ক্রীড়া ডেস্ক
জিতলেই ফাইনাল—দুবাইয়ে গত রাতে সুপার ফোরের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা ছিল এমনই। অলিখিত সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান কখন যে পাশার দান উল্টে দেবে, সেটা বোঝা মুশকিল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করেছে ১৩৫ রান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যখন সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামানরা হাঁসফাঁস করতে থাকেন, তখন দুবাইয়ের গ্যালারিতে থাকা পাকিস্তানি দর্শকদের মুখ ভার। এমনকি পাকিস্তান বোলিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিলেও বাংলাদেশ খেলতে থাকে রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই। কিন্তু চাপের মুহূর্তে ভেঙে পড়ার যে একটা ‘রোগ’ আছে বাংলাদেশের। অলিখিত সেমিফাইনালে পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিকরা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ১১ রানে ম্যাচ জিতে পাকিস্তান কাটে ফাইনালের টিকিট।
ফাইনালের টিকিট কাটার পর সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সালমান আলী আঘা। পাকিস্তান অধিনায়ক ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচ জিতলে সেই দল তো অবশ্যই স্পেশাল। প্রত্যেকেই ভালো খেলেছে। শাহিন-হারিস দারুণ বোলিং করেছে। আমরা জয়ের বিভিন্ন তরিকা খুঁজছিলাম। এসব জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে হবে। ফাইনালে আমরা আরও ভালো খেলতে পারি।’
বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য পাকিস্তানকে নিয়ে বেশির ভাগ সময়ই ট্রল হয়ে থাকে। অথচ সেই পাকিস্তান এবারের এশিয়া কাপে মিস করেছে কেবল চার ক্যাচ, যার মধ্যে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে মোহাম্মদ নাওয়াজ ক্যাচ মিস করেছেন। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফাহিম আশরাফকে তুলে মারতে যান মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল হাত থেকে ফসকেছেন নাওয়াজ। এই ক্যাচ ধরলে পাকিস্তান জিতত ২২ রানে।
২২ রান হোক বা ১১ রান, জয় তো জয়ই। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা টপকে ফাইনালে ওঠায় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বেশ উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশের একেকটা উইকেট পড়ার পর তাঁর উদযাপনই বলে দিচ্ছিল অনেক কিছু। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সালমান বলেন, ‘‘নতুন বলে ভালো বোলিং করেছে। এমনটা হলে আপনি বেশির ভাগ ম্যাচই জিতবেন। আমাদের ফিল্ডিং বেশ ভালো হচ্ছে। শেন ম্যাকডারমট আসার পর আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমাদের কোচ মাইক বলেছেন, ‘যে ফিল্ডিং করতে পারবে না, তার দলে থাকারই যোগ্যতা নেই।’ এ কারণে সবাই শেনের সঙ্গে কাজ করছে এবং দলের ফিল্ডিং নিয়ে আমি খুশি।’
৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন শাহিন, যেখানে ইমন-হৃদয়কে পাওয়ার প্লের মধ্যে ফিরিয়েছেন তিনি। শেষের দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শাহিন বলেন, ‘এই পুরস্কার আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ও সন্তানকে উৎসর্গ করছি। অল্প রানের লক্ষ্য যখন থাকে, তখন শুরুতে উইকেট তুলে নিতে হয়। আমরা সেই পরিকল্পনা করে এগিয়েছি।’ বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হচ্ছে। পরশু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুবাইয়ে।
আরও পড়ুন:
জিতলেই ফাইনাল—দুবাইয়ে গত রাতে সুপার ফোরের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা ছিল এমনই। অলিখিত সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান কখন যে পাশার দান উল্টে দেবে, সেটা বোঝা মুশকিল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করেছে ১৩৫ রান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যখন সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামানরা হাঁসফাঁস করতে থাকেন, তখন দুবাইয়ের গ্যালারিতে থাকা পাকিস্তানি দর্শকদের মুখ ভার। এমনকি পাকিস্তান বোলিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিলেও বাংলাদেশ খেলতে থাকে রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই। কিন্তু চাপের মুহূর্তে ভেঙে পড়ার যে একটা ‘রোগ’ আছে বাংলাদেশের। অলিখিত সেমিফাইনালে পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিকরা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ১১ রানে ম্যাচ জিতে পাকিস্তান কাটে ফাইনালের টিকিট।
ফাইনালের টিকিট কাটার পর সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সালমান আলী আঘা। পাকিস্তান অধিনায়ক ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচ জিতলে সেই দল তো অবশ্যই স্পেশাল। প্রত্যেকেই ভালো খেলেছে। শাহিন-হারিস দারুণ বোলিং করেছে। আমরা জয়ের বিভিন্ন তরিকা খুঁজছিলাম। এসব জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে হবে। ফাইনালে আমরা আরও ভালো খেলতে পারি।’
বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য পাকিস্তানকে নিয়ে বেশির ভাগ সময়ই ট্রল হয়ে থাকে। অথচ সেই পাকিস্তান এবারের এশিয়া কাপে মিস করেছে কেবল চার ক্যাচ, যার মধ্যে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে মোহাম্মদ নাওয়াজ ক্যাচ মিস করেছেন। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফাহিম আশরাফকে তুলে মারতে যান মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল হাত থেকে ফসকেছেন নাওয়াজ। এই ক্যাচ ধরলে পাকিস্তান জিতত ২২ রানে।
২২ রান হোক বা ১১ রান, জয় তো জয়ই। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা টপকে ফাইনালে ওঠায় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বেশ উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশের একেকটা উইকেট পড়ার পর তাঁর উদযাপনই বলে দিচ্ছিল অনেক কিছু। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সালমান বলেন, ‘‘নতুন বলে ভালো বোলিং করেছে। এমনটা হলে আপনি বেশির ভাগ ম্যাচই জিতবেন। আমাদের ফিল্ডিং বেশ ভালো হচ্ছে। শেন ম্যাকডারমট আসার পর আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমাদের কোচ মাইক বলেছেন, ‘যে ফিল্ডিং করতে পারবে না, তার দলে থাকারই যোগ্যতা নেই।’ এ কারণে সবাই শেনের সঙ্গে কাজ করছে এবং দলের ফিল্ডিং নিয়ে আমি খুশি।’
৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন শাহিন, যেখানে ইমন-হৃদয়কে পাওয়ার প্লের মধ্যে ফিরিয়েছেন তিনি। শেষের দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শাহিন বলেন, ‘এই পুরস্কার আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ও সন্তানকে উৎসর্গ করছি। অল্প রানের লক্ষ্য যখন থাকে, তখন শুরুতে উইকেট তুলে নিতে হয়। আমরা সেই পরিকল্পনা করে এগিয়েছি।’ বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হচ্ছে। পরশু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুবাইয়ে।
আরও পড়ুন:
বি.লিগ, বাংলাদেশ লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাট চুকিয়ে পেশাদার লিগের নতুন নাম এখন বাংলাদেশ ফুটবল লিগ। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আগেই। পরশু লিগ কমিটির এক সভায় চূড়ান্ত করা হয় সেই নাম। নতুন নামের মোড়কে আজ থেকে শুরু হচ্ছে লিগের নতুন মৌসুম।
২৩ মিনিট আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালটা লিটন দাসকে দেখতে হয়েছে ডাগ আউটে বসে। দুবাইয়ে তাওহীদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী অনিকদের একের পর এক আত্মাহুতি দেখে লিটনের মুখটা বেশ ফ্যাকাশে দেখিয়েছে। ওয়াসিম আকরামের মতে লিটন থাকলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেও পারত।
১ ঘণ্টা আগেদুবাইয়ে গত রাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে ছিল না কোনো জটিল সমীকরণের খেলা। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা যে টপকতে পারবে, সেই দল কাটবে ফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশ সেখানে নিজেদের হাতে থাকা ম্যাচ ফস্কেছে বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।
২ ঘণ্টা আগেজয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
১১ ঘণ্টা আগে