Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে: মির্জা ফখরুল

বিবিসিতে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে দলের তিন কর্মী নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিবিসি থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, অভিযোগ আছে আপনার দেশেতো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আপনি কি পরিবেশ তৈরি করেছেন? বিরোধী দলকে সভা-সমিতি করবার জায়গা দিচ্ছেন? গ্রেপ্তার বন্ধ করেছেন? তখন তিনি বলেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন হয় তা সবচেয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়।’’ শেখ হাসিনার কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ জানে, শেখ হাসিনার অধীনে সবচেয়ে ভুয়া নির্বাচন হয়। তাই সারা বাংলাদেশে এখন স্লোগান একটা, শেখ হাসিনা ভুয়া। শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে অনেক দূরে চলে গেছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে চাল, ডাল, তেলের দাম কমানোর জন্য আমরা আন্দোলন করছি। শেখ হাসিনা বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল দেবে, দিয়েছে? কৃষকদের বলেছিল বিনা পয়সায় সার দেবে। সেই সার এখন কৃষকেরা পাচ্ছে না। সারের দাম তিন গুন বেড়ে গেছে। বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তাও মানুষ পায়নি বরং লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও চাকরি হয় না। ওখানে আবার আওয়ামী লীগের সিল লাগে।’

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম একটা সুখী সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করব। এখানে গণতন্ত্র থাকবে। প্রতিবাদ করতে পারব, কথা বলতে পারব, সভা-সমিতি করতে পারব। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল কারণ পাকিস্তান আমাদের শোষণ করছিল। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আওয়ামী লীগ আবারও আমাদের সেই অবস্থায় নিয়ে এসেছে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সময় হচ্ছে কাজের। কাজ হচ্ছে একটাই। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। কারণ এই সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা আমাদের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে।’

বরকত উল্লাহ বুলু, তাবিথ আওয়ালকে হত্যার জন্য আঘাত করে, নূরে আলম, শাওনকে হত্যা করে এই বাংলাদেশের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। পরিষ্কার কথা, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সকল বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা রয়েছে সেগুলো তুলে ফেলতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউনুস মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ প্রমুখ।

সমাবেশ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে দেখা যায়। সমাবেশ চলাকালে ও শেষে তিন দফা নিজেরদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়াতে দেখা গেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আ.লীগ নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসামূলক’ মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি মির্জা ফখরুলের

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৯
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ‘প্রতিহিংসামূলক’ মামলা প্রত্যাহার করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় না।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ৫ আগস্ট আমাদের ম্যাডাম মানে খালেদা জিয়া একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন, যে আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করব না, আমরা প্রতিশোধ নিব না। আমরা ভালোবাসা এবং প্রেমের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আমি সে কথা আবার আজকে আপনাদের কাছে বলতে চাই যে আমরা কোনো প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না।’

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে মামলা করেছে, সেভাবে মামলা করতে চাই না। যদি মামলা হয়ে থাকে আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে। যত মামলা আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আমরা সমস্ত মামলাগুলো তুলে নিব, ঠিক আছে। আমরা ওই প্রতিহিংসা–প্রতিশোধের রাজনীতি করব না।’

ভারতে আশ্রয় নেওয়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর ওসব পাগলামি করবেন না! ওই অত্যাচার–নির্যাতন করে অতীতে শাসন করতে পারেননি, সামনেও ভয় দেখিয়ে শাসন করতে পারবেন না। বরঞ্চ বাংলাদেশের জনগণের সামনে দুই হাত তুলে মাফ চান— যা করেছি ভুল করেছি, ছেলেগুলোকে গুলি করে মেরে ভুল করেছি, আমাকে আপনারা মাফ করে দিবেন।’

জুলাই–আগস্টের সেই বীভৎসতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কেউ বাদ যায়নি ভাই, এই যে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা–নারী–ছেলেরা আমাদের, তাদেরকে পাখির মত গুলি করে মারছে। একটা বাচ্চা মেয়ে সে জানালা ধরে মিছিল দেখতে গেছে, ওকেও গুলি করে মারছে— এই সহিংসতা সে করেছে। তারপরও আমরা বলতে চাই, আমরা সেই প্রতিশোধে রাজনীতি করতে চাই না। আমরা শান্তির রাজনীতি করতে চাই। আমরা শান্তি দেখতে চাই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে আর অশান্তি চাই না।’

আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নৌকা ও শীষে প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার নৌকাটা আর নাই। নৌকার যে কান্ডারি, যে মূল মাঝি নৌকা ফেলে দিয়ে পালিয়ে চলে গেছে, ইন্ডিয়া চলে গেছে। এখন আমাদের যাঁরা এখানে নৌকা করতেন সারা বাংলাদেশে, তাঁরা তো একটু অসহায় অবস্থায় আছেন যে, আমাদের মূল লোকটাই পালিয়ে গেছে। আমরা এখন কী করব?

তিনি বলেন, ‘তো সেই জায়গায় আমি আপনাদেরকে এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে, আপনারা কেউ হতাশ হবেন না। ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা বেঁচে থাকতে আপনাদের গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দিতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির সুযোগ নেই, প্রজ্ঞাপন হতে পারে: সালাহউদ্দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৫
সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো আদেশ জারির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকার চাইলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্পেসিফিক কোনো প্রস্তাব দিইনি যে, আদেশ কে জারি করবে। আমরা একটা সাংবিধানিকতার মধ্যে আছি; সাংবিধানিকভাবে এ সরকার শপথ নিয়েছে; সবকিছু আইনানুগভাবে চলছে। এখন কোনো অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির। যদি কোনো আদেশ জারি করতে হয়, সেই আদেশের মর্যাদা যদি আইনি হয়, সেই আদেশ জারি করার মতো কোনো সাংবিধানিক অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। কারণ, প্রেসিডেন্টের অর্ডার জারি করার একটা বিধান একসময় ছিল, যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়নি, আপনারা সবাই জানেন, সে রকম পিও অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট অর্ডার নিয়ে তখন রাষ্ট্রটা চলত। সংবিধান গৃহীত হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির আর কোনো বিধান রইল না, সেটা বিলুপ্ত হলো। এখন কী রকম আদেশ দেবে? সেই আদেশের মর্যাদা কি আইনি হবে? সেটা এখনো সরকার নির্ধারণ করেনি। একমাত্র অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা ছাড়া রাষ্ট্রপতির অন্য কোনোভাবে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা এখন নেই। কিন্তু আদেশ জারি করার কোনো বিধান বর্তমান সংবিধানে নেই।

‘কিন্তু যদি এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারে, গেজেট নোটিফিকেশন, সেটা আইন হবে না। এখন সরকার যদি আলোচনার আহ্বান জানায়, সে ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে, রাজপথে তো নয়।’

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিকের ওপর কোনো দায় বর্তাবে না অর্থাৎ পরিবর্তিত সনদ দলগুলো মানতে বাধ্য থাকবে না।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন দফায় কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলোর ক্ষেত্রে সনদে বলা আছে যে, দলগুলো যদি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট পায়, নোট অব ডিসেন্টগুলো তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে আমরা এক শ ভাগ একমত, এখনো আমরা সেই জায়গায় আছি এবং আমরা স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে নেই। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত যে সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে নোট অব ডিসেন্ডের অংশগুলোর উল্লেখ নেই, একদম নেই। শুধু প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে ৪৮টা দফা দিয়ে তারা একটা তফসিল করেছে। সেই তফসিলে প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে গণভোটের প্রস্তাব করেছে।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ওপরে আমরা রাজি হয়েছিলাম। সে জায়গায় আমরা আছি। এখন এই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে গিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে অযৌক্তিক ও নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে যে আন্দোলন করছে, সে ব্যাপারে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারে। কিন্তু সনদে স্বাক্ষরিত যে বিষয়গুলো আছে, তার বাইরে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল, যারা সনদে স্বাক্ষর করেছে, তাদের ওপরে কোনো দায়দায়িত্ব বর্তায় না বা তারা মানতে বাধ্য নয়। এই মেসেজটা দেওয়ার জন্যই আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩২
পল্টন মোড়ে সমাবেশে কথা বলছেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা
পল্টন মোড়ে সমাবেশে কথা বলছেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। ২৬-এ নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা একটাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। গণভোটের ব্যাপারে সকল দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন?’

পল্টন মোড়ে সমাবেশে কথা বলছেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা
পল্টন মোড়ে সমাবেশে কথা বলছেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন আর কোনো সংশয় সন্দেহ থাকবে না। আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এইটা নিয়ে কেউ ধূম্রজাল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাবেন না। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে ফেলবেন না।’

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটা চার্টার তৈরি হয়েছে। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথা, সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলবে বাকিরা তাই মেনে নেবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, কেউ কেউ তা মেনে নিতে রাজি নন। যদি আপনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? এই জায়গায় আসতে হবে।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সকল বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে, এখনো কষ্ট করছে, মেহেরবানি করে তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য আগে গণভোট দিন: অন্তর্বর্তী সরকারকে গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৯
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আপনারা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য আগে গণভোট দিন, তারপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করুন। জাতি আপনাদের সহযোগিতা করবে।’

রাজধানীর পল্টনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসেই গণভোট আয়োজন; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা—এই পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করছে জামায়াতে ইসলামী।

তাদের সঙ্গে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামপন্থী এই আট দল আজ পল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়।

সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রায় নয় মাস চেষ্টা করে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা সংস্কার নিয়ে আমরা যখন প্রায় একমত হয়েছি, তখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে আগামী ১৩ তারিখে শাটডাউনের নামে নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

ষড়যন্ত্রের সুযোগ বন্ধ করে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, দাবি উঠেছে এক দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের। তাহলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টসহ যা যা সংশোধন হয়েছে, গণভোটের আইনি ভিত্তি যদি না হয়, তাহলে কিসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হবে?

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দফায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেছিলাম। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের বিচারপ্রক্রিয়া যখন এগিয়ে যাচ্ছে, যখন এই নভেম্বরে মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখনই ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশজুড়ে ককটেল, গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।’

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ঢাকায় হোটেলে-হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। আপনারা অভিযান চালিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত