Ajker Patrika

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যদি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ না করে তাহলে দেশটিকে বড় শুল্ক দিয়েই যেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যদি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ না করে তাহলে দেশটিকে বড় শুল্ক দিয়েই যেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। সেখানে মোদি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত আর রাশিয়ার তেল কিনবে না। তবে ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভারত যদি এই কথা বলতে চায়, তাহলে তাদের বিশাল অঙ্কের শুল্ক দিয়েই যেতে হবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন—ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি ভারত তা না করে, তাহলে “ভয়ংকর” শুল্ক গুনতে হবে।’

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, রাশিয়ার তেলের ব্যাপারে তাঁরা আর এগোবেন না।’ এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন, ভারত তো বলছে—মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে এমন কোনো কথা হয়নি। তখন ট্রাম্প বলেন, ‘তারা যদি সেটা বলতে চায়, তাহলে তারা বিশাল অঙ্কের শুল্ক দিয়েই যেতে থাকবে। তারা নিশ্চয়ই সেটা চায় না।’

রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য আলোচনার অন্যতম বড় বিরোধের জায়গা। ভারতের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের অর্ধেকই এই তেল কেনার প্রতিশোধস্বরূপ বলে জানান ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, তেল বিক্রির অর্থই রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের তহবিল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে, তখন ছাড়ে বিক্রি হওয়া সেই তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতায় পরিণত হয় ভারত।

গত বুধবার ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সেদিনই মোদি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন—ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দিন মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ফোনালাপ হয়েছে বলে তারা জানে না। তাদের ভাষায়, ‘ভারতের মূল উদ্বেগ হলো ভারতীয় ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি অর্ধেকে নামিয়েছে। তবে ভারতীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এখনো কোনো তাৎক্ষণিক হ্রাস দেখা যায়নি। তাদের মতে, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো নভেম্বরে জাহাজে তেল পাঠানোর অর্ডার আগেই দিয়ে ফেলেছে, যার কিছু ডিসেম্বরেও পৌঁছাবে। তাই আমদানি কমার প্রভাব দেখা যেতে পারে ডিসেম্বর বা জানুয়ারির পরিসংখ্যানে।

কমোডিটি ডেটা সংস্থা কেপলারের হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়া যখন ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রিফাইনারি পুনরায় চালু করে রপ্তানি বাড়াচ্ছে, তখন চলতি মাসে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১৯ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্নোগ্রাফিতে জড়িত সেই বাংলাদেশি যুগল গ্রেপ্তার

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

দনবাস রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, সেটা মেনেই যুদ্ধ শেষ করো—জেলেনস্কিকে ট্রাম্প

দেবরের ছেলের সঙ্গে প্রেমের ইতি, থানায় বসে কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

অগ্নিকাণ্ড দেখলে মুমিনের করণীয় আমল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডানপন্থীদের হাতে গেল ইভো মোরালেসের বলিভিয়া, খুশি ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বলিভিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ পেরেইরা। ছবি: এএফপি
বলিভিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ পেরেইরা। ছবি: এএফপি

বলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রানঅফ) ৯৭ শতাংশেরও বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট হোর্হে ‘তুতো’ কুইরোগা পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। যদিও নির্বাচন আদালত ফলাফলকে ‘প্রাথমিক’ বলে উল্লেখ করেছে, তবে জয়ের ব্যবধান স্পষ্ট।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে পাজ পেরেইরা বলেন, ‘চলুন আমরা একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়ি, ২০ বছর পর একটি নতুন পথ তৈরি করি। আগের ব্যবস্থা আমাদের অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’

তিনি মতাদর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে বাস্তবতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘মতাদর্শ টেবিলে খাবার দেয় না। যা দেয়, তা হলো কাজ করার অধিকার, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, আইনি নিরাপত্তা, বেসরকারি সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধা, এবং নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া—আর তারই জন্য আমরা কাজ করতে চাই।’

নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের আশাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এর লক্ষ্য হবে বলিভিয়ার জন্য জল ও জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।’

২০০৫ সালের পর প্রথম বামপন্থী মাস পার্টির কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। ইভো মোরালেস এবং তাঁর সাবেক রাজনৈতিক শিষ্য প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের মধ্যে তিক্ত কোন্দল এবং গত চার দশকের মধ্যে ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকট (চরম মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও জ্বালানির সংকটে জর্জরিত) একসময়ের এই প্রভাবশালী দলটির পতনের মূল কারণ। একসময় কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ আসন ধরে রাখা মাস পার্টির পক্ষ থেকে এবারের আইনসভায় মাত্র দুজন কংগ্রেসম্যান থাকছে। একজনও সিনেটর পায়নি।

পাজ পেরেইরা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ‘জনপ্রিয় পুঁজিবাদ’-এর প্ল্যাটফর্মে ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ এবং আমদানি শুল্ক কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

অনেকের মতে, পাজ পেরেইরার বিজয়ের একটি ফল নির্ধারণী ফ্যাক্টর ছিলেন তাঁর রানিং মেট, সাবেক পুলিশ ক্যাপ্টেন এদমান লারা মন্তানো (৩৯)। ‘ক্যাপ্টেন লারা’ নামে পরিচিত এই নেতা টিকটকে পুলিশের দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও দ্বিধা করবেন না।

প্রেসিডেন্ট পাজ পেরেইরার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডিজেল ও পেট্রলের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা; কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তাঁর দল পাত্রিদো দেমোক্রাতা ক্রিশ্চিয়ানোর (পিডিসি) আইন ও সংস্কার পাস করানো কঠিন হবে; সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আইন প্রয়োগ করা।

পাজ পেরেইরা নিশ্চিত করেছেন, আইন ‘অন্য যে কোনো নাগরিকের মতোই’ মোরালেসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

এদিকে বলিভিয়ায় আসন্ন মধ্য-ডানপন্থী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’আর এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ পেরেইরাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘একটি নতুন অধ্যায়’ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, নভেম্বর ২০২৩ সালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বলিভিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এ ছাড়া লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক ভালো না। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বামপন্থী শাসিত সরকারগুলো ইসরায়েলের কঠোর সমালোচক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্নোগ্রাফিতে জড়িত সেই বাংলাদেশি যুগল গ্রেপ্তার

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

দনবাস রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, সেটা মেনেই যুদ্ধ শেষ করো—জেলেনস্কিকে ট্রাম্প

দেবরের ছেলের সঙ্গে প্রেমের ইতি, থানায় বসে কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

অগ্নিকাণ্ড দেখলে মুমিনের করণীয় আমল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিলে থাকতে চাইলে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের জীবনমান উন্নত করতে হবে: ট্রাম্পের জামাতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ১৮
ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বলেছেন, ইসরায়েল যদি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চায় তাহলে ফিলিস্তিনিদের জীবনমান উন্নত করে দিতে হবে দেশটিকে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বলেছেন, ইসরায়েল যদি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চায় তাহলে ফিলিস্তিনিদের জীবনমান উন্নত করে দিতে হবে দেশটিকে। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল যদি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ‘মিলেমিশে’ থাকতে চাইলে, এখনই ফিলিস্তিনিদের সহায়তা শুরু করতে হবে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

গতকাল রোববার রাতে সম্প্রচারিত মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে কুশনার বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলি নেতৃত্বের কাছে সবচেয়ে বড় যে বার্তাটি পৌঁছে দিতে চেয়েছি, তা হলো—যুদ্ধ শেষ হয়েছে। এখন যদি ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর অঞ্চলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চায়, তাহলে তাদের এমন উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে ফিলিস্তিনিরা উন্নতি করতে পারে এবং ভালোভাবে বাঁচতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, তিনি ও উইটকফ ইসরায়েলকে এই বার্তা দেওয়া মাত্রই শুরু করেছেন। ফিলিস্তিনি জনগণকে ‘উন্নতি’ করতে দেওয়া বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কুশনার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতি তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে যেখানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা যৌথ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের মধ্যে থেকে পাশাপাশি টেকসইভাবে বসবাস করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে একে যা-ই বলা হোক না কেন, সেটি ফিলিস্তিনিরাই নিজেরা ঠিক করবে।’ এই মন্তব্যটি তিনি করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে। সিবিএসের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারটি ছিল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার পর কুশনার ও উইটকফের দেওয়া প্রথম দীর্ঘ আলাপ। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়েই গাজায় যুদ্ধ কার্যত থেমে যায় এবং জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। হামাস মূলত এই দুজনের কাছেই যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দিয়েছিল।

তবে সোমবার পর্যন্ত হামাস এখনো ফেরত দেয়নি গাজায় থাকা ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ। হামাসের দাবি, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে তারা এখনই বাকি মরদেহগুলো খুঁজে বের করতে পারছে না। তবে ইসরায়েল বলছে, এটি হামাসের ‘মিথ্যা অজুহাত।’ তাদের হাতে অধিকাংশ মরদেহই রয়েছে, চাইলে তারা যেকোনো সময় তা হস্তান্তর করতে পারে।

হামাস কি সত্যিই ভালোভাবে মৃতদেহগুলো খুঁজছে—এমন প্রশ্নে কুশনার বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত যেটা জেনেছি, তাতে মনে হচ্ছে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে। তবে এটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু আপাতত আমরা তাদের চুক্তি রক্ষার চেষ্টা করতে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্নোগ্রাফিতে জড়িত সেই বাংলাদেশি যুগল গ্রেপ্তার

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

দনবাস রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, সেটা মেনেই যুদ্ধ শেষ করো—জেলেনস্কিকে ট্রাম্প

দেবরের ছেলের সঙ্গে প্রেমের ইতি, থানায় বসে কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

অগ্নিকাণ্ড দেখলে মুমিনের করণীয় আমল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীনের সহায়তায় প্রথম এইচ১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, যে কারণে ‘মাইলফলক’ বলছে পাকিস্তান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রোববার পাকিস্তানের স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করে চীন। ছবি: সুপারকো
রোববার পাকিস্তানের স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করে চীন। ছবি: সুপারকো

পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইটগুলো এমন সূক্ষ্ম রাসায়নিক বা উপাদানগত পরিবর্তন শনাক্ত করতে সক্ষম যা প্রথাগত স্যাটেলাইট পারে না। এর ফলে এটি ফসলের গুণমান পর্যবেক্ষণ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি ট্র‍্যাক করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি নির্ভুল কৃষি, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, নগর-পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে, ভূ-বিপর্যয় ঝুঁকিগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করার সক্ষমতার কারণে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো বিশাল অবকাঠামো উদ্যোগগুলোতেও এটি সহায়তা করবে।

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এ সুপারকোর চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইউসুফ খান বলেন, ‘হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইটের তথ্য কৃষি উৎপাদনকে বিপ্লব ঘটাতে, জলবায়ু সহনশীলতাকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনাকে সক্ষম করতে প্রস্তুত।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচ ১ এর এই সফল উৎক্ষেপণকে মহাকাশ কর্মসূচির ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী পদক্ষেপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে এটি ‘মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অনুসন্ধানে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের’ প্রতিফলন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপারকো-এর তথ্য অনুযায়ী, এই বছর এইচ১-সহ পাকিস্তান মোট তিনটি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে। অন্য দুটি স্যাটেলাইট, ইও-১ এবং কেএস-১ বর্তমানে পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে সুপারকোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এইচ ১ স্যাটেলাইটের সিস্টেমগুলো সম্পূর্ণ কার্যকর হতে প্রায় দুই মাস লাগবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্নোগ্রাফিতে জড়িত সেই বাংলাদেশি যুগল গ্রেপ্তার

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

দনবাস রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, সেটা মেনেই যুদ্ধ শেষ করো—জেলেনস্কিকে ট্রাম্প

দেবরের ছেলের সঙ্গে প্রেমের ইতি, থানায় বসে কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

অগ্নিকাণ্ড দেখলে মুমিনের করণীয় আমল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দনবাস রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, সেটা মেনেই যুদ্ধ শেষ করো—জেলেনস্কিকে ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেছেন, বর্তমান রণক্ষেত্র অনুসারেই যুদ্ধবিরতিতে যেতে। ছবিতে, হালকা গোলাপী রঙে চিহ্নিত অঞ্চলটি রাশিয়া দখলে যাওয়া ইউক্রেনীয় অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেছেন, বর্তমান রণক্ষেত্র অনুসারেই যুদ্ধবিরতিতে যেতে। ছবিতে, হালকা গোলাপী রঙে চিহ্নিত অঞ্চলটি রাশিয়া দখলে যাওয়া ইউক্রেনীয় অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের রাশিয়া সংলগ্ন অঞ্চল দনবাস অঞ্চল মস্কোর দখলে চলে গেছে। সুতরাং, ইউক্রেনের বিষয়টি মেনে নিয়ে এই অবস্থাতেই চুক্তি করা উচিত। একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠককালে ট্রাম্প এমন কথা বলেছেন।

বৈঠকের বিষয়ে অবগত দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে জেলেনস্কিকে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের কিছু এলাকা ছাড়ার জন্য চাপ দেন। বৈঠক শেষে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল হতাশ হয়।

ওই দুই সূত্র আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং একই সঙ্গে কিয়েভ ও মস্কোর উভয় পক্ষকেই নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রস্তাব দেন, যা ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে।

বৈঠকের পর ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন অনুসারেই যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত। পরে জেলেনস্কিও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সেই অবস্থান সমর্থন করেন। তৃতীয় একটি সূত্র জানায়, বৈঠকের সময় ট্রাম্প এই প্রস্তাব দেন যে, যখন জেলেনস্কি বলেন যে তিনি কখনোই স্বেচ্ছায় রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেবেন না।

তৃতীয় সূত্র বলেন, বৈঠক শেষ হয় ট্রাম্পের ‘যেখানে এখন ফ্রন্টলাইন বহাল আছে, সেই অবস্থা মেনেই চুক্তি করা’—সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প আবারও তাঁর সেই অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এখনকার ফ্রন্টলাইনেই থেমে যাওয়া উচিত। তুমি এটা নাও, আমরা ওটা নিই—এর বাইরে গেলে আলোচনা খুব কঠিন হয়ে যাবে। এভাবে কোনো সমাধান আসবে না।’

রয়টার্সের এক প্রতিবেদক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি জেলেনস্কিকে বলেছেন যে, ইউক্রেনকে পুরো দনবাস অঞ্চল রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হবে? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘না। এখন যেমন আছে, তেমনই থাকুক। এখন তো ওটা ভাগ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় ৭৮ শতাংশ জায়গা ইতিমধ্যে রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। যেভাবে আছে, সেভাবেই রেখে দেওয়া ভালো। পরে ভবিষ্যতে আলোচনা করা যাবে।’

যদিও বৈঠকটি ইউক্রেনের জন্য পুরোপুরি বিপর্যয় ছিল না, তবু এটি জেলেনস্কির জন্য হতাশাজনক ছিল। তিনি আশা করেছিলেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন—যা রাশিয়ার ভেতর পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। রোববার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ট্রাম্প এখনো টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বৈঠকের কিছু তথ্য প্রথমে প্রকাশ করে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে ট্রাম্প কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে শান্তি চুক্তির বিষয়ে চাপ কমিয়ে দিয়ে ইউক্রেনকে পুরোপুরি সমর্থন দেওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। উদাহরণস্বরূপ, সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন চাইলেই রাশিয়ার দখলে থাকা সব এলাকা পুনরুদ্ধার করতে পারবে—যা বাস্তবে ইউক্রেন নিজেও অসম্ভব মনে করে।

কিন্তু শুক্রবারের বৈঠক ইঙ্গিত দিচ্ছে, ট্রাম্প আবারও দ্রুত একটি সমঝোতা চুক্তির দিকে ঝুঁকছেন—যদিও সেটি কিয়েভের জন্য অগ্রহণযোগ্য হতে পারে। সূত্রগুলো জানায়, মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে ভূখণ্ড বিনিময়ের ধারণা উত্থাপন করেন—যে প্রস্তাব ট্রাম্প এ বছরের শুরুতেই সমর্থন করেছিলেন। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, যত দ্রুত সম্ভব একটি চুক্তি হওয়া দরকার।

একটি সূত্র বলেছে, ‘বৈঠকটি খুব বাজে ছিল। বার্তাটা স্পষ্ট—চুক্তি না করলে তোমাদের (ইউক্রেন) দেশ জমে যাবে, তোমাদের দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তবে আরেক সূত্র দাবি করেন, ট্রাম্প সরাসরি ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ হবে—এমন কথা বলেননি। তবে দুজনই বলেন, বৈঠকে ট্রাম্প ‘একাধিকবার অশালীন শব্দ ব্যবহার’ করেছেন।

দুই সূত্রের ধারণা, এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপ তাঁর অবস্থানে প্রভাব ফেলেছিল। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ফোনালাপে পুতিন প্রস্তাব দেন—ইউক্রেন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল রাশিয়াকে দিয়ে দেবে, এর বিনিময়ে ইউক্রেন পাবে জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের ছোট কিছু অংশ।

সূত্রগুলোর একটি বলেছেন, শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা ঠিক এই প্রস্তাবটাই উত্থাপন করেন। আরেক সূত্র জানায়, ইউক্রেনের কাছে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের যে অংশ এখনো আছে, সেটি তাদের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চল ছেড়ে দিলে ইউক্রেনের বাকি অংশ রুশ হামলার মুখে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। তাঁর ভাষায়, ‘দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ছেড়ে দেওয়া মানে আত্মহত্যা করা।’

দুটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৈঠকে সবচেয়ে জোর দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রস্তাব মানার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে রুশভাষী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি অনেক বেশি—এই যুক্তিও তিনি প্রকাশ্যে একাধিকবার দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে দেখা করবেন। এরপর ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আসন্ন দিনগুলোতে বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য কথা বলবেন।

সূত্রগুলোর একটির মতে, শুক্রবারের বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, রুবিও আগামী বৃহস্পতিবার লাভরভের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে আগস্টে আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক কোনো সাফল্য ছাড়াই শেষ হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্নোগ্রাফিতে জড়িত সেই বাংলাদেশি যুগল গ্রেপ্তার

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

দনবাস রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, সেটা মেনেই যুদ্ধ শেষ করো—জেলেনস্কিকে ট্রাম্প

দেবরের ছেলের সঙ্গে প্রেমের ইতি, থানায় বসে কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

অগ্নিকাণ্ড দেখলে মুমিনের করণীয় আমল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত