আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যদি বাজারদর ধরে রাখতে না পারে, তাদেরও অবসায়নের দিকে যেতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার আর থাকবে না।
সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অনিয়ম, টাকার নয়-ছয় করা ও দুর্বল বিনিয়োগের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও ন্যায্য দামে ইউনিট বিক্রি করতে পারেন না। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যা সার্বিকভাবে এ খাতে চরম আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তবে অ-মেয়াদি ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ফান্ড ম্যানেজারের কাছেই ইউনিট জমা বা সারেন্ডার করে টাকা তুলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ এর ওপর পরামর্শ, মতামত জানাতে পারবেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বিধিমালার গেজেট হলে আগামীতে আর কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে না। উন্নত দেশগুলো ওই চর্চায় যাচ্ছে, আমরাও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেদিকে যাচ্ছি। তবে যেগুলো মেয়াদি আছে, সেগুলো মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।’
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ ফান্ড তুলে দিলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁদের মতে, ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও স্বচ্ছতা না থাকা বড় সমস্যা। কাঠামো বাতিল নয়, বরং সুশাসন ও তদারকি জোরদার করাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
রূপান্তর বা অবসায়নের বিধান
নতুন খসড়া বিধিমালায় বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। নতুন বিধিমালা গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেনমূল্য যদি ঘোষিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বা ক্রয়মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। সেখানে তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত হলে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ফান্ডটি বেমেয়াদিতে রূপান্তর বা অবসায়ন করা যাবে।
বিনিয়োগ নীতিমালা
প্রস্তাবিত বিধিমালায় ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ ক্ষেত্রও সীমিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফান্ডের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ, আইপিও, রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তালিকাচ্যুত, এসএমই বা এটিবি প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। বিনিয়োগের পরে কোনো সিকিউরিটিজ মূল বোর্ড থেকে বাদ পড়লে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
গত এক দশকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় হারিয়ে গেছে। ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৪টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপরে, বাকি সব ফান্ড ৩ থেকে ৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২৭টি ফান্ডের রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যার পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফান্ডগুলোর মধ্যে ছয়টি গত দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনিয়মিত। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে নতুন করে অনিয়মিত হয়েছে আরও ১১টি। অর্থাৎ সর্বশেষ হিসাব বছরে ২০টি ফান্ডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি সামান্য পরিমাণ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ১৬টি সর্বশেষ হিসাব বছরে লোকসান করেছে। যে ২০টি ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র দুটির ইউনিটহোল্ডারদের জন্য সামান্য পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিপরীতে ১৮টির ইউনিটহোল্ডার লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডগুলোর ইউনিট দর এখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যের অর্ধেকের নিচে। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে যেভাবে অর্থ পাচার করেছে, তা উদ্ধার না হলে এই খাতের প্রতি বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব নয়।’
নতুন কাঠামোয় স্বচ্ছতা বাড়বে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘নতুন বিধিমালায় বিনিয়োগকে সীমিত করা হয়েছে কেবল “এ’’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ট্রাস্টিদের অর্থ স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে ভবিষ্যতে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।’
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এমন বিধান আনছি, যাতে ফান্ডগুলো নিট সম্পদমূল্যের কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়। তবু যদি কোনো ফান্ড তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরিত হবে অথবা অবসায়নে যাবে।’
বিএসইসির পরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব আলাদা করে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাতে কেউ ফান্ডের অর্থ নিজেদের সম্পদ মনে করে অপব্যবহার করতে না পারে।
তবে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়াই সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ। তিনি বলেন, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের একটা সুবিধা আছে। সিকিউরড ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের এখানে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা তহবিল তছরুপ করেছে, তাই আস্থা কমে গেছে। এ জন্য মেয়াদি ফান্ড একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কি সমাধান? আমার সেটা মনে হয় না।
বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো যদি বাজারদর ধরে রাখতে না পারে, তাদেরও অবসায়নের দিকে যেতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার আর থাকবে না।
সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অনিয়ম, টাকার নয়-ছয় করা ও দুর্বল বিনিয়োগের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও ন্যায্য দামে ইউনিট বিক্রি করতে পারেন না। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যা সার্বিকভাবে এ খাতে চরম আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তবে অ-মেয়াদি ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা চাইলে ফান্ড ম্যানেজারের কাছেই ইউনিট জমা বা সারেন্ডার করে টাকা তুলতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে বিধিমালাটির খসড়া বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত আহ্বান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ এর ওপর পরামর্শ, মতামত জানাতে পারবেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন বিধিমালার গেজেট হলে আগামীতে আর কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে না। উন্নত দেশগুলো ওই চর্চায় যাচ্ছে, আমরাও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেদিকে যাচ্ছি। তবে যেগুলো মেয়াদি আছে, সেগুলো মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।’
তবে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ ফান্ড তুলে দিলে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁদের মতে, ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও স্বচ্ছতা না থাকা বড় সমস্যা। কাঠামো বাতিল নয়, বরং সুশাসন ও তদারকি জোরদার করাই হতে পারে টেকসই সমাধান।
রূপান্তর বা অবসায়নের বিধান
নতুন খসড়া বিধিমালায় বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। নতুন বিধিমালা গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেনমূল্য যদি ঘোষিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) বা ক্রয়মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। সেখানে তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত হলে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ফান্ডটি বেমেয়াদিতে রূপান্তর বা অবসায়ন করা যাবে।
বিনিয়োগ নীতিমালা
প্রস্তাবিত বিধিমালায় ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ ক্ষেত্রও সীমিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফান্ডের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ, আইপিও, রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তালিকাচ্যুত, এসএমই বা এটিবি প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। বিনিয়োগের পরে কোনো সিকিউরিটিজ মূল বোর্ড থেকে বাদ পড়লে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
গত এক দশকে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় হারিয়ে গেছে। ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৪টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপরে, বাকি সব ফান্ড ৩ থেকে ৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২৭টি ফান্ডের রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যার পরিমাণ ৬৫৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ফান্ডগুলোর মধ্যে ছয়টি গত দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনিয়মিত। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে নতুন করে অনিয়মিত হয়েছে আরও ১১টি। অর্থাৎ সর্বশেষ হিসাব বছরে ২০টি ফান্ডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি সামান্য পরিমাণ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি ১৬টি সর্বশেষ হিসাব বছরে লোকসান করেছে। যে ২০টি ফান্ডের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র দুটির ইউনিটহোল্ডারদের জন্য সামান্য পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বিপরীতে ১৮টির ইউনিটহোল্ডার লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডগুলোর ইউনিট দর এখন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যের অর্ধেকের নিচে। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে যেভাবে অর্থ পাচার করেছে, তা উদ্ধার না হলে এই খাতের প্রতি বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব নয়।’
নতুন কাঠামোয় স্বচ্ছতা বাড়বে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘নতুন বিধিমালায় বিনিয়োগকে সীমিত করা হয়েছে কেবল “এ’’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ট্রাস্টিদের অর্থ স্থানান্তরের সুযোগও বন্ধ হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে ভবিষ্যতে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।’
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এমন বিধান আনছি, যাতে ফান্ডগুলো নিট সম্পদমূল্যের কাছাকাছি দরে লেনদেন হয়। তবু যদি কোনো ফান্ড তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরিত হবে অথবা অবসায়নে যাবে।’
বিএসইসির পরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব আলাদা করে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যাতে কেউ ফান্ডের অর্থ নিজেদের সম্পদ মনে করে অপব্যবহার করতে না পারে।
তবে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়াই সঠিক সমাধান বলে মনে করেন না বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ। তিনি বলেন, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের একটা সুবিধা আছে। সিকিউরড ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের এখানে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা তহবিল তছরুপ করেছে, তাই আস্থা কমে গেছে। এ জন্য মেয়াদি ফান্ড একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কি সমাধান? আমার সেটা মনে হয় না।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে...
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
৫ ঘণ্টা আগেউত্তরা ও বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেলা ৩টা পর্যন্ত ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি পণ্যের তিনটি চালান খালাস করা হয়েছে।
চোখে-মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে খালাস করা পণ্য গ্রহণ করতে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ), আমদানিকারক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখা যায়।
গেটে কর্মরত অ্যাভসেক সিকিউরিটির বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট স্বপন আরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমদানি করা মালামাল বের করা শুরু হয়েছে। ভেতরে কাস্টমসের লোকজনও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, পণ্য খালাস কার্যক্রম আগের তুলনায় অনেক কম। আস্তে আস্তে বাড়বে। দুপুর থেকে লোকজনের আসা শুরু হয়েছে।
এদিকে গেটে আনসার ও ঢাকা কাস্টমস কর্মকর্তাদেরও উপস্থিতি দেখা যায়। তাঁরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে। তবে গতি ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আপাতত জিএসই মেইনটেন্যান্স নামের স্থানে পণ্য রাখার জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই স্থানে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করছে। ওই গেট দিয়ে পণ্যের খালাসপ্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাঁদের কার্যক্রম সচল রাখতে সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে কার্যক্রম চলছে। এতে সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে বিমানের কার্গো পরিচালক মো. শাকিল মিরাজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। পরে প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেলা ৩টা পর্যন্ত ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি পণ্যের তিনটি চালান খালাস করা হয়েছে।
চোখে-মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে খালাস করা পণ্য গ্রহণ করতে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ), আমদানিকারক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখা যায়।
গেটে কর্মরত অ্যাভসেক সিকিউরিটির বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট স্বপন আরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমদানি করা মালামাল বের করা শুরু হয়েছে। ভেতরে কাস্টমসের লোকজনও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, পণ্য খালাস কার্যক্রম আগের তুলনায় অনেক কম। আস্তে আস্তে বাড়বে। দুপুর থেকে লোকজনের আসা শুরু হয়েছে।
এদিকে গেটে আনসার ও ঢাকা কাস্টমস কর্মকর্তাদেরও উপস্থিতি দেখা যায়। তাঁরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে। তবে গতি ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আপাতত জিএসই মেইনটেন্যান্স নামের স্থানে পণ্য রাখার জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই স্থানে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করছে। ওই গেট দিয়ে পণ্যের খালাসপ্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাঁদের কার্যক্রম সচল রাখতে সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে কার্যক্রম চলছে। এতে সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে বিমানের কার্গো পরিচালক মো. শাকিল মিরাজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। পরে প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে।
বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
১৪ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে...
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে সম্পৃক্ত বিভিন্ন খাতভিত্তিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) আজ সোমবার রাজধানীর প্যানপেসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে।
রপ্তানিকারকেরা বলেন, এমন একটি সংবেদনশীল স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কেউই যথাযথ মনোযোগ দেয়নি। অথচ সিভিল অ্যাভিয়েশন এই কার্গো ভিলেজের মালিক, কাস্টম কর্তৃপক্ষ আমদানি করা পণ্যের তত্ত্বাবধায়ক, আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হলো হ্যান্ডলিং এজেন্ট।
তাঁরা বলেন, বর্তমান গুদাম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল এবং এখনো ম্যানুয়ালি পরিচালিত হয়। এ ছাড়া কাস্টমসের ছাড়পত্র প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রচুর পণ্য জমে থাকে, ফলে সীমিত স্থানের সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি ছাড়াও বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিজিপিএমইএ, লেদার অ্যান্ড লেদার গুডস, ফুট অ্যান্ড ভেজিটেবলস, ওষুধ শিল্প, জুয়েলারি এক্সপোর্টার্স, সুইং থ্রেট, ফ্রোজেন ফুডস, প্লাস্টিক গুডস, সিল্ক গুডস, হস্তশিল্প, ক্র্যাফট অ্যান্ড গিফট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট ১৪টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ইএবির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য এক বড় সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা শঙ্কিত এবং আমাদের বিদেশি ক্রেতারাও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর নয় এবং এটি নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। একইভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা রপ্তানিকারকেরা অভিযোগ করে আসছি যে, আমাদের পণ্য ও মালামাল খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই এবং প্রায়ই আমদানি করা মালামাল চুরি হয়। এটি শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে এই অগ্নিকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ক্ষতির নিরূপণে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো—
১. সমন্বিত তদন্ত কমিটি গঠন,
২. অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে করা বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান।
৩. যে সব পণ্যের বিমা করা ছিল না, সেগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা প্রদান।
৪.ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ।
৫. ওষুধ শিল্পের জন্য আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আলাদা গুদামের ব্যবস্থা করা।
৬. নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম স্থাপন।
৭.কার্গো ভিলেজের গুদাম ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করা।
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে সম্পৃক্ত বিভিন্ন খাতভিত্তিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) আজ সোমবার রাজধানীর প্যানপেসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে।
রপ্তানিকারকেরা বলেন, এমন একটি সংবেদনশীল স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কেউই যথাযথ মনোযোগ দেয়নি। অথচ সিভিল অ্যাভিয়েশন এই কার্গো ভিলেজের মালিক, কাস্টম কর্তৃপক্ষ আমদানি করা পণ্যের তত্ত্বাবধায়ক, আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হলো হ্যান্ডলিং এজেন্ট।
তাঁরা বলেন, বর্তমান গুদাম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল এবং এখনো ম্যানুয়ালি পরিচালিত হয়। এ ছাড়া কাস্টমসের ছাড়পত্র প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রচুর পণ্য জমে থাকে, ফলে সীমিত স্থানের সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি ছাড়াও বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিজিপিএমইএ, লেদার অ্যান্ড লেদার গুডস, ফুট অ্যান্ড ভেজিটেবলস, ওষুধ শিল্প, জুয়েলারি এক্সপোর্টার্স, সুইং থ্রেট, ফ্রোজেন ফুডস, প্লাস্টিক গুডস, সিল্ক গুডস, হস্তশিল্প, ক্র্যাফট অ্যান্ড গিফট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট ১৪টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ইএবির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য এক বড় সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা শঙ্কিত এবং আমাদের বিদেশি ক্রেতারাও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর নয় এবং এটি নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। একইভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা রপ্তানিকারকেরা অভিযোগ করে আসছি যে, আমাদের পণ্য ও মালামাল খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই এবং প্রায়ই আমদানি করা মালামাল চুরি হয়। এটি শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে এই অগ্নিকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ক্ষতির নিরূপণে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো—
১. সমন্বিত তদন্ত কমিটি গঠন,
২. অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে করা বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান।
৩. যে সব পণ্যের বিমা করা ছিল না, সেগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা প্রদান।
৪.ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ।
৫. ওষুধ শিল্পের জন্য আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আলাদা গুদামের ব্যবস্থা করা।
৬. নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম স্থাপন।
৭.কার্গো ভিলেজের গুদাম ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করা।
বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
১৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে...
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওষুধশিল্প সমিতির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন জানান, বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২টি কোম্পানি তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব দিয়েছে, যেখানে ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে মোট ৩০৭টি ওষুধ কোম্পানির মধ্যে ২৫০টি সচল রয়েছে এবং বাকি কোম্পানিগুলো হিসাব দিলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
জাকির হোসেন বলেন, একটি ওষুধ উৎপাদনে ১০-১২টি থেকে শুরু করে ৫৩টি পর্যন্ত উপকরণের প্রয়োজন হয়। ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে দেশের ওষুধ উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে, যার ফলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন।
অগ্নিকাণ্ডের সময় অনেক বিমানকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেসব বিমানে থাকা ওষুধের কাঁচামাল শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ওষুধের কাঁচামাল সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত কাঁচামালগুলির জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি দাবি করেন, কার্গো ভিলেজের আগুনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবমিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই বিশাল ক্ষতির জন্য তিনি কার্গো ভিলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন শনাক্ত ও প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ‘চরম ব্যর্থতা’কে দায়ী করেন।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওষুধশিল্প সমিতির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন জানান, বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২টি কোম্পানি তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব দিয়েছে, যেখানে ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে মোট ৩০৭টি ওষুধ কোম্পানির মধ্যে ২৫০টি সচল রয়েছে এবং বাকি কোম্পানিগুলো হিসাব দিলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
জাকির হোসেন বলেন, একটি ওষুধ উৎপাদনে ১০-১২টি থেকে শুরু করে ৫৩টি পর্যন্ত উপকরণের প্রয়োজন হয়। ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে দেশের ওষুধ উৎপাদনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে, যার ফলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন।
অগ্নিকাণ্ডের সময় অনেক বিমানকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেসব বিমানে থাকা ওষুধের কাঁচামাল শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ওষুধের কাঁচামাল সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত কাঁচামালগুলির জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি দাবি করেন, কার্গো ভিলেজের আগুনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবমিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই বিশাল ক্ষতির জন্য তিনি কার্গো ভিলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন শনাক্ত ও প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ‘চরম ব্যর্থতা’কে দায়ী করেন।
বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
১৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয় ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পরিচালিত বিশেষ ফ্লাইটগুলোর চার্জ মওকুফে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শাকিলা পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভবনে আগুনের ঘটনায় ফ্লাইট শিডিউলে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন বিমান সংস্থা অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। এমতাবস্থায়, এসব ফ্লাইটের আরোপযোগ্য চার্জ মওকুফের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সূত্রপাত হওয়া আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি কাজ করে।
গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে মালামাল খালাস বন্ধ ছিল। ফলে কমপ্লেক্সের গুদামে মজুত থাকা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, গার্মেন্টস পণ্য ও ওষুধশিল্পের কাঁচামাল পুড়ে গেছে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দাবি, এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। এই এয়ারলাইনসগুলোর এসব ফ্লাইটে আরোপিত চার্জ মওকুফের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয় ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পরিচালিত বিশেষ ফ্লাইটগুলোর চার্জ মওকুফে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শাকিলা পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভবনে আগুনের ঘটনায় ফ্লাইট শিডিউলে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন বিমান সংস্থা অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। এমতাবস্থায়, এসব ফ্লাইটের আরোপযোগ্য চার্জ মওকুফের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সূত্রপাত হওয়া আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি কাজ করে।
গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে মালামাল খালাস বন্ধ ছিল। ফলে কমপ্লেক্সের গুদামে মজুত থাকা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, গার্মেন্টস পণ্য ও ওষুধশিল্পের কাঁচামাল পুড়ে গেছে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দাবি, এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বিশ্বজুড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা দূরে থাক, মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা হচ্ছে। এই বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ এন্ড বা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসতে দেওয়া
১৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে...
১ ঘণ্টা আগে