নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার মানুষের অধিকারের দাবিতে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা-হয়রানি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, সন্ত্রাস করে কেউ কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
রাজধানীর পল্লবীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। তারা সন্ত্রাস, হত্যা, সভা পণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, সন্ত্রাস করে কেউ কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, হামলা করছেন। এগুলো করবেন না। নির্যাতন-নিপীড়ন, দমন করে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার জন্ম সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। সন্ত্রাস না করলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তারা সন্ত্রাস করে, ত্রাস সৃষ্টি করে, ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। যখন দেশের মানুষ অধিকারের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছে সেখানে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, তাবিথ আউয়ালের রক্ত ঝরিয়েছে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বোমা মারছে অথচ সরকার নীরব। তারা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এদের কোমর সোজা নাই। এরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। সে কারণেই তারা বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমার প্রতিবাদ করতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুম সংক্রান্ত যে ওয়ার্কিং গ্রুপ তারা বলেছে, বাংলাদেশে গুম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৮৮ জনের লিস্টের মাত্র ৬ জনের কথা সরকার জানে আর বাকিগুলো জানে না। জানবে কই থেকে? তারাতো নিজেরাই গুম করেছে।
এই সরকার যত দিন থাকবে তত দিন সমস্ত মানুষের অর্জনগুলোকে তারা ধ্বংস করে দেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করছে না। তারা উন্নয়ন করছে নিজেদের। জনগণের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। সিআইডি এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। ইকোনমিস্ট পত্রিকা বলছে, বাংলাদেশ একটা কর্তৃত্ববাদী দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের ১৮২টি দেশের মধ্যে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একাত্তরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যা করেছে, শেখ হাসিনাও তাই করছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান বুলুতো কোনো কর্মসূচিতে ছিলেন না, তার স্ত্রীর পা থেঁতলে দিয়েছে। তারা গ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলেন। যে রক্ত ঝড়ানো হচ্ছে তার প্রতিটি রক্ত কণার হিসেব নেওয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এখনো সময় আছে দেশটাকে অরাজকতার দিকে ঢেলে দেবেন না। পুলিশ ভাইদের বলব, যারা লাঠি, অস্ত্র নিয়ে আসে তাদের থামান। যদি না পারেন তাহলে থানায় অবস্থান করেন। তাদের পক্ষ হয়ে গুলি কইরেন না। থানা থেকে বের হইয়েন না। প্রতিটি এলাকায়, ওয়ার্ডে, মহল্লায় মহল্লায় যুদ্ধ হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির যুদ্ধ হবে রাজপথে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এখানে মিছিল করা যাবে না, ওখানে মিছিল করা যাবে না। কোথায় মিছিল করব গণভবন, বঙ্গভবনে? আপনি বললেন, মিছিল, মিটিং করলে বাঁধা দেওয়া হবে না। এটা বলার পরেই সবখানে হামলা শুরু হলো। তিনজনকে গুলি করে মারা হলো। আপনার ওপর আর দেশের মানুষের আস্থা নাই। আপনি বলেন এক আর করেন আরেক।
প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, হামলা করে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকুন। শেখ হাসিনার কথায় দেশ চলবে না। প্রতিটি অলিগলিতে মিছিল হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার মানুষের অধিকারের দাবিতে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা-হয়রানি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, সন্ত্রাস করে কেউ কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
রাজধানীর পল্লবীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। তারা সন্ত্রাস, হত্যা, সভা পণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, সন্ত্রাস করে কেউ কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, হামলা করছেন। এগুলো করবেন না। নির্যাতন-নিপীড়ন, দমন করে বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার জন্ম সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। সন্ত্রাস না করলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তারা সন্ত্রাস করে, ত্রাস সৃষ্টি করে, ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। যখন দেশের মানুষ অধিকারের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছে সেখানে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, তাবিথ আউয়ালের রক্ত ঝরিয়েছে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বোমা মারছে অথচ সরকার নীরব। তারা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এদের কোমর সোজা নাই। এরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। সে কারণেই তারা বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমার প্রতিবাদ করতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুম সংক্রান্ত যে ওয়ার্কিং গ্রুপ তারা বলেছে, বাংলাদেশে গুম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৮৮ জনের লিস্টের মাত্র ৬ জনের কথা সরকার জানে আর বাকিগুলো জানে না। জানবে কই থেকে? তারাতো নিজেরাই গুম করেছে।
এই সরকার যত দিন থাকবে তত দিন সমস্ত মানুষের অর্জনগুলোকে তারা ধ্বংস করে দেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করছে না। তারা উন্নয়ন করছে নিজেদের। জনগণের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। সিআইডি এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। ইকোনমিস্ট পত্রিকা বলছে, বাংলাদেশ একটা কর্তৃত্ববাদী দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের ১৮২টি দেশের মধ্যে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একাত্তরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যা করেছে, শেখ হাসিনাও তাই করছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান বুলুতো কোনো কর্মসূচিতে ছিলেন না, তার স্ত্রীর পা থেঁতলে দিয়েছে। তারা গ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলেন। যে রক্ত ঝড়ানো হচ্ছে তার প্রতিটি রক্ত কণার হিসেব নেওয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এখনো সময় আছে দেশটাকে অরাজকতার দিকে ঢেলে দেবেন না। পুলিশ ভাইদের বলব, যারা লাঠি, অস্ত্র নিয়ে আসে তাদের থামান। যদি না পারেন তাহলে থানায় অবস্থান করেন। তাদের পক্ষ হয়ে গুলি কইরেন না। থানা থেকে বের হইয়েন না। প্রতিটি এলাকায়, ওয়ার্ডে, মহল্লায় মহল্লায় যুদ্ধ হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির যুদ্ধ হবে রাজপথে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এখানে মিছিল করা যাবে না, ওখানে মিছিল করা যাবে না। কোথায় মিছিল করব গণভবন, বঙ্গভবনে? আপনি বললেন, মিছিল, মিটিং করলে বাঁধা দেওয়া হবে না। এটা বলার পরেই সবখানে হামলা শুরু হলো। তিনজনকে গুলি করে মারা হলো। আপনার ওপর আর দেশের মানুষের আস্থা নাই। আপনি বলেন এক আর করেন আরেক।
প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, হামলা করে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকুন। শেখ হাসিনার কথায় দেশ চলবে না। প্রতিটি অলিগলিতে মিছিল হবে।

ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিংসা নয়, বরং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে করা এমন সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ‘প্রতিহিংসামূলক’ মামলা প্রত্যাহার করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ৫ আগস্ট আমাদের ম্যাডাম মানে খালেদা জিয়া একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন, যে আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করব না, আমরা প্রতিশোধ নিব না। আমরা ভালোবাসা এবং প্রেমের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আমি সে কথা আবার আজকে আপনাদের কাছে বলতে চাই যে আমরা কোনো প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না।’
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে মামলা করেছে, সেভাবে মামলা করতে চাই না। যদি মামলা হয়ে থাকে আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে। যত মামলা আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আমরা সমস্ত মামলাগুলো তুলে নিব, ঠিক আছে। আমরা ওই প্রতিহিংসা–প্রতিশোধের রাজনীতি করব না।’
ভারতে আশ্রয় নেওয়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর ওসব পাগলামি করবেন না! ওই অত্যাচার–নির্যাতন করে অতীতে শাসন করতে পারেননি, সামনেও ভয় দেখিয়ে শাসন করতে পারবেন না। বরঞ্চ বাংলাদেশের জনগণের সামনে দুই হাত তুলে মাফ চান— যা করেছি ভুল করেছি, ছেলেগুলোকে গুলি করে মেরে ভুল করেছি, আমাকে আপনারা মাফ করে দিবেন।’
জুলাই–আগস্টের সেই বীভৎসতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কেউ বাদ যায়নি ভাই, এই যে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা–নারী–ছেলেরা আমাদের, তাদেরকে পাখির মত গুলি করে মারছে। একটা বাচ্চা মেয়ে সে জানালা ধরে মিছিল দেখতে গেছে, ওকেও গুলি করে মারছে— এই সহিংসতা সে করেছে। তারপরও আমরা বলতে চাই, আমরা সেই প্রতিশোধে রাজনীতি করতে চাই না। আমরা শান্তির রাজনীতি করতে চাই। আমরা শান্তি দেখতে চাই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে আর অশান্তি চাই না।’
আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নৌকা ও শীষে প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার নৌকাটা আর নাই। নৌকার যে কান্ডারি, যে মূল মাঝি নৌকা ফেলে দিয়ে পালিয়ে চলে গেছে, ইন্ডিয়া চলে গেছে। এখন আমাদের যাঁরা এখানে নৌকা করতেন সারা বাংলাদেশে, তাঁরা তো একটু অসহায় অবস্থায় আছেন যে, আমাদের মূল লোকটাই পালিয়ে গেছে। আমরা এখন কী করব?
তিনি বলেন, ‘তো সেই জায়গায় আমি আপনাদেরকে এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে, আপনারা কেউ হতাশ হবেন না। ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা বেঁচে থাকতে আপনাদের গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দিতে পারবে না।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ‘প্রতিহিংসামূলক’ মামলা প্রত্যাহার করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ৫ আগস্ট আমাদের ম্যাডাম মানে খালেদা জিয়া একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন, যে আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করব না, আমরা প্রতিশোধ নিব না। আমরা ভালোবাসা এবং প্রেমের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আমি সে কথা আবার আজকে আপনাদের কাছে বলতে চাই যে আমরা কোনো প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না।’
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে মামলা করেছে, সেভাবে মামলা করতে চাই না। যদি মামলা হয়ে থাকে আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে। যত মামলা আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আমরা সমস্ত মামলাগুলো তুলে নিব, ঠিক আছে। আমরা ওই প্রতিহিংসা–প্রতিশোধের রাজনীতি করব না।’
ভারতে আশ্রয় নেওয়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর ওসব পাগলামি করবেন না! ওই অত্যাচার–নির্যাতন করে অতীতে শাসন করতে পারেননি, সামনেও ভয় দেখিয়ে শাসন করতে পারবেন না। বরঞ্চ বাংলাদেশের জনগণের সামনে দুই হাত তুলে মাফ চান— যা করেছি ভুল করেছি, ছেলেগুলোকে গুলি করে মেরে ভুল করেছি, আমাকে আপনারা মাফ করে দিবেন।’
জুলাই–আগস্টের সেই বীভৎসতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কেউ বাদ যায়নি ভাই, এই যে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা–নারী–ছেলেরা আমাদের, তাদেরকে পাখির মত গুলি করে মারছে। একটা বাচ্চা মেয়ে সে জানালা ধরে মিছিল দেখতে গেছে, ওকেও গুলি করে মারছে— এই সহিংসতা সে করেছে। তারপরও আমরা বলতে চাই, আমরা সেই প্রতিশোধে রাজনীতি করতে চাই না। আমরা শান্তির রাজনীতি করতে চাই। আমরা শান্তি দেখতে চাই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে আর অশান্তি চাই না।’
আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নৌকা ও শীষে প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার নৌকাটা আর নাই। নৌকার যে কান্ডারি, যে মূল মাঝি নৌকা ফেলে দিয়ে পালিয়ে চলে গেছে, ইন্ডিয়া চলে গেছে। এখন আমাদের যাঁরা এখানে নৌকা করতেন সারা বাংলাদেশে, তাঁরা তো একটু অসহায় অবস্থায় আছেন যে, আমাদের মূল লোকটাই পালিয়ে গেছে। আমরা এখন কী করব?
তিনি বলেন, ‘তো সেই জায়গায় আমি আপনাদেরকে এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে, আপনারা কেউ হতাশ হবেন না। ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা বেঁচে থাকতে আপনাদের গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দিতে পারবে না।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার মানুষের অধিকারের দাবিতে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা-হয়রানি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্পেসিফিক কোনো প্রস্তাব দিইনি যে, আদেশ কে জারি করবে। আমরা একটা সাংবিধানিকতার মধ্যে আছি; সাংবিধানিকভাবে এ সরকার শপথ নিয়েছে; সবকিছু আইনানুগভাবে চলছে। এখন কোনো অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির। যদি কোনো আদেশ জারি করতে হয়, সেই আদেশের মর্যাদা যদি আইনি হয়, সেই আদেশ জারি করার মতো কোনো সাংবিধানিক অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। কারণ, প্রেসিডেন্টের অর্ডার জারি করার একটা বিধান একসময় ছিল, যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়নি, আপনারা সবাই জানেন, সে রকম পিও অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট অর্ডার নিয়ে তখন রাষ্ট্রটা চলত। সংবিধান গৃহীত হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির আর কোনো বিধান রইল না, সেটা বিলুপ্ত হলো। এখন কী রকম আদেশ দেবে? সেই আদেশের মর্যাদা কি আইনি হবে? সেটা এখনো সরকার নির্ধারণ করেনি। একমাত্র অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির অন্য কোনোভাবে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা এখন নেই। কিন্তু আদেশ জারি করার কোনো বিধান বর্তমান সংবিধানে নেই।
‘কিন্তু যদি এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারে, গেজেট নোটিফিকেশন, সেটা আইন হবে না। এখন সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সে ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, রাজপথে তো নয়।’
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিকের ওপর কোনো দায় বর্তাবে না অর্থাৎ পরিবর্তিত সনদ দলগুলো মানতে বাধ্য থাকবে না।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন দফায় কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলোর ক্ষেত্রে সনদে বলা আছে যে, দলগুলো যদি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পায়, নোট অব ডিসেন্টগুলো তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে আমরা এক শ ভাগ একমত, এখনো আমরা সেই জায়গায় আছি এবং আমরা স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে নেই। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত যে সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে নোট অব ডিসেন্ডের অংশগুলোর উল্লেখ নেই, একদম নেই। শুধু প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে ৪৮টা দফা দিয়ে তারা একটা তফসিল করেছে। সেই তফসিলে প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে গণভোটের প্রস্তাব করেছে।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ওপরে আমরা রাজি হয়েছিলাম। সে জায়গায় আমরা আছি। এখন এই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে অযৌক্তিক ও নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে যে আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারে। কিন্তু সনদে স্বাক্ষরিত যে বিষয়গুলো আছে, তার বাইরে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল, যারা সনদে স্বাক্ষর করেছে, তাদের ওপরে কোনো দায়দায়িত্ব বর্তায় না বা তারা মানতে বাধ্য নয়। এই মেসেজটা দেওয়ার জন্যই আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।’

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্পেসিফিক কোনো প্রস্তাব দিইনি যে, আদেশ কে জারি করবে। আমরা একটা সাংবিধানিকতার মধ্যে আছি; সাংবিধানিকভাবে এ সরকার শপথ নিয়েছে; সবকিছু আইনানুগভাবে চলছে। এখন কোনো অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির। যদি কোনো আদেশ জারি করতে হয়, সেই আদেশের মর্যাদা যদি আইনি হয়, সেই আদেশ জারি করার মতো কোনো সাংবিধানিক অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। কারণ, প্রেসিডেন্টের অর্ডার জারি করার একটা বিধান একসময় ছিল, যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়নি, আপনারা সবাই জানেন, সে রকম পিও অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট অর্ডার নিয়ে তখন রাষ্ট্রটা চলত। সংবিধান গৃহীত হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির আর কোনো বিধান রইল না, সেটা বিলুপ্ত হলো। এখন কী রকম আদেশ দেবে? সেই আদেশের মর্যাদা কি আইনি হবে? সেটা এখনো সরকার নির্ধারণ করেনি। একমাত্র অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির অন্য কোনোভাবে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা এখন নেই। কিন্তু আদেশ জারি করার কোনো বিধান বর্তমান সংবিধানে নেই।
‘কিন্তু যদি এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারে, গেজেট নোটিফিকেশন, সেটা আইন হবে না। এখন সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সে ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, রাজপথে তো নয়।’
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিকের ওপর কোনো দায় বর্তাবে না অর্থাৎ পরিবর্তিত সনদ দলগুলো মানতে বাধ্য থাকবে না।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন দফায় কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলোর ক্ষেত্রে সনদে বলা আছে যে, দলগুলো যদি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পায়, নোট অব ডিসেন্টগুলো তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে আমরা এক শ ভাগ একমত, এখনো আমরা সেই জায়গায় আছি এবং আমরা স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে নেই। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত যে সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে নোট অব ডিসেন্ডের অংশগুলোর উল্লেখ নেই, একদম নেই। শুধু প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে ৪৮টা দফা দিয়ে তারা একটা তফসিল করেছে। সেই তফসিলে প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে গণভোটের প্রস্তাব করেছে।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ওপরে আমরা রাজি হয়েছিলাম। সে জায়গায় আমরা আছি। এখন এই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে অযৌক্তিক ও নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে যে আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারে। কিন্তু সনদে স্বাক্ষরিত যে বিষয়গুলো আছে, তার বাইরে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল, যারা সনদে স্বাক্ষর করেছে, তাদের ওপরে কোনো দায়দায়িত্ব বর্তায় না বা তারা মানতে বাধ্য নয়। এই মেসেজটা দেওয়ার জন্যই আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার মানুষের অধিকারের দাবিতে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা-হয়রানি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিংসা নয়, বরং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে করা এমন সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা একটাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। গণভোটের ব্যাপারে সকল দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন?’

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন আর কোনো সংশয় সন্দেহ থাকবে না। আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এইটা নিয়ে কেউ ধূম্রজাল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাবেন না। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে ফেলবেন না।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটা চার্টার তৈরি হয়েছে। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথা, সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলবে বাকিরা তাই মেনে নেবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, কেউ কেউ তা মেনে নিতে রাজি নন। যদি আপনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? এই জায়গায় আসতে হবে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সকল বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে, এখনো কষ্ট করছে, মেহেরবানি করে তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা একটাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। গণভোটের ব্যাপারে সকল দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন?’

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন আর কোনো সংশয় সন্দেহ থাকবে না। আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এইটা নিয়ে কেউ ধূম্রজাল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাবেন না। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে ফেলবেন না।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটা চার্টার তৈরি হয়েছে। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথা, সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলবে বাকিরা তাই মেনে নেবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, কেউ কেউ তা মেনে নিতে রাজি নন। যদি আপনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? এই জায়গায় আসতে হবে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সকল বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে, এখনো কষ্ট করছে, মেহেরবানি করে তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার মানুষের অধিকারের দাবিতে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা-হয়রানি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিংসা নয়, বরং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে করা এমন সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আপনারা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য আগে গণভোট দিন, তারপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করুন। জাতি আপনাদের সহযোগিতা করবে।’
রাজধানীর পল্টনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসেই গণভোট আয়োজন; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা—এই পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী।
তাদের সঙ্গে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামপন্থী এই আট দল আজ পল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়।
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
ষড়যন্ত্রের সুযোগ বন্ধ করে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, দাবি উঠেছে এক দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের। তাহলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ যা যা সংশোধন হয়েছে, গণভোটের আইনি ভিত্তি যদি না হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হবে?
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেছিলাম। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের বিচারপ্রক্রিয়া যখন এগিয়ে যাচ্ছে, যখন এই নভেম্বরে মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখনই ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশজুড়ে ককটেল, গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ঢাকায় হোটেলে-হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। আপনারা অভিযান চালিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আপনারা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য আগে গণভোট দিন, তারপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করুন। জাতি আপনাদের সহযোগিতা করবে।’
রাজধানীর পল্টনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসেই গণভোট আয়োজন; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা—এই পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী।
তাদের সঙ্গে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামপন্থী এই আট দল আজ পল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়।
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
ষড়যন্ত্রের সুযোগ বন্ধ করে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, দাবি উঠেছে এক দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের। তাহলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ যা যা সংশোধন হয়েছে, গণভোটের আইনি ভিত্তি যদি না হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হবে?
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেছিলাম। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের বিচারপ্রক্রিয়া যখন এগিয়ে যাচ্ছে, যখন এই নভেম্বরে মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখনই ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশজুড়ে ককটেল, গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ঢাকায় হোটেলে-হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। আপনারা অভিযান চালিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার মানুষের অধিকারের দাবিতে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে, নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা-হয়রানি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের মতো প্রতিহিংসা নয়, বরং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে করা এমন সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে