযোগ, কাবুল সরকার ২০২১ সালের দোহা শান্তি চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবানের (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি) মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালায়। তবে তালেবান পাকিস্তানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো দেশকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে দেব না, তেমনি অন্য কোনো দেশকেও আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
জবিউল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমাদের বন্ধু ও ভাই, কিন্তু ‘যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আফগান সীমান্ত এলাকায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তালেবানের হামলায় তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
২১ জুন ২০২৫
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচনী সহিংসতার পর কমপক্ষে ২৪০ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তানজানিয়ার একটি আদালত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় তারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে।
ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সহিংসতার ব্যাপ্তি কমিয়ে দেখিয়েছে এবং দাবি করেছে, নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ছিল।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে তানজানিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বদলে সাধারণত তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে।
গতকাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকার দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেনিফার জোভিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শ্যাল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীদের গ্যাস মাস্ক কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

নির্বাচনী সহিংসতার পর কমপক্ষে ২৪০ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তানজানিয়ার একটি আদালত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় তারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে।
ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সহিংসতার ব্যাপ্তি কমিয়ে দেখিয়েছে এবং দাবি করেছে, নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ছিল।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে তানজানিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বদলে সাধারণত তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে।
গতকাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকার দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেনিফার জোভিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শ্যাল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীদের গ্যাস মাস্ক কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
২১ জুন ২০২৫
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে