Ajker Patrika

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেভাবে এআই ব্যবহার করবে মেটা

অনলাইন ডেস্ক
২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে মেটার। ছবি: ইনসাইড বিটকয়েনস
২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে মেটার। ছবি: ইনসাইড বিটকয়েনস

বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। শুধু প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই নয়, বরং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদেরও মূল্যায়ন করবে এআই। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু নথিপত্র বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি এআই সিস্টেম তৈরি করছে, যা প্রার্থীদের কোডিং দক্ষতা যাচাই, প্রশ্ন তৈরির পরামর্শ এবং উপযুক্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর সঙ্গে প্রার্থীকে মিলিয়ে দেওয়ার মতো কাজগুলো করবে। সেই সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময়সূচি ঠিক করা ও কোন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী কোন ভাষায় পারদর্শী—এই তথ্যগুলোও নজরে রাখবে এ প্রযুক্তি।

তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের দক্ষতা নিয়েও সিদ্ধান্ত দেবে। তারা কী ধরনের প্রশ্ন করছেন, প্রশ্নে কোনো অনুপযুক্ত বা বৈষম্যমূলক বিষয় আছে কি না—তা নজরদারির আওতায় আসবে। পাশাপাশি তাঁদের ফিডব্যাক কতটা কার্যকর এবং তাঁরা কতজন প্রার্থীকে পরবর্তী ধাপে পাঠাচ্ছেন, তাও বিশ্লেষণ করবে এআই।

২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে মেটার। এই সিস্টেমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—সময় বাঁচানো, কাগজপত্র কমানো এবং পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও নিয়মতান্ত্রিক ও দক্ষ করে তোলা। মেটা চায়, সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ার পেছনের কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করুক এআই, যাতে সাক্ষাৎকার পর্বটি আরও মসৃণভাবে এগোয়।

মেটার এক মুখপাত্র ‘বিজনেস ইনসাইডার’-কে বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে এখনো মানব সম্পৃক্ততা থাকবে। তবে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত ও সুশৃঙ্খল হবে।’

শুধু মেটাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এআই ব্যবহার করছে আরও অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। উদাহরণস্বরূপ, আমাজন ইতিমধ্যে প্রার্থীদের বাছাই ও উপযুক্ত চাকরির সঙ্গে মেলাতে এআই টুল ব্যবহার করছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের সময় এআই টুল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে।

অন্যদিকে, আইবিএম মানবসম্পদ বিভাগে এআই ব্যবহার করে ইতিমধ্যে ২০০টি চাকরির পদে পরিবর্তন এনেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের এই স্বয়ংক্রিয়করণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কিছু মানবসম্পদ কার্যক্রম পুরোপুরি এআই-এর ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এআই ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। লিংকডইন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তাদের জরিপে অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা নিয়োগে এআই ব্যবহার করছে বা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২৭ শতাংশ।

মেটায় নিয়োগে এখনো মানুষের ভূমিকা থাকছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির নতুন উদ্যোগ প্রমাণ করে—মানবসম্পদ বিভাগেও এখন বড় পরিসরে জায়গা করে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত