সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন রায়হান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা শেষ করে গকসু নির্বাচন কমিশন।
এর আগে গতকাল সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একটানা ভোট গ্রহণ চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত। পরে শুরু হয় ভোট গণনা। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এবারের গকসু নির্বাচনে ১১টি পদে লড়েছেন ৫৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৪৬২ জন।
ভিপি পদে বিজয়ী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান পেয়েছেন ৬৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল মাজেদ সালাফী পেয়েছেন ৬৭৭ ভোট। জিএস পদে বিজয়ী মো. রায়হান খান পেয়েছেন ১১২১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অন্তু দেওয়ান ৮১০ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে ১৪০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্রার্থী সামিউল হাসান শোভন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিফাতুর রহমান শিশির ১২৩৯ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে বিজয়ী হয়েছেন খন্দকার আব্দুর রহিম, তিনি পেয়েছেন ১৪৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৪৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ। সহক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩০৭ ভোট পেয়ে আব্দুল্লাহ আল নোমান বিজয়ী হয়েছেন। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২৩৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মারুফ। সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন লীশা চাকমা। দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার বিজয়ী হয়েছেন ১১০৮ ভোট পেয়ে। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৮৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে ১১৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।
পাঁচটি অনুষদ যথাক্রমে কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে মো. হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান, মিনতুজ আক্তার মিম।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—মেহেরুন খিলজি মিতু, মো. ইমদাদুল হক মিলন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদে দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন—নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।
গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করে গবি প্রশাসন। এরপর ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। পরবর্তী আপিল ও শুনানি শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। প্রার্থীদের ডোপ টেস্টও করা হয়েছে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য বহুমুখী ইতিবাচক দিক তৈরি করতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক চর্চায় অভ্যস্ত হন এবং নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পান। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে পারেন, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে। এখানে ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো অবান্তর সিদ্ধান্ত ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে না। পাশাপাশি ছাত্র সংসদ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে একটি প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস পরিবেশ গড়ে তোলে। দীর্ঘ মেয়াদে এসব অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের পেশাগত ও সামাজিক জীবনে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করে। নির্বাচিতদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা তৈরির সুযোগ হয়।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (গকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন রায়হান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা শেষ করে গকসু নির্বাচন কমিশন।
এর আগে গতকাল সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একটানা ভোট গ্রহণ চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত। পরে শুরু হয় ভোট গণনা। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এবারের গকসু নির্বাচনে ১১টি পদে লড়েছেন ৫৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৪৬২ জন।
ভিপি পদে বিজয়ী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান পেয়েছেন ৬৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল মাজেদ সালাফী পেয়েছেন ৬৭৭ ভোট। জিএস পদে বিজয়ী মো. রায়হান খান পেয়েছেন ১১২১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অন্তু দেওয়ান ৮১০ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে ১৪০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্রার্থী সামিউল হাসান শোভন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিফাতুর রহমান শিশির ১২৩৯ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে বিজয়ী হয়েছেন খন্দকার আব্দুর রহিম, তিনি পেয়েছেন ১৪৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৪৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ। সহক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩০৭ ভোট পেয়ে আব্দুল্লাহ আল নোমান বিজয়ী হয়েছেন। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২৩৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মারুফ। সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন লীশা চাকমা। দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার বিজয়ী হয়েছেন ১১০৮ ভোট পেয়ে। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৮৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে ১১৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।
পাঁচটি অনুষদ যথাক্রমে কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে মো. হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান, মিনতুজ আক্তার মিম।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—মেহেরুন খিলজি মিতু, মো. ইমদাদুল হক মিলন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদে দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন—নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।
গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করে গবি প্রশাসন। এরপর ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। পরবর্তী আপিল ও শুনানি শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। প্রার্থীদের ডোপ টেস্টও করা হয়েছে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য বহুমুখী ইতিবাচক দিক তৈরি করতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক চর্চায় অভ্যস্ত হন এবং নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পান। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে পারেন, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে। এখানে ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো অবান্তর সিদ্ধান্ত ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে না। পাশাপাশি ছাত্র সংসদ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে একটি প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস পরিবেশ গড়ে তোলে। দীর্ঘ মেয়াদে এসব অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের পেশাগত ও সামাজিক জীবনে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করে। নির্বাচিতদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা তৈরির সুযোগ হয়।
রাজধানীর নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছাপানো ও ফাঁস হওয়া নকল ব্যালটের অভিযোগ নিয়ে এবার অধিকতর তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে...
১১ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় লড়াই অব্যাহত রাখব। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভোটাধিকারকে ব্যাহত করেছে। তবু আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের পথেই আছি।’
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
১ দিন আগেভর্তি পরীক্ষা যেকোনো শিক্ষার্থীর জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার দক্ষতার ভিত্তিতে নয়, ধৈর্য, মনোবল এবং সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
১ দিন আগে