Ajker Patrika

জামালপুরে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব থেকে আওয়ামী লীগের ৫০ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি

এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ১৮
জামালপুরে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব থেকে আওয়ামী লীগের ৫০ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি

জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব থেকে আওয়ামী লীগের ৫০ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের আয়োজনে ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় কক্ষে ভোট গ্রহণ উপলক্ষে প্রিসাইডিং  কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সত্ত্বেও ভোট গ্রহণে দায়িত্বে থাকতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অর্ধশত শিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা হওয়ার পাশাপাশি তাঁরা জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের অনুসারী। 

এ ছাড়া দুজন শিক্ষক আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে তাঁরা আর নির্বাচনে অংশ নেননি। 

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। 

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভোট গ্রহণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা কি না, সেটা আমাদের জানা ছিল না। আমরা তাঁদের দায়িত্ব দিয়েছিলাম স্কুল-কলেজের শিক্ষক হিসেবে। অভিযোগ ওঠায় যাচাই-বাছাই শেষে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব থেকে ৫০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’ 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক হলেও রাজনৈতিক দলের কোনো পদধারীকে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে রাখা যাবে না।’ 

উল্লেখ্য, এই আসনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল ছাড়াও দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা বিমানবন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাজাহান আলী মণ্ডল, ঈগল প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জিয়াউল হক জিয়া এবং কাঁচি প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম শাহীনুজ্জামান শাহীন। 

ঈগল প্রতীকের প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এরই মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ছাড়া লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৃণমূল বিএনপি মনোনীত মো. হোসেন রেজা বাবু সোনালি আঁশ প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘যাঁরা নিজেদের লোক হত্যা করেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না’

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৮ দল নিয়ে রাজনৈতিক জোট করতে পারে এনসিপি: নাসীরুদ্দীন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের আগে গণভোট নয়, বিএনপি ভেসে আসেনি— ফখরুলের কড়া হুঁশিয়ারি

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৮
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’

যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’

মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।

যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনশনরত আমজনতার তারেকের প্রতি সংহতি জানাল বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পক্ষ থেকে অনশনরত আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, তারেক রহমান যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই তিনি প্রাপ্য।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে অনশনরত তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘তারেকের রাজনৈতিক দল “আমজনতার দল” নিবন্ধনের জন্য কমিশনে ইতিমধ্যে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনটা গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি যে আরও গুরুত্বহীন কিছু সংগঠন আমার কাছে মনে হয়েছে তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকেরটা দেওয়া হলো না কেন, আমি এটা বুঝতে পারলাম না। তারেক এই দেশের স্বার্থে কথা বলেছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কথা বলেছে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তার বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে সে আবেদন করেছে। সে তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি। সে আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকত, তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী অনেক কার্যকলাপ করত। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ তো করেইনি বরং রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সে কথা বলেছে। কিন্তু তার নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না...তাহলে আপনারা (ইসি) কাদের নিবন্ধন দেন, আমি জানি না।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু তার যে চিন্তা এবং তার রাজনৈতিক যে সংগ্রাম এবং কর্মসূচি, সেই অনুযায়ী সে যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই সে প্রাপ্য। এই ন্যায়সংগত কারণে যে অনশন করছে...তার এই ৫০ ঘণ্টা যে অনশন করছে, এই অনশন কর্মসূচির প্রতি আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।’

গত মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তার পর থেকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে আমরণ অনশনে বসেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক। ইতিমধ্যে তারেকের অনশনে সংহতি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)।

তারেক অনশনে বসার পর নিবন্ধন না পাওয়া বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, মৌলিক বাংলাসহ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে কয়েকজন ইসির ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত