Ajker Patrika

শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ভারতে আসলে হচ্ছেটা কী

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রেয়াস আইয়ার এশিয়া কাপের দলে জায়গা না পাওয়ায় চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। ছবি: ক্রিকইনফো
শ্রেয়াস আইয়ার এশিয়া কাপের দলে জায়গা না পাওয়ায় চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। ছবি: ক্রিকইনফো

১৯ আগস্ট এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণার পরই হৈচৈ শুরু। তোলপাড়টা হচ্ছে মূলত শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে। কারণ, ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়নি এশিয়া কাপের দলে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার তো বটেই, এমনকি শ্রেয়াসের বাবা সন্তোষ আইয়ারও কথা বলেছেন এই ব্যাপারে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রেয়াস সবশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি দীর্ঘদিন ধরে খেলতে না পারলেও আইপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন। আইপিএলে যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই শ্রেয়াস খেলেন, তিনি পুরোদস্তুর ‘ক্যাপ্টেইন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। ব্যাটার, অধিনায়ক—সব দিক থেকেই শ্রেয়াস দুর্দান্ত। ২০২০ সালে তাঁর নেতৃত্বে দিল্লি ক্যাপিটালস ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হয়েছে। ২০২৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রেয়াসের অধিনায়কত্বেই। এ বছরের জুনে আইপিএলে পাঞ্জাব যে ১১ বছর পর ফাইনালে উঠেছে, সেখানেও অধিনায়ক আইয়ার।

পাঞ্জাব এবার আইপিএলে খেলেছে পাঞ্জাব কিংস নামে। দলকে ফাইনালে তোলার পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দারুণ ছন্দে ছিলেন শ্রেয়াস। ৫০.৩৩ গড় ও ১৭৫.০৭ স্ট্রাইকরেটে করেন ৬০৪ রান। দল রানার্সআপ হলেও তাঁর অধিনায়কত্ব বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আইপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরও ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে কেন জায়গা হলো না, সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শ্রেয়াসের বাবা সন্তোষ আইয়ার। হিন্দুস্তান টাইমসকে সন্তোষ বলেন, ‘দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে পাঞ্জাব কিংস—আইপিএলে নিয়মিত ভালো খেলছে। সেটাও আবার অধিনায়ক হিসেবে। গত বছর তাঁর নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পাঞ্জাব কিংস এবার তাঁর নেতৃত্বে ফাইনালে খেলেছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলতে হলে শ্রেয়াসকে আর কী করতে হবে।’

এদিকে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ মনে করছেন, শ্রেয়াসকে এশিয়া কাপে না নিয়ে ভারতের নির্বাচক কমিটি ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর (শ্রেয়াস) প্রতি অন্যায় করেছে। তবে বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বলেছেন, ‘শ্রেয়াসের ব্যাপারে যদি বলি, তাহলে এখানে তারও কোনো দোষ নেই। এমনকি দোষটা আমাদেরও না। আসল ব্যাপার হলো মাত্র ১৫ জন নিয়ে দল দিতে হয়। এখন তাকে অপেক্ষা করতে হবে সুযোগের জন্য।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে রোহিত শর্মা এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন। রোহিতের পরিবর্তে এই দুই সংস্করণে অধিনায়কত্বের শূন্যস্থান বিসিসিআই এরই মধ্যে পূরণ করেছে। এদিকে এ বছরের এপ্রিলে তিনি ৩৮ বছর পূর্ণ করেছেন। বেশি দিন হয়তো ওয়ানডেও খেলবেন না। তখন রোহিতের পরিবর্তে ওয়ানডে অধিনায়ক কে হবেন, এটা নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা কথাবার্তা। ভবিষ্যতে এই শূন্যস্থান (ওয়ানডে অধিনায়ক) শ্রেয়াস পূর্ণ করতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।

বিসিসিআই সেক্রেটারি দেবজিত সাইকিয়া শ্রেয়াসের ভবিষ্যতে ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমসকে আজ দেবজিত বলেন, ‘এটা আমার কাছে কেবলই একটা সংবাদ। তেমন কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি।’ শ্রেয়াস আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাও জিতেছেন। এ বছরের ৯ মার্চ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ৪৮.৬০ গড়ে আইসিসির এই ইভেন্টে শ্রেয়াস করেন ২৪৩ রান। দুটি ফিফটিও করেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রশিদ খানের কাছাকাছি মানের রিশাদ: মুশতাক

ক্রীড়া ডেস্ক    
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাঁকে প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। ছবি: এক্স
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাঁকে প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। ছবি: এক্স

বাংলাদেশ দলে একজন লেগস্পিনারের অভাব ছিল দীর্ঘদিনের। সেই অভাব পূরণ করেছেন রিশাদ হোসেন। খুব কম সময়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই তরুণ। ধারাবাহিকভাবে দারুণ বোলিং করায় ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন রিশাদ।

ওয়ানডে কিংবা টি–টোয়েন্টি; সব সংস্করণেই বাংলাদেশের ভরসার আরেক নাম এখন এই লেগস্পিনার। দারুণ ফর্মে থাকায় রিশাদের বোলিং তোপে পড়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে ৭৪ রানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাই রিশাদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মুশতাক আহমেদ। ২৩ বছর বয়সী রিশাদকে রশিদ খানের কাছাকাছি মানের বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ।

প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৩ রানে অলআউট করার পথে ৬ উইকেট নেন রিশাদ। অনুমিতভাবেই জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। চলতি বছর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সবশেষ আসরে খেলেছেন নীলফামারির এই ক্রিকেটার। বিগ ব্যাশের নতুন আসরেও দেখা যাবে রিশাদকে। সব মিলিয়ে সময়টা যেন এখন তাঁরই।

বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫০ ওয়ানডে ও ১২ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন রিশাদ। দুই সংস্করণে ৬০ ইনিংস বল করে নিয়েছেন ৭৭ উইকেট। এই পরিসংখ্যানই বলছে–বল হাতে কতটা কার্যকরী তিনি।

রিশাদ প্রসঙ্গে মুশতাক বলেন, ‘রিশাদের বোলিং ইদানীং অনেকটা রশিদের কাছাকাছি, তাই আমি চেয়েছি রশিদের সাথে আলাপ করিয়ে দেই। রিশাদের মতো তরুণদের জন্য রশিদ, আদিল রশিদ ওদের সাথে কথা বলা জরুরী। একে এখন সবাই আন্তর্জাতিকভাবে মুল্যায়ন করছে। ওদের পরামর্শ তাই এখন রিশাদের জন্য জরুরি।

স্পিন সহায়ক উইকেট হলেও প্রথম ওয়ানডেতে রিশাদ যে সহজেই সফল হননি সেটাই মনে করিয়ে দিলেন মুশতাক, ‘সেটা (৬ উইকেট নেওয়া) এতটাও সহজ ছিল না। কখনও কখনও স্পিনারদের চাপের মুখে পড়তে হয়। কারণ সেরাটা দেওয়ার চাপ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে একজন স্পিনার বিচলিত হতেই পারেন।’

বাংলাদেশ দলে একজন লেগস্পিনারের অভাব ছিল দীর্ঘদিনের। সেই অভাব পূরণ করেছেন রিশাদ হোসেন। খুব কম সময়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই তরুণ। ধারাবাহিকভাবে দারুণ বোলিং করায় ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন রিশাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মিরপুরের চেয়েও কালো পিচ দেখেছি’

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৪৮
প্রথম ওয়ানডের পর আলোচনায় মিরপুরের কালো উইকেট। বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ। ছবি: বিসিবি
প্রথম ওয়ানডের পর আলোচনায় মিরপুরের কালো উইকেট। বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ। ছবি: বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। মাঠের খেলাকে পাশ কাটিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। ঘন কালো উইকেটে স্পিনারদের জন্য ছিল বাড়তি সহায়তা। বিপরীতে বেশ ভুগতে হয়েছে ব্যাটারদের।

অতীতেও বেশিরভাগ সময় মিরপুরে কালো উইকেট দেখা গেছে। কিন্তু এবার সেটার মাত্রা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সমালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ট্রল হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি তো ম্যাচের আগের দিন সরাসরি বলেই ফেলেন; ক্যারিয়ারে কখনই এমন উইকেট দেখেননি তিনি। মিরপুরের কালো উইকেট নিয়ে সফরকারী দলের কোচ এবং সব সমালোচকদের কথার জবাব দিলেন মুশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের স্পিন কোচ জানালেন, মিরপুরের চেয়েও বেশি কালো উইকেট দেখেছেন তিনি।

প্রসঙ্গক্রমে ১৯৯৯ সালের স্মৃতিচারণ করেন মুশতাক। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি টেস্টে ভারতের কাছে ২১২ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে অনিল কুম্বলের বোলিং তোপে পড়ে ২০৭ রানে অলআউট হয় সফরকারী দল। পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে সবকটি উইকেটই নেন সাবেক এই লেগস্পিনার। মুশতাকের দাবি, সে ম্যাচের উইকেট মিরপুরের চেয়েও বাজে ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মুশকাত বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে মিরপুরের চেয়ে কালো উইকেট অনেকবার দেখেছি। অনিল কুম্বলে যেবার ইনিংসে ১০ উইকেট পেল, সেই উইকেট মিরপুরের চেয়ে বাজে ছিল।’

প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে দারুণ শুরুর পরও ১৩৩ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। অতিথিদের অলআউট করার পথে রিশাদ হোসেন একাই নেন ৬ উইকেট। এছাড়া তানভীর ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার একটি করে উইকেট। মিরপুরের টার্নিং উইকেটে স্পিনাররা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে সে পরামর্শ দিয়ে রাখলেন মুশতাক।

তিনি বলেন, ‘এমন পিচে স্পিনার হিসেবে আপনি উত্তেজিত হবেন, কিন্তু উত্তেজনা আপনার ভালো করার প্রক্রিয়া ভুলিয়ে দিতে পারে। প্রক্রিয়া-ই সব। উইকেট পেতে হলে ভালো ওভার করতে হয়, শুধু ভালো বোলিং নয়। ঘোরানো পিচে আমার বার্তাটি সহজ। ভালো বোলিং করো, উইকেট আসবেই। তোমার প্রক্রিয়াটি মনে রাখো এবং বিশ্বাস রাখো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

’বুড়ো’ আফ্রিদির অভিষেক, ওপরে আছেন যাঁরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেক হলো আফ্রিদির। ছবি: এক্স
৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট অভিষেক হলো আফ্রিদির। ছবি: এক্স

আগামী ডিসেম্বরে ৩৯ এ পা দেবেন আসিফ আফ্রিদি। এই বয়সে অনেক ক্রিকেটার ব্যাট–প্যাড, বল তুলে রেখে কোচিং, ধারাভাষ্য কিংবা অন্য কোনো পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। সেই সময়ই কিনা অভিষেক হলো আসিফ আফ্রিদির!

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা পেয়ে আলোচনার জন্ম দেন আফ্রিদি। লাহোর টেস্টের একাদশে জায়গা পাননি। অপেক্ষা ফুরাতেও বেশি সময় লাগল না তাঁর। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট দিয়ে পাকিস্তানের হয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হলো এই স্পিনারের। ৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে টেস্ট জার্সি গায়ে তুললেন তিনি।

পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকের স্বাদ পেলেন আফ্রিদি। এই তালিকায় সবার উপরে আছেন মিরান বখশ। ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে ৪৭ বছর ২৮৪ দিন বয়সে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ১৯৫২ সালের অক্টোবরে ৪৪ বছর ৪৫ দিন বয়সে পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আমির এলাহির। দুই নম্বরে আছেন তিনি।

সেরা পাঁচের বাকি দুজন হলেন তাবিশ খান ও গুল মোহাম্মদ। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে অভিষেকের সময় তাবিশের বয়স ছিল ৩৬ বছর ১৪৬ দিন। ১৯৫৬ সালে ৩৪ বছর ৩৬২ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিন্তানের সাদা জার্সি গায়ে তোলেন গুল। তাঁদের চেয়ে বেশ উপরেই আছেন আফ্রিদি।

পেশোয়ারে জন্ম নেওয়া আফ্রিদির প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৯ সালে; রাওয়ালপিন্ডির হয়ে আবোত্তাবাদের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত খেলা ৫৭ ম্যাচের ৯৫ ইনিংস বল করে ঝুলিতে পুরেছেন ১৯৮ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার। দুবার ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও আছে এই লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিনারের। ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে পারেন আফ্রিদি। ১৯ গড়ে করেছেন ১৬৩০ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিয়ালকে শীর্ষে ফিরিয়ে এমবাপ্পের কীর্তি

ক্রীড়া ডেস্ক    
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন এমবাপ্পে। লিগের প্রথম ৯ ম্যাচে ১০ দশম গোলের দেখা পেলেন তিনি। ছবি: এক্স
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন এমবাপ্পে। লিগের প্রথম ৯ ম্যাচে ১০ দশম গোলের দেখা পেলেন তিনি। ছবি: এক্স

আগের দিন জিরোনাকে ২–১ গোলে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল বার্সেলোনা। একদিন যেতেই পুনরায় সিংহাসনের দখল নিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের একমাত্র গোলে লা লিগায় গেতাফেকে হারিয়েছে মাদ্রিদের প্রতিনিধিরা। দল জিতিয়ে একটি কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।

স্পেনের শীর্ষ লিগের চলতি আসরে প্রথম ৯ ম্যাচে ১০ গোল করলেন এমবাপ্পে। এর আগে রিয়ালের হয়ে তিনজন ফুটবলার এই কীর্তি গড়েছেন–আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও অ্যামানসিও। এবার তাঁদের পাশে বসলেন বর্তমানে লস ব্লাঙ্কোসদের সেরা তারকা এমবাপ্পে।

কলিসিয়াম স্টেডিয়ামে দুই অর্ধে দুই রকম ফুটবল খেলেছে রিয়াল। প্রথমার্ধে বিবর্ণ ছিল সফরকারীরা। এই অর্ধে স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়নি গেতাফে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের। বিরতির পরই খোলস পাল্টে বের হয়ে আসে রিয়াল। গোছানো ফুটবলে স্বাগতিক রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে তারা।

যদিও ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না রিয়াল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলের জন্য জায়ান্টদের ৮০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখে গেতাফে। আর্দা গুলেরের পাস থেকে জাল কাঁপান এমবাপ্পে। এই গোলের তিন মিনিট আগে দশজনের দলে পরিণত হয় গেতাফে। বদলি নামার এক মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন স্বাগতিকদের ফরাসি রাইট ব্যাক অ্যালান নাইওম। একজন কম থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৭ মিনিটের মাথায় আবারও ধাক্কা খায় গেতাফে। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যালেক্স সানক্রিস। তাঁর আগে ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করেন এই উইঙ্গার। শেষ ১৩–১৪ মিনিট ২ জন কম নিয়ে খেলা গেতাফের জালে আর বল পাঠাতে পারেনি রিয়াল।

৯ ম্যাচ শেষে রিয়ালের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট। ৮ জয়ের বিপরীতে এক হার তাদের সঙ্গী। দুইয়ে নেমে যাওয়া বার্সার নামের পাশে আছে ২২ পয়েন্ট। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে ভিয়ারিয়াল। ১২ নম্বরে আছে গেতাফে। তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত