নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি কারও দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে পদত্যাগে। দেশটাকে বাঁচতে দিন, জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গ্যাসসহ নিত্যপণের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কয়েক দিন আগে এক সভায় বলেন, ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। সেটাকে সরকারের লোকেরা বলতে চায়, তাদের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল কোনো খুনিদের দল না। খুনখারাপিতে বিশ্বাস করে না।’
জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে এসেছেন। ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তির একটি অনুপ্রেরণা স্লোগান। এর চেতনা গণতন্ত্রের মুক্তির চেতনা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা বলছেন, আপনাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা মারার হুমকি দেব কেন? এ অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।’
নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আজকে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের বারোটা বাজিয়েছে। আপনাদের (সরকারের) বারোটা তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোট দিয়ে অতীতেও আপনারা নির্বাচিত হতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না। অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী পুলিশ দিয়ে রাতের বেলা ভোট ছিনতাই করে আর অতীতের মতো ক্ষমতায় থাকার সুযোগ আপনাদের নেই।’
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ল, বিদ্যুতের দাম বাড়ল, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়ল। জিনিসের দাম বাড়লে শুধু ক্ষমতা দিয়ে সংসার চলে না। প্রধানমন্ত্রী নাকি স্বপ্নে দেখেছেন, যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, তার পরদিন নাকি তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ, বিছানায় যদি তাকিয়ে দেখে একটি বাঘ দাঁড়িয়ে আছে, সামনে বিরাট একটা গর্ত, ডানে গেলে রাস্তাটা আরও খারাপ, অর্থাৎ যেদিকেই তাকায় সেদিকেই যাওয়ার পথ দেখে না।’
সমাবেশে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে। গতকাল চট্টগ্রামে জুনায়েদ সাকির ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের গুণ্ডাবাহিনী। এভাবে দমন-পীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের প্রস্তুতি নেন। এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আবারও গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।’
দেশে চলমান দ্রব্যমূল্যের অস্থির অবস্থা নিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘বর্তমানে গ্যাসের দাম, চালের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। অথচ এই সরকার বলেছিল মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু কোথায় সেই ১০ টাকা কেজি চাল ? এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই আজকে গ্যাসের দাম বাড়ছে।’
সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
বিএনপি কারও দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে পদত্যাগে। দেশটাকে বাঁচতে দিন, জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গ্যাসসহ নিত্যপণের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কয়েক দিন আগে এক সভায় বলেন, ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। সেটাকে সরকারের লোকেরা বলতে চায়, তাদের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল কোনো খুনিদের দল না। খুনখারাপিতে বিশ্বাস করে না।’
জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে এসেছেন। ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তির একটি অনুপ্রেরণা স্লোগান। এর চেতনা গণতন্ত্রের মুক্তির চেতনা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা বলছেন, আপনাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা মারার হুমকি দেব কেন? এ অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।’
নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আজকে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের বারোটা বাজিয়েছে। আপনাদের (সরকারের) বারোটা তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোট দিয়ে অতীতেও আপনারা নির্বাচিত হতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না। অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী পুলিশ দিয়ে রাতের বেলা ভোট ছিনতাই করে আর অতীতের মতো ক্ষমতায় থাকার সুযোগ আপনাদের নেই।’
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ল, বিদ্যুতের দাম বাড়ল, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়ল। জিনিসের দাম বাড়লে শুধু ক্ষমতা দিয়ে সংসার চলে না। প্রধানমন্ত্রী নাকি স্বপ্নে দেখেছেন, যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, তার পরদিন নাকি তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ, বিছানায় যদি তাকিয়ে দেখে একটি বাঘ দাঁড়িয়ে আছে, সামনে বিরাট একটা গর্ত, ডানে গেলে রাস্তাটা আরও খারাপ, অর্থাৎ যেদিকেই তাকায় সেদিকেই যাওয়ার পথ দেখে না।’
সমাবেশে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে। গতকাল চট্টগ্রামে জুনায়েদ সাকির ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের গুণ্ডাবাহিনী। এভাবে দমন-পীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের প্রস্তুতি নেন। এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আবারও গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।’
দেশে চলমান দ্রব্যমূল্যের অস্থির অবস্থা নিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘বর্তমানে গ্যাসের দাম, চালের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। অথচ এই সরকার বলেছিল মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু কোথায় সেই ১০ টাকা কেজি চাল ? এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই আজকে গ্যাসের দাম বাড়ছে।’
সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
২০ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
২১ ঘণ্টা আগে