নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার পতনের দাবিতে আগামীকাল এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। এ নিয়ে রাজধানীতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে চায় দলটি। তবে, বসে নেই আওয়ামী লীগও। শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজধানীতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চায় ক্ষমতাসীনরাও।
বুধবার বেলা ২টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে বেলা ৩টা থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটাতে চাই। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য দলের সাংগঠনিক অবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিএনপি ষড়যন্ত্রের যে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে, তা মোকাবিলা করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের কর্মসূচি থেকে সহিংস ঘটনা যাতে জনগণ প্রতিরোধ করতে পারে, সেই বার্তা দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, শান্তি সমাবেশে লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটিয়ে রাজপথ যে তাদের দখলেই রয়েছে, বিদেশিদের এমন বার্তা দিতে চায়। আওয়ামী লীগ দেখাতে চায় তাদের বিপুল জনসমর্থন। একই সঙ্গে বিএনপিসহ বিরোধীদের চাপে রাখার বিষয়টি এতে কাজ করবে। তবে আগ বাড়িয়ে সংঘর্ষে না জড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলটির নেতারা মনে করছেন, যত দফার আন্দোলনই বিএনপি করুক না কেন, মাঠে আওয়ামী লীগ থাকলে তারা সুবিধা করতে পারবে না। একই সঙ্গে নির্বাচন পর্যন্ত যে দলটিকে তারা রাজপথে ছাড় দেবে না সেটিও আজকের শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, মুখে আমেরিকার সমালোচনা করলেও বাস্তবে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য কূটনীতিকেরা কাজ করছেন। একই সঙ্গে রাজপথ দখলে থাকলে ভোটের খেলায় এগিয়ে থাকা যাবে। এ জন্যই আমরা সরকারে থাকলেও বিরোধী দলের মতো রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করব। বিএনপি সহিংসতার চেষ্টা করলে তা মোকাবিলা করব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলই চাইবে গণসমর্থন ঠিকঠাক থাকে এই জন্য মাঠ পাহারায় থাকবে। আর বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তারা একটি ভালো নির্বাচন চায়। আর সরকারও ভালো নির্বাচন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখানে বিএনপির দাবি হচ্ছে সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা হবে না। দলটির এ অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগ মনে করে বিষয়টি মাঠে গড়ালে সেখানে নিজেদের উপস্থিতি জরুরি। সেই জন্য তারা এখন পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে।
তারা বলছে, বাংলাদেশে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রয়েছে। তাদের এজেন্ডায় হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে তাদের অবস্থান দেখাতে চায় বিদেশিদের। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি রাজনৈতিক দল যদি একপেশেভাবে মাঠ গরম করে দেখানো শুরু করে, সে ক্ষেত্রে সরকারি দল মেনে নেবে না। তাই তারাও মাঠে আছে। তবে সহিংসতা এড়াতে দুই দলকেই সতর্ক থাকার অনুরোধ তাদের।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আরও বাড়বে। কারণ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে বেশি সময় নেই। মাস দুই-তিনেক সময় হাতে রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো, উন্নয়ন সহযোগীদের আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। এ কারণে তারা একের পর এক বাংলাদেশে আসছে। এখন তাদের সামনে শক্তি প্রদর্শনের ব্যাপার দলগুলোর মধ্যে রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজপথে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান থাকবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয় সে জন্য জনগণকে আহ্বান করা হবে।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সহিংসতার বা সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। আমরা তো সহিংসতার দলই না। তারা (বিএনপি) সহিংসতার দল। তারা কিছু করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর জনগণের জানমাল যদি নিরাপত্তাহীনতার মাঝে পড়ে, সেখানে জনগণও প্রতিরোধ করবে।
সরকার পতনের দাবিতে আগামীকাল এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। এ নিয়ে রাজধানীতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে চায় দলটি। তবে, বসে নেই আওয়ামী লীগও। শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজধানীতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে চায় ক্ষমতাসীনরাও।
বুধবার বেলা ২টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে বেলা ৩টা থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটাতে চাই। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য দলের সাংগঠনিক অবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিএনপি ষড়যন্ত্রের যে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে, তা মোকাবিলা করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের কর্মসূচি থেকে সহিংস ঘটনা যাতে জনগণ প্রতিরোধ করতে পারে, সেই বার্তা দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, শান্তি সমাবেশে লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটিয়ে রাজপথ যে তাদের দখলেই রয়েছে, বিদেশিদের এমন বার্তা দিতে চায়। আওয়ামী লীগ দেখাতে চায় তাদের বিপুল জনসমর্থন। একই সঙ্গে বিএনপিসহ বিরোধীদের চাপে রাখার বিষয়টি এতে কাজ করবে। তবে আগ বাড়িয়ে সংঘর্ষে না জড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলটির নেতারা মনে করছেন, যত দফার আন্দোলনই বিএনপি করুক না কেন, মাঠে আওয়ামী লীগ থাকলে তারা সুবিধা করতে পারবে না। একই সঙ্গে নির্বাচন পর্যন্ত যে দলটিকে তারা রাজপথে ছাড় দেবে না সেটিও আজকের শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, মুখে আমেরিকার সমালোচনা করলেও বাস্তবে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য কূটনীতিকেরা কাজ করছেন। একই সঙ্গে রাজপথ দখলে থাকলে ভোটের খেলায় এগিয়ে থাকা যাবে। এ জন্যই আমরা সরকারে থাকলেও বিরোধী দলের মতো রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করব। বিএনপি সহিংসতার চেষ্টা করলে তা মোকাবিলা করব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলই চাইবে গণসমর্থন ঠিকঠাক থাকে এই জন্য মাঠ পাহারায় থাকবে। আর বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তারা একটি ভালো নির্বাচন চায়। আর সরকারও ভালো নির্বাচন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখানে বিএনপির দাবি হচ্ছে সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা হবে না। দলটির এ অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগ মনে করে বিষয়টি মাঠে গড়ালে সেখানে নিজেদের উপস্থিতি জরুরি। সেই জন্য তারা এখন পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে।
তারা বলছে, বাংলাদেশে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রয়েছে। তাদের এজেন্ডায় হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে তাদের অবস্থান দেখাতে চায় বিদেশিদের। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি রাজনৈতিক দল যদি একপেশেভাবে মাঠ গরম করে দেখানো শুরু করে, সে ক্ষেত্রে সরকারি দল মেনে নেবে না। তাই তারাও মাঠে আছে। তবে সহিংসতা এড়াতে দুই দলকেই সতর্ক থাকার অনুরোধ তাদের।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আরও বাড়বে। কারণ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে বেশি সময় নেই। মাস দুই-তিনেক সময় হাতে রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো, উন্নয়ন সহযোগীদের আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। এ কারণে তারা একের পর এক বাংলাদেশে আসছে। এখন তাদের সামনে শক্তি প্রদর্শনের ব্যাপার দলগুলোর মধ্যে রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজপথে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান থাকবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয় সে জন্য জনগণকে আহ্বান করা হবে।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সহিংসতার বা সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। আমরা তো সহিংসতার দলই না। তারা (বিএনপি) সহিংসতার দল। তারা কিছু করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর জনগণের জানমাল যদি নিরাপত্তাহীনতার মাঝে পড়ে, সেখানে জনগণও প্রতিরোধ করবে।
সময় থাকতে রাজাকারদের বাংলা ছাড়ার হুংকার দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ হুংকার দেন।
৭ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ জোটভুক্ত ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। আজ সোমবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কাছে লিখিত আবেদন তুলে দেন।
১০ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন ধরে শাহবাগে নাটক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কীভাবে আন্দোলন করে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এ বিএনপি নেতা। এনসিপিকে ‘সরকারি দল’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিচার ও দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ‘আপত্তিকর স্লোগান’ ওঠার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি পক্ষ সচেতনভাবে এটি করেছে। এর দায় এনসিপি নেবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জা
১৬ ঘণ্টা আগে