নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথমার্ধের উত্তাপ দ্বিতীয়ার্ধে বেড়ে উঠল আরও। হামজা–শমিতদের ঘাড়ে চড়ে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন দিন শেষে রূপ নিল চরম হতাশায়। হামজা চৌধুরী হয়ে পড়লেন বিমর্ষ, শমিত শোমও যেন বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ফাহামিদুল ইসলাম তো কেঁদেই ফেললেন। এভাবেও হারা যায়!
৭ গোলের থ্রিলারে আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকংয়ের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে ওঠার রাস্তাটাও কঠিন হয়ে গেল আরও। অথচ শুরুটা হয়েছিল আশা দিয়ে। শুরুর একাদশে ফাহামিদুল ইসলাম ও শমিত শোমকে না রেখে চমক দেখান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাংলাদেশের ৪-৪-২ ছকে ভেঙে দিতে শুরুতে আক্রমণে উঠে হংকং।
৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ম্যাট ওরের শট দূরের পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।
১৩ মিনিটি দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে জাল কাঁপান হামজা চৌধুরী। বক্সের ঠিক ডান পাশে এর আগে ফাউলের শিকার হন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। শুরুতে অবশ্য তা শেখ মোরসালিন নিতে গিয়েছিলেন। কয়েক সেকেন্ডের আলাপে পরে সরে আসেন মোরসালিন। হামজার বাঁকানোর ফ্রিকিক ম্যাট ওরের চুল ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
সূক্ষ্ম কোণের এই গোলে হামজা যেন হংকংকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি বেঞ্চে থাকার মতো খেলোয়াড় নন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। এর আগে গত জুনে ভুটানের বিপক্ষে হেডে গোল করেন ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
৩৬ মিনিট রাকিবের ক্রস রিসিভ করার মতো কেউ ছিলেন দেখে বল লুফে নিতে কোনো অসুবিধা হয়নি সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক ইয়াপ হুং ফাইয়ের। ৪১ মিনিটে হংকং গোলের দেখা পেলেও অফসাইডের পতাকা আগেই তুলে রাখেন লাইন্সম্যান। যোগ করার সময়ের চতুর্থ মিনিটে সেট পিস থেকে সমতা ফেরায় হংকং। কর্নার থেকে কয়েকটি হেড পেরিয়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু হেডে ফাঁকায় থাকা এভেরতনের কাছে বল দিয়ে দেন তিনি। সেই সুযোগ আর কাজে লাগাতে ভুল করেননি এভেরতন। হতাশায় গোল লাইনের ভেতরই বলে লাথি মারেন হামজা।
বিরতির পর ৫০তম মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে হংকংকে লিড এনে দেন ফরাসি বংশোদ্ভূত রাফায়েল মেরকিয়েস। প্রথম গোলের মতো এই গোলে দায়টা বাংলাদেশেরই। সোহেল রানা জুনিয়র ব্যাক পাস বাড়িয়েছিলেন হামজা চৌধুরীর দিকে। কিন্তু মারকিয়েস পেছন থেকে ছুটে এসে বল ধরে জোরালো শটে ব্যবধান করেন ২-১।
৬৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। বক্সের মধ্যে ফরোয়ার্ড পাস ধরা শেখ মোরসালিন শট নিলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। ৭৪ মিনিটে তৃতীয় গোলটি আসে মেরকিয়েসের পা থেকে। বাঁ প্রান্তে কামারগোকে আটকানোর জন্য সামনে এগিয়ে যান সাদ উদ্দিন। তাঁর দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে চুলচেরা এক পাস মেরকিয়েসের দিকে বাড়ান কামারগো। সেখান থেকে গোল করতে আর কোনো ভুল করেননি মেরকিয়েস।
৭৮ মিনিটে তাজ উদ্দিনের জায়গায় মাঠে নামেন জায়ান আহমেদ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে প্রথম ক্রসেই অভিষেকে নিজের জাত চেনান এই লেফট ব্যাক। পুরো দলও তখন ফের উজ্জীবিত হতে শুরু করে। ৮৪ মিনিটে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের উপলক্ষ এনে দেন মোরসালিন। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক হংকংয়ের এক ফুটবলার হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও বল চলে ফাহামিদুলের কাছে। তাঁর ভলি তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন হংকং অধিনায়ক হুং ফাই। সামনেই থাকা মোরসালিন বলটি জালে পাঠাতে কোনো সময় ক্ষেপণ করেননি। ব্যবধান রূপ নেয় ৩-২-এ।
এরপর শুধু বাংলাদেশেরই আক্রমণের গল্প। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফাহামিদুলের ক্রসে তপু বর্মণ মাথা ছোঁয়াতে পারলেই সমতায় আরও আগে ফিরতে পারত বাংলাদেশ। তবে খুব বেশি আর অপেক্ষা করা লাগেনি। নবম মিনিটে কর্নার থেকে হেডে শমিত শোমের গোলে ড্রয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফুটবলে শেষ মিনিট পর্যন্ত কী হয়, সেটা আন্দাজ করা মুশকিল। হংকং দিন শেষে হতাশ করেই ছাড়ল বাংলাদেশকে। যোগ করা সময়ের ১১ মিনিটে ডান দিক থেকে আসা ক্রস হেডে বিপদমুক্ত করতে চাইলেও পারেননি বাংলাদেশ ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু। নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে হংকংকে জয় এনে দেন মেরকিয়েস। এমন হারের দায় কার!
প্রথমার্ধের উত্তাপ দ্বিতীয়ার্ধে বেড়ে উঠল আরও। হামজা–শমিতদের ঘাড়ে চড়ে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন দিন শেষে রূপ নিল চরম হতাশায়। হামজা চৌধুরী হয়ে পড়লেন বিমর্ষ, শমিত শোমও যেন বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ফাহামিদুল ইসলাম তো কেঁদেই ফেললেন। এভাবেও হারা যায়!
৭ গোলের থ্রিলারে আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকংয়ের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে ওঠার রাস্তাটাও কঠিন হয়ে গেল আরও। অথচ শুরুটা হয়েছিল আশা দিয়ে। শুরুর একাদশে ফাহামিদুল ইসলাম ও শমিত শোমকে না রেখে চমক দেখান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাংলাদেশের ৪-৪-২ ছকে ভেঙে দিতে শুরুতে আক্রমণে উঠে হংকং।
৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ম্যাট ওরের শট দূরের পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।
১৩ মিনিটি দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে জাল কাঁপান হামজা চৌধুরী। বক্সের ঠিক ডান পাশে এর আগে ফাউলের শিকার হন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। শুরুতে অবশ্য তা শেখ মোরসালিন নিতে গিয়েছিলেন। কয়েক সেকেন্ডের আলাপে পরে সরে আসেন মোরসালিন। হামজার বাঁকানোর ফ্রিকিক ম্যাট ওরের চুল ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
সূক্ষ্ম কোণের এই গোলে হামজা যেন হংকংকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি বেঞ্চে থাকার মতো খেলোয়াড় নন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। এর আগে গত জুনে ভুটানের বিপক্ষে হেডে গোল করেন ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
৩৬ মিনিট রাকিবের ক্রস রিসিভ করার মতো কেউ ছিলেন দেখে বল লুফে নিতে কোনো অসুবিধা হয়নি সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক ইয়াপ হুং ফাইয়ের। ৪১ মিনিটে হংকং গোলের দেখা পেলেও অফসাইডের পতাকা আগেই তুলে রাখেন লাইন্সম্যান। যোগ করার সময়ের চতুর্থ মিনিটে সেট পিস থেকে সমতা ফেরায় হংকং। কর্নার থেকে কয়েকটি হেড পেরিয়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু হেডে ফাঁকায় থাকা এভেরতনের কাছে বল দিয়ে দেন তিনি। সেই সুযোগ আর কাজে লাগাতে ভুল করেননি এভেরতন। হতাশায় গোল লাইনের ভেতরই বলে লাথি মারেন হামজা।
বিরতির পর ৫০তম মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে হংকংকে লিড এনে দেন ফরাসি বংশোদ্ভূত রাফায়েল মেরকিয়েস। প্রথম গোলের মতো এই গোলে দায়টা বাংলাদেশেরই। সোহেল রানা জুনিয়র ব্যাক পাস বাড়িয়েছিলেন হামজা চৌধুরীর দিকে। কিন্তু মারকিয়েস পেছন থেকে ছুটে এসে বল ধরে জোরালো শটে ব্যবধান করেন ২-১।
৬৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। বক্সের মধ্যে ফরোয়ার্ড পাস ধরা শেখ মোরসালিন শট নিলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। ৭৪ মিনিটে তৃতীয় গোলটি আসে মেরকিয়েসের পা থেকে। বাঁ প্রান্তে কামারগোকে আটকানোর জন্য সামনে এগিয়ে যান সাদ উদ্দিন। তাঁর দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে চুলচেরা এক পাস মেরকিয়েসের দিকে বাড়ান কামারগো। সেখান থেকে গোল করতে আর কোনো ভুল করেননি মেরকিয়েস।
৭৮ মিনিটে তাজ উদ্দিনের জায়গায় মাঠে নামেন জায়ান আহমেদ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে প্রথম ক্রসেই অভিষেকে নিজের জাত চেনান এই লেফট ব্যাক। পুরো দলও তখন ফের উজ্জীবিত হতে শুরু করে। ৮৪ মিনিটে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের উপলক্ষ এনে দেন মোরসালিন। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক হংকংয়ের এক ফুটবলার হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও বল চলে ফাহামিদুলের কাছে। তাঁর ভলি তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন হংকং অধিনায়ক হুং ফাই। সামনেই থাকা মোরসালিন বলটি জালে পাঠাতে কোনো সময় ক্ষেপণ করেননি। ব্যবধান রূপ নেয় ৩-২-এ।
এরপর শুধু বাংলাদেশেরই আক্রমণের গল্প। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফাহামিদুলের ক্রসে তপু বর্মণ মাথা ছোঁয়াতে পারলেই সমতায় আরও আগে ফিরতে পারত বাংলাদেশ। তবে খুব বেশি আর অপেক্ষা করা লাগেনি। নবম মিনিটে কর্নার থেকে হেডে শমিত শোমের গোলে ড্রয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফুটবলে শেষ মিনিট পর্যন্ত কী হয়, সেটা আন্দাজ করা মুশকিল। হংকং দিন শেষে হতাশ করেই ছাড়ল বাংলাদেশকে। যোগ করা সময়ের ১১ মিনিটে ডান দিক থেকে আসা ক্রস হেডে বিপদমুক্ত করতে চাইলেও পারেননি বাংলাদেশ ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু। নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে হংকংকে জয় এনে দেন মেরকিয়েস। এমন হারের দায় কার!
শেষ মুহূর্তে রক্ষণ সামলাতে না পারার পুরোনো রোগই আবার কাল হয়ে দাঁড়াল। বাংলাদেশের মুখের কাছ থেকে জয়ের সমান এক ড্র কেড়ে নিয়ে দিনশেষে উৎসবে মেতে উঠল হংকং। এক হিসেবে জয়টা বরং উপহার দিয়েছে বাংলাদেশই। রক্ষণের ভুলগুলো তাই মেনে নিতে পারছেন না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৯ ঘণ্টা আগেঘরের মাঠে পয়েন্ট হারাতে হলো আবারও। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি যদি আক্ষেপ হয়ে থাকে, তাহলে গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে ৪–৩ গোলের হারটি চরম হতাশার। দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তাতে ড্র মনে হচ্ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের ভেঙে পড়ার অভ্যাস আর গেল কই।
১০ ঘণ্টা আগেফুটবলে ভালো করার পূর্বশর্ত দলগত পারফরম্যান্স। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফুটবলারদের ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ইংল্যান্ডের কোচ টমাস টুখেল। তাঁর বিশ্বাস, দলীয় বন্ধন থাকলে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে পারবে ইংলিশরা।
১১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়; স্রেফ প্রীতি ম্যাচ। প্রীতি ম্যাচ হলেও ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে ব্রাজিলের জন্য এটা প্রস্তুতির দারুণ সুযোগ। তাই হেলাফেলা করছেন না সেলেসাওদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ছেলেদের সেরা শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দিয়েছেন এই ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড।
১৩ ঘণ্টা আগে