ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল কদিন ধরেই। অবশেষে যুদ্ধ লেগেই গেল। অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে একপক্ষ আক্রমণ করছে আরেকপক্ষকে। তাতে পাকিস্তানে অবস্থানরত দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাহিদ রানা-রিশাদ হোসেনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা।
তিক্ত সম্পর্কের কারণে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন হচ্ছে না ১২ বছর ধরে। এশিয়া কাপ ও আইসিসি ইভেন্টেই শুধু মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় এই দুই দল। তবে এখন থেকে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও ছিন্ন করতে বললেন ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর।
মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে।
সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পরই নাহিদ রানা উড়াল দিয়েছেন পাকিস্তানে। সেই টেস্ট শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেল। তবে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এখনো তাঁর অভিষেক হয়নি। রানাকে দেখতে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকলেও সেটা যে ফুরোচ্ছেই না।
পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে বলেছে, সিন্ধু নদের ন্যায্য হিস্যার একবিন্দু পানিও ছাড়বে না। একতরফাভাবে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও দাবি করেছে দেশটি। ইসলামাবাদ ভারতকে ‘জেদি বাচ্চা’ আখ্যা দিয়ে দেশটির লাগাম টেনে ধরতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এক সময় নিয়মিত রিশাদ হোসেন হয়ে পড়েছিলেন ‘অমাবশ্যার চাঁদ’। লাহোর কালান্দার্স একের পর এক ম্যাচ খেললেও একাদশে তাঁর জায়গা হচ্ছিল না। অবশেষে টানা তিন ম্যাচ বেঞ্চে থাকার পর গতকাল সুযোগ পেলেন।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন যুগের শুরুটা তাহলে করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যার শুরুটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) করেছে লিটন দাসকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক ঘোষণা করে। পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই দুই দলের সিরিজ দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব শুরু হচ্ছে লিটনের।
বাংলাদেশ সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই সিরিজে লিটন দাস ছিলেন অধিনায়ক। এবার তাঁকেই স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।
রিশাদ হোসেন ও কেইন উইলিয়ামসন—কারোরই এখন নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততা। দুজনেই এখন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। সেই সুযোগে নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর ফুরসত মিলেছে রিশাদের।
কাশ্মীরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছে তুমুল উত্তেজনা। এর মধ্যেই ভারত সরকার পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সংবাদমাধ্যম, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে তাদের দেশে। রেহায় পায়নি ক্রীড়াঙ্গনের ব্যক্তিরাও। শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছে তারা। এবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতি
লাহোর কালান্দার্সের একাদশে নিয়মিতই হয়ে গিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। সেটা তাঁর পারফরম্যান্স দিয়েই। অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদিরও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন রিশাদ। তবে বাংলাদেশি লেগস্পিনারের এখন পাকিস্তান সুপার লিগে খেলাটা হয়ে গেছে ‘অমাবশ্যার চাঁদ’-এর মতো।
২০০৮-এর ১১ এপ্রিল ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এই মাঠে এখন পর্যন্ত এটাই সবশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অবশেষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দিয়েই ইকবাল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের অপেক্ষা ফুরোচ্ছে।
ভারত-পাকিস্তানের মাঠের লড়াইটা আর তেমন জমে না। ম্যাচের আগে যতই উত্তেজনা থাকুক না কেন, মাঠের পারফরম্যান্সে সেই ছিটেফোঁটা দেখা যায় না। আর ২২ গজের বাইরে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ তিক্ত। কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) প্রথম তিন ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। তবে ছন্দে থাকা রিশাদ চতুর্থ ম্যাচে এসে উইকেটের দেখা পাননি। তারপর বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে বাদ দেওয়া হলো একাদশ থেকেই।
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা এখন হয়ে গেছে হট টপিক। সামাজিক মাধ্যমে পর্যটকদের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারির ছবি দেখা যাচ্ছে নিয়মিত। দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। যার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটাঙ্গনেও।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্ম ফ্যানকোডে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট ভারতের দর্শকেরা সরাসরি দেখতে পারলেও এবার আর তা হচ্ছে না। ভারতে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা হলো পিএসএলের।
টুর্নামেন্ট যত গড়াবে, রিশাদ হোসেন ততই কার্যকরী হবেন—বুধবার মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে এমন কথাই বলেছিলেন লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। না বলার তো কারণও নেই। কারণ, রিশাদের ঘূর্ণিতে পাকিস্তান সুপার লিগে ব্যাটাররা রীতিমতো খাবি খাচ্ছেন।