নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রস্তাবিত বাজেটকে (২০২৩-২৪) জনগণের সম্পদ লুটের স্মার্ট বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে ক্ষমতাসীনরা অর্থনীতিতে লুটপাটের যে মডেল তৈরি করেছে, বিগত বছরগুলোর মতো এবারের বাজেটেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। তাঁর মতে, বিগত বছরের বাজেটের সঙ্গে এবারের বাজেটের খুব একটা পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু এখানেই যে—লুটপাট ও সাধারণ মানুষের কষ্ট আগের চেয়ে আরও বাড়বে।
আমির খসরু আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অবশ্যই স্মার্ট বাজেট। এতটাই স্মার্ট যে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা সরকার বা তার দলের লোকজন পাচার করতে পারবে। এতে তাঁরা স্মার্টলি ব্যাংক লুটপাট, সিন্ডিকেট পরিচালনা, জনগণের সম্পদ লুট করতে পারবে। সে কারণেই এই বাজেট স্মার্ট, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট এদিন বিকেলে সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ তম বাজেট। বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।
বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতির মডেল তৈরি করেছে। অর্থাৎ ভাড়া, চাঁদা ও কমিশনের একটা অর্থনীতি। এখানে কাজ করতে গেলে ভাড়া দিতে হবে, কমিশন দিতে হবে, চাঁদা দিতে হবে। এছাড়া কোনো কাজ করতে পারবেন না। এগুলোর ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এই মডেলে তাঁরা লাভবান হচ্ছে, দেশের সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। তাঁদের একটা শ্রেণি, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় যারা, তারা বড়লোক হচ্ছে। অনেক মানুষের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা আজকে ঋণ করে চলছে, অনেকে দুই বেলার জায়গায় এক বেলা খাচ্ছে।
এবারের বাজেটেও ঘুরেফিরে সেই নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, পার্থক্য হচ্ছে একটাই-লুটপাটের সংখ্যাটা বাড়ছে, মানুষের কষ্ট বাড়ছে, দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে। এই নীতির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে, তাঁদের পকেট ভর্তি হচ্ছে।
‘বাজেট সরকার দিচ্ছে নাকি আইএমএফ দিচ্ছে’–এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটাও দেখতে হবে যে, বাজেট কে দিচ্ছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বাজেট দিলে সরকার লুটপাট করতে পারবে না। আর যদি আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট না করে সে ক্ষেত্রে আইএমএফের সাপোর্ট পাবে না।
তিনি বলেন, বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে সরকার, এর বোঝা জনগণকে বহন করতে হবে। তাঁরা ঋণের মাধ্যমে লুটপাটের যে অর্থনীতি সৃষ্টি করেছে, শুধু এখন নয়, আগামী প্রজন্মকেও এই দায় বহন করতে হবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সরকারের সমালোচনা করে খসরু আরও বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে লুটপাটের যে অবস্থা আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে, সেখান থেকে উদ্ধারে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে। এই সমাধান হলো এই সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ।
প্রস্তাবিত বাজেটকে (২০২৩-২৪) জনগণের সম্পদ লুটের স্মার্ট বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে ক্ষমতাসীনরা অর্থনীতিতে লুটপাটের যে মডেল তৈরি করেছে, বিগত বছরগুলোর মতো এবারের বাজেটেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। তাঁর মতে, বিগত বছরের বাজেটের সঙ্গে এবারের বাজেটের খুব একটা পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু এখানেই যে—লুটপাট ও সাধারণ মানুষের কষ্ট আগের চেয়ে আরও বাড়বে।
আমির খসরু আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অবশ্যই স্মার্ট বাজেট। এতটাই স্মার্ট যে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা সরকার বা তার দলের লোকজন পাচার করতে পারবে। এতে তাঁরা স্মার্টলি ব্যাংক লুটপাট, সিন্ডিকেট পরিচালনা, জনগণের সম্পদ লুট করতে পারবে। সে কারণেই এই বাজেট স্মার্ট, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট এদিন বিকেলে সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ তম বাজেট। বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।
বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতির মডেল তৈরি করেছে। অর্থাৎ ভাড়া, চাঁদা ও কমিশনের একটা অর্থনীতি। এখানে কাজ করতে গেলে ভাড়া দিতে হবে, কমিশন দিতে হবে, চাঁদা দিতে হবে। এছাড়া কোনো কাজ করতে পারবেন না। এগুলোর ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এই মডেলে তাঁরা লাভবান হচ্ছে, দেশের সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। তাঁদের একটা শ্রেণি, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় যারা, তারা বড়লোক হচ্ছে। অনেক মানুষের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা আজকে ঋণ করে চলছে, অনেকে দুই বেলার জায়গায় এক বেলা খাচ্ছে।
এবারের বাজেটেও ঘুরেফিরে সেই নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, পার্থক্য হচ্ছে একটাই-লুটপাটের সংখ্যাটা বাড়ছে, মানুষের কষ্ট বাড়ছে, দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে। এই নীতির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে, তাঁদের পকেট ভর্তি হচ্ছে।
‘বাজেট সরকার দিচ্ছে নাকি আইএমএফ দিচ্ছে’–এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটাও দেখতে হবে যে, বাজেট কে দিচ্ছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী বাজেট দিলে সরকার লুটপাট করতে পারবে না। আর যদি আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট না করে সে ক্ষেত্রে আইএমএফের সাপোর্ট পাবে না।
তিনি বলেন, বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে সরকার, এর বোঝা জনগণকে বহন করতে হবে। তাঁরা ঋণের মাধ্যমে লুটপাটের যে অর্থনীতি সৃষ্টি করেছে, শুধু এখন নয়, আগামী প্রজন্মকেও এই দায় বহন করতে হবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সরকারের সমালোচনা করে খসরু আরও বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে লুটপাটের যে অবস্থা আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে, সেখান থেকে উদ্ধারে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে। এই সমাধান হলো এই সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫০টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তবে ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে তাঁর। এনসিপির এই নেতার মতে, বিএনপি ও জামায়াতের কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে।
২৯ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে আগামীকালই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিন। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ে ঢাকা-১০ আসনের গণসংযোগে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির...
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিতে সাড়া না দেয়, তাহলে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই—‘আগামী নির্বাচনে যদি বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে এবং আল্লাহ আমাদের সেই সুযোগ দেন, তাহলে সরকারে গিয়ে দ্রুততম সময়ে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা...
৭ ঘণ্টা আগেইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুফতি রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘আমাদের রাজনীতি কোনো মন্ত্রিত্ব বা এমপিত্বের জন্য নয়, আমাদের লক্ষ্য এই দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। আর এই কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতি হলো ইসলাম।’
১০ ঘণ্টা আগে