কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই-ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যতের বিষয়ে আগ্রহী এমন যে কারও জন্য এই পার্থক্যগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের মানুস এআই ওপেনএআইএর চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—
কোন এআই মডেলটি বেশি স্মার্ট?
ব্যবসা এবং ডেভেলপারদের জন্য কোনটি ভালো? এবং
মানুস এআই কি চ্যাটজিপিটিকে প্রভাব ও ক্ষমতায় ছাড়িয়ে যেতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দুটি এআই জায়ান্টের পার্থক্যগুলো বুঝতে হবে। তাই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য: দুটি আলাদা দৃষ্টিকোণ
মানুস এআই: স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ
মানুস এআই এমন একটি স্বশিক্ষিত, স্বতন্ত্র এআই হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবহারকারীর প্রম্পটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সীমাবদ্ধ নয় এটি—এআই মডেলটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, নির্দেশনা ছাড়াই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
চীনের মানুস এআইএর লক্ষ্য হচ্ছে—এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের মতো যুক্তিবাদী এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশনকে (এমন একটি সিস্টেম নিজে থেকেই তার কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালি উন্নত করার চেষ্টা করে) অনুকরণ করতে সক্ষম। এর ফলে এটি এমন সব শিল্পের জন্য আদর্শ, যেখানে ক্রমাগত তত্ত্বাবধান ছাড়াই জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি: কথোপকথন বিশেষজ্ঞ
ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি মূলত কথোপকথনমূলক এআই, যা ভাষা বোঝা, প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এমন কিছু কাজে অসাধারণ, যেমন:
যদিও চ্যাটজিপিটির স্পষ্ট নির্দেশনা এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের প্রয়োজন হয়, তার শক্তি হলো—ভাষা দক্ষতা এবং বিভিন্ন কথোপকথন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর স্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদর্শী।
২. প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা
মানুস এআই: স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইএর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। এটি উন্নত নিউরাল নেটওয়ার্ক, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশন মডেল ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে এটি ক্রমাগত তার বোঝার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এভাবে মানুস এআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং আরও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, যা এটিকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
মানুস এআইএর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
চ্যাটজিপিটি: ভাষা দক্ষতা
চ্যাটজিপিটির শক্তি তার ভাষা বোঝা এবং কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতায়। চ্যাটজিপিটি–৪ মডেল কোড লেখা, মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করা, চিন্তা–ভাবনায় সাহায্য করা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত কাজের প্রবাহে সাহায্য করতে পারে।
চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহকারী হিসেবে চমকপ্রদভাবে কাজ করে।
৩. ব্যবহার ক্ষেত্র: কোথায় কে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে
মানুস এআই: স্বতন্ত্র সমাধানগুলোর জন্য সেরা
মানুস এআই এমন শিল্পগুলোর জন্য আদর্শ, যেখানে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। সম্ভাব্য প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো—
স্বাস্থ্যসেবা: লাইভ ডেটা ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা পরামর্শ দেওয়া।
আর্থিক খাত: স্বতন্ত্র ঝুঁকি মূল্যায়ন, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং আর্থিক পূর্বাভাস প্রদান।
স্মার্ট সিটি: ট্রাফিক প্রবাহ, শক্তির বণ্টন এবং নিরাপত্তা সিস্টেম পরিচালনা করা।
চ্যাটজিপিটি: প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহায়তার জন্য সেরা
চ্যাটজিপিটি এমন পরিবেশে সবচেয়ে সফল, যেখানে যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়:
কনটেন্ট তৈরি: প্রতিবেদন লেখা, মার্কেটিং কপি তৈরি অথবা নতুন ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
কোডিং সহায়তা: ডিবাগিং, কোড ব্যাখ্যা করা এবং স্ক্রিপ্ট তৈরি করা।
গ্রাহক সহায়তা: ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তৈরি, যেখানে চ্যাটজিপিটি যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৪. পারফরম্যান্স এবং শেখা
মানুস এআই: স্ব-উন্নয়নশীল বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বশিক্ষণ ক্ষমতা। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে না বরং বাস্তব দুনিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং ফলাফেলর ভিত্তিতে এর কৌশলগুলো ক্রমাগত উন্নত করে।
চ্যাটজিপিটি: প্রম্পটভিত্তিক দক্ষতা
চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট থেকে শেখে এবং বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়ার পরে এটি অসাধারণ ফলাফল দেয়। তবে এটি সফলভাবে কাজ করতে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। যদি প্রম্পট সঠিক না হয়, তবে এটি কখনো কখনো ভুল বা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআইয়ের স্বতন্ত্রভাবে শিখতে পারে এবং চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা এর প্রম্পটের ওপর নির্ভর করে।
৫. বৈশ্বিক প্রভাব এবং বাজারের অবস্থান
মানুস এআই: চীনের উত্থানশীল এআই শক্তি
চীনের এআই আধিপত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মানুস এআই। স্বল্প তত্ত্বাবধানে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করে এআই খাতে বিশ্বে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন।
চ্যাটজিপিটি: বৈশ্বিক মানদণ্ড
চ্যাটজিপিটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এআই মডেল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে সংযুক্ত এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য, চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআইয়ের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে মূলধারা এআই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
৬. এআইয়ের ভবিষ্যৎ: কোনটি জিতবে?
মানুস এআই ও চ্যাটজিপিটির মধ্যে কোনটা সেরা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর—
তবে, একটি জিনিস নিশ্চিত যে, মানুস এআইয়ের উত্থান এআই বিবর্তনের নতুন ঢেউয়ের সংকেত দেয়। এই ঢেউ মেশিনের দক্ষতা এবং মানব যুক্তির সীমানাগুলো ধোঁয়াশা করে দেয়।
সহযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা
যদিও মানুস এআই এবং চ্যাটজিপিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে এগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। মানুস এআইয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবসাগুলোকে জটিল প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সাহায্য করতে পারে, আবার চ্যাটজিপিটির কথোপকথনমূলক শক্তি মানব-এআই ইন্টারঅ্যাকশনকে বদলে দিতে থাকে।
আসল প্রশ্ন কোনটি ‘বেশি ভালো’ তা নয় বরং ব্যবসা, ডেভেলপার এবং শিল্পগুলো কীভাবে উভয় বিশ্ব থেকেই সেরা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই-ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যতের বিষয়ে আগ্রহী এমন যে কারও জন্য এই পার্থক্যগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের মানুস এআই ওপেনএআইএর চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—
কোন এআই মডেলটি বেশি স্মার্ট?
ব্যবসা এবং ডেভেলপারদের জন্য কোনটি ভালো? এবং
মানুস এআই কি চ্যাটজিপিটিকে প্রভাব ও ক্ষমতায় ছাড়িয়ে যেতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দুটি এআই জায়ান্টের পার্থক্যগুলো বুঝতে হবে। তাই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য: দুটি আলাদা দৃষ্টিকোণ
মানুস এআই: স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ
মানুস এআই এমন একটি স্বশিক্ষিত, স্বতন্ত্র এআই হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবহারকারীর প্রম্পটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সীমাবদ্ধ নয় এটি—এআই মডেলটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, নির্দেশনা ছাড়াই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
চীনের মানুস এআইএর লক্ষ্য হচ্ছে—এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের মতো যুক্তিবাদী এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশনকে (এমন একটি সিস্টেম নিজে থেকেই তার কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালি উন্নত করার চেষ্টা করে) অনুকরণ করতে সক্ষম। এর ফলে এটি এমন সব শিল্পের জন্য আদর্শ, যেখানে ক্রমাগত তত্ত্বাবধান ছাড়াই জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি: কথোপকথন বিশেষজ্ঞ
ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি মূলত কথোপকথনমূলক এআই, যা ভাষা বোঝা, প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এমন কিছু কাজে অসাধারণ, যেমন:
যদিও চ্যাটজিপিটির স্পষ্ট নির্দেশনা এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের প্রয়োজন হয়, তার শক্তি হলো—ভাষা দক্ষতা এবং বিভিন্ন কথোপকথন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর স্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদর্শী।
২. প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা
মানুস এআই: স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইএর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। এটি উন্নত নিউরাল নেটওয়ার্ক, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশন মডেল ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে এটি ক্রমাগত তার বোঝার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এভাবে মানুস এআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং আরও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, যা এটিকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
মানুস এআইএর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
চ্যাটজিপিটি: ভাষা দক্ষতা
চ্যাটজিপিটির শক্তি তার ভাষা বোঝা এবং কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতায়। চ্যাটজিপিটি–৪ মডেল কোড লেখা, মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করা, চিন্তা–ভাবনায় সাহায্য করা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত কাজের প্রবাহে সাহায্য করতে পারে।
চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহকারী হিসেবে চমকপ্রদভাবে কাজ করে।
৩. ব্যবহার ক্ষেত্র: কোথায় কে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে
মানুস এআই: স্বতন্ত্র সমাধানগুলোর জন্য সেরা
মানুস এআই এমন শিল্পগুলোর জন্য আদর্শ, যেখানে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। সম্ভাব্য প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো—
স্বাস্থ্যসেবা: লাইভ ডেটা ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা পরামর্শ দেওয়া।
আর্থিক খাত: স্বতন্ত্র ঝুঁকি মূল্যায়ন, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং আর্থিক পূর্বাভাস প্রদান।
স্মার্ট সিটি: ট্রাফিক প্রবাহ, শক্তির বণ্টন এবং নিরাপত্তা সিস্টেম পরিচালনা করা।
চ্যাটজিপিটি: প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহায়তার জন্য সেরা
চ্যাটজিপিটি এমন পরিবেশে সবচেয়ে সফল, যেখানে যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়:
কনটেন্ট তৈরি: প্রতিবেদন লেখা, মার্কেটিং কপি তৈরি অথবা নতুন ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
কোডিং সহায়তা: ডিবাগিং, কোড ব্যাখ্যা করা এবং স্ক্রিপ্ট তৈরি করা।
গ্রাহক সহায়তা: ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তৈরি, যেখানে চ্যাটজিপিটি যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৪. পারফরম্যান্স এবং শেখা
মানুস এআই: স্ব-উন্নয়নশীল বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বশিক্ষণ ক্ষমতা। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে না বরং বাস্তব দুনিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং ফলাফেলর ভিত্তিতে এর কৌশলগুলো ক্রমাগত উন্নত করে।
চ্যাটজিপিটি: প্রম্পটভিত্তিক দক্ষতা
চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট থেকে শেখে এবং বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়ার পরে এটি অসাধারণ ফলাফল দেয়। তবে এটি সফলভাবে কাজ করতে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। যদি প্রম্পট সঠিক না হয়, তবে এটি কখনো কখনো ভুল বা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআইয়ের স্বতন্ত্রভাবে শিখতে পারে এবং চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা এর প্রম্পটের ওপর নির্ভর করে।
৫. বৈশ্বিক প্রভাব এবং বাজারের অবস্থান
মানুস এআই: চীনের উত্থানশীল এআই শক্তি
চীনের এআই আধিপত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মানুস এআই। স্বল্প তত্ত্বাবধানে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করে এআই খাতে বিশ্বে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন।
চ্যাটজিপিটি: বৈশ্বিক মানদণ্ড
চ্যাটজিপিটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এআই মডেল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে সংযুক্ত এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য, চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআইয়ের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে মূলধারা এআই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
৬. এআইয়ের ভবিষ্যৎ: কোনটি জিতবে?
মানুস এআই ও চ্যাটজিপিটির মধ্যে কোনটা সেরা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর—
তবে, একটি জিনিস নিশ্চিত যে, মানুস এআইয়ের উত্থান এআই বিবর্তনের নতুন ঢেউয়ের সংকেত দেয়। এই ঢেউ মেশিনের দক্ষতা এবং মানব যুক্তির সীমানাগুলো ধোঁয়াশা করে দেয়।
সহযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা
যদিও মানুস এআই এবং চ্যাটজিপিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে এগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। মানুস এআইয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবসাগুলোকে জটিল প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সাহায্য করতে পারে, আবার চ্যাটজিপিটির কথোপকথনমূলক শক্তি মানব-এআই ইন্টারঅ্যাকশনকে বদলে দিতে থাকে।
আসল প্রশ্ন কোনটি ‘বেশি ভালো’ তা নয় বরং ব্যবসা, ডেভেলপার এবং শিল্পগুলো কীভাবে উভয় বিশ্ব থেকেই সেরা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই-ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যতের বিষয়ে আগ্রহী এমন যে কারও জন্য এই পার্থক্যগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের মানুস এআই ওপেনএআইএর চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—
কোন এআই মডেলটি বেশি স্মার্ট?
ব্যবসা এবং ডেভেলপারদের জন্য কোনটি ভালো? এবং
মানুস এআই কি চ্যাটজিপিটিকে প্রভাব ও ক্ষমতায় ছাড়িয়ে যেতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দুটি এআই জায়ান্টের পার্থক্যগুলো বুঝতে হবে। তাই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য: দুটি আলাদা দৃষ্টিকোণ
মানুস এআই: স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ
মানুস এআই এমন একটি স্বশিক্ষিত, স্বতন্ত্র এআই হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবহারকারীর প্রম্পটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সীমাবদ্ধ নয় এটি—এআই মডেলটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, নির্দেশনা ছাড়াই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
চীনের মানুস এআইএর লক্ষ্য হচ্ছে—এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের মতো যুক্তিবাদী এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশনকে (এমন একটি সিস্টেম নিজে থেকেই তার কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালি উন্নত করার চেষ্টা করে) অনুকরণ করতে সক্ষম। এর ফলে এটি এমন সব শিল্পের জন্য আদর্শ, যেখানে ক্রমাগত তত্ত্বাবধান ছাড়াই জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি: কথোপকথন বিশেষজ্ঞ
ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি মূলত কথোপকথনমূলক এআই, যা ভাষা বোঝা, প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এমন কিছু কাজে অসাধারণ, যেমন:
যদিও চ্যাটজিপিটির স্পষ্ট নির্দেশনা এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের প্রয়োজন হয়, তার শক্তি হলো—ভাষা দক্ষতা এবং বিভিন্ন কথোপকথন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর স্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদর্শী।
২. প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা
মানুস এআই: স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইএর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। এটি উন্নত নিউরাল নেটওয়ার্ক, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশন মডেল ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে এটি ক্রমাগত তার বোঝার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এভাবে মানুস এআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং আরও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, যা এটিকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
মানুস এআইএর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
চ্যাটজিপিটি: ভাষা দক্ষতা
চ্যাটজিপিটির শক্তি তার ভাষা বোঝা এবং কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতায়। চ্যাটজিপিটি–৪ মডেল কোড লেখা, মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করা, চিন্তা–ভাবনায় সাহায্য করা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত কাজের প্রবাহে সাহায্য করতে পারে।
চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহকারী হিসেবে চমকপ্রদভাবে কাজ করে।
৩. ব্যবহার ক্ষেত্র: কোথায় কে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে
মানুস এআই: স্বতন্ত্র সমাধানগুলোর জন্য সেরা
মানুস এআই এমন শিল্পগুলোর জন্য আদর্শ, যেখানে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। সম্ভাব্য প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো—
স্বাস্থ্যসেবা: লাইভ ডেটা ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা পরামর্শ দেওয়া।
আর্থিক খাত: স্বতন্ত্র ঝুঁকি মূল্যায়ন, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং আর্থিক পূর্বাভাস প্রদান।
স্মার্ট সিটি: ট্রাফিক প্রবাহ, শক্তির বণ্টন এবং নিরাপত্তা সিস্টেম পরিচালনা করা।
চ্যাটজিপিটি: প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহায়তার জন্য সেরা
চ্যাটজিপিটি এমন পরিবেশে সবচেয়ে সফল, যেখানে যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়:
কনটেন্ট তৈরি: প্রতিবেদন লেখা, মার্কেটিং কপি তৈরি অথবা নতুন ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
কোডিং সহায়তা: ডিবাগিং, কোড ব্যাখ্যা করা এবং স্ক্রিপ্ট তৈরি করা।
গ্রাহক সহায়তা: ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তৈরি, যেখানে চ্যাটজিপিটি যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৪. পারফরম্যান্স এবং শেখা
মানুস এআই: স্ব-উন্নয়নশীল বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বশিক্ষণ ক্ষমতা। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে না বরং বাস্তব দুনিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং ফলাফেলর ভিত্তিতে এর কৌশলগুলো ক্রমাগত উন্নত করে।
চ্যাটজিপিটি: প্রম্পটভিত্তিক দক্ষতা
চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট থেকে শেখে এবং বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়ার পরে এটি অসাধারণ ফলাফল দেয়। তবে এটি সফলভাবে কাজ করতে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। যদি প্রম্পট সঠিক না হয়, তবে এটি কখনো কখনো ভুল বা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআইয়ের স্বতন্ত্রভাবে শিখতে পারে এবং চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা এর প্রম্পটের ওপর নির্ভর করে।
৫. বৈশ্বিক প্রভাব এবং বাজারের অবস্থান
মানুস এআই: চীনের উত্থানশীল এআই শক্তি
চীনের এআই আধিপত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মানুস এআই। স্বল্প তত্ত্বাবধানে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করে এআই খাতে বিশ্বে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন।
চ্যাটজিপিটি: বৈশ্বিক মানদণ্ড
চ্যাটজিপিটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এআই মডেল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে সংযুক্ত এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য, চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআইয়ের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে মূলধারা এআই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
৬. এআইয়ের ভবিষ্যৎ: কোনটি জিতবে?
মানুস এআই ও চ্যাটজিপিটির মধ্যে কোনটা সেরা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর—
তবে, একটি জিনিস নিশ্চিত যে, মানুস এআইয়ের উত্থান এআই বিবর্তনের নতুন ঢেউয়ের সংকেত দেয়। এই ঢেউ মেশিনের দক্ষতা এবং মানব যুক্তির সীমানাগুলো ধোঁয়াশা করে দেয়।
সহযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা
যদিও মানুস এআই এবং চ্যাটজিপিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে এগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। মানুস এআইয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবসাগুলোকে জটিল প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সাহায্য করতে পারে, আবার চ্যাটজিপিটির কথোপকথনমূলক শক্তি মানব-এআই ইন্টারঅ্যাকশনকে বদলে দিতে থাকে।
আসল প্রশ্ন কোনটি ‘বেশি ভালো’ তা নয় বরং ব্যবসা, ডেভেলপার এবং শিল্পগুলো কীভাবে উভয় বিশ্ব থেকেই সেরা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই-ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যতের বিষয়ে আগ্রহী এমন যে কারও জন্য এই পার্থক্যগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের মানুস এআই ওপেনএআইএর চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—
কোন এআই মডেলটি বেশি স্মার্ট?
ব্যবসা এবং ডেভেলপারদের জন্য কোনটি ভালো? এবং
মানুস এআই কি চ্যাটজিপিটিকে প্রভাব ও ক্ষমতায় ছাড়িয়ে যেতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দুটি এআই জায়ান্টের পার্থক্যগুলো বুঝতে হবে। তাই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য: দুটি আলাদা দৃষ্টিকোণ
মানুস এআই: স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ
মানুস এআই এমন একটি স্বশিক্ষিত, স্বতন্ত্র এআই হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবহারকারীর প্রম্পটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সীমাবদ্ধ নয় এটি—এআই মডেলটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, নির্দেশনা ছাড়াই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
চীনের মানুস এআইএর লক্ষ্য হচ্ছে—এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের মতো যুক্তিবাদী এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশনকে (এমন একটি সিস্টেম নিজে থেকেই তার কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালি উন্নত করার চেষ্টা করে) অনুকরণ করতে সক্ষম। এর ফলে এটি এমন সব শিল্পের জন্য আদর্শ, যেখানে ক্রমাগত তত্ত্বাবধান ছাড়াই জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি: কথোপকথন বিশেষজ্ঞ
ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি মূলত কথোপকথনমূলক এআই, যা ভাষা বোঝা, প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এমন কিছু কাজে অসাধারণ, যেমন:
যদিও চ্যাটজিপিটির স্পষ্ট নির্দেশনা এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের প্রয়োজন হয়, তার শক্তি হলো—ভাষা দক্ষতা এবং বিভিন্ন কথোপকথন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর স্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদর্শী।
২. প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা
মানুস এআই: স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইএর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। এটি উন্নত নিউরাল নেটওয়ার্ক, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশন মডেল ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে এটি ক্রমাগত তার বোঝার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এভাবে মানুস এআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং আরও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, যা এটিকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
মানুস এআইএর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
চ্যাটজিপিটি: ভাষা দক্ষতা
চ্যাটজিপিটির শক্তি তার ভাষা বোঝা এবং কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতায়। চ্যাটজিপিটি–৪ মডেল কোড লেখা, মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করা, চিন্তা–ভাবনায় সাহায্য করা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত কাজের প্রবাহে সাহায্য করতে পারে।
চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহকারী হিসেবে চমকপ্রদভাবে কাজ করে।
৩. ব্যবহার ক্ষেত্র: কোথায় কে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে
মানুস এআই: স্বতন্ত্র সমাধানগুলোর জন্য সেরা
মানুস এআই এমন শিল্পগুলোর জন্য আদর্শ, যেখানে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। সম্ভাব্য প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো—
স্বাস্থ্যসেবা: লাইভ ডেটা ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা পরামর্শ দেওয়া।
আর্থিক খাত: স্বতন্ত্র ঝুঁকি মূল্যায়ন, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং আর্থিক পূর্বাভাস প্রদান।
স্মার্ট সিটি: ট্রাফিক প্রবাহ, শক্তির বণ্টন এবং নিরাপত্তা সিস্টেম পরিচালনা করা।
চ্যাটজিপিটি: প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহায়তার জন্য সেরা
চ্যাটজিপিটি এমন পরিবেশে সবচেয়ে সফল, যেখানে যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়:
কনটেন্ট তৈরি: প্রতিবেদন লেখা, মার্কেটিং কপি তৈরি অথবা নতুন ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
কোডিং সহায়তা: ডিবাগিং, কোড ব্যাখ্যা করা এবং স্ক্রিপ্ট তৈরি করা।
গ্রাহক সহায়তা: ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তৈরি, যেখানে চ্যাটজিপিটি যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৪. পারফরম্যান্স এবং শেখা
মানুস এআই: স্ব-উন্নয়নশীল বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বশিক্ষণ ক্ষমতা। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে না বরং বাস্তব দুনিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং ফলাফেলর ভিত্তিতে এর কৌশলগুলো ক্রমাগত উন্নত করে।
চ্যাটজিপিটি: প্রম্পটভিত্তিক দক্ষতা
চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট থেকে শেখে এবং বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়ার পরে এটি অসাধারণ ফলাফল দেয়। তবে এটি সফলভাবে কাজ করতে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। যদি প্রম্পট সঠিক না হয়, তবে এটি কখনো কখনো ভুল বা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআইয়ের স্বতন্ত্রভাবে শিখতে পারে এবং চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা এর প্রম্পটের ওপর নির্ভর করে।
৫. বৈশ্বিক প্রভাব এবং বাজারের অবস্থান
মানুস এআই: চীনের উত্থানশীল এআই শক্তি
চীনের এআই আধিপত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মানুস এআই। স্বল্প তত্ত্বাবধানে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করে এআই খাতে বিশ্বে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন।
চ্যাটজিপিটি: বৈশ্বিক মানদণ্ড
চ্যাটজিপিটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এআই মডেল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে সংযুক্ত এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য, চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআইয়ের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে মূলধারা এআই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
৬. এআইয়ের ভবিষ্যৎ: কোনটি জিতবে?
মানুস এআই ও চ্যাটজিপিটির মধ্যে কোনটা সেরা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর—
তবে, একটি জিনিস নিশ্চিত যে, মানুস এআইয়ের উত্থান এআই বিবর্তনের নতুন ঢেউয়ের সংকেত দেয়। এই ঢেউ মেশিনের দক্ষতা এবং মানব যুক্তির সীমানাগুলো ধোঁয়াশা করে দেয়।
সহযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা
যদিও মানুস এআই এবং চ্যাটজিপিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে এগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। মানুস এআইয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবসাগুলোকে জটিল প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সাহায্য করতে পারে, আবার চ্যাটজিপিটির কথোপকথনমূলক শক্তি মানব-এআই ইন্টারঅ্যাকশনকে বদলে দিতে থাকে।
আসল প্রশ্ন কোনটি ‘বেশি ভালো’ তা নয় বরং ব্যবসা, ডেভেলপার এবং শিল্পগুলো কীভাবে উভয় বিশ্ব থেকেই সেরা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’
ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’
তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’
ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’
তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই–ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির...
১৫ মার্চ ২০২৫জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দেখা দেওয়া টেকনিক্যাল বা কারিগরি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এর আগে, সারা বিশ্বের শত শত হাজার ব্যবহারকারী ইউটিউবের স্ট্রিমিং সেবায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এশিয়ার সময় এক্সে ইউটিউব লিখেছে, ‘সমস্যাটি এখন ঠিক করা হয়েছে—এখন আপনারা ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে স্বাভাবিকভাবে ভিডিও চালাতে পারবেন!’ তবে ইউটিউব জানায়নি, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ কী ছিল বা এটি কতটা বড় পরিসরে ঘটেছিল।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপের রিয়েল টাইম ত্রুটির তথ্য সংগ্রহকারী সাইট ডাউনডিটেকটর জানায়, পূর্ব এশিয়ার সময় সকাল ৭টার কিছু আগে (জিএমটি সময় বুধবার রাত ১১টার দিকে) ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে সমস্যা দেখা দেয়।
এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা দ্রুতই ভিডিও স্ট্রিমিং, ওয়েবসাইটে প্রবেশ ও অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ জানান। ডাউনডিটেকটরের ব্যবহারকারীদের তৈরি ত্রুটির মানচিত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা রিপোর্ট করা হয়।
জাপান, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্নের খবর পাওয়া যায়। তবে সমস্যার প্রকৃত পরিধি নির্ধারণ করা যায়নি, কারণ ডাউনডিটেকটরের তথ্য মূলত ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
ডাউনডিটেকটরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮ টিতে পৌঁছায়, এরপর তা দ্রুত কমে যায়। একই সময়ের মধ্যে ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্ল্যাটফর্মে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা ৫ হাজারের নিচেই ছিল বলে জানিয়েছে ডাউনডিটেকটর।
জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দেখা দেওয়া টেকনিক্যাল বা কারিগরি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এর আগে, সারা বিশ্বের শত শত হাজার ব্যবহারকারী ইউটিউবের স্ট্রিমিং সেবায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এশিয়ার সময় এক্সে ইউটিউব লিখেছে, ‘সমস্যাটি এখন ঠিক করা হয়েছে—এখন আপনারা ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে স্বাভাবিকভাবে ভিডিও চালাতে পারবেন!’ তবে ইউটিউব জানায়নি, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ কী ছিল বা এটি কতটা বড় পরিসরে ঘটেছিল।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপের রিয়েল টাইম ত্রুটির তথ্য সংগ্রহকারী সাইট ডাউনডিটেকটর জানায়, পূর্ব এশিয়ার সময় সকাল ৭টার কিছু আগে (জিএমটি সময় বুধবার রাত ১১টার দিকে) ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে সমস্যা দেখা দেয়।
এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা দ্রুতই ভিডিও স্ট্রিমিং, ওয়েবসাইটে প্রবেশ ও অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ জানান। ডাউনডিটেকটরের ব্যবহারকারীদের তৈরি ত্রুটির মানচিত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা রিপোর্ট করা হয়।
জাপান, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্নের খবর পাওয়া যায়। তবে সমস্যার প্রকৃত পরিধি নির্ধারণ করা যায়নি, কারণ ডাউনডিটেকটরের তথ্য মূলত ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
ডাউনডিটেকটরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮ টিতে পৌঁছায়, এরপর তা দ্রুত কমে যায়। একই সময়ের মধ্যে ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্ল্যাটফর্মে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা ৫ হাজারের নিচেই ছিল বলে জানিয়েছে ডাউনডিটেকটর।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই–ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির...
১৫ মার্চ ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই–ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির...
১৫ মার্চ ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই–ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির...
১৫ মার্চ ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে