সাইফুল মাসুম ও আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর থেকে

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম।
এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া এলাকায় যান না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন না। মানুষ সুখ দুঃখের কথা সংসদ সদস্যকে বলার সুযোগ পান না। এ ছাড়া চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার অনেক ভোটার আছেন, যারা মাহমুদ আলীকে সরাসরি কখনো দেখেননি।
গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরের গ্রামীণ টাওয়ার ভবনে কথা হয় কয়েকজন নারী ভোটারের সঙ্গে। তাঁরা নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় গেছেন এমপিকে এক নজর দেখতে! নশরতপুর ইউনিয়নের নারী ভোটার কোহিনুর বেগম আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘এমপিকে কুনোদিন দ্যাখোঁ নাই, তাই দেখির আনু।’
ওই সভায় নশরতপুরের আরেক ভোটার খাইরুনেচ্ছা বলেন, ‘এমপি থাকেন ঢাকায়। নাগাল পাইলে তো দুঃখের কথা কইবো। সাহায্য সহযোগিতা তো দূরে থাক, কোনো দিন খোঁজ নিতে আসেনি।’
যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা দাবি করছেন, নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়া এই নারীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন।
উপজেলার আন্ধারমুহা বাজারে কথা হয় মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, কোনো দিন এমপিকে দেখেননি। অভিমান করে বলেন, গরিব মানুষ হওয়ায় তাঁর কাছে যাওয়ার দরকার পড়েনি এমপির!
খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক দরকারে এমপিকে কল করেছি। তিনি তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে প্রতিনিধি কল করে এমপিকে কেন কল দিয়েছি এর জন্য জবাব চেয়েছেন।’
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় দীর্ঘ ২১ মাস নির্বাচনী এলাকায় যাননি মাহমুদ আলী। অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হলে এলাকায় যান না, সবকিছু করান প্রতিনিধির মাধ্যমে। প্রতিনিধিরা হচ্ছেন—এমপির পিএ শাহ সালাউদ্দিন, খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আলিম সরকার।
এর আগে বছরখানেক চিরিরবন্দরে প্রতিনিধি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুকুল। তাঁদেরও জনসম্পৃক্ততা তেমন নেই। গত ১৫ বছরে এমপির সঙ্গে থাকা এসব প্রতিনিধিরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরও পাত্তা দেন না এমপি
সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও পাত্তা দেন না সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। চিরিরবন্দর উপজেলার এক নারী জনপ্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চার বছরের বেশি সময় হয়েছে নির্বাচিত হয়েছি, কোনো দিন এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ইদানীং ভোটের কারণে কিছুটা যোগাযোগ হয়েছে।’
খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নেতারাই ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি না, আর সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা! তিনি প্রতিনিধি দিয়ে কাজ করেন, দলীয় নেতা–কর্মী ও জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা গিয়েও ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি নাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অকপটে স্বীকার করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি চিরিরবন্দরে নির্বাচনী সভার আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকার মানুষদের বলেছি, সংসদ বসে ঢাকায়, ওখানে না থাকলে কাজ হবে না। তাই মাঝে মাঝে এলাকায় আসব, কিন্তু রাস্তা দিয়ে যেতে খালি সালাম দেব, খেতে বসে সানকিতে ভাত খাব, এটা আমি পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের দুঃখের কথা শুনলে তো কাজ হবে না। আমি কিন্তু ওটা পারব না। আপনারা যদি চান কাজ করব, না হলে ছেড়ে দেব। আমি কিন্তু অন্যরকম লোক।’
ট্রাকের ধাক্কায় ডুবতে পারে নৌকা
দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নৌকার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে পারেন সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারিক। আসনটিতে পোস্টার, মাইকিং, সভা–পাল্টা সভায় ভোট অনেকটা জমে উঠেছে।
ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের সময় সারা দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুর–৪ আসনে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দলীয় নেতা–কর্মী, সাধারণ মানুষ, কারও জন্য তেমন কাজে আসেননি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। দলের নেতাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে সরব। এ ছাড়া সরকার বিরোধী বিএনপি–জামায়াতের ভোট ব্যাংকও স্বতন্ত্রের দিকে গড়াতে পারে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আতারবাজারে ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনী সভায় কথা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও জনগণের চাপে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি নির্বাচনে না আসলে শতকরা পাঁচজন লোকও ভোট কেন্দ্রে যেত না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো না। মানুষের সঙ্গে আমার যে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাতে বলতে পারি, নির্বাচনে ১২ আনা ভোট আমি পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপি–জামায়াতের একটি অংশও তাঁকে ভোট দেবে।
দিনাজপুর–৪ আসনে ১৯৮৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি, একবার ওয়ার্কার্স পার্টির থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এ আসনে দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ১৩০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২২ জন।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা প্রতিনিধি)

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম।
এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া এলাকায় যান না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন না। মানুষ সুখ দুঃখের কথা সংসদ সদস্যকে বলার সুযোগ পান না। এ ছাড়া চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার অনেক ভোটার আছেন, যারা মাহমুদ আলীকে সরাসরি কখনো দেখেননি।
গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরের গ্রামীণ টাওয়ার ভবনে কথা হয় কয়েকজন নারী ভোটারের সঙ্গে। তাঁরা নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় গেছেন এমপিকে এক নজর দেখতে! নশরতপুর ইউনিয়নের নারী ভোটার কোহিনুর বেগম আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘এমপিকে কুনোদিন দ্যাখোঁ নাই, তাই দেখির আনু।’
ওই সভায় নশরতপুরের আরেক ভোটার খাইরুনেচ্ছা বলেন, ‘এমপি থাকেন ঢাকায়। নাগাল পাইলে তো দুঃখের কথা কইবো। সাহায্য সহযোগিতা তো দূরে থাক, কোনো দিন খোঁজ নিতে আসেনি।’
যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা দাবি করছেন, নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়া এই নারীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন।
উপজেলার আন্ধারমুহা বাজারে কথা হয় মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, কোনো দিন এমপিকে দেখেননি। অভিমান করে বলেন, গরিব মানুষ হওয়ায় তাঁর কাছে যাওয়ার দরকার পড়েনি এমপির!
খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক দরকারে এমপিকে কল করেছি। তিনি তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে প্রতিনিধি কল করে এমপিকে কেন কল দিয়েছি এর জন্য জবাব চেয়েছেন।’
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় দীর্ঘ ২১ মাস নির্বাচনী এলাকায় যাননি মাহমুদ আলী। অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হলে এলাকায় যান না, সবকিছু করান প্রতিনিধির মাধ্যমে। প্রতিনিধিরা হচ্ছেন—এমপির পিএ শাহ সালাউদ্দিন, খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আলিম সরকার।
এর আগে বছরখানেক চিরিরবন্দরে প্রতিনিধি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুকুল। তাঁদেরও জনসম্পৃক্ততা তেমন নেই। গত ১৫ বছরে এমপির সঙ্গে থাকা এসব প্রতিনিধিরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরও পাত্তা দেন না এমপি
সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও পাত্তা দেন না সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। চিরিরবন্দর উপজেলার এক নারী জনপ্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চার বছরের বেশি সময় হয়েছে নির্বাচিত হয়েছি, কোনো দিন এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ইদানীং ভোটের কারণে কিছুটা যোগাযোগ হয়েছে।’
খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নেতারাই ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি না, আর সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা! তিনি প্রতিনিধি দিয়ে কাজ করেন, দলীয় নেতা–কর্মী ও জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা গিয়েও ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি নাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অকপটে স্বীকার করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি চিরিরবন্দরে নির্বাচনী সভার আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকার মানুষদের বলেছি, সংসদ বসে ঢাকায়, ওখানে না থাকলে কাজ হবে না। তাই মাঝে মাঝে এলাকায় আসব, কিন্তু রাস্তা দিয়ে যেতে খালি সালাম দেব, খেতে বসে সানকিতে ভাত খাব, এটা আমি পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের দুঃখের কথা শুনলে তো কাজ হবে না। আমি কিন্তু ওটা পারব না। আপনারা যদি চান কাজ করব, না হলে ছেড়ে দেব। আমি কিন্তু অন্যরকম লোক।’
ট্রাকের ধাক্কায় ডুবতে পারে নৌকা
দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নৌকার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে পারেন সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারিক। আসনটিতে পোস্টার, মাইকিং, সভা–পাল্টা সভায় ভোট অনেকটা জমে উঠেছে।
ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের সময় সারা দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুর–৪ আসনে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দলীয় নেতা–কর্মী, সাধারণ মানুষ, কারও জন্য তেমন কাজে আসেননি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। দলের নেতাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে সরব। এ ছাড়া সরকার বিরোধী বিএনপি–জামায়াতের ভোট ব্যাংকও স্বতন্ত্রের দিকে গড়াতে পারে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আতারবাজারে ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনী সভায় কথা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও জনগণের চাপে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি নির্বাচনে না আসলে শতকরা পাঁচজন লোকও ভোট কেন্দ্রে যেত না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো না। মানুষের সঙ্গে আমার যে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাতে বলতে পারি, নির্বাচনে ১২ আনা ভোট আমি পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপি–জামায়াতের একটি অংশও তাঁকে ভোট দেবে।
দিনাজপুর–৪ আসনে ১৯৮৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি, একবার ওয়ার্কার্স পার্টির থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এ আসনে দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ১৩০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২২ জন।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা প্রতিনিধি)
সাইফুল মাসুম ও আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর থেকে

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম।
এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া এলাকায় যান না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন না। মানুষ সুখ দুঃখের কথা সংসদ সদস্যকে বলার সুযোগ পান না। এ ছাড়া চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার অনেক ভোটার আছেন, যারা মাহমুদ আলীকে সরাসরি কখনো দেখেননি।
গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরের গ্রামীণ টাওয়ার ভবনে কথা হয় কয়েকজন নারী ভোটারের সঙ্গে। তাঁরা নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় গেছেন এমপিকে এক নজর দেখতে! নশরতপুর ইউনিয়নের নারী ভোটার কোহিনুর বেগম আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘এমপিকে কুনোদিন দ্যাখোঁ নাই, তাই দেখির আনু।’
ওই সভায় নশরতপুরের আরেক ভোটার খাইরুনেচ্ছা বলেন, ‘এমপি থাকেন ঢাকায়। নাগাল পাইলে তো দুঃখের কথা কইবো। সাহায্য সহযোগিতা তো দূরে থাক, কোনো দিন খোঁজ নিতে আসেনি।’
যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা দাবি করছেন, নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়া এই নারীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন।
উপজেলার আন্ধারমুহা বাজারে কথা হয় মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, কোনো দিন এমপিকে দেখেননি। অভিমান করে বলেন, গরিব মানুষ হওয়ায় তাঁর কাছে যাওয়ার দরকার পড়েনি এমপির!
খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক দরকারে এমপিকে কল করেছি। তিনি তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে প্রতিনিধি কল করে এমপিকে কেন কল দিয়েছি এর জন্য জবাব চেয়েছেন।’
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় দীর্ঘ ২১ মাস নির্বাচনী এলাকায় যাননি মাহমুদ আলী। অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হলে এলাকায় যান না, সবকিছু করান প্রতিনিধির মাধ্যমে। প্রতিনিধিরা হচ্ছেন—এমপির পিএ শাহ সালাউদ্দিন, খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আলিম সরকার।
এর আগে বছরখানেক চিরিরবন্দরে প্রতিনিধি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুকুল। তাঁদেরও জনসম্পৃক্ততা তেমন নেই। গত ১৫ বছরে এমপির সঙ্গে থাকা এসব প্রতিনিধিরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরও পাত্তা দেন না এমপি
সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও পাত্তা দেন না সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। চিরিরবন্দর উপজেলার এক নারী জনপ্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চার বছরের বেশি সময় হয়েছে নির্বাচিত হয়েছি, কোনো দিন এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ইদানীং ভোটের কারণে কিছুটা যোগাযোগ হয়েছে।’
খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নেতারাই ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি না, আর সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা! তিনি প্রতিনিধি দিয়ে কাজ করেন, দলীয় নেতা–কর্মী ও জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা গিয়েও ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি নাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অকপটে স্বীকার করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি চিরিরবন্দরে নির্বাচনী সভার আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকার মানুষদের বলেছি, সংসদ বসে ঢাকায়, ওখানে না থাকলে কাজ হবে না। তাই মাঝে মাঝে এলাকায় আসব, কিন্তু রাস্তা দিয়ে যেতে খালি সালাম দেব, খেতে বসে সানকিতে ভাত খাব, এটা আমি পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের দুঃখের কথা শুনলে তো কাজ হবে না। আমি কিন্তু ওটা পারব না। আপনারা যদি চান কাজ করব, না হলে ছেড়ে দেব। আমি কিন্তু অন্যরকম লোক।’
ট্রাকের ধাক্কায় ডুবতে পারে নৌকা
দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নৌকার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে পারেন সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারিক। আসনটিতে পোস্টার, মাইকিং, সভা–পাল্টা সভায় ভোট অনেকটা জমে উঠেছে।
ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের সময় সারা দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুর–৪ আসনে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দলীয় নেতা–কর্মী, সাধারণ মানুষ, কারও জন্য তেমন কাজে আসেননি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। দলের নেতাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে সরব। এ ছাড়া সরকার বিরোধী বিএনপি–জামায়াতের ভোট ব্যাংকও স্বতন্ত্রের দিকে গড়াতে পারে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আতারবাজারে ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনী সভায় কথা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও জনগণের চাপে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি নির্বাচনে না আসলে শতকরা পাঁচজন লোকও ভোট কেন্দ্রে যেত না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো না। মানুষের সঙ্গে আমার যে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাতে বলতে পারি, নির্বাচনে ১২ আনা ভোট আমি পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপি–জামায়াতের একটি অংশও তাঁকে ভোট দেবে।
দিনাজপুর–৪ আসনে ১৯৮৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি, একবার ওয়ার্কার্স পার্টির থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এ আসনে দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ১৩০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২২ জন।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা প্রতিনিধি)

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম।
এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া এলাকায় যান না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন না। মানুষ সুখ দুঃখের কথা সংসদ সদস্যকে বলার সুযোগ পান না। এ ছাড়া চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার অনেক ভোটার আছেন, যারা মাহমুদ আলীকে সরাসরি কখনো দেখেননি।
গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরের গ্রামীণ টাওয়ার ভবনে কথা হয় কয়েকজন নারী ভোটারের সঙ্গে। তাঁরা নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় গেছেন এমপিকে এক নজর দেখতে! নশরতপুর ইউনিয়নের নারী ভোটার কোহিনুর বেগম আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘এমপিকে কুনোদিন দ্যাখোঁ নাই, তাই দেখির আনু।’
ওই সভায় নশরতপুরের আরেক ভোটার খাইরুনেচ্ছা বলেন, ‘এমপি থাকেন ঢাকায়। নাগাল পাইলে তো দুঃখের কথা কইবো। সাহায্য সহযোগিতা তো দূরে থাক, কোনো দিন খোঁজ নিতে আসেনি।’
যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা দাবি করছেন, নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়া এই নারীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন।
উপজেলার আন্ধারমুহা বাজারে কথা হয় মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, কোনো দিন এমপিকে দেখেননি। অভিমান করে বলেন, গরিব মানুষ হওয়ায় তাঁর কাছে যাওয়ার দরকার পড়েনি এমপির!
খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক দরকারে এমপিকে কল করেছি। তিনি তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে প্রতিনিধি কল করে এমপিকে কেন কল দিয়েছি এর জন্য জবাব চেয়েছেন।’
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় দীর্ঘ ২১ মাস নির্বাচনী এলাকায় যাননি মাহমুদ আলী। অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হলে এলাকায় যান না, সবকিছু করান প্রতিনিধির মাধ্যমে। প্রতিনিধিরা হচ্ছেন—এমপির পিএ শাহ সালাউদ্দিন, খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আলিম সরকার।
এর আগে বছরখানেক চিরিরবন্দরে প্রতিনিধি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুকুল। তাঁদেরও জনসম্পৃক্ততা তেমন নেই। গত ১৫ বছরে এমপির সঙ্গে থাকা এসব প্রতিনিধিরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরও পাত্তা দেন না এমপি
সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও পাত্তা দেন না সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। চিরিরবন্দর উপজেলার এক নারী জনপ্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চার বছরের বেশি সময় হয়েছে নির্বাচিত হয়েছি, কোনো দিন এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ইদানীং ভোটের কারণে কিছুটা যোগাযোগ হয়েছে।’
খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নেতারাই ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি না, আর সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা! তিনি প্রতিনিধি দিয়ে কাজ করেন, দলীয় নেতা–কর্মী ও জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা গিয়েও ওনার সঙ্গে দেখা করতে পারি নাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অকপটে স্বীকার করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি চিরিরবন্দরে নির্বাচনী সভার আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকার মানুষদের বলেছি, সংসদ বসে ঢাকায়, ওখানে না থাকলে কাজ হবে না। তাই মাঝে মাঝে এলাকায় আসব, কিন্তু রাস্তা দিয়ে যেতে খালি সালাম দেব, খেতে বসে সানকিতে ভাত খাব, এটা আমি পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের দুঃখের কথা শুনলে তো কাজ হবে না। আমি কিন্তু ওটা পারব না। আপনারা যদি চান কাজ করব, না হলে ছেড়ে দেব। আমি কিন্তু অন্যরকম লোক।’
ট্রাকের ধাক্কায় ডুবতে পারে নৌকা
দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নৌকার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে পারেন সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম তারিক। আসনটিতে পোস্টার, মাইকিং, সভা–পাল্টা সভায় ভোট অনেকটা জমে উঠেছে।
ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের সময় সারা দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুর–৪ আসনে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দলীয় নেতা–কর্মী, সাধারণ মানুষ, কারও জন্য তেমন কাজে আসেননি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। দলের নেতাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে সরব। এ ছাড়া সরকার বিরোধী বিএনপি–জামায়াতের ভোট ব্যাংকও স্বতন্ত্রের দিকে গড়াতে পারে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আতারবাজারে ট্রাক প্রতীকের একটি নির্বাচনী সভায় কথা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও জনগণের চাপে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি নির্বাচনে না আসলে শতকরা পাঁচজন লোকও ভোট কেন্দ্রে যেত না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো না। মানুষের সঙ্গে আমার যে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাতে বলতে পারি, নির্বাচনে ১২ আনা ভোট আমি পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপি–জামায়াতের একটি অংশও তাঁকে ভোট দেবে।
দিনাজপুর–৪ আসনে ১৯৮৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি, একবার ওয়ার্কার্স পার্টির থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এ আসনে দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ১৩০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২২ জন।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা প্রতিনিধি)

আগামীকাল বৃহস্পতিবার যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি
৪ মিনিট আগে
গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২৫ মিনিট আগে
জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর আরও কী থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামীকাল বৃহস্পতিবার যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী আগামীকাল ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও অরাজকতার কোনো স্থান নেই। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের যেকোনো প্রচেষ্টা ছাত্রসমাজ ও জনগণ প্রতিহত করবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত। আগামীকাল সারা দেশে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘আগামীকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল খুনি হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা করবেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গত দুই দিনে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির দুর্বৃত্তরা ১৫টির অধিক বাস আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আগুন-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ময়মনসিংহে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন বাসচালক নিহত হয়েছে।’

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতাকে দায়ী করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতা এর কারণ। আমরা সরকারকে এই অগ্নিসন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে জুলাই গণহত্যা এবং সব গুম, খুন, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। যারা এই ফ্যাসিবাদী শাসনকে বৈধতা দিতে ভূমিকা রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলেও সেটি অত্যন্ত ধীরগতির। এর কারণ কিছু সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কালক্ষেপণ করিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাড়াতে একটি পক্ষ মামলা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জামিন করিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই জামিনের সঙ্গে ফ্যাসিবাদী মানসিকতার কিছু ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইনজীবীরা জড়িত। এমন অনেক তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগাসহ অন্য নেতারা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী আগামীকাল ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ও অরাজকতার কোনো স্থান নেই। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের যেকোনো প্রচেষ্টা ছাত্রসমাজ ও জনগণ প্রতিহত করবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত। আগামীকাল সারা দেশে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘আগামীকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল খুনি হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা করবেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গত দুই দিনে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির দুর্বৃত্তরা ১৫টির অধিক বাস আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আগুন-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ময়মনসিংহে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন বাসচালক নিহত হয়েছে।’

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতাকে দায়ী করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতা এর কারণ। আমরা সরকারকে এই অগ্নিসন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে জুলাই গণহত্যা এবং সব গুম, খুন, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। যারা এই ফ্যাসিবাদী শাসনকে বৈধতা দিতে ভূমিকা রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলেও সেটি অত্যন্ত ধীরগতির। এর কারণ কিছু সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কালক্ষেপণ করিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাড়াতে একটি পক্ষ মামলা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জামিন করিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই জামিনের সঙ্গে ফ্যাসিবাদী মানসিকতার কিছু ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইনজীবীরা জড়িত। এমন অনেক তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগাসহ অন্য নেতারা।

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম। এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে ল
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২৫ মিনিট আগে
জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর আরও কী থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বিরাজমান সংকটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংকট তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, সেই পথকে বাধাগ্রস্ত করা; বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সংস্কারের জন্য যে নির্বাচন হওয়া দরকার, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা এবং জনগণের ভবিষ্যৎকে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলা।’
সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আসুন... আমরা সবাই আজকে এই জায়গা থেকে একমত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব চক্রান্তকে রুখে দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করি।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বিরাজমান সংকটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংকট তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, সেই পথকে বাধাগ্রস্ত করা; বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সংস্কারের জন্য যে নির্বাচন হওয়া দরকার, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা এবং জনগণের ভবিষ্যৎকে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলা।’
সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আসুন... আমরা সবাই আজকে এই জায়গা থেকে একমত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব চক্রান্তকে রুখে দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করি।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম। এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে ল
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামীকাল বৃহস্পতিবার যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি
৪ মিনিট আগে
জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর আরও কী থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে নেই। নির্বাচনী রেসেও নেই। তাদের নেত্রীও নেই। সুতরাং তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনারও কিছু নেই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে—এমনটা ভাবার কারণ নেই। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শক্ত অবস্থান নিতে হবে সরকারকেও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো কঠোর অবস্থানে থাকবে—এটাই প্রত্যাশা।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ বুধবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমীর খসরু।
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি কীভাবে এগোচ্ছে, মনোনয়ন প্রক্রিয়া কীভাবে হচ্ছে—এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার পাশাপাশি পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ। সুশীল সমাজের সঙ্গেও কথা বলবে তারা। মূলত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, সেটাই তারা চায়।
জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর আরও কী থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে নেই। নির্বাচনী রেসেও নেই। তাদের নেত্রীও নেই। সুতরাং তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনারও কিছু নেই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে—এমনটা ভাবার কারণ নেই। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শক্ত অবস্থান নিতে হবে সরকারকেও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো কঠোর অবস্থানে থাকবে—এটাই প্রত্যাশা।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ বুধবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমীর খসরু।
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি কীভাবে এগোচ্ছে, মনোনয়ন প্রক্রিয়া কীভাবে হচ্ছে—এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার পাশাপাশি পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ। সুশীল সমাজের সঙ্গেও কথা বলবে তারা। মূলত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, সেটাই তারা চায়।
জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর আরও কী থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম। এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে ল
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামীকাল বৃহস্পতিবার যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি
৪ মিনিট আগে
গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২৫ মিনিট আগে
কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা শাখার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দফায় দফায় পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটি ঘোষণার পর প্রথম পদত্যাগ করা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রকাশের পরপরই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে একে একে ২৩ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সূত্র জানায়, কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের লবিংয়ের ভিত্তিতে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী ও মাঠের নেতারা উপেক্ষিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে একাধিক পদত্যাগকারী জানান, তাঁরা সংগঠনের প্রতি অনুগত থাকলেও ন্যায়বিচারহীন এই কমিটিতে থেকে তাঁদের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে আপস করা সম্ভব নয়। পদত্যাগকারীদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধারাও রয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে জেলা কমিটির ভেতরে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পদত্যাগ করা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলাম। আজ আমরাই বৈষম্যের শিকার হলাম। কেন্দ্রীয় নেতারা পছন্দের মানুষ দিয়ে কমিটি করেছে। তাই পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। সব মিলিয়ে এই কমিটি আর চলার মতো অবস্থায় নেই।’
ইয়াছিন আরাফাত আরও বলেন, ‘৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জন পদত্যাগ করেছে। এর মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাই আহত যোদ্ধা থেকে শুরু করে অনেকে রয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। এটা আমাদের প্রতিবাদ। আমরা কথা ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’
কেন্দ্রীয় যুবশক্তির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কমিটি দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে অনুযায়ী কমিটি হয়নি। তৃণমূলের ক্ষোভের বিষয়ে তাঁরা অবগত। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা শাখার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দফায় দফায় পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটি ঘোষণার পর প্রথম পদত্যাগ করা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রকাশের পরপরই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে একে একে ২৩ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সূত্র জানায়, কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের লবিংয়ের ভিত্তিতে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী ও মাঠের নেতারা উপেক্ষিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে একাধিক পদত্যাগকারী জানান, তাঁরা সংগঠনের প্রতি অনুগত থাকলেও ন্যায়বিচারহীন এই কমিটিতে থেকে তাঁদের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে আপস করা সম্ভব নয়। পদত্যাগকারীদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধারাও রয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে জেলা কমিটির ভেতরে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পদত্যাগ করা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলাম। আজ আমরাই বৈষম্যের শিকার হলাম। কেন্দ্রীয় নেতারা পছন্দের মানুষ দিয়ে কমিটি করেছে। তাই পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। সব মিলিয়ে এই কমিটি আর চলার মতো অবস্থায় নেই।’
ইয়াছিন আরাফাত আরও বলেন, ‘৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জন পদত্যাগ করেছে। এর মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাই আহত যোদ্ধা থেকে শুরু করে অনেকে রয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। এটা আমাদের প্রতিবাদ। আমরা কথা ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’
কেন্দ্রীয় যুবশক্তির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কমিটি দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে অনুযায়ী কমিটি হয়নি। তৃণমূলের ক্ষোভের বিষয়ে তাঁরা অবগত। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

মানুষের ভোটে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা জনগণের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকবেন—এমনটিই প্রত্যাশা। কিন্তু দিনাজপুর–৪ (চিরিরবন্দর–খানসামা) আসনের এমপি ব্যতিক্রম। এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ভোটে ল
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামীকাল বৃহস্পতিবার যেকোনো নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীকাল ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি
৪ মিনিট আগে
গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২৫ মিনিট আগে
জুলাই সনদ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, আলোচনা ও ঐকমত্যের পরে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর আরও কী থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়।
৩ ঘণ্টা আগে